সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা: দায় কার?

বিশ্বখ্যাত মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ইবনে সিনা গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে বলেছিলেন, মানুষের ভেতরে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বা অন্য কোনোভাবে যদি ধুলাবালির কণা না ঢুকত, তাহলে মানুষ লাখো বছর বাঁচত। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘায়ু লাভের ক্ষেত্রে ধুলাবালির কণামুক্ত নির্মল ও বিশুদ্ধ বায়ুর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ঠিক উল্টোদিক থেকে বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, দূষিত বাতাস বা দূষিত পরিবেশ দীর্ঘায়ু কমানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পৃথিবীতে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনা, ধূমপান এবং ডায়াবেটিসে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় বায়ুদূষণের কারণে। পরিবেশ ও চিকিৎসাবিদ্যা মতে, বায়ুদূষণ থেকে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি) নামে শ্বাসতন্ত্রের যে রোগ হয়, যা বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। ২০১২ সালে শুধুমাত্র এই রোগেই পৃথিবীতে যে পাঁচটি দেশে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। কারণ, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোয় বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এরই মাঝে দুঃখজনক খবর হলো–চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ছিল শীর্ষে। ওইদিন রাত ১০টা ৭ মিনিটেও ঢাকার অবস্থান একই ছিল। বৈশ্বিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘আইকিউ এয়ার’ ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে এ তথ্য জানায়।

‘এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই)-২০১৮’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখা যায়, পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা একটি দেশ বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত ওই গবেষণায় বলা হয়, পরিবেশ রক্ষা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯। ২০১৬ সালের তালিকায় ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৩। ২০১৪ সালের তালিকায় ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৯। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছরই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ তালিকার নিচের দিকে অবস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বায়ুর মান উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে।

অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশ দূষণের শিকার হয়ে এখন সারা বছর যত লোক বিশ্বে মারা যায়, তার দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যু ঘটে বায়ুদূষণের কারণে। বাংলাদেশে বায়ুদূষণের সমস্যা যেন মহামারি আকার ধারণ করেছে। ঢাকার বায়ুদূষণে ধুলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গাড়ি ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া। বর্তমানে বাতাসে ধুলা আগের চেয়ে পরিমাণে বেড়েছে। ঢাকায় আগে এখনকার মতো এত মেগা প্রজেক্ট ও গাড়ি ছিল না। পাশাপাশি ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাশয় ভরাট হওয়ায় ধুলার নতুন উৎস জন্মেছে। এখন প্রশ্ন হলো–পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ এভাবে আর কতকাল পিছিয়ে থাকবে? খোঁজ নিলে দেখা যাবে, পরিবেশদূষণ রক্ষার জন্য বাংলাদেশে আইন ও প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। তারপরেও যদি পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে এসব আইন ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, পরিবেশ রক্ষায় আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে এদেশে বড় ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। পাশাপাশি জনগণের অসচেতনতা এবং পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকালাপ তো রয়েছেই। মুলত এসব কারণেই ঢাকা তথা বাংলাদেশের পরিবেশের আজ এই করুণ অবস্থা। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে জনগণের পক্ষে এ দেশে ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়াটাই এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

বলা হয়ে থাকে, বিপদ-আপদ, দুর্ঘটনা, ভূমিকম্প, সুনামির উপর কারও হাত নেই এবং তা রোধ করাও সম্ভব নয়; কিন্তু একটু সচেতন হলেই একই রাস্তা অসৎ উদ্দেশে বারবার খোঁড়াখুঁড়ি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলাসহ ধুলাবালির বৃহৎ উৎস সৃষ্টি করা, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাগাড় সৃষ্টি করে দুর্গন্ধময় পরিবেশ তৈরি করা, ধুলাবালি, ধোঁয়াকে জনগণের নিত্যসঙ্গী বানানো থেকে তো অন্তত শহরবাসীকে রক্ষা করা যেতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপাত্তের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ১৭ জুন যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় যে, বাতাসে ভাসমান মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মিহি ধূলিকণার মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে রাজশাহী শহর বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেছে। বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে রাজশাহীর এই গৌরবজ্জ্বল দৃষ্টান্ত থেকে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সত্যিকার অর্থে আন্তরিক প্রয়াস এবং সবার সহযোগিতা থাকলে একটি শহরের শুধু বায়ুদূষণ কমানোই নয়, ওই শহরকে ভালোভাবে বসবাস উপযোগী করে তোলাও সম্ভব। এ ক্ষেত্রে যদি ঘটনা উল্টোভাবে ঘটে, তাহলে এই জায়গায় রাজশাহীকে দেখতে না পেয়ে প্রথমেই দেখা যাবে ঢাকা এবং এর পর গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনার মতো অন্যান্য শহরকে, যা মাত্রাতিরিক্ত দূষণে পরিপূর্ণ। এ যেন ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন কতিপয় ব্যক্তিকে নরকে পাঠিয়ে দেওয়ার পর কয়েকদিন পর নরকটি স্বর্গে পরিণত হওয়া এবং নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন কতিপয় ব্যক্তিকে স্বর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার পর স্বর্গটি নরকে পরিণত হওয়ার গল্পের মতো।

এখন প্রশ্ন হলো–রাজশাহী শহর বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে যদি সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়; তাহলে কেন ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে বায়ুদূষণসহ পরিবেশদূষণ কমানো যাচ্ছে না? না কি ওই শহরগুলোয় বসবাসরত লোকজন পরিবেশদূষণ পছন্দ করেন? নিশ্চয় না। দেশের অন্যান্য শহরে বায়ুদূষণ বা অন্যান্য দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে কোনো জাদুর কাঠির প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক হওয়া, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া, সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী নগরায়ন করা, আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটানো ইত্যাদি।

পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, ব্যক্তি পর্যায়েও সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে বাস্তবমুখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে নিশ্চয় রাজশাহীর মতো ঢাকা শহরেও বায়ুদূষণসহ অন্যান্য দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব, সম্ভব নির্মল পরিবেশে বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলা। আর এ লক্ষ্যে সরকার, জনগণ, পরিবেশবিদ, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে দ্রুত এগিয়ে এসে কাজের কাজ শুরু করতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

এসএ/

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক নওফেল  

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  

ছবি: সংগৃহীত

 

সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) গুচ্ছ থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়ায় থাকতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দফায় দফায় চিঠি ও নির্দেশনা দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সই করা একটি আধা সরকারি পত্রও পাঠানো হয়েছে। সবশেষ সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে বলা হয়, উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে কমেছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।

সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে তা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করেছে। এ ছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা সরকারি পত্র পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্যের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত ১ ডিসেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়।

এর আগে ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। এতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি

শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া কূটনৈতিক পত্র গ্রহণ করেছে দিল্লি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই মুখপাত্র জানান, সোমবার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে একটি ভারবাল নোট পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই।

এর আগে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে দিল্লিকে কূটনৈতিক পত্র পাঠায় ঢাকা। আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতকে আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি। বিচারকাজের জন্য যে তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে, সেটা জানানো হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারত সরকারকে নোট ভারবালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখের দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশটিতেই অবস্থান করছেন তিনি। এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তাছাড়া আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক নওফেল  
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা