মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন মোদি

পাঠক হঠাৎ চমকে যাবেন না। আপনারা যে ইতিহাস পড়েছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে, তা ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সংসদের উভয়কক্ষে গলা চড়িয়ে বললেন, ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয়নি। ভারত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ, যেদিন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী আসনে বসেছিলেন। তার এই উক্তির সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেসসহ অন্যান্য দল যখন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলো, তখন তিনি যে উক্তিটি করলেন তা আরও মারাত্নক। তিনি বললেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে পন্ডিত নেহরুর কোনও ভূমিকা ছিল না। ভূমিকা ছিল মহাত্না গান্ধী, বাবা সাহেব আম্বেদক এবং সর্দার বল্লভভাই প্যটেলের। সারা দেশের এবং বিশ্বের ইতিহাসবিদেরা মোদিকে শুধু শিক্ষিতই বলেননি। তারা মনে করেন, এহেন অর্ধশিক্ষিত একজন মানুষ বিগত আট বছর ধরে ভারতবর্ষে ১৩৮ কেজি মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভ্রান্তির পর বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন।

ভারতের সংবিধাননীতি এবং প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর রাষ্ট্রপতির ভাষণের মাধমেই সংসদের উভয় সভা চালু হয়। সংসদীয় নিয়মানুযায়ী রাস্ট্রপতির বক্তব্যের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই ভাষণেই তিনি এই উক্তি করেন। হত্যার পর রেডিওতে ডালিম বলেন, এবার বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীন হল। আর জয় বাংলা ধ্বনি নয়, এবার থেকে ধ্বনি হবে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ভারতের সংসদে মোদির উক্তির সঙ্গে মেজর ডালিমের উক্তির একটা মিল পাওয়া যাচ্ছে না কি?

এবার একটু পর্যালোচনা করে দেখা যাক, গত আট বছর ধরে মোদি সরকার কীভাবে ভারতবর্ষের একটার পর একটা ক্ষতি করে চলেছেন।

গত দু'বছর ধরে করোনা আবহে দেশের মানুষ যখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে, তখন মোদি বলেছেন, এই সময়ে দেশের মানুষ স্বনির্ভর হয়েছে। তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়েছে। তিনি নাকি সবাইকে বাড়ি করে দিয়েছেন। অথচ আসল চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী মোদি পি এম কেয়ার্স তহবিল গঠনের পর যে ১৩ হাজার কোটি জমা পড়েছে। সেই টাকার কোনও হিসেব দিতে চাননি তিনি। যুক্তি হিসেবে বলেছেন, এটাকা জনগণের টাকা। তাই এই টাকার কোনও অডিট হবে না। অর্থাৎ এই ১৩ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসেব দেশবাসী জানবে না। এই টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন তোলা যাবে না।

ওয়াকিবহাল মহল মনে করে, যেহেতু দেশের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, আর সেই সব রাজ্যে শাসক বিজেপির অবস্থা ভালো নয়, তাই রাস্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তিনি কৌশলের নির্বাচনী প্রচার করে গেলেন। তার এমন বক্তৃতার নেপথ্যে আর একটি কারণ হল, হিন্দু মুসলমান ধর্মীয় মেরুকরণ করা। এই মেরুকরণের কাজ শুরু করেছিলেন মোদি এবং তার সহযোগী দল আরএসএস। তার বক্তৃতার মধ্যে ছিল দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন আরএসএস এর জন্মদাতা বীর সাভারকার এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়। এই দুজনেই মুচলেকা লিখে আন্দামান জেল থেকে মুক্ত হন এবং ব্রিটিশ সরকারকে সমর্থন করেন। পাশাপাশি গান্ধীজির আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। এই ইতিহাস সকল ইতিহাসবিদ এবং শিক্ষিত মানুষই জানেন, জানেন না শুধু নরেন্দ্র মোদিও তার অনুচরেরা এবং আর এস এস এর ‘পন্ডিত’ রা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি ‘কংগ্রেসমুক্ত’ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। এবার তিনি সরাসরি পন্ডিত নেহরুকে আক্রমণ করেছেন। এমনও বলেছেন আজকের করোনা পরিস্থিতির জন্য নেহরুর নীতিই দায়ী।

মোদির এই উক্তির সঙ্গে আমরা একটি উক্তির হুবুহু মিল পাচ্ছি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান বলেছিলেন বাংলাদেশে একটি সামরিক সরকার দরকার। তারা ৪ মাস মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে যে ৪ নেতা, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলি এবং আবু হেনা কামরুজ্জামান,তাদের জেলে বন্দী করে রাতের অন্ধকারে গুলি করে হত্যা করেছিল মেজর ডালিম। সাম্প্রতিককালে ভারতে দেখা যাচ্ছে, গুজরাটের দুই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আম্বানি এবং আদানিরা দেশের সম্পদের ৭৫শতাংশ গ্রাম করেছেন। একথা সকলেই জানেন, আম্বানিদের আজকের রম্প্রমার নেপথ্যে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন রাস্ট্রপতি এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রনব মুখার্জি। মনমোহন সিংয়ের আমলে একটি আইন করা হয়েছিল--তথ্য ছানার অধিকার সংসদে সংখ্যাধিক্যের জোরে এই আইনটি এখন বিজেপির পক্ষে আনা হয়েছে।

কিছুদিন আগে দক্ষিন ভারতের অন্ত্রপ্রদেশে একটি মন্দিরে মোদিকে দেখা গেছে লাল বস্ত্র পরে কপালে তিলক কেটে তিনি ঘুরেছেন। যেন দেখতে চাইছেন, তার চেয়ে বড় হিন্দু আর নেই। তার এই হিন্দুদের প্রচারের মাঝেই শুরু হয়ে গেছে আর এক অশান্তি। বিজেপির বরাবরের রাজনৈতিক তাস হিন্দু-মুসলিম বিভাজন নতুন রূপ পেয়েছে। দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কর্ণাটকে পন্ডিচোরিতেও। মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার বিরোধিতা করে বিজেপি আরএসএস পথে নেমেছে। হিন্দু মৌলবাদকে সঙ্গী করে গেরুয়া কাপড় দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি আর এস এসের কর্মীদের। তারা ছাত্রীদের হিজাব পরতে দেখলেই তার বিরোধিতা করছে। আর এই নিয়েই বেজেছে অশান্তি। মুসলিম মহিলারা এর বিরোধিতা করেছেন। পাকিস্তানের নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এভাবেই ধর্মীয় বিভাজনের ফলে সম্প্রীতি নষ্ট করতে আরও একটি বড় চক্রান্ত আর এস এস বিজেপি। কয়েকদিন আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দক্ষিণ কলকাতার একটি বাড়িতে এক গোপন বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, হিজাব পরলেই তার বিরোধিতা করা হবে। এই খবর প্রচার হয়ে যাওয়ার পরেই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী লখনউয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, সমস্ত মহিলাদের তাদের পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার রয়েছে। এটি ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আমি বলছি, মুসলিম ছাত্রীরা অবশ্যই হিজাব পরবেন। এই স্বাধীনতা সংবিধান তাদের দিয়েছে। যারা এই অধিকার কেড়ে নিতে চাইছেন,তাদের সেই কাজের আমি তীব্র বিরোধিতা করছি।

মোদির অসত্য ও যুক্তিহীন কথা আর কাজের প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলা যায়। তিনি যে বলেছেন, ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়নি হয়েছে ২০১৪ সালে, সেই যুক্তি মানলে তারই দলের অটলবিহারী বাজপেয়ী ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী রইলেন কী করে? পরাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী? এ প্রশ্নও তাকে করা হয়েছে। মোদি উত্তর দেননি। এড়িয়ে গেছেন। অবান্তর কথার জাল বুনতে ওস্তাদ মোদিজি এবং আর এস এস প্রধান মোহন ভগবত বলেছেন, আগামী ১০০ বছর দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি। রীতিমতো হাস্যকর কথা। মোদির বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। ১০০বছর পর তার বয়স হবে ১৭৩ বছর। তখন তিনি জীবিত থাকবেন এবং দেশ চালাবেন। বিজেপি ক্রমাগত এমন অবান্তর কথা বলে চলেছে। আসলে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে তাদের উৎকণ্ঠা মাত্রা ছাড়িয়েছে। তাই যা পারছে বলে যাচ্ছে। মরণকালে বুদ্ধিনাশ।

 

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চ্যানেলটির স্ক্রলে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ক্রলে উল্লেখ করা হয়, “অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় দীপ্ত টিভির এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে খুব শিগগিরই সংবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা