বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ

ইতিহাসে বিরল ত্রিদেশীয় সমরনায়ক ওসমানী

জেনারেল মহম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলায়। ওসমানীর বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ছিলেন তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা প্রশাসক। তার পৈর্তৃক নিবাস বর্তমান সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর গ্রামে। শৈশবে ওসমানী ‘আতা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। ১৯২৩ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মা ও গৃহ শিক্ষকের তত্বাবধানে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়।

১৯২৯ সালে গৌহাটির কটন স্কুলে এবং ১৯৩২ সালে সিলেট পাইলট হাইস্কুলে ভর্তি হন ও ঐ স্কুল থেকে ১৯৩৪ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ‘প্রিটোরিয়া বৃত্তি’ লাভ করেন। ১৯৩৪ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউ-ও-টি-সি এর সার্জেন্ট, স্যার সৈয়দ আহমদ হলের উপদেষ্টা ও পর পর দুই বার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রোক্টোরিয়েল মনিটর’ ও আসাম বেঙ্গল ছাত্র সংঘের সহ সভাপতি। ১৯৩৬ সালে অনুষ্টিত সর্বপ্রথম নিখিল ভারত ছাত্র সম্মেলনে ওসমানী আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন এবং সম্মেলনের বিষয় নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওসমানী ১৯৩৬ সালে আইএ, ১৯৩৮ সালে বিএ পাসের পর তিনি ভূগোলে মাষ্টার্স প্রথম পর্ব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বেই ১৯৩৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪০ সালের ৫ অক্টোবর তিনি ইন্ডিয়ান মিলিটারী একাডেমী দেরাদুন থেকে সামরিক শিক্ষা সমাপ্ত করে কমিশন প্রাপ্ত হন। এর পর তিনি দ্রুত পদোন্নতি লাভ করে ১৯৪১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যাপ্টেন এবং ১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৩ বৎসর বয়সে তৎকালীন বৃটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ট মেজর হন। মাত্র ২৩ বৎসর বয়সে একটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হয়ে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন এবং তিনি ছিলেন অল্প কয়েকজন কালো অধিনায়কদের অন্যতম। কিছুদিন তিনি একটি ফরমেশন হেডকোয়ার্টারে জেনারেল ষ্টাফ অফিসার গ্রেড-২ পদেও নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি লং কোর্স অধ্যয়নের জন্য মনোনীত হন। উল্লখ্য তিনি ১৯৪৬ সালে আই-সি-এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিসের জন্য ও মনোনীত হন। কিন্ত তিনি সৈনিক জীবন পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানে আগমনের দিনই তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে কোয়ার্টার মাষ্টার জেনারেল শাখায় ফার্স্ট গ্রেড স্টাফ অফিসার পদে যোগদান করন।

এই পদে তিনি স্টাফ কলেজে শিক্ষা লাভ করার আগেই এবং মাত্র ৭ বৎসর চাকরি জীবনের মধ্যে বহু সিনিয়র অফিসারকে ডিঙিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হয়ে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে কোয়েটা ষ্টাফ কলেজ থেকে পি,এস,সি, ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাসে সেনাবাহিনীর তদানীন্তন চীফ অফ দি জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল রেজিমেন্ট হার্টন এর জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড-১ পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি অ্যাসিসটেন্ট এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল পদে, অফিসার পদ প্রাথী নির্বাচন বিষয়ের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। এই পদে থাকাকালীন আইএসএসবি এ যাওয়ার আগে শিক্ষা সংক্রান্ত যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য তিনি তিনটি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার প্রচলন করেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল স্যার ডগলাস গ্রেসী কর্তৃক একটি কমিটির চেয়ারম্যানরূপে কমিশন প্রার্থীদের শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক গুণাবলীর নুন্যতম একটি বিশ্লেষণ তিনি প্রস্তুত করেন এবং একটি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠান। এই বিশ্লেষণে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে ক্যাডেট কলেজ স্থাপনের বিশেষ সুপারিশ ছিল। এই দায়িত্ব পালনের এক বৎসর পরে তিনি সৈন্যদলের সহিত সক্রিয় কার্যে প্রত্যাবর্তন করেন এবং স্বেচ্ছায় লেফটেন্যান্ট কর্নেলের পদ ত্যাগ করে মেজরের পদে রাইফেল কোম্পানির পরিচালক রূপে যোগদান করেন। ব্যাটালিয়নের অধিনায়করূপে লেফটেন্যান্ট কর্নেলের পদে পুণঃউন্নীত হওয়ার পুর্বে তিনি ছয় মাস কোম্পানী কমান্ডার ও চার মাস সেকেন্ড ইন কমান্ড পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। পরবতী পর্যায়ে তিনি ১০৫ নম্বর ব্রিগেড ট্রেনিং টিমের ভারপ্রাপ্ত অফিসাররূপে একটি কোম্পানী হইতে ব্রিগেড গ্রুপ পর্যন্ত সেনাদলকে দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল শিক্ষাদানে ও পরিচালনায় বিখ্যাত হন। এই দায়িত্ব সম্পাদন করে তিনি তার ব্যাটালিয়ান ৯/১৪ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের অধিনায়করূপে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পুণঃউন্নীত হন। ১৯৫১ সালে জরুরি অবস্থার সময় তার অধিনায়কত্বে এই পাঞ্জাব রেজিমেন্ট পাঞ্জাব সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করে। সে সময় তার ব্যাটালিয়ন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিদর্শিত ও প্রশংসিত হয়। পল্টনের অধিনায়কত্বে তার দক্ষতা সম্বন্ধে অনুকূল রিপোর্টের পর ওসমানীকে প্রথমবারের মত পূর্ব পাকিস্তানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি করা হয়। প্রথমে তিনি ফার্স্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়কত্ব করেন। পরে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের পরিচালনার ভার গ্রহণ করে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে রেজিমেন্ট স্থানান্তরিত করেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাস তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৫৩ সালে ১০৭ নম্বর ব্রিগেডে কমান্ডারের অনুপস্থিতিতে তিনি চার মাসকাল অস্থায়ী ব্রিগেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে তিনি খুলনা, যশোর, ঢাকা এবং চট্টগ্রামের স্টেশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৫৫ সালে তাকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস এর অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট হিসেবে বদলি করা হয়। এই পদে থাকাকালে ১৯৫৫ সালে পুলিশ ধর্মঘটে ঢাকার পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি তা দক্ষতার সহিত মোকাবেলা করেন। এ সময় ইপিআর এ অবাঙ্গালিদের নিয়োগ তিনি বন্ধ করেন ও প্রথমবারের মত পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। ইপিআর থেকে ফিরে তিনি জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড-১ পদে যোগদান করেন এবং অল্প দিন পরেই জেনারেল হেড কোয়াটার্স এর জেনারেল স্টাফে ১৯৫৬ সালে মিলেটারি অপারেশনের ডেপুটি ডাইরেক্টর এর দায়িত্বে নিযুক্ত হয়ে ১৯৫৭ সালে কর্নেল পদে উন্নীত হন। পরবর্তীতে সেণ্টো এবং সিয়াটোতে পাকিস্তানের দেশ রক্ষার পরিকল্পনায় নিয়োজিত হন এবং আন্তর্জাতিক সামরিক ও পরিকল্পনা বৈঠকে বিদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন। পাকিস্তান এয়ার ডিফেন্স কমিটির সদস্য ও সেনাবাহিনীর দুটি কমিটির সভাপতিও ছিলেন। কিছুকালের জন্য তিনি অস্থায়ী ব্রিগেডিয়ারের পদে ডাইরেক্টর অফ মিলিটারি অপারেশন এর পরিচালক ছিলেন।

১৯৬৪ সালে তাকে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অনুধাবন ও মুল্যায়ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে ডেপুটি ডাইরেক্টর অফ মিলেটারি অপারেশন হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন সামরিক হেড কোয়াটার্সের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার্থে যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাওয়া ছাড়াও যুদ্ধের প্রাক্ষালে, যুদ্ধের সময় ও পরবর্তী কালে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সুনাম ও উন্নতির প্রতি তার গভীর আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।

কর্নেল পদে উন্নীত হওয়ার ঠিক দশ বছর পর ১৬ মে ১৯৬৬ সালে ওসমানী অবসর প্রস্তুতির ছুটি নেন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ওসমানী ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তার একান্ত উদ্যেগ ও উৎসাহে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্রীড়াক্ষেত্রে হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে মনোনিবেশ করে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকাকালে ওসমানী যেসব বিষয়ে কৃতকার্য হন তা হচ্ছে-ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঐতিহ্য এবং রেজিমেন্টের সর্বশ্রেণির অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে সম্মিলিত জীবনী শক্তি গঠন, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের শ্রেণিগঠন (বাঙালি সৈনিক দ্বারা) ভাঙার উচ্চ পর্যায়ের পাঁচবারের অপচেষ্টার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ করে মাত্র দু’টি ব্যাটালিয়ন থেকে ছয়টি ব্যাটেলিয়নে উন্নীত করা, সেনাবাহিনীতে বাঙালির সংখ্যা শতকরা ২ থেকে শতকরা ১০ ভাগের অধিক এবং বাঙালিদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যানুপাতে জুনিয়র কমিশন অফিসার পদ সহ সর্বস্তরে বাঙালি সৈনিকদের জন্য পদ সংরক্ষণ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বাংলা গান 'চল চল চল' মার্চ সংগীতরূপে, পাকিস্তানের সামরিক বাদ্যযন্ত্রে 'ধনধান্যে পুষ্পে ভরা' ও 'গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গা মাটির পথ'সহ বাংলা গানের প্রচলন এবং ব্রতচারী নৃত্যের বাংলা গীতি ও বাদ্যযন্ত্রসহ বাঙ্গালি সৈনিক দ্বারা ব্রতচারী নৃত্য পরিবেশনের সরকারি অনুমোদন আদায়। অবসর গ্রহণের সময় ওসমানী বাঙালি সামরিক বাহিনী ও তাদের পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা ও এ সবের সমাধানের জন্য লিপিবদ্ধ সুপারিশ সেনাবাহিনীর তদানীন্তন সর্বাধিনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে দিয়ে আসেন। এতে স্বল্পতম সময়ে পাকিস্তানে লোকসংখ্যা অনুপাতে বাঙালিদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগের একটি বিস্তারিত পরিকল্পনাও ছিল। এর কপি ওসমানী সশস্ত্র বাহিনীর প্রবীনতম বাঙালি অফিসার লেফটেন্ট্যাট জেনারেল খাজা ওয়াসি উদ্দিনকে দেন, যাতে তিনি বিষয়গুলো সম্পর্কে সরকারকে তাগিদ দিতে পারেন।

১৯৭০ সালের জুলাই মাসে তিনি রাজনীতিতে যোগদেন এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তানের বৃহত্তম নির্বাচনী এলাকা থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যরাতে পাকিস্তানী কমান্ডোদের একটি কোম্পানী ওসমানীর বাড়িতে আক্রমণ করে এবং তাকে হত্যার জন্য খোঁজে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তিনি রক্ষা পান। নিউ ইস্কাটনের এক বাড়িতে আক্রমণকারী পাকিস্তানি ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনীর নাকের ডগায় চার রাত ও তিন দিন একা থাকার পর ওসমানী ছদ্মবেশ ধারণ করে ঢাকা ত্যাগ করেন। নৌকাযোগে ও পায়ে হেঁটে তিনি কুমিল্লায় পৌঁছান এবং ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডারদের এক গোপন বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ওসমানীকে নেতৃত্ব দানের জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠনের পর ওসমানীকে ১২ এপ্রিল হতে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। তিনি দ্রুতবেগে নিয়মিত বাহিনী পুনর্গঠন করেন ও বিরাট গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলেন। জাতির প্রতি তার সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাকে জেনারেল পদে উন্নীত করেন এবং ইহা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হতে কার্যকরী করেন। ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল হতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ বিলুপ্ত হওয়ায় তিনি সামরিক বাহিনী থেকে ২য় বার অবসর গ্রহণ করেন।

জেনারেল ওসমানী ছিলেন প্রখর মেধাবী, তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন, দক্ষ সেনানায়ক। আমরা পাই বিশাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে বছরে মাত্র ৩০০ জন সেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হত। তার মধ্যে উপমহাদেশ থেকে নিয়োগ পেতেন মাত্র ৩০ জন। ব্রিটিশরা বিভিন্ন কারণে মুসলমান এবং বাঙালিদেরকে সু-নজরে দেখত না। সেই বৈরী পরিবেশে একজন বাঙালি মুসলমান ওসমানী ব্রিটিশ রাজকীয় বাহিনীতে নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে নিয়োগ লাভ করেছিলেন। তদুপরি তিনি আই.সি.এস পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েও মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তিনি জওহরলাল নেহরু কর্তৃক সরাসরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আহ্বান পান, যা ছিল তখনকার সময়ে একজন বাঙালি মুসলমানের জন্য দূর্লভ প্রাপ্তি। আর্মি ও সিভিল অফিসারের জন্য মনোনীত হয়ে সামরিক জীবন বেছে নিয়েছেন এমন জেনারেল পৃথিবীতে ২য় জন আছেন কি না জানি না। এ ছাড়া তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টে, ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন যা বিশ্বের অনেক নামজাদা জেনারেলের জীবনে ও ঘটেনি।

ওসমানী জন্মগ্রহন করেছিলেন পরাধীন ভারতে, পরে স্বাধীনতা লাভ করে পাকিস্তানে এর পরে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন। তিনি ধারাবাহিকভাবে ৩টি দেশের নাগরিক ছিলেন এবং ৩টি দেশ ও জাতির পক্ষে মরণপণ যুদ্ধ করেছেন। ওসমানী কখনো স্বজাতি স্বদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেননি। এমনি মেধাবী ও দক্ষ সমরনায়ককে বিজাতীয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী তার মেধাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছে, তার যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করেছে। স্বজাতি পাকিস্তানীরা তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমৃদ্ধ করেছে তবে তার যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। এই মূল্যায়ন না করার কারণটি ‘পাকিস্তানিদের বৈষম্যমূলক নীতি ছিল’ না ‘প্রখর মেধাবী ও দক্ষরা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার নীতি রপ্ত করতে পারেন না বলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত স্থানে যেতে পারেন না’ এটা কার্যকারী ছিল তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। কেন না পাকিস্তান সেনাবাহিনীতেও দু একজন বাঙালি কর্নেল উপরে পদায়িত হয়েছিলেন। জেনারেল ওসমানীর মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে কম কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। তিনি ছিলেন একজন সফল ও পরীক্ষিত সেনানায়ক। তার নেতৃত্বে অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা মরণপণ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রতিটি আর্মি অফিসারকে ব্যাক্তিগতভাবে চিনতেন এবং জানতেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলদেশে সামরিক বাহিনী গঠনের দায়িত্ব বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীকে দেওয়া হয়নি। তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী না করে করা হয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী। সে সময় সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ে জেনারেল ওসমানীর মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। সেদিন যদি বঙ্গবন্ধুর সরকার সেনাবাহিনীর বিষয়ে জেনারেল ওসমানীর মতামতকে প্রধান্য দিতেন, তাহলে হয়তো ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এবং তৎপরবর্তী হত্যা-ক্যু ইত্যাদি সংঘঠিত হত না। মৃত্যুঞ্জয়ী মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসীর কাষ্ঠে ঝুলতে হত না। একুশ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির চাকা পিছনের দিকে ঘুরত না। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদররা পতাকাবাহী গাড়ি দৌড়াতে পারত না। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে বঙ্গবীরের জীবন ও কর্ম নিয়ে একাডেমিক গবেষণার দাবি রাখে। জেনারেল ওসমানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফেরাত ও জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা করছি।

লেখক একজন শিক্ষক

 

মএমএ/

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত