শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কবে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান? যা জানা গেল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসেও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। ফিরতে পারেননি দেশে।

তারেক রহমান দেশ ছাড়েন ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়। যাবজ্জীবনসহ চার মামলায় তাকে দেয়া হয় সাজা। এমনকি তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তারেক রহমানের আইনজীবী ও দলের শীর্ষ নেতাদের দাবি, দেশে ফিরতে তারেক রহমানের আইনগত কোনো জটিলতা নেই। সরকার চাইলেই যে কোনো সময় তিনি ফিরতে পারেন।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদও লন্ডনে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ গণমাধ্যমকে জানান, তিনি লন্ডনে ব্যস্ত রয়েছেন। এই মুহূর্তে কথা বলতে পারছেন না।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা দেশবাসী সবাই প্রত্যাশা করছি ইমিডিয়েট তারেক রহমান ফিরবেন। আইনি জটিলতা বা আইনের যে বিষয় বলা হচ্ছে এটা তো শেখ হাসিনার সৃষ্ট আইন। শেখ হাসিনার সৃষ্ট আইনকে যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে তো ফ্যাসিবাদের রেসিডিউ যেটা সেটাই বিদ্যমান থাকলো।’

তিনি আরও বলেন, সে সময় যে মামলাগুলো দিয়েছিল তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচার করেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। ফরমায়েশি সাজা দিয়েছে তার প্রতিহিংসা পূরণের জন্য। সেই সাজা, আইনি প্রক্রিয়া এখন তো কার্যকর থাকার কথা নয়।

রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রেখেই আমরা বলবো, আপনারা দ্রুত এটা নিরসন করুন, যে সাজা দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন।

তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদিও লন্ডনে বসে প্রযুক্তির মাধ্যমে সারাদেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আছেন, তবু কাছাকাছি তো মানুষ তাকে দেখছে। আইনের দোহাই দিয়ে তার দেশে আসা বিলম্বিত করা অনুচিত।

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমরা কোনো বাধা দেখি না, এখন সরকার কীভাবে দেখছে আমরা বলতে পারবো না।

‘অল্প সময়ের মধ্যে তারেক রহমানের ফিরে আসার প্রচেষ্টা নিতে হবে। যে কোনো সময় এক্সিকিউটিভ অর্ডার দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা যায়। তারেক রহমান আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছেন। তার ফিরে আসতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন, সেটা তো আমাদের দাবি।’ বলেন রিজভী।

দলীয় পর্যায়ে থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে রিজভী বলেন, ‘নিশ্চয় আমাদের নেতারা কথা বলেছেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দাবি জানিয়েছেন। আমরা তো ক্ষমতায় নেই, আমরা দাবি জানাবো।’

তারেক রহমানের দেশে ফিরতে আইনগত কোনো জটিলতা নেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দেশে ফেরার সময়ের সিদ্ধান্তটা তার নিজস্ব বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আমরা আস্থার কথা বারবার বলছি। সরকার প্রধানের দায়িত্ব হচ্ছে তার (তারেক রহমান) ফিরে আসার ব্যাপারে সব প্রক্রিয়া দু-একদিনের মধ্যে সম্পন্ন করে তাকে দেশে ফিরে আসার কাজগুলো সম্পন্ন করা।

তাহলে তিনি দেশে ফিরছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দেশে ফেরার সময়ের সিদ্ধান্তটা তার নিজস্ব বিষয়। আমরা আশা করি তিনি দেশে আসবেন এবং আইনগতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা মোকাবিলা করবেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, তারেক রহমান আইনের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। এখানে দুটো বিষয় আছে- যদি তিনি আইনের সব বিষয় মান্য করেন তবে আমাদের সিআরপিসির মধ্যে রয়েছে তিনি কীভাবে আপিল করতে পারবেন এবং কীভাবে আপিল করে তিনি মুক্ত হতে পারবেন। আর মামলাগুলো যেহেতু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সে কারণে সরকার যদি ইচ্ছা করে তাহলে তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। অব্যাহতি দিলে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা নেই।

এ বিষয়ে জানতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।

Header Ad

এক মাঘে শীত যায় না, গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে- শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস

ফোনালাপ ফাঁস। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গণআন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন রকমের দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কথোপকথনের রেকর্ড ও ফাঁস হয়েছে। যা বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এবার নতুন করে আরেকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।

নতুন এই ফোনালাপে তিনি গোপালগঞ্জ সদর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ড এর ফোনালাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কথা হয়েছে। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য পুরো ফোনালাপের কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো।

শেখ হাসিনা: আমি তো আছি, তোমরা কেমন আছো?

ছাত্রলীগ নেতা: জি আপা আলহামদুলিল্লাহ, আমাকে চিনছেন আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোপালগঞ্জ সদরের আপা। হ্যাঁলো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আপনাকে খুব মিস করতেছি আপা। দেশের অবস্থা তো খুবই খারাপ আপা।

শেখ হাসিনা: খুবই খারাপ, সবার উপরেই তো শুরু করছে অ্যারেস্ট আর খুন করা।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা গতকালকে রাতে তো আপনার পার্টি অফিস থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করছে মানে গোপালগঞ্জের পার্টি অফিস থেকে আপা। আপনি নিউজ জানেন কি না। আমরা তো নিয়মিত বাড়িতে ঘুমাইতে পারতেছিনা আপা। প্রশাসন খুব খারাপ করতেছে। যৌথবাহিনী অভিযান করতেছে আপা। হ্যাঁলো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ। ওখানে তো এখন একজন শিবির আরেকজন হলো ছাত্রদল তাদেরকে বসাইছে এখন গোপালগঞ্জে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা। আমার আসলে আপনার সাথে অনেকদিন ধরে কথা বলার ইচ্ছা বাট আপনি ধরছেন অনেক ধন্যবাদ আপা। আর আমাদের গোপালগঞ্জে একটা দিক-নির্দেশনা দেবে এরকম একজনকে একটু সেট করলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আর দ্বিতীয়তঃ তাহলে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা হয়তোবা নামতে পারতো।

শেখ হাসিনা: একজনের নাম বলবা, সাথে সাথে দুই চারটা মামলা দেবে আর গ্রেপ্তার ও করে নেবে।

ছাত্রলীগ নেতা: ওওও, তাহলে আমাদের কোন দিকে যে যাবো আপা আসলে..।

শেখ হাসিনা: নিজেদেরই করতে হবে। যে যেখানে সে অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আমার ইউনিয়ন হলো বোরাশি ইউনিয়ন। এই যে আপনি যে নৌকায় করে চলতেন, মানে যে রাস্তা দিয়ে যেতেন।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ আমি চিনি।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: তো যার যার এলাকা নিয়ে সে সে কাজ করতে হবে, আর সবাইকে সাবধান করতে হবে, আর গোপালগঞ্জ, আমাদের গোপালগঞ্জে যেহেতু হাত দিচ্ছে, তো গোপালগঞ্জে যে হাত দেয় তার হাত কিন্তু পোড়ে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা। জ্বি জ্বি।

শেখ হাসিনা: গোপালগঞ্জে হাত দিলে এটা ভালো হবে না।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আপনি ভালো আছেন তো আপা?

শেখ হাসিনা: আমি ভালো আছি। আমি ঠিক আছি। আমি এই যে কথা বলছি না বাংলাদেশে..। কালকে প্রজ্ঞাপন দিছে এনএসআই, র্যাব, ডিজিএফআই এর রিপোর্ট, আইজিপিকে ডেকে বলে দিছে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, বর্তমান এমপি ভবিষ্যতে হতে পারে তারা, তাদের আত্মীয় স্বজন, সেই সাথে যারা কাউন্সিলর, মেম্বার তারপরে মেয়র যে যেখানে আছে এবং যে অবস্থায় আছে তাদের আত্মীয়-স্বজন সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বলছে। তো আর কতো করবে সেটাই তো কথা।

ছাত্রলীগ নেতা: হ্যাঁ আপা, এখন আমি কালকে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপনি চিনেন কি না জানি না। এমএম ননী আহম্মেদ ননী উনার সঙ্গে একটা মিটিং করলাম। কথা হইছে অনেক্ষণই। তো উনি দিকনির্দেশনা দিল এবং কালকেই যাওয়ার কথা ছিল আমাদের একটা মিছিল নিয়ে বোরাশি ইউনিয়নের যারা ছাত্রলীগ করে, যারা কর্মী আছে এদের নিয়ে। সন্ধ্যায় ৭ টার পরে প্রোগ্রামটা (মিছিল) ছিল। তো এর মধ্যেই সংবাদ আসলো যে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। তো আমরা গেলাম না। আর আমাদের আমরা আসলে দলকে ভালোবাসি, আপনাকে ভালোবাসি, সংগঠনটাকে সুন্দরভাবে সচল রাখার চেষ্টা করতেছি এদের খুব ডিস্টার্ব করতেছে। আপনার যেদিন জন্মদিন ছিল আমরা আমাদের ছোটভাইদের দিয়ে বঙ্গবন্ধু কলেজের ওদের দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা ওরা করতেছিল, কেক কাটতেছিল এর ভিতর দিয়েই ওসি নিজে এসে ওদের কলার ধরলো। মানে খুব এক্টিভ চার-পাঁচজন ছিল আর্মি পরবর্তীতে ওদের বাসায় গিয়ে ঝামেলা করলো।

ছাত্রলীগ নেতাকে আরও বলতে শোনা যায়, আমরা একটা মশাল মিছিলও করলাম সেদিন আমি একদম সামনে ছিলাম। আপনাকে ছবিও পাঠাইছি। আপনি দেখছেন হয়তোবা। আর প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে ইন শা আল্লাহ থাকি কিন্তু এলাকায় এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা হলো আপনার ৭৫ পরবর্তী যেভাবে মানুষজন ভয় পাচ্ছিলো সেই জিনিসটা আপা সবাই করতে চাচ্ছে। মানে জোর করে আসো আমাদের দলে যোগ দেও। চায়ের দোকানে বসলে অনেক কিছুই শোনা যায়। অনেক কিছু বোঝা যায়, কিন্তু এখন আমাদের দরকার সারা বাংলাদেশে, মানে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলতেছি সারা বাংলাদেশে যে একটা সংগঠনটা চালাবে, আপনি সভাপতি থাকবেন এবং ভারপ্রাপ্ত যদি কাউকে কোনো দেওয়া যায় যাকে ভালো মনে করেন। তাহলে আমাদের সারা ৬৪ জেলায়..

এই পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শোনো, দাঁড়াও দাঁড়াও, এতো পাকা কথা এখন বলার সময় না।

ছাত্রলীগ নেতা: স্যরি আপা।

শেখ হাসিনা: এখন যার নাম দেব তাকে সবার আগে অ্যারেস্ট করবে। আর তার নামেই সবার আগে মামলা দেবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা। আপা আমাদের মাঝে মাঝে ওই যে প্রেস, মানে কালকে যে প্রেসটা দিছেন এটা অনেক সুন্দর পড়ছি। অনেক ভালো লাগছে এবং আমি আমার ফেসবুকে ছাড়ছি।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁঁ, ওটা আমি নিজে দেখে কারেকশন করে দিছি এবং আমাদের মিডিয়া ফেসবুকে দেওয়া হবে। আর আমাদের কয়েকটা নেতা ঠিক করে দিছি তারা বিভিন্ন ইস্যুতে একটা করে স্টেটমেন্ট দিবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: শেখ সেলিমের নাম দিয়ে দাও সে চালাক (আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন)।

ছাত্রলীগ নেতা: না উনি কীভাবে, উনি তো...

শেখ হাসিনা: তাহলে কে চালাবে...

ছাত্রলীগ নেতা: আপনি যারে বলবেন।

শেখ হাসিনা: আমি যাবে বললে তো হবে না। তোমাদের বাস্তবতাটা বুঝতে চাও না কেন?

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: এখনই যার নাম দেব তখনই সে অ্যারেস্ট হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: তাহলে আপনি...

তাকে থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন: বসে বসে কারও পাকা পাকা কথা শুনে তো লাভ নাই। এরা তো আমাদের নরমাল রাজনীতি করতে দেবে না।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: সেদিন ওসি যে কলার ধরছে ওই ওসির নাম কি? ওসির বাড়ি কোথায়? সেটা খোঁজ করে বের করো। আমারে পাঠাও।

ছাত্রলীগ নেতা: ঠিক আছে আপা আমার... আপা যদি সুযোগ থাকে আমি আজকেই আপনাকে ওই বিস্তারিত পাঠাচ্ছি উনি কত সালে ঢুকছে (চাকরিতে যোগদানের সময়কাল), সবকিছু পাঠাচ্ছি আমি।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁঁ সবকিছু দেও। বলো যে এক মাঘে শীত যায় না।

ছাত্রলীগ নেতা: ঠিক আছে আপা।

শেখ হাসিনা: ১৫ বছর দেশ চালাইছি, বেতন ভাতা বাড়াইছি, রেশন বাড়াইছি, এই পুলিশের সবকিছু করে দিছি। আর্মিদের করে দিছি। এই পর্যন্ত সব কজন আমার জন্য পাওয়া। আর এখন সুদখোর ইউনূসের কথা শুনে লাফাচ্ছে। আর ওইটা জামায়াতের ওরা কয়দিন আছে। সামনে আর একমাস টেকে কি না দেখো।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা, দোয়া করেন আপা।

শেখ হাসিনা: একমাস টেকে কি না দেখো। আর তখনই আপনারা যারা বেশি বাড়াবাড়ি করেন তারা কোথায় যাবেন সেইটা বুঝে নিয়েন (ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলা)। আর এই তালিকা সব করে রাখো। আর যারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর, পোড়ানো তাদেরকে ও হিসাবটা, নাম রাখো। এবার যেন ভুল না হয়। পরের বার এর চাচা, ওর মামা, ওর শশুর, ওর শাশুড়ি এই ভুল যেন না হয়।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা...।

শেখ হাসিনা: এবার গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: আমি গত ২০০৯ এ সরকারে এসেও আমি ওই সময় কাউকে কিছু বলিনি। আমি দেশের উন্নয়ন করছি। আল্লাহ এরপরে যদি সুযোগ দেয় তার আগে যারা আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিছে, কোপায়ে কোপায়ে ছাত্রলীগরে মারতেছে, প্রত্যেকের এক একটা শিক্ষা আমি দিয়ে ছাড়বো। আর আমি যা বলি, আমি তা করি।

Header Ad

সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দিলেন স্পিকার ও তিন এমপি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মহারাষ্ট্রের সচিবালয় ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন রাজ্যটির ডেপুটি স্পিকারসহ তিনজন সংসদ সদস্য। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ভবনটির তিনতলা থেকে তারা লাফ দেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা এনসিপি বিধায়ক নরহরি জিরওয়াল, বিজেপির আদিবাসী সংসদ সদস্য হেমন্ত সাভ্রা ও বিধায়ক কিরান লাহামাতেসহ বেশ কয়েকজন।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, মহারাষ্ট্র রাজ্যের ধাঙড় গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির (এসটি) অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

রিপোর্ট, বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের এসটি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একনাথ শিন্ডের সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নামেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংসদ সদস্য ও বিধায়করা।

শুক্রবার সকালে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দেন নরহরি জিরওয়াল। এরপর ঝাঁপ দেন সাংসদ হেমন্ত সাভ্রা ও বিধায়ক কিরান লাহামাতে, হিরামন খোসকার, রাজেশ পাটিল।

তবে নিচে নিরাপত্তা স্বরূপ জাল থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। জানা গেছে, জোট সরকারের সাংসদ-বিধায়কদের ক্ষোভ মেটাতে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

Header Ad

আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘বাংলার সৌরভ’ নামে আরও একটি তেলের ট্যাংকারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় মধ্যসাগরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফিশিং ট্রলারগুলো। পরে আসে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার করেন জাহাজের ৪৮ নাবিককে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেক নামে এক নাবিকের মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের রেডিও কনট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ক্রুড ওয়েল নিয়ে নোঙরের অপেক্ষায় ছিলো ট্যাংকারটি। ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৫০ জন কর্মরত ছিলেন। চার ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এক মাঘে শীত যায় না, গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে- শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস
সচিবালয়ের তিন তলা থেকে লাফ দিলেন স্পিকার ও তিন এমপি
আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন
টাঙ্গাইলে অনলাইন জুয়া নিয়ে সালিশি বৈঠকে যুবক খুন, আহত ৬
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝরনায় ডুবে দুই পর্যটকের মৃত্যু
গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শেখ হাসিনার পরিণতি থেকে আমাদের যেন শিক্ষা হয়: জামায়াতের আমির
আটকে থাকা ১৮ হাজার শ্রমিকের বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র ৭ দিনের রিমান্ডে
ভূঞাপুরে পানি নিষ্কাশনের অভাবে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি, চরম ভোগান্তিতে পৌরবাসী
ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট, বিকল্পপথে ছুটছে যানবাহন
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে স্বাগত জানিয়ে খুশি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ইরানের শত্রুদের পরাজিত করার অঙ্গীকার খামেনির
শেখ হাসিনা লুটপাটের টাকায় ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন: এ্যানি
হাসপাতালে ভর্তি ফরহাদ মজহার
তোপের মুখে ফেসবুক স্ট্যাটাস সরিয়ে নিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ে তৃণা
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘের মহাসচিব