বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মামুনুল হকসহ ৬ নেতাকে সংবর্ধনা দিল হেফাজতে ইসলাম

মামুনুল হকসহ ৬ নেতাকে সংবর্ধনা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব কারামুক্ত মাওলানা মামুনুল হকসহ ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল নেতাকে সংবর্ধনা দিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ বাদ মাগরিব হেফাজতের সাবেক মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদী প্রতিষ্ঠিত জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও এর পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।

সংবর্ধনাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি হারুন ইজহার, অর্থ সম্পাদক মুফতী মুনির হুসাইন কাসেমী এবং সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন। তাদেরকে সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, এই মাদরাসায় আসলেই আমার অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব নূরুল ইসলাম জিহাদীর কথা ভীষণভাবে মনে পরে। তিনি আমাকে ছাত্রজীবন থেকেই ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। তিনি বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ছিলেন। একজন বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন, শক্তিশালী আলোচক, সৃজনশীল লেখক, নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক ও অভিজ্ঞ সংগঠক ছিলেন। ইসলামের সেবায় তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তার বুদ্ধিবৃত্তিক অভিভাবকত্ব প্রতিনিয়ত আমাদের মুগ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, হেফাজতের মামলায় কারাবন্দি হওয়া সকল আলেম উলামা নি:সন্দেহে মাজলুম। মাওলানা মামুনুল হকসহ ছয়জন মজলুম উপস্থিত আছেন। তারাসহ সকল কারা নির্যাতিতদেরকে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করুন।

তিনি বলেন, আমরা দেশবাসী যারা বাহিরে ছিলাম, তারাও এক প্রকার জেলেই ছিলাম।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নূরুল জিহাদী প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় এসে আপনাদের আন্তরিকতা দেখে আমরা মুগ্ধ। মরহুম জিহাদী বেঁচে থাকলে তিনি এহেন মুহূর্ত দেখে অনেক খুশি হতেন। তার ইন্তেকালের খবর পেয়ে আমরা কারাগারে খুব শূন্যতা অনুভব করেছি। আমাদের জন্য দুআ করবেন, আমরা যেন আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদীর মিশন ও ভিশন নিয়ে আজীবন চলতে পারি।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা জহুরুল ইসলাম বলেন, কারাবন্দি উলামায়ে কেরাম কারামুক্ত হওয়ায় আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। কারণ তারা হযরত ইউসুফ আঃ এর সুন্নত পালন করতে পেরেছেন। আল্লাহ নির্যাতিত ওলামায়ে কেরামের ত্যাগ ও কুরবানি কবুল করুন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হেফাজতের সাবেক আমির মরহুম শাহ্ আহমদ শফী, জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হুসাইন কাসেমী, নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ অনেকের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, সহকারী সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রাশেদ বিন নূরসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক ঢাকা পোস্টের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ঢাকা পোস্টের কোনো প্রকৃত প্রকাশনা নয়। ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৯ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ থাকলেও, ঢাকাপোস্টের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইন এবং শিরোনামের শেষে দাঁড়ি দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও ঢাকা পোস্টের প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উপরন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা মন্তব্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার

বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত থেকে চিনি ও জিরা এনে মজুত করার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)।

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি