মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই লবিস্ট ইস্যুকে দেখতে হবে

গত ১০ ডিসেম্বর র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ নিয়ে তারপর থেকেই নানারকম বিচার বিশ্লেষণ হচ্ছে। সরকার এ নিয়ে বিব্রত হয়েছে। হতাশও হয়েছে। আমরাও খানিকটা হতাশ এবং বিব্রত। দেশের দুটি বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে–কারা এর পেছনে আছে, তাদের কর্মকাণ্ডে দেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না? এটি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কীভাবে সংযুক্ত হওয়া যায়? এই বিষয়গুলোই আলোচনার প্রধান ট্রেন্ড।

এ ক্ষেত্রে আলোচনায় আসে লবিস্ট নিয়োগের প্রশ্নটি। লবিস্ট নিয়োগ মার্কিন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে বৈধ। বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান জাতীয় স্বার্থে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এ ধরনের লবিং করে থাকে। কাজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে লবিস্ট নিয়োগ করা অথবা নিয়োগ পাওয়া কোনো বেআইনি কাজ নয় এবং একেবারে অপ্রচলিত ব্যবস্থাও নয়।

লবিস্ট নিয়োগ কেন? এই বিষয়টির সঙ্গে আমরা বিশেষভাবে পরিচিত না। এ কারণেই বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে লবিস্ট নিয়োগ বৈধ এবং তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় সেটি আছে। তাদের জুডিশিয়ারি অর্থাৎ জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট তাদের আইনের অনুমোদন নিয়েই তারা সেটি করে। প্রশ্ন হলো–এসব কারা করছে, কেন করছে? আমি মনে করি, বাংলাদেশের পক্ষে যা জাতীয় স্বার্থের পক্ষে, বিষয়টি তেমন হলেই উত্তম। বাংলাদেশের স্বার্থ বলতে তো আমরা এটিকে মিলিয়ে গুলিয়ে ফেলি। সেখানে আমার মনে হয় একটি স্বচ্ছতা দরকার। আমরা যেটি জাতীয় স্বার্থ বলি, তার মধ্যে সরকার থাকে, এর পাশাপাশি জনগণের স্বার্থের একটি বিষয় থাকে। এই দুটির সমন্বিত অবস্থাকেই জাতীয় স্বার্থ বলা হয়। কাজেই বিভিন্ন দেশ থেকে যে লবিস্ট নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে, তারা সাধারণত তাদের জাতীয় স্বার্থটুকুই দেখে। যেমন–সরকার থেকে বিজিএমইএ পর্যন্ত এই উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়। এখন যদি কেউ সরকারের দিক থেকে করে সরকার সেটি জাতীয় স্বার্থের জন্য কাজ করবে ধরে নেওয়া হয়। সবসময় যে সেটি হয়, তাও না। আমাদের দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের আলোকে আমরা সবসময় সবখানে সেই স্বচ্ছতাটুকু পাই না। সরকার যখন করেন আমরা ধরেই নিই যে সরকার সেটি দেশের পক্ষেই করছেন।

আমাদের তৈরি পোশাক খাত রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম উপাদান হিসেবেই আছে এবং দেশের জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষ এ পেশায় জড়িত এবং তার বেশিরভাগই নারী। তা ছাড়া আমাদের একটি উদ্যোক্তা শ্রেণি তৈরি হয়েছে, তারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়। বিদেশের মানুষ যখন বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য দেখে তখন তারা বুঝতে পারে যে, বাংলাদেশ আর দারিদ্রপীড়িত দেশ নয়। বাংলাদেশ এমন একটি জায়গায় এসেছে, যেখান থেকে তারা এই ধরনের কোয়ালিটি পণ্য রপ্তানি করে। এই বিষয়গুলোকে যদি আমরা সমন্বিতভাবে দেখি, তাহলে বুঝতে পারব এই বিষয়টিতেও জাতীয় স্বার্থ জড়িত। কাজেই সেই বিবেচনায় এটিকে ইতিবাচক প্রেক্ষাপটে দেখতে পারি।

বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরে আইনি কাঠামো আছে। আমরা যে কাজটি করছি সেটি সেটি সেই কাঠামোর ভিতরে পড়ে কি না। সেটি বৈধ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হচ্ছে কি না। নাকি এটি বিশেষগোষ্ঠী বিশেষ স্বার্থের হয়ে কাজ করছে। সেটি বিচার বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রয়োজনে এ বিষয়টি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই যে সাত জন কর্মকর্তাকে নিয়ে সমস্যাটি হলো–যে ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও সাতটি প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের কাছে আরও আবেদন করেছে যে, র‍্যাব কর্মকর্তাদের যেন জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা না হয়। যদিও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি; কিন্তু এটি পরোক্ষভাবে বা নৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করার একটি পন্থা।

এখন এখান থেকে বেরুনোর পথ কি হওয়া উচিত। আমাদের অভ্যন্তরীণভাবেই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের যদি ঘাটতি থাকে, সেগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশের পক্ষে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমি মনে করি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যটি ইতিবাচক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। তাহলে এই ধরনের ঘটনা এভয়েড করা যাবে। তারা যে কাজটি করেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করবেন। কূটনৈতিকভাবেই এর সমাধানে চেষ্টা করতে হবে।

অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম আছে, সেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। এ বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে বহুমুখী আলাপ-আলোচনা আমি মনে করি, মূল বিষয়টিকে ভিন্নদিকে নিয়ে যেতে পারে। কাজেই যে বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, সেগুলোর বস্তুনিষ্ঠ সমাধান নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আমাদের দেশ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। আমরা যে বিশ্বাসযোগ্য সমাধানের পক্ষে, এটি তাদের বোঝাতে সক্ষম হতে হবে। আমাদের দেশে যে রেমিট্যান্স আসে, তারমধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্স কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আসে। প্রথম অবস্থানে আছে সৌদি আরব, দ্বিতীয় অবস্থানে ইউএই এবং তিন নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। যেটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সক্রিয় করার জন্য ভূমিকা পালন করছে। তা ছাড়া আমাদের দেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোরালোভাবেই আমাদের সমর্থন দিয়েছে। তবে ভবিষ্যতেও আমাদের সমস্যা সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দরকার হবে। ভবিষ্যতে মিয়ানমারকে যদি বাধ্য করা হয়, সে ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের দরকার হবে। অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে যেন কাজে লাগে, সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত দুইবছর থেকেও বলছেন। আমাদের অর্থনৈতিক জায়গা অর্থাৎ যেখানে আমাদের সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে, সেই জায়গাটিতে যদি আমরা তাদের পাই, সে ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহুমুখী সম্পর্ককে আমাদের সমৃদ্ধ করতে হবে। সেজন্য আমাদের উদ্যোগটি চালু করতে হবে এবং এ ধরনের বিষয়গুলো যেন আমাদের ইরিটেট করতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

বাইডেন সরকার গত কয়েকবছর ধরে যে সমস্যাগুলো মোকাবিলা করছে, সেগুলো দূর করতেই মানবাধিকারের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করেছে। বৈশ্বিক গুরুত্ব যদি আমরা মনে রাখি, তাহলে আমাদের জন্য তাদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করা সহজতর হবে। আমরা তো বাংলাদেশে নির্ভেজাল গণতন্ত্রটুকুই চাই। ত্রিশ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। এখনো পর্যন্ত মানুষ গণতন্ত্র চর্চার জন্য উদগ্রীব। এরিস্টটলের ভাষায়, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সবচেয়ে ভালো শাসন ব্যবস্থা।’

আমাদের মতো একটি দেশ যেখানে লাখো প্রাণের বিনিময়ে দেশটি পেয়েছি, সেই দেশে বিভেদ, বিভাজন, বৈষম্যমুক্ত এবং শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব বলে গণতন্ত্র চর্চা করব তা কিন্তু না। আমাদের অভ্যন্তরে একটি শান্তিপূর্ণ সুশাসন, শিক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে সঠিকভাবে গণতন্ত্রচর্চার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করব এবং ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের মানোন্নয়নসহ এই সম্পর্ককে চলমান করতে সচেষ্ট করব। এ ধরনের সমস্যাকে খুব বেশি গুরুত্ব বা রাজনৈতিক ইস্যু না করে সমাধানের পথ তৈরি করার মাধ্যমে এই বহুমাত্রিক সম্পর্ককে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত

এসএ/

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চ্যানেলটির স্ক্রলে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ক্রলে উল্লেখ করা হয়, “অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় দীপ্ত টিভির এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে খুব শিগগিরই সংবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা