বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলনে কৃষক নেতারা এখনও অনড়

 

দুঃখ প্রকাশেই কি কৃষক আন্দোলনের ইতি? মোদি সরকার কৃষি আইন চালু করার পরেই তা প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা এক বছর ধরে যে ঐক্যবদ্ধ আপসহীন লড়াই চালিয়েছেন তার সামনে নতি স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েও মোদি সরকার এতদিন অনড় ছিল, অবশেষে শুক্রবার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি হয় কৃষকেরা। কিন্তু কৃষক নেতারা নিজেদের আন্দোলনে এখনও অনড়। প্রসঙ্গত,প্রধানমন্ত্রীর কৃষি বিল প্রত্যাহারের দিনই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয় যে, বিগত বছর ধরে তাদের লাগাতার আন্দোলন কেবল তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারেই সীমাবদ্ধ নয়। সমস্ত কৃষি পণ্য এবং সব কৃষকদের  নুন্যতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টির দাবিও তারা জানিয়ে এসেছেন।

অতএব, সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি দিতে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আন্দোলনকারীরা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে দাবি করেছে, কেবল মুখে কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার নয়, আইনমাফিক পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। অর্থাৎ কৃষি আইন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে। কৃষক নেতারা রবিবার এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন।

কৃষকদের জেদের কাছে মোদি নতি স্বীকার করলেও মনে করার কারণ নেই যে, তারা মনেপ্রাণে খুশি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গুরুনানক জয়ন্তীর দিন সকালবেলা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে মোদি দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত দলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন,যতদিন পর্যন্ত কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে ততদিন সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকরা একইভাবেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। রোববার তাদের সেই সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমান্তে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষক নেতা বলবির সিং রাজুওয়াল ফের কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের কথার পুনরাবৃত্তি করে জানান যতদিন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে এবং কেন্দ্রের তরফ কৃষকদের অন্যান্য দাবিদাওয়া মেনে না নেওয়া হচ্ছে ততদিন তারা এইভাবেই আন্দোলন জারি রাখবেন।উল্লেখ্য কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়াও কৃষকদের তরফ থেকে আরও কিছু দাবিদাওয়া ছিল।

উল্লেখা,কৃষকরা যে তিনটি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার মধ্যে ফার্মারস প্রডিউস ট্রে এন্ড কমার্স আইন ২০২০।উপযুক্ত মুল্যে ফসল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে নূন্যতম সমর্থন মূল্যের বা এমএসপি এবং প্রচলিত খাদাশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার জন্য একটি বিল আকারে লিখিত আশ্বাসেরও দাবি করেন। এপিএমসি বা মাণ্ডি বাবস্থা যাতে সুরক্ষিত থাকে তার জন্যও কৃষক সংগঠনগুলি দাবি জানায়।এর পাশাপাশি কৃষকদের দাবি বিদুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করা। কারণ তাঁরা মনে করেন যে এই আইনের কারণে বিনামুলো বিদ্যুৎ পাবেন না। এছাড়া খড় পোড়ানোর জন্য জরিমানা ও জেলের মেয়াদ রাখা যাবে না। কৃষকদের দাবি স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী।স্বামীনাথন কমিশনের রিগোটে বলা হয় যে সরকারকে উৎপাদনের ওজনযুক্ত গড় খরচের থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেশি এমএমপি বাড়াতে হবে।

কৃষকদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে এমএসপি নুন্যতম মুল্যের উপরে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে। অন্যদিকে গত এক বছরে আন্দোলন চলাকালীন বহু কৃষকের বিরুদ্ধে আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সেই সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কেন্দ্র সরকার যতদিন না পর্যন্ত কৃষকদের এইসব দাবি না মেটাচ্ছে ততদিন তারা আন্দোলন থেকে সরছেন না।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও কৃষকদের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা রোববার বৈঠকের পর জানিয়েছে,আগে ঠিক হয়ে থাকা কোনো কর্মসূচির কোনো পরিবর্তন আপাতত হচ্ছে না। অর্থাৎ, এই মাসে লখনৌতে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত, দিল্লিতে জমায়েত ও সংসদ অভিযানের বিষয়ে তারা যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন,তা বহাল থাকছে। এমনকি দিল্লি সীমান্তের বিক্ষোভ আন্দোলনে জায়গা থেকেও তারা সরছেন না। আসলে মোদি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেও তা কীভাবে বাস্তবারয়িত হবে সেকথা জানান নি। ফলে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয় সেদিকে তারা নজর রাখছেন।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক