মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গণতন্ত্র বিকিয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে ভারতবর্ষে

ইংল্যান্ডে প্রায় তিন শ বছর আগে ম্যাগনা কার্টার আমলে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়। উদ্দেশ্য একটাই–জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য সরকার কাজ করবে। যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, সেসব দেশে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আয়ারাম-গায়ারাম হয়ে যায়। ১৯৬৭ সালে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলোর নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল–কংগ্রেস দল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

এই রাজ্যগুলোতে তাই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য আঞ্চলিক ছোট দলগুলো কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছিল; কিন্তু এসব সরকার অস্থায়ী হয়নি। বিহারে বিন্দ্যেশ্বরী মন্ডল তো মাত্র একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। আর কর্পুরী ঠাকুর ও অন্য কয়েকজনের স্থায়িত্ব ছিল অল্প কিছুদিন বা কয়েক মাস। যেহেতু এইসব সরকার স্থায়ী হয়নি, তাই পরবর্তীকালে যখন নির্বাচন হয়, তখন দেখা যায়, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওইসব রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে কংগ্রেস।

১৯৬৭ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে মেদিনীপুরের অজয় মুখার্জি একটি নতুন দল গঠন করেন, যার নাম ছিল বাংলা কংগ্রেস। বাংলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রণব মুখার্জি। বর্তমানে সেই দলের আর কোনো অস্তিত্বই নেই। যা-ই হোক বাংলা কংগ্রেস সেই ১৯৬৭ সালে বাম দলগুলোকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন অজয় মুখার্জি। তবে সেই সরকারের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৯ মাস। এরপর পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। ১৯৬৯ সালে ফের বামদলগুলোর সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় আসে বাংলা কংগ্রেস। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন অজয় মুখার্জি। সেই সরকার স্থায়ী হয় ১৩ মাস। ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ এই দুই সময়ের জোট সরকারেই অজয় মুখার্জির ডেপুটি, অর্থাৎ উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। এই দ্বিতীয় জোট সরকারও ভেঙে যায় মতপার্থক্যের কারণে।

১৯৭০ সালে অজয় মুখার্জি বামদের ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কোয়ালিশন করেন। তৃতীয় দফায় অজয় মুখার্জি মুখ্যমন্ত্রী হন। এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হন কংগ্রেসের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বিজয় সিং নাহার। এরপর শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে এই সরকার সামলাতে পারবে না মনে করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেন। বাংলাদেশের মানুষদের ঠিকভাবে খাওয়া, পরা ও চিকিৎসার সংস্থান করার জন্য তিনি ত্রাণ শিবির চালু করেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। এরপর একসময় মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয় বাংলাদেশের। এর অব্যবহিত পরই ১৯৭২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্ধার্থ শংকর রায়।

এ তো গেল পুরনো ইতিহাস। এবার আমরা চোখ ফেরাব ভারতে আগামী দু মাসে যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে সেদিকে। এই পাঁচটি রাজ্য হলো–গোয়া, মনিপুর, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড। বঙ্গেশ্বরী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিগত নির্বাচনে জয়ের পর থেকেই তার আঞ্চলিক দলটিকে সর্বভারতীয় রূপ দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি এই উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে গোয়ায় গিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে লোক ভাঙিয়ে নিজের দলকে শক্তিশালী করছেন। সে রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর পাণ্ডে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রখ্যাত সাংবাদিক শ্রীনিবাস জৈন ৪৫ মিনিট ধরে ইন্টারভিউ করেন প্রশান্ত কিশোরকে। সঞ্চালক শ্রীনিবাস জৈনের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই প্রশান্ত কিশোরের আসল রূপটি বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, দিদি আমাকে তিন রাজ্য–গোয়া, মেঘালয় ও মনিপুর থেকে কংগ্রেসের লোক ভাঙিয়ে আনার অনুরোধ করেছিলেন। গোয়ার ব্যাপারে বঙ্গেশ্বরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করে বলেছিলেন, সে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চায় তৃণমূল। এ কথা বলার পাশাপাশি তিনি আবার কংগ্রেস থেকে দল ভাঙিয়ে লোক আনার চেষ্টাও করতে থাকেন।

এ ব্যাপারে গোয়ায় কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদম্বরম স্পষ্ট করে বলেছেন, তৃণমূল গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙানোর খেলায় নেমেছে। চিদম্বরমের বক্তব্য, এ কারণেই গোয়া বিধানসভার ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়া এগোয়নি। গত সপ্তাহেই গোয়ায় নির্বাচনী জোট না হওয়ার জন্য কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে রোববার (২৩ জানুয়ারি) চিদম্বরম অভিযোগ করেন, তৃণমূল জোটের প্রস্তাব দিয়েছিল ঠিকই; কিন্তু পাশাপাশি কংগ্রেস ভাঙানোর কাজও শুরু করে। কোনো কোনো মহল থেকে শোনা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী তৃণমূলকে কয়েক লাখ ডলার এবং ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি শিল্প কারখানার অংশীদার হতে চলেছেন। সেই ব্যবসায়ীর টাকাতেই তৃণমূলের এই রমরমা অবস্থা।

যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনে হবে, তার মধ্যে বৃহত্তম হলো উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্য বিধানসভার আসনসংখ্যা ৪০৩। উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসকে হারানোর জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি মমতা উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছেন বলে তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে। কংগ্রেস মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে তাদের অনুরোধেই মমতা কংগ্রেসকে হারাতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

শুধু তা-ই নয়, আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যদি নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা না পায় তাহলে তৃণমূল তাদের সমর্থন করতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। গোয়ায় কংগ্রেস বিধায়ক লুইজিনহো ফেলেইরোকে দলে নিয়ে নেয় তৃণমূল। আরও দুজনকে কংগ্রেস প্রার্থী করার পরেও তাদের নিজেদের দলে টেনে নেয়।

দল ভাঙানোর এই খেলা প্রসঙ্গে একটু অতীতের কথা বলতে হয়। কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নিজের দল গড়েন, সে সময় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ২০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমন কথাই শোনা যায় বিজেপি মহলে। আর এর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মমতা বিজেপি বাংলায় জায়গা করে দেন। বিজেপির সঙ্গে জোট করে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন। ফলে পশ্চিমবঙ্গে খাতা খোলে বিজেপি। সরাসরি দল না ভাঙিয়েও টাকা দিয়ে গণতন্ত্রকে কিনে নিয়েছিল বিজেপি। আর টাকার লোভেই বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বাংলায় ডেকে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–এমন অভিযোগও রয়েছে।

আজও সেই টাকার খেলাই চলছে। বিজেপির মতোই এ খেলায় দক্ষ বঙ্গেশ্বরীর দলও। গোয়ার পার্শ্ববর্তী রাজ্য মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউথ প্রশ্ন তুলেছেন, গোয়ায় তৃণমূল এত লোককে কিনছে, এত খরচ করছে কার টাকায়?

এভাবে দল ভাঙিয়ে, টাকা ছড়িয়ে লোক কেনা এবং নীতিহীনতার রাজনীতি চলছে দেশজুড়ে। যার সূচনা করেছিল বিজেপি, আর বর্তমানে সেই ধারা সফলভাবে বহন করে চলেছে বিজেপিরই রাজনৈতিক দোসর মমতার তৃণমূল। এভাবে গণতন্ত্রকে বিকিয়ে দেওয়া রাজনীতি ভারতবর্ষ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশে বোধহয় পাওয়া যাবে না।

লেখক: ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চ্যানেলটির স্ক্রলে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ক্রলে উল্লেখ করা হয়, “অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় দীপ্ত টিভির এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে খুব শিগগিরই সংবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা