শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ২০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠনে পরিণত হয় ছাত্রদল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ছাত্রদল। এর মধ্যে রয়েছে আজ সকালে কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, দুপুর ১২টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রয়েছে রক্ত দান কর্মসূচি।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও সারা দেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্র অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর ১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে রয়েছে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দ্বিতীয় দিন আগামীকাল রাজধানীর গুলিস্তান আউটডোর স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় সংসদের ৮টি টিমের মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে এবং সারা দেশে সব ইউনিটিতে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় পর মুক্ত বাতাসে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সুযোগ পাচ্ছে ছাত্রদল। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনের প্রাণ হারানো শহীদদের আমরা স্মরণ করছি। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। দেশের মানুষকে নিজের ভোট প্রদানের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমরা এখনো লড়াই জারি রেখেছি। বর্তমান ছাত্রদল আরও বেশি শক্তিশালী, আরও সুসংগঠিত।

১৯৭৯ সালের এই দিনে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয় ছাত্রদল। আশির দশকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কিংবা এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামেও সামনের সারিতে দেখা গেছে সংগঠনটিকে। সর্বশেষ বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও সরব ছিল ছাত্রদল। এ সময় স্বৈরাচার সরকারের রোষানলে পড়ে প্রাণ হারান অনেক নেতাকর্মী।

Header Ad
Header Ad

বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের টানা তৃতীয় হার

ছবি: সংগৃহীত

টানা তৃতীয় ম্যাচে হারলো ঢাকা ক্যাপিটালস। এখনও পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে না পারা দলটি শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের কাছে ২০ রানে হেরে বসে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে খুলনা টাইগার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৭৩ রান। জবাবে, থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ১৫৩ রানে থেমে যায় ঢাকা ক্যাপিটালসের ইনিংস।

খুলনার ইনিংসে প্রথমদিকে ভালো শুরু করলেও মাঝখানে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। তবে শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জিয়াউর রহমান এবং আবু হায়দার রনির ঝোড়ো ব্যাটিং দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেয়।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে ঢাকা। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ওভারেই লিটন দাস (২ রান) এবং স্টিফেন ইস্কেনাজিকে পরপর দুই বলে আউট করেন। এরপর তানজিদ হাসান তামিম (১৫ বলে ১৯), শাহাদত হোসাইন (৩ রান) এবং শুভাম রানজান (৬ রান) দ্রুত ফিরে গেলে ৪১ রানের মাথায় ঢাকার ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।

অধিনায়ক থিসারা পেরেরা একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৬৭ বলে ১০৫ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও তার লড়াই জয় এনে দিতে পারেনি।

মেহেদী হাসান মিরাজ, আবু হায়দার রনি এবং জিয়াউর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় খুলনা টাইগার্স। মিরাজ তার স্পেলের শুরুতেই ঢাকার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন, যা ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখে।

ঢাকা ক্যাপিটালসের ব্যাটিং অর্ডারের ব্যর্থতা এবং খুলনার বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচটি তাদের হাতছাড়া হয়। টানা তিন ম্যাচ হারায় ঢাকার পয়েন্ট টেবিলের অবস্থা আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, খুলনা টাইগার্সের জয় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সাকিবকে ফেরাতে শেষ চেষ্টা করবে বিসিবি  

সাকিব আল হাসানের। ছবি: সংগৃহীত

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলোচনা যেনো কোনোভাবেই থামানো যায় না। একের পর এক ইস্যুতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন সাকিব। গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে শেষ পর্যন্ত সেরকম কিছুই হয়নি।

ভারত সিরিজের পর তিনটি সিরিজেই তিনি ছিলেন দলের বাইরে। এমনকি খেলা হচ্ছে না চলমান বিপিএলেও। সে কারণে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব খেলবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা থামছে না। এবার এ প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) মিরপুরে প্রেসবক্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা প্রসঙ্গে ফারুক জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবকে খেলাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিসিবি। শেষ পর্যন্ত সাকিবের জন্য অপেক্ষা করবে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ বিষয় সাকিব ও সরকারি মহলের সঙ্গে কথা বলবে বিসিবি।

সাকিবের বিষয়টি যে শুধু বিসিবি-সংশ্লিষ্ট, তা নয়। বরং এর সঙ্গে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলও জড়িয়ে। যে কারণেই বিসিবি সভাপতি সাকিবের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকারের সবুজ সংকেত পেতে হবে বিসিবিকে।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সাকিবের বিষয়ে আমরা সরকারের সংশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো। তাকে যেন খেলানো যায়, সেজন্য আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবো। সাকিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো (খেলতে পারবে কিনা)।’

প্রেসবক্সে নাজমুল হোসেন শান্তর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছেন ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি জানান, তার কাছেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা বলেছেন শান্ত। তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, সেটি খুলে বলেননি শান্ত। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের দায়িত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে আর টেস্টে এখনো শান্তই বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা বলেছে শান্ত। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে এখনো সে আমাদের অধিনায়ক, আমাদের প্রিয় খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তই বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকবেন।’

Header Ad
Header Ad

৬টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়াল অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশনকে ১৫ জানুয়ারি এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম সংস্কারের জন্য ৩ অক্টোবর প্রথম ধাপে পাঁচটি সংস্কার কমিশন এবং ৬ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে প্রথমে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ২ জানুয়ারি সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশনের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ৫ জানুয়ারি।

তবে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কমিশনগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারীবিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এসব কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কমিশনগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের টানা তৃতীয় হার
সাকিবকে ফেরাতে শেষ চেষ্টা করবে বিসিবি  
৬টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়াল অন্তর্বর্তী সরকার
বগুড়ায় প্রতি কেজি ফুলকপি ২ টাকা! বিপাকে কৃষক  
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত  
আওয়ামী লীগের কপালে আগামী নির্বাচন নেই: জামায়াতের আমির
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নোট পেয়েছি, এর বেশি তথ্য নেই: জয়সওয়াল  
গুচ্ছতেই থাকছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতের ভূখণ্ড নিয়ে নতুন দুই প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা চীনের!  
কনকনে শীতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড়
শেখ হাসিনা ফাঁসিতে ঝোলার জন্য দেশে আসবেন: রেজাউল করিম  
টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের কমিটি গঠন, নেতৃত্ব পেলেন যারা  
তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ স্বীকারকে বৃথা হতে দেওয়া যাবে না: এম সাখাওয়াত
মুক্তিযুদ্ধকে ৭২ এর সংবিধানের পক্ষে ঢাল বানানো হচ্ছে : আখতার  
এক যুগেরও অধিক সময় পর বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  
বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল  
একপেশে ম্যাচে রাজশাহীকে উড়িয়ে প্রথম জয় চট্টগ্রামের
বিরামপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ 
দেশে যেন কখনোই ফ্যাসিবাদ ফিরতে না পারে: গণপূর্ত উপদেষ্টা  
ঘন কুয়াশায় গাড়ি দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের বিআরটিএ এর ৪ নির্দেশনা