বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সম্ভব হলে বিদেশি ঋণ না নেয়াই শ্রেয়

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ৫৮তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে এই বছরের সম্মেলনটি সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হলেও মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনার আধিপত্যই লক্ষ্য করা গেছে। ১৯৬৩ সাল থেকে প্রতিবছর মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতিকে কেন্দ্র করে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইতোমধ্যেই ইহা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতি-নির্ধারকদের মতামত বিনিময়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরপেক্ষ ফোরাম হয়ে উঠেছে।

১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিকে আঞ্চলিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তায় বড় পরিবর্তন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেওয়ার সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, বাংলাদেশের অবকাঠামোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে চীন ‘আগ্রাসী এবং সাশ্রয়ী’ প্রস্তাবসহ 'টাকার ঝুড়ি’ নিয়ে এগিয়ে এসেছে যখন অনেক দেশের সাহায্যই কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ার, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নের, কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন যে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও তহবিল প্রয়োজন। তবে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে নানা শর্ত যোগ করার ফলে তা গ্রহণ করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর যথার্থই বলেছেন যে প্রতিটি দেশ সুযোগের খোঁজ করবে এবং তারা কী করতে পারে তা দেখবে। তিনি বলেন, "দেশগুলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে বিচক্ষণ হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে, তারা আসলে কী পেতে যাচ্ছে। আমাদের অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে আমরা ঋণে জর্জরিত দেশ দেখতে পাচ্ছি। আমরা এমন প্রকল্প দেখেছি যেখানে বাণিজ্যিকভাবে টেকসই নয় এমন বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ফ্লাইট আসে না। আমরা এমন পোতাশ্রয় নির্মাণ হতে দেখছি, যেখানে জাহাজ ভেড়ে না। তাই আমি মনে করি, কী পাচ্ছি, তা নিজেকে জিজ্ঞেস করাটা ন্যায়সংগত হবে।”

যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে কোয়াড সদস্য দেশগুলোতে, চীনা ঋণের টোপ নিয়ে বিতর্ক চলছে হয়তো সেই প্রেক্ষিতে মন্ত্রী মহোদয় উপরের কথাগুলো বলার তাগিদ অনুভব করেছেন। হয়তো তিনি চীনের নাম উল্লেখ করেছেন এ কারণে যে চীন বাংলাদেশের অনেক প্রকল্পের অর্থায়নেই জড়িত। এদিকে দুদিন আগে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয় যে চীন নিজস্ব অর্থে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণ করতে চায় এবং বিনিময়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের উপকূলে একটি স্মার্ট শহর তৈরি করবে। তবে চীন ছাড়াও বেশ কিছু দেশ ও সংস্থা রয়েছে যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং জাইকা থেকে যথেষ্ট পরিমানে ঋণ নিয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বা অন্যান্য বেসরকারি স্থানেও বেশ কয়েকটি খাতে আমাদের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

দেশে আরও অবকাঠামোগত সুবিধার চাহিদার কথা উল্লেখ করে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমাদের কাছে টাকা নেই। আমাদের কাছে প্রযুক্তিও নেই।’ নিঃসন্দেহে, আমরা বিদেশি ঋণ, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এখন আমরা আর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নই। আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, আমরা পদ্মা সেতুর মতো একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি এবং তা আমাদের নিজস্ব অর্থেই সম্পন্ন করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বন্ধ দৃষ্টি উন্মোচন করে দেখিয়েছেন ‘আমরাও পারি’। ইহাই হতে পারে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের সমস্ত মিথস্ক্রিয়া এবং লেনদেনের অনুপ্রেরণা।

ইহা সত্য যে বাংলাদেশের এখনও অবকাঠামোগত নেটওয়ার্ক, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থানের সুযোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুবিধা, সুশাসন ইত্যাদিসহ সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য যথেষ্ট নিজস্ব তহবিল নেই, যদিও তার নিজস্ব তহবিল থেকে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং আগামীতে নিজেদের অর্থেই দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। ততদিন পর্যন্ত অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশও তার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিদেশি ঋণ গ্রহণ বা বিদেশি বিনিয়োগকে অভ্যর্থনা না জানিয়ে পারবে না। তবে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে ‘ডেইলি সান’ পত্রিকায় আমি আমার লেখায় কয়েকটি দেশে চীনা ঋণ দ্বারা অর্থায়ন করা কিছু প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছিলাম। সেসব প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিকভাবে অনুপযুক্তই ছিল না, বরং সেসব দেশের জন্য ঋণের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর চীনা ঋণে নির্মিত দুটি বিমানবন্দর ঋণ পরিশোধ করতে না পারার কারণে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানির মালিকানায় চলে যায়। চীন কলম্বোতে ইক্যুইটির জন্য কঠিন ঋণের ব্যবস্থা করতে বাধ্য করেছে, উদাহরণস্বরূপ হাম্বানটোটা বন্দরের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া। একটি চীনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ৯৯ বছরের জন্য সেই বন্দরটি ইজারা নেয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যায়। পাকিস্তান অবকাঠামো নির্মাণ কর্মসূচির জন্য চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে এবং তা পরিশোধ করা খুবই কঠিন হবে। আমরা লাওস এবং কম্বোডিয়ায় এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। কিরগিজস্তান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া এবং তাজিকিস্তানের মতো আরও অনেক দেশে বিদেশি ঋণের সম্ভাব্য হুমকি উপেক্ষা করা যায় না। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে চীনা ঋণের ভবিষ্যৎ যে ব্যতিক্রম কিছু ঘটাবে মনে হয় না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, ২০২১ সালের জুন মাসে আমাদের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৭৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের জিডিপির ২২ শতাংশের সমতুল্য। দুই বছর আগে ঋণের সঙ্গে জিডিপি অনুপাত ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা যায় যে, বাংলাদেশে চলমান বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত তহবিল এবং সময় বাড়ানোর অনুমোদন আমাদের ঋণের বোঝাকে আরও বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সম্ভবত, এই সমস্যাটি আমাদের ঋণ বৃদ্ধির জন্য দায়ি বড় ত্রুটিগুলোর মধ্যে একটি। এটি এড়ানো যেতে পারে, যদি প্রাকৃতিক কারণ ব্যতীত অন্য কোন কারণেই তহবিল বা সময় বাড়ানো কোনো সুযোগ না দেয়া হয়, বরং এ বিষয়টি মাথায় রেখে শুরু থেকেই প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের চিন্তা করা হয়।

কষ্টার্জিত অর্থ না হওয়ায় ঋণ প্রায়শই মানুষকে অপব্যয়ী করে তোলে। ঋণ করা অর্থের যেন কোনো অপচয় না হয় আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া, এ অর্থ ব্যবহারের সময় দুর্নীতি ঘটার সমূহ সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায়, সে বিষয়েও সজাগ থাকা আবশ্যক। আরেকটি কথা, আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে বিদেশি ঋণ না নিতে হয়। তাতে না হয় আমরা আরও আত্মসংযমী হলাম, কষ্টই করলাম। আত্মসম্মান অনেক বড় জিনিস। তা অর্জন এবং রক্ষা করার প্রবল ইচ্ছাই আমাদেরকে একদিন আত্মনির্ভর জাতি হিসাবে গড়ে তুলবে। আমাদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তেমন দৃঢ় প্রত্যয়ই আমরা প্রত্যাশা করি।

আমরা বিশ্বাস করি, ঋণ পরিশোধের ঝুঁকি এড়াতে বিদেশি ঋণের উৎপাদনশীল ব্যবহার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের নামে এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত নয় যা আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না। একটি প্রকল্প যদি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে না পারে, তাহলে আমাদের নিজের টাকা দিয়েও ওই প্রকল্পকে বিবেচনা করা উচিত নয়। আমরা জানি, আমাদের নীতিনির্ধারকেরা একইসঙ্গে এই পরিস্থিতি এবং দেশের অর্থনৈতিক-সামর্থ্য সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। তারা অবশ্যই বিদেশি ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। কোনো প্রকল্পের জন্য বিদেশি ঋণ তখনই নেওয়া উচিত যখন আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে তা বহন করতে অক্ষম, অথচ প্রকল্পটি দেশের জন্য অতীব প্রয়োজন। তবে, আমরা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোসহ অন্যান্য দেশ থেকে ঋণ নেয়ার কথা তখন অবধি ভাববো যতক্ষণ না তা পরিশোধের জন্য কোনো ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। মোদ্দা কথা, সম্ভব হলে বিদেশি ঋণ না নেয়াই শ্রেয়।

 

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত