শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শীতের অতিথি অর্কিড কাঞ্চন

আমাদের বন-পাহাড়ে প্রায় ১৫ প্রজাতির কাঞ্চন দেখা যায়। অধিকাংশই সিলেট এবং চট্টগ্রামের বনে জন্মে। দুএকটি টাঙ্গাইল জেলার শালবনে পাওয়া যায়। তবে নগরউদ্যানে সাধারণত তিন ধরনের কাঞ্চন বেশি চোখে পড়ে- দেবকাঞ্চন, রক্তকাঞ্চন ও শ্বেতকাঞ্চন। এর মধ্যে সাদাকাঞ্চনের প্রস্ফুটন প্রায় বর্ষব্যপ্ত হলেও দেবকাঞ্চন হেমন্তে আর লালকাঞ্চন শীত-বসন্তে ফোটে। এই কাঞ্চনগুলোর মধ্যে বিশেষ সাদৃশ্য হলো এদের প্রস্ফুটন মৌসুম হেমন্ত থেকে শীতকাল পর্যন্ত বিস্তৃত। নভেম্বর মাসেও বান্দরবানের পাহাড়ে বনকাঞ্চন দেখেছি। তবে নানা কারণে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এসব কাঞ্চন সংখ্যায় অনেক কমেছে। গবেষকদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলেও কাঞ্চনের কয়েকটি প্রজাতি যে সঙ্কটাপন্ন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ইদানিং কাঞ্চনের এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নতুন কাঞ্চন। কয়েকবছর ধরে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন বাগানে শোভা পাচ্ছে এ গাছ। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সফিপুর আনসার একাডেমি ও জাতীয় সংসদভবন প্রাঙ্গণের পশ্চিমপাশে বিভিন্ন বয়সী গাছ চোখে পড়ে। দীর্ঘ ও অক্লান্ত প্রস্ফুটন ফুলটির দ্রুত বিস্তৃতির অন্যতম কারণ। আমাদের নগরউদ্যানে শীতের দৈন্যতা ঘোচাতে এই প্রজাতিটি বেশ যুৎসই হতে পারে। পুষ্পপ্রেমিকদের অনেকেই এফুল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এই লেখার মধ্য দিয়ে তাদের কৌতূহল কিছুটা হলেও মিটবে।

গাছটির ইংরেজি নাম হংকং অর্কিড ট্রি । প্রথমোক্ত কাঞ্চনগুলোর আদি আবাস ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ হলেও এর জন্মস্থান থাইল্যান্ড। সম্ভবত সংকর বা আবাদিত ধরনের ফুল। গাছের গড়ন, কাণ্ড, পাতা ও ডালপালার ক্ষেত্রে অন্যান্য কাঞ্চনের সঙ্গে খুব একটা তফাৎ নেই।

পত্রমোচি গাছ, উচ্চতা প্রায় ৮ মিটার, কাণ্ড নিচু, বহুশাখী, উপর ছত্রাকৃতি, বাকল ধূসর, অমসৃণ। পাতা চওড়া, পুরু ও অসম্পূর্ণভাবে সজোড়। দেখতে দুটো জোড়া দেওয়া পাতার মতো। এ কারণে অন্যান্য গাছ থেকে কাঞ্চনকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। ফুল বড়, ১২ সেমি চওড়া, লাল অথবা গোলাপি-বেগুনি। ডাল বা পত্রিকার সরু আগায় থোকায় থোকায় ফোটে। গন্ধহীন। অত্যন্ত আকর্ষণীয়। অনেকদিন সতেজ থাকে। প্রস্ফুটনকাল অক্টোবর থেকে মার্চ অবধি বিস্তৃত। ফল সীমের মতো চ্যাপ্টা, প্রথমে বাদামি-সবুজ, পরে গাঢ়-বাদামি। চাষ বীজ ও কলমে। রোদ পছন্দ। বাকল ট্যানিং, রঙ ও দড়ির উপকরণ। বীজ-তৈল সস্তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার্য। শিকড় বিষাক্ত ও সর্পদংশনের প্রতিষেধক। হাঁপানি, ক্ষত এবং পেটের পীড়ায় গাছের নানা অংশ উপকারি।

 

লেখক: প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক লেখক, সাধারণ সম্পাদক তরুপল্লব

Header Ad
Header Ad

হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিএনপির গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু। ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগ করা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই আওয়ামী শয়তানের শয়তান, তাদের (শয়তানের) নাম বেশি মুখে নেওয়া ঠিক নয়।

তিনি বলেন- তারা এখন পৃথিবীতে নেই, ন্যাচারালি বিদায় হয়ে গেছে। এগুলো মানুষরুপি শয়তান, দানব। আওয়ামী লীগের ভেতরে একটি সুস্থ মস্তিষ্ক সবল ও স্বাভাবিক মানুষ খুঁজে পাবেন না। হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষাউপমন্ত্রী ও কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টুকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামানকে দুদু বলেন- তারা অন্যায়ভাবে বিএনপির দুই হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে খুন করেছে। তার বাবা ছিল শেখ মুজিবুর ছিল খুনি। ৭২-৭৫ এর মধ্যে বিরোধী দলের ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে সে হত্যা করেছে। রক্ষী বাহিনী বানিয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে দুদু আরও বলেন, কেউ কেউ অন্য (স্থানীয়) নির্বাচন চাচ্ছেন, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগে কোনো নির্বাচন এদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলুর সঞ্চালনায় সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টু।

এছাড়া আরও অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুর হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। এ সময় জেলা ও উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল। জনগণই বিএনপির শক্তি। আওয়ামী লীগও অনেক বড় দল ছিল। তারপরেও বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে নিরপেক্ষ ভোট দিতে ভয় করেছে তারা। জোর করে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট। তিনি আরও বলেন,‘বর্তমান ইউনুস সরকারের কাছে আমাদের দাবি, তারা যেন কোনো দলের পক্ষ না নেয়। মানুষের মনে যাতে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না জাগে। নিরপেক্ষ ভোট হলেই বিএনপিই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে।’

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওয়োয়ান মাঠে নওগাঁ পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অনেকেই বলে থাকেন বিএনপি দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। সেই সব নিন্দুকদের বলব, আজকে নওগাঁ সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল দেখার জন্য। এখানে এসে দেখে মনে হচ্ছে যেন, কোনো ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা জাতীয় নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। কোনো কলহ, হট্টগোল নেই। বিএনপির দেশের পাশাপাশি দলের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করে থাকে।

নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আ স ম আল কাফী তুহিন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া নওগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান ও দিদারুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। কাউন্সিলরদের ভোটে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কাউন্সিলরদের ভোটে সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ হাসান ও রফিকুল ইসলাম। পৌর বিএনপির সাংগঠনিক দুটি পদে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মহসিন আলী ও শহিদুল ইসলাম। কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শহরের পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় শহরের নওযোয়ান মাঠে সম্মেলন মঞ্চ থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক।

জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো: বায়েজিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম রেজু,আমিনুল ইসলাম বেলাল, মামুনুর রহমান রিপন, শফিউল আজম রানা প্রমুখ।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির সর্বশেষ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১২ সালে এবং পৌর বিএনপির সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে। অর্থাৎ প্রায় এক যুগ পর সদর উপজেলা এবং ১৪ বছর পর পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।

Header Ad
Header Ad

অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত এক হাজার ৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। অতি গুরুতর আহত ৪৯৩ জনকে ‘ক’ শ্রেণিতে এবং গুরুতর আহত ৯০৮ জনকে ‘খ’ শ্রেণিতে রেখে এ গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) এ গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আহতদের ধরনভেদে ‘গ’ শ্রেণির তালিকাও প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়। গেজেটে আহতদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহিদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

এসব তালিকা ধরে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের আর্থিকভাবে সহায়তা করবে সরকার। বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ৮৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন। এ টাকার মধ্যে চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি পরিবার মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

গত বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা গেজেট দুটি প্রকাশ করেছে। গেজেটে আহতদের মেডিক্যাল কেস আইডি, নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া শুধু ‘আহত’দের জন্য ‘গ’ শ্রেণির তালিকাও গেজেট আকারে প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়, যেখানে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে আরো ১০ হাজার ৬৪৮ জনের নাম।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি অভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। মূলত এসব তালিকা ধরে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের সহায়তা দেবে সরকার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, চলতি (মার্চ) মাস থেকেই ভাতা কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

সরকারের প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া আহতরা তিন ক্যাটাগরিতে এককালীন অর্থ, মাসিক ভাতা ও চিকিৎসা সুবিধাসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাবেন। আহত জুলাই যোদ্ধারা তিনটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা পাবেন।

এগুলো হলো :

‘ক’ শ্রেণি বা অতি গুরুতর আহত, ‘খ’ শ্রেণি বা গুরুতর আহত ও ‘গ’ শ্রেণি বা আহত। তিন ক্যাটাগরিতে থাকা ব্যক্তিদের সবাই পরিচয়পত্র পাবেন।

কোন শ্রেণিতে কারা, যেসব সুবিধা থাকছে

প্রকাশিত গেজেটে ‘ক’ শ্রেণিতে অতি গুরুতর আহত ৪৯৩ জন জুলাই যোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। সরকারের প্রেস উইং জানিয়েছে, যাঁরা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবনযাপনে অক্ষম তাঁরা এই শ্রেণিতে রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে এককালীন পাঁচ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা এবং উপযুক্ত মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা পাবেন তাঁরা। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।

অন্যদিকে ‘খ’ শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন গুরুতর আহত ৯০৮ জন। পর্যাপ্ত চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে যেসব যোদ্ধার জীবনযাপন করতে অন্য ব্যক্তির আংশিক সহায়তা প্রয়োজন তাঁরা এই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। গুরুতর আহতরা এককালীন তিন লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি-আধাসরকারি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন তাঁরা।

সরকারের প্রেস উইং জানিয়েছে, ‘গ’ শ্রেণিতে আরো ১০ হাজার ৬৪৮ জন ‘আহত’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যাঁরা চিকিৎসার পর বর্তমানে সুস্থ। তবে ‘গ’ শ্রেণির তালিকাটি এখনো গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়নি। এই শ্রেণিতে আহতরা এককালীন এক লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া পুনর্বাসন সুবিধাও থাকছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর
ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয়, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে: জামায়াতের সেক্রেটারি
ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু
খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!
ম্যানসিটিতে যোগ দিলেন নতুন মেসি
একটি দল বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে বলে সতর্ক করেছেন তারেক রহমান
অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ