শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত সংকট আরো ঘনীভূত করবে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনীতিক ও কূটনীতিক সংকটকে আরো ঘনীভূত করে তুলবে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর সর্বজনীন অনাস্থা ও বিশ্বাসহীনতা বিরাজমান। পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশনের অধীনে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ ও বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি একটি নজিরবিহীন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে যেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত ভোটের প্রচার ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি তথা সভা-সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি না দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি একটি তথাকথিত নির্বাচনের নামে ভাগ-বাটোয়ারার মাধ্যমে ডামি নির্বাচন আয়োজনের যে অপপ্রয়াস, সেটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করতেই অথর্ব ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন জনবিদ্বেষী সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। প্রকারান্তরে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর কেন সর্বজনীন অনাস্থা ও বিশ্বাসহীনতা বিরাজমান। সর্বাঙ্গীনভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশনের অধীনে কেন কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার দ্বারা আদিষ্ট হয়ে, গণতন্ত্রকামী জনগণের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে গিয়ে, নির্বাচন কমিশনের এই দুরভিসন্ধি একাধারে অনৈতিক, অবৈধ ও অসাংবিধানিক। জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে দমিয়ে রাখতে, দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের ভয়াবহ দুর্গতির মধ্যে নীল-নকশার এই অন্যায় পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পক্ষের সকল শক্তি ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাচ্ছে। ইতিপূর্বে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলসমূহকে নিবন্ধন ও ভুয়া প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়, তথাকথিত রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করে নির্বাচনকে কিঞ্চিৎ অংশগ্রহণমূলক দেখানোর যে অপকৌশল এবং সেটিকে বৈধতা প্রদানে দেশি-বিদেশি ভাড়াটে পর্যবেক্ষক এনে দেশবাসীর সঙ্গে যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার, আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের এই যৌথ প্রতারণা জাতির সামনে সুস্পষ্টভাবে উম্মোচিত হয়েছে।

রিজভী বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন একটি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সভা-সমাবেশ ব্যাহত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও দাবি আদায়ের সংগ্রামের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, আমরা আশা করছি, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এটি প্রত্যাহার করবেন।

তিনি বলেন, কারসাজির মাধ্যমে ভোটারবিহীন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন তথাকথিত নির্বাচনে, পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার লক্ষ্যে, নামস্বর্বস্ব নানা দলের সঙ্গে যেভাবে আসন নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করছে আওয়ামী লীগ, একতরফা সেই নির্বাচন আয়োজনের নৈতিক, সাংবিধানিক ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনী অপপ্রয়াসকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। ভোটে অংশগ্রহণ করা বা না করা, দুটি সিদ্ধান্তই দেশের প্রতিটি ভোটার ও রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতান্ত্রিক বিশ্বের সকল দেশে, সকল সমাজে, ব্যক্তিগত ও দলীয় এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো হয়, সেটিই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে, জনগণের সমর্থনকে শক্তি হিসেবে ধারণ করে, বিএনপি কখনোই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে নয়।

বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের দ্বারা সংঘটিত চলমান সর্বগ্রাসী সহিংসতা ও বিভাজিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, যে নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক বা অংশগ্রহণমূলক করবার ন্যূনতম পরিবেশও সৃষ্টি করেনি নির্বাচন কমিশন, জাতির সাথে প্রতারণামূলক সেই উদ্যোগে ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্বাচন কমিশন কি অর্জন করতে চাচ্ছে, সেটি নিয়েও আজ জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

Header Ad

ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার। ছবি: ‍সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন বিভাগের ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু আহাম্মদ, ইংরেজি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রাইয়ান, একই বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব।

অফিস আদেশে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ৩৯ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) ওপর ভিত্তি করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনা করে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮-এর ৩(২) (গ) ধারা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অপরাহ্ণ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

এদিকে ঘটনার অধিকতর তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেনকে সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) মো. লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহান, অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা গেটে (প্রান্তিক গেট) চুল কাটাতে সেলুনে গেলে শামীম আহম্মেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন একদল শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে গেলে সেখানেও কয়েক দফা শামীমকে মারধর করা হয়। পরে রাতে তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই রাতে ভিসির বাসভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত তার নিজ বাড়ি হিজল করচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এ মন্ত্রীকে। গ্রেপ্তারের পরে এম এ মান্নানকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এম এ মান্নানকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ শহরে গত ৪ আগস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর হাফিজ আহমদ নামে এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিলিয়ে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভা শেষে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত উপাচার্য লাউঞ্জে একটি জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং হয়। সেখানে ২ ঘণ্টা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরেকজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, একটি বিষয়ে আজকের অ্যাজেন্ডা ছিল, ছাত্র রাজনীতি। পরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে যুক্ত করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করে এটিকে কোন ফরম্যাটে রাখা হবে—সেটির ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করা হবে।

কমিটির নেতৃত্বে সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপাচার্যের আমন্ত্রণে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা।

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা
সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: আসিফ নজরুল
সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মানুষটার শরীর দেখে বারবার আবরারের কথা মনে পড়েছে: সারজিস
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ শিক্ষার্থী আটক
সৌদি আরবে হতে পারে আইপিএলের নিলাম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না
শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু
ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যা দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা