মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বায়ুদূষণে ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) থেকে সর্বশেষ তথ্যমতে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরী হচ্ছে ঢাকা। এয়ার ভিজ্যুয়াল প্রতি ঘণ্টায় বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরগুলোর বায়ুদূষণের তথ্য প্রদান করে থাকে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি, ২০২২ সালে ঢাকা শহর ছিল বায়ুদূষণের শীর্ষস্থানের শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইতিপূর্বে ২১ জানুয়ারি, ২০২১ সালে (সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা) চার ঘণ্টা জরিপে বেরিয়ে এসেছিল বিশ্বের বায়ু দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান প্রথমস্থানে। তার আগের দুই দিনও ঢাকার অবস্থান ছিল বায়ু দূষণে ১ নম্বর। ওই সময় শহরের বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল ৩২৬ পিএম। অপরদিকে গত ১০ জানুয়ারি ২০২০ সালে বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ৫০২ পিএম। বলে রাখা ভালো, বায়ু বিশারদের মতে ৩২৬ মানে হচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা। এয়ার ভিজ্যুয়ালের হিসেব মোতাবেক বায়ুর মান ০ থেকে ৫০ পিএম থাকলে ওই এলাকার মান ভালো। অন্যদিকে ২০০ থেকে ৩০০-এর মধ্যে বায়ুর মান থাকার মানে হচ্ছে খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। যা জরুরি অবস্থার মধ্যে পড়ে। ২০ জানুয়ারি ২০২২ সালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বায়ু সূচকের মান রেকর্ড করা হয় ২৬৯ পিএম। গত বছরের তুলনায় সামান্য মান ভালো হলেও ২৬৯ একিউআই স্কোর মারাত্মক অবস্থানে রয়েছে। যা শিশু এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক হুমকিই বটে। এমতাবস্থায় মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণে ঢাকার পরেই রয়েছে চীনের উহান শহর, সেখানকার স্কোর ২৩১। তৃত্বীয় স্থানে রয়েছে কাজাখস্থানের নূর সুলতান শহর, সেখানকার স্কোর ২২৯।

প্রচার মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবেশবিদেরা ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তারা ঢাকার বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, মোটরযানের কালোধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া, ধুলাবালি ও নির্মাণ কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়িকে দায়ী করেন। সমীক্ষায় জানা যায়, ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের প্রধান উৎস ইটভাটা থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড ও অক্সাইউ অব সালফার। যা নির্গত হওয়ার ফলে রাজধানীর প্রায় ৫৮ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটছে। এছাড়াও রোড ডাস্ট, সয়েল ডাস্ট ১৮ শতাংশ, যানবাহন ১০ শতাংশ, বায়োমাস পোড়ানো ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস ও শিল্প-কারখানার দূষিত ধোঁয়ার মাধ্যমে ঘটছে ৬ শতাংশ।বিশেষ করে ইটভাটা থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাবে ঢাকা এবং আশপাশের বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইটভাটার প্রভাবে ঢাকার আশপাশে তুলনামূলক বৃষ্টিপাতও কমে গেছে। ইটভাটার নির্গত ধোঁয়া আকাশের জলীয় বাষ্পকে দূরে ঠেলে দেওয়ার ফলে এতদ অঞ্চলের বৃষ্টিপাতে বিগ্ন ঘটছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ পরিচালিত যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার রাস্তার ধুলায় উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম, সিসা, দস্তা, ক্রোমিয়াম, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের উপস্থিতি রয়েছে প্রচুর। ফলে ঢাকায় বসবাসরত ২ কোটি মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত ৬ লাখ মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছেন। তার মধ্যে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন রোগে ভোগছেন। অনেকে আবার বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হেরেও যাচ্ছেন, তার পরেও রোগের কারণ বুঝতে সক্ষম হননি সর্বসাধারণ। তারা জানেন না, বায়ুদূষণের কারণে মানুষ শ্বাসজনিত সমস্যা, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, বড়দের তুলনায় শিশুরা ৩০ শতাংশ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষণায় জানা গেছে, মাটির কাছাকাছি বাতাসের সর্বনিম্ন স্তরে থাকে বিষাক্ত ধোঁয়াশা। শিশুরা উচ্চতায় খাটো বিধায় নিশ্বাসের সঙ্গে ওই ধোঁয়াশা দ্রুত ফুসফুসে প্রবেশ করায় রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের গবেষণায় জানা যায়, ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে বায়ুদূষণ। এছাড়াও প্রতিনিয়ত লিভার ক্যন্সারের ঝুঁকিও বাড়ছে বায়ুদূষণের কারণে। ২০১০ সালের এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা গেছে, বায়ুদূষণের ফলে ফুসফুস ক্যান্সারে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

শুধু ঢাকা নয়, বিশ্বের অধিকাংশ বড় শহরগুলো বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী বছরে ৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুও ঘটছে। এছাড়াও বায়দূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ১ বছর কিংবা তারও বেশি কমে যাচ্ছে। সমীক্ষায় জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা শহরে ৪৩৬ টন ধূলিকণা গাছ-গাছালির ওপরে জমছে। বিশেষ করে শুষ্কমৌসুমে গাছ-গাছালির ওপর ধূলার আস্তর বেশি জমছে। এ ছাড়াও রাস্তাঘাটে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে ধূলার আস্তর জমতে দেখা যাচ্ছে। যা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানব দেহে তাৎক্ষণিক প্রবেশ করে রোগব্যাধি ঘটিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা মানুষ বা ভূক্ষভোগীগণ তাৎক্ষণিক মালুম করতে পারছেন না। যার ফলে বিষয়টি অনেক সময় অগোচরে থেকে যাচ্ছে; অর্থাৎ রোগের উৎস জানতে পারেননি মানুষ। অথবা ধূলিকণার প্রভাবে যে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে তা অনেকেই আমলেই নেননি। বিষয়টি না জানায় তিনি সর্তক চলাফেরাও করেননি, করেননি মাস্কের ব্যবহারও। যার ফলে জটিল রোগে ভোগে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন অনেকেই।

উপরোক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হচ্ছে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে এই দূষণ থেকে উত্তরণের পদক্ষেপ নিতে হবে দ্রুত। ঢাকার আশপাশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিতে হবে দ্রুততার সাথে। শহরের রাস্তাগুলোকে শুষ্কমৌসুমে দিনে অন্তত ১/২ বার পানি ছিটিয়ে ধুলিদূষণ কমাতে হবে। সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন, না হলে দুই সপ্তাহ বাদে রাস্তার পাশের গাছপালাকে পানি দিয়ে ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যেটি করা হচ্ছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও। পাশাপাশি দায়ী বিষয়গুলোকে শনাক্ত করে নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে হয়তো শতভাগ সমাধান না হলেও খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসবে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরগুলোর বায়ুদূষণ। বলে রাখা ভালো, ধুলাবালি গাছগাছালিতে জমার কারণে যেন আবার শহরের বৃক্ষরোপন অভিযানে ভাটা না পড়ে সেটিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সুতরাং গাছগাছালি রক্ষা করে শহরের পরিচ্ছন্নতায় নজর দিতে হবে। তাহলে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পাবে আমাদের প্রিয় শহরগুলো, কেটে যাবে ঢাকা শহরের বদনামও। আর বিশ্বের কাছেও আমাদের মুখ উজ্জল হবে। কাজেই আমরা ঢাকা শহরসহ দেশের উল্লেখযোগ্য কিংবা বৃহৎ শহরগুলোকে ধূলিদূষণ মুক্ত রাখার চেষ্টা করব।

 

 

লেখক: পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক কলামিস্ট

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল