বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন মোদি

পাঠক হঠাৎ চমকে যাবেন না। আপনারা যে ইতিহাস পড়েছেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে, তা ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সংসদের উভয়কক্ষে গলা চড়িয়ে বললেন, ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন হয়নি। ভারত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ, যেদিন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী আসনে বসেছিলেন। তার এই উক্তির সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেসসহ অন্যান্য দল যখন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলো, তখন তিনি যে উক্তিটি করলেন তা আরও মারাত্নক। তিনি বললেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে পন্ডিত নেহরুর কোনও ভূমিকা ছিল না। ভূমিকা ছিল মহাত্না গান্ধী, বাবা সাহেব আম্বেদক এবং সর্দার বল্লভভাই প্যটেলের। সারা দেশের এবং বিশ্বের ইতিহাসবিদেরা মোদিকে শুধু শিক্ষিতই বলেননি। তারা মনে করেন, এহেন অর্ধশিক্ষিত একজন মানুষ বিগত আট বছর ধরে ভারতবর্ষে ১৩৮ কেজি মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভ্রান্তির পর বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন।

ভারতের সংবিধাননীতি এবং প্রথা অনুযায়ী প্রতিবছর রাষ্ট্রপতির ভাষণের মাধমেই সংসদের উভয় সভা চালু হয়। সংসদীয় নিয়মানুযায়ী রাস্ট্রপতির বক্তব্যের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই ভাষণেই তিনি এই উক্তি করেন। হত্যার পর রেডিওতে ডালিম বলেন, এবার বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীন হল। আর জয় বাংলা ধ্বনি নয়, এবার থেকে ধ্বনি হবে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। ভারতের সংসদে মোদির উক্তির সঙ্গে মেজর ডালিমের উক্তির একটা মিল পাওয়া যাচ্ছে না কি?

এবার একটু পর্যালোচনা করে দেখা যাক, গত আট বছর ধরে মোদি সরকার কীভাবে ভারতবর্ষের একটার পর একটা ক্ষতি করে চলেছেন।

গত দু'বছর ধরে করোনা আবহে দেশের মানুষ যখন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে, তখন মোদি বলেছেন, এই সময়ে দেশের মানুষ স্বনির্ভর হয়েছে। তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো হয়েছে। তিনি নাকি সবাইকে বাড়ি করে দিয়েছেন। অথচ আসল চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী মোদি পি এম কেয়ার্স তহবিল গঠনের পর যে ১৩ হাজার কোটি জমা পড়েছে। সেই টাকার কোনও হিসেব দিতে চাননি তিনি। যুক্তি হিসেবে বলেছেন, এটাকা জনগণের টাকা। তাই এই টাকার কোনও অডিট হবে না। অর্থাৎ এই ১৩ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসেব দেশবাসী জানবে না। এই টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন তোলা যাবে না।

ওয়াকিবহাল মহল মনে করে, যেহেতু দেশের পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, আর সেই সব রাজ্যে শাসক বিজেপির অবস্থা ভালো নয়, তাই রাস্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তিনি কৌশলের নির্বাচনী প্রচার করে গেলেন। তার এমন বক্তৃতার নেপথ্যে আর একটি কারণ হল, হিন্দু মুসলমান ধর্মীয় মেরুকরণ করা। এই মেরুকরণের কাজ শুরু করেছিলেন মোদি এবং তার সহযোগী দল আরএসএস। তার বক্তৃতার মধ্যে ছিল দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন আরএসএস এর জন্মদাতা বীর সাভারকার এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়। এই দুজনেই মুচলেকা লিখে আন্দামান জেল থেকে মুক্ত হন এবং ব্রিটিশ সরকারকে সমর্থন করেন। পাশাপাশি গান্ধীজির আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। এই ইতিহাস সকল ইতিহাসবিদ এবং শিক্ষিত মানুষই জানেন, জানেন না শুধু নরেন্দ্র মোদিও তার অনুচরেরা এবং আর এস এস এর ‘পন্ডিত’ রা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি ‘কংগ্রেসমুক্ত’ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। এবার তিনি সরাসরি পন্ডিত নেহরুকে আক্রমণ করেছেন। এমনও বলেছেন আজকের করোনা পরিস্থিতির জন্য নেহরুর নীতিই দায়ী।

মোদির এই উক্তির সঙ্গে আমরা একটি উক্তির হুবুহু মিল পাচ্ছি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান বলেছিলেন বাংলাদেশে একটি সামরিক সরকার দরকার। তারা ৪ মাস মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে যে ৪ নেতা, তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলি এবং আবু হেনা কামরুজ্জামান,তাদের জেলে বন্দী করে রাতের অন্ধকারে গুলি করে হত্যা করেছিল মেজর ডালিম। সাম্প্রতিককালে ভারতে দেখা যাচ্ছে, গুজরাটের দুই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আম্বানি এবং আদানিরা দেশের সম্পদের ৭৫শতাংশ গ্রাম করেছেন। একথা সকলেই জানেন, আম্বানিদের আজকের রম্প্রমার নেপথ্যে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন রাস্ট্রপতি এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী প্রনব মুখার্জি। মনমোহন সিংয়ের আমলে একটি আইন করা হয়েছিল--তথ্য ছানার অধিকার সংসদে সংখ্যাধিক্যের জোরে এই আইনটি এখন বিজেপির পক্ষে আনা হয়েছে।

কিছুদিন আগে দক্ষিন ভারতের অন্ত্রপ্রদেশে একটি মন্দিরে মোদিকে দেখা গেছে লাল বস্ত্র পরে কপালে তিলক কেটে তিনি ঘুরেছেন। যেন দেখতে চাইছেন, তার চেয়ে বড় হিন্দু আর নেই। তার এই হিন্দুদের প্রচারের মাঝেই শুরু হয়ে গেছে আর এক অশান্তি। বিজেপির বরাবরের রাজনৈতিক তাস হিন্দু-মুসলিম বিভাজন নতুন রূপ পেয়েছে। দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কর্ণাটকে পন্ডিচোরিতেও। মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার বিরোধিতা করে বিজেপি আরএসএস পথে নেমেছে। হিন্দু মৌলবাদকে সঙ্গী করে গেরুয়া কাপড় দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি আর এস এসের কর্মীদের। তারা ছাত্রীদের হিজাব পরতে দেখলেই তার বিরোধিতা করছে। আর এই নিয়েই বেজেছে অশান্তি। মুসলিম মহিলারা এর বিরোধিতা করেছেন। পাকিস্তানের নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এভাবেই ধর্মীয় বিভাজনের ফলে সম্প্রীতি নষ্ট করতে আরও একটি বড় চক্রান্ত আর এস এস বিজেপি। কয়েকদিন আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত দক্ষিণ কলকাতার একটি বাড়িতে এক গোপন বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, হিজাব পরলেই তার বিরোধিতা করা হবে। এই খবর প্রচার হয়ে যাওয়ার পরেই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী লখনউয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, সমস্ত মহিলাদের তাদের পছন্দমতো পোশাক পরার অধিকার রয়েছে। এটি ভারতের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। এই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। আমি বলছি, মুসলিম ছাত্রীরা অবশ্যই হিজাব পরবেন। এই স্বাধীনতা সংবিধান তাদের দিয়েছে। যারা এই অধিকার কেড়ে নিতে চাইছেন,তাদের সেই কাজের আমি তীব্র বিরোধিতা করছি।

মোদির অসত্য ও যুক্তিহীন কথা আর কাজের প্রসঙ্গে আরও একটি কথা বলা যায়। তিনি যে বলেছেন, ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়নি হয়েছে ২০১৪ সালে, সেই যুক্তি মানলে তারই দলের অটলবিহারী বাজপেয়ী ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী রইলেন কী করে? পরাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী? এ প্রশ্নও তাকে করা হয়েছে। মোদি উত্তর দেননি। এড়িয়ে গেছেন। অবান্তর কথার জাল বুনতে ওস্তাদ মোদিজি এবং আর এস এস প্রধান মোহন ভগবত বলেছেন, আগামী ১০০ বছর দেশের শাসন ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি। রীতিমতো হাস্যকর কথা। মোদির বর্তমান বয়স ৭৩ বছর। ১০০বছর পর তার বয়স হবে ১৭৩ বছর। তখন তিনি জীবিত থাকবেন এবং দেশ চালাবেন। বিজেপি ক্রমাগত এমন অবান্তর কথা বলে চলেছে। আসলে আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে তাদের উৎকণ্ঠা মাত্রা ছাড়িয়েছে। তাই যা পারছে বলে যাচ্ছে। মরণকালে বুদ্ধিনাশ।

 

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত