‘দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশে খুব সফলভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার বা বেসামরিক সরকারের হাতে বিরাজনীতিকরণ হচ্ছে। সামরিক সরকার এলেই আগে রাজনীতিবিদরা বলতেন, সামরিক সরকার বিরাজনীতিকরণ করণের মাধ্যমে রাজনীতি নষ্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ হচ্ছে প্রজাতন্ত্র। প্রজারাই দেশের মালিক। তারা যাকে খুশি তাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। প্রতিনিধিদের কাজ পছন্দ না হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রতিনিধি বদল করতে পারবেন তারা। এটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। কিন্তু এখন দেশের শাসন কার্যে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে।’
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়েবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক কাজী মো. ফারুক (সেন্টু) এবং আবরার শিশির জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
এ সময় তাদের স্বাগত জানিয়ে দেওয়া বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
দেশের মানুষের মতামতের কোনো দাম নেই। এখন জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ দেশের শাসন ব্যবস্থা থেকে দূরে চলে যায়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। জনসাধারণ যেন কথা বলতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন আইন করা হয়েছে। তাই, এখন সাধারণ জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছেন না আবার জনগণ কথাও বলতে পারছে না। এখন রাজনীতি থেকে জনসাধারণ দূরে চলে গেছে, যোগ করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূন্যতা কোনো না কোনোভাবে পূরণ হবে। দেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেমন নির্বাচনের আগে ফলাফল অনুমান করা যেত, এখন সেটা সম্ভব নয়। বিরাজনীতিকরণ এর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যারা বাধা দেবে তারা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান। উপস্থিত ছিলেন আহসান আদেলুর রহমান, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব মো. সামছুল হক, মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমন্ডলী এমএ রাজ্জাক খান, গোলাম মোস্তফা, জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সাত্তার গালিব, নুরুল হক নুরু, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, মীর সামছুল আলম লিপ্টন, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম দুলাল, আব্দুস সাত্তার, কাদের খান কদর, জোনাকী মুন্সি, সোহেল রহমান, আলমগীর হোসেন, মখলেছুর রহমান বস্তু, রেজাউল করিম, মেহেদী হাসান শিপন, পিয়ারুল হক হিমেল, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর এর নেতাদের মধ্যে মাহফুজ মোল্লা, রাজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, এসএম হাশেম, চিশতী খায়রুল আবরার শিশির, কণক আহমেদ, আব্দুল বারেক, ফারুক আহমেদ, রিয়াজ আহমেদ, ড. নাসির উদ্দিন বকুল, জিল্লুর রহমান, ছাত্র নেতা ইব্রাহিম খান জুয়েল, শাহ ইমরান রিপন, মারুফ তালুকদার প্রিন্স, মো. ইউসুফ, রকিবুল হাসান নিলয়, খন্দকার জুবায়ের আহমেদ, আল আমিন সরকার, নাজমুল হাসান রেজা, রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, ইউসুফ রানা, মো. শিবলী।
এমএইচ/এমএমএ/