মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শাহ এ এম এস কিবরিয়া: এক নক্ষত্রের অস্বাভাবিক প্রয়াণ

শাহ এ এম এস কিবরিয়া। সাবেক অর্থমন্ত্রী। এটা তাঁর শেষ পরিচয়। তাঁর নামের আগে আরও অনেক পরিচয় আছে। সেগুলো না হয় অন্য এক সময় লিখা যাবে।

তাকে নিয়ে আমার একটা অম্ল-মধুর অভিজ্ঞাতা আছে। আজ শুধু সেই অংশটুকুই স্মৃতির পাতা থেকে তুলে আনতে চাই প্রিয় পাঠকদের জন্য। কিবরিয়া ভক্তদের জন্য।

২০০১ সাল। তখন কাজ করি বিখ্যাত সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত চৌধুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক ২০০০-এ। সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে চষে বেড়াই বৃহত্তর সিলেটের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। আজ হবিগঞ্জের বাল্লা সীমান্তে, কাল হয়ত ছুটে যাই মৌলভীবাজারের বটুলি সীমান্তে। কিংবা পরের সপ্তাহেই সুনামগঞ্জের কালনী পাড়ের দুর্গাপাশা গ্রামে। অথবা সিলেট শহর থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরের তামাবিল সীমান্তে, খাসিয়া পল্লীতে। এই ছুটে চলার পিছনে উদ্দেশ্য খবরের পিছনের খবর নিয়ে আসা। এটাই ছিল আমার এক এবং অদ্বিতীয় কাজ।

তুমুল উৎসাহে আর তীব্র গতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যেই চলে আসে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই বছরের ১ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতি সপ্তাহেই সাপ্তাহিক ২০০০-এ নির্বাচন কেন্দ্রিক রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে। বৃহত্তর সিলেটের ১৯টি আসন নিয়ে আমিও রিপোর্ট করছি। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে যেসব ভিআইপি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য সিলেটের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছি নিয়মিত।

বিশেষ করে হবিগঞ্জ-৩(হবিগঞ্জ সদর-লাখাই), মৌলভীবাজার-১(বড়লেখা), মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া), মৌলভীবাজার-৩(রাজনগর ও মৌলৌভীবাজার সদর), মৌলভীবাজার-৪(শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ), সিলেট-১(সিলেট সদর-কোম্পানিগঞ্জ) এবং সুনামগঞ্জ-৩(জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কাজ ছিল সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ।

২০০১ সালের সেই নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছিলেন তৎকালীন সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বিএনপি তথা চার দলীয় জোটের আবুল লেইছ মো. মুবিন চৌধুরী। সঙ্গত কারণেই এই আসনটি ভিআইপি আসনের মর্যাদা লাভ করে। যেহেতু কিবরিয়া সাহেব প্রার্থী, সে কারণেই এর গুরুত্ত্ব ছিল অন্যরকম। স্থানীয় ভোটার ও জনসাধারণের কাছে যেমন আসনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, তেমনি গণমাধ্যমের কাছে এটি ছিল অধিক গুরুত্ত্বপূর্ণ আসন। সবার চোখ ছিল কিবরিয়ার আসনের দিকে।

১৯৯৬ থেকে-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশের মানুষ স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরেছিল। বিশেষ করে মোটা চালের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা। আরও নানান কারণে আওয়ামী লীগের অবস্থান বেশ ভালো ছিল। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগের ওই মেয়াদেই দেশের সাত-আটটি জেলায় কিছু নেতার বেপরোয়া আধিপত্য আওয়ামী লীগের শাসনকে বেশ বিতর্কিত করে ফেলে। বলা যেতে পারে ওই নেতারা আওয়ামী লীগের জন্য অনেকটা ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে উঠেছিলেন। এসব কারণে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পুনরায় জয়ের সম্ভাবনা যতটুকু ছিল তার চেয়ে বেশি শংকা ছিল পরাজয়ের। আওয়ামী লীগের ওই সময়ের শাসনামলের ভালো কাজগুলো ঢাকা পড়ে গিয়েছিল এসব কারণে। সে আরেক আলোচনা।

যাক, ২০০১ এর সেই নির্বাচনে ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠা হবিগঞ্জ সদর আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ এ এম এস কিবরিয়া এবং বিএনপি প্রার্থী আবুল লেইছ মো. মুবিন চৌধুরী'র সাক্ষাৎকার নেওয়ার অ্যাসাইনমেন্ট দিলেন সাপ্তাহিক ২০০০ এর প্রধান প্রতিবেদক গোলাম মোর্তোজা। সেই অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে গেলাম হবিগঞ্জে।

কনকনে শীতের রাত। হবিগঞ্জের একটি আবাসিক হোটেলে সাময়িক বসতি গাড়লাম। প্রথম দিনেই বিএনপি প্রার্থী আবুল লেইছ মো. মুবিন চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নেওয়া শেষ। তারপরই শুরু করলাম কিবরিয়া সাহেবের সাক্ষাৎকার নেয়ার মিশন। কিন্তু কোনভাবেই এই ভিআইপি প্রার্থীকে ধরতে পারছি না।

ওই সময়ে প্রথম আলোর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান নিয়ন আমাকে যারপরনাই সহযোগিতা করলেন। আশ্বস্ত করে বললেন, কোন সমস্যা নাই। সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। তার কথায় আশ্বস্ত হলাম। তিনি আমাকে দিনে-রাতে সঙ্গ দিলেন কিবরিয়া সাহেবের নাগাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে।

কিবরিয়া সাহেব নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। ভোর রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাইয়ের গ্রাম থেকে গ্রামে। এক গঞ্জ থেকে আরেক গঞ্জে। উঠান বৈঠক করছেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। গণসংযোগ করছেন দিনে রাতে। নিয়ন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কিবরিয়া সাহেবের অবস্থান জানার চেষ্টা করছেন। সেই অবস্থানে ছুটে যাচ্ছি নিয়নের মোটরবাইকের পিছনে বসে। কিন্তু যখনই একটা স্থানে যাচ্ছি, গিয়ে জানতে পারছি কিবরিয়া সাহেব কিছুক্ষণ আগে তার বহর নিয়ে আরেক গ্রামে চলে গেছেন কিংবা গঞ্জে গেছেন।

শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিন রাত পৌনে চারটার দিকে কিবরিয়া সাহেবের নির্বাচনী প্রচারবহরকে অনুসরণ করে হাজির হলাম তাঁর শহরের বাসায়। তিনি ঢুকলেন। তার পিছনে শত শত নেতাকর্মী। আছেন অনেক সাধারণ মানুষও। তিনি নিজের ড্রয়িং রুমে ঢুকার পর আমি ও নিয়ন গেলাম সেই কক্ষের দিকে।

লোকে ভর্তি সেই কক্ষ। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নিয়ন সালাম দিলেন, সঙ্গে আমি। তখনই নিয়ন নিজের পরিচয় দিয়ে আমাকে পরিচয় করে দিয়ে বললেন, বিপুল সাপ্তাহিক ২০০০-এ কাজ করেন। তিনি আপনার একটা সাক্ষাৎকার…

এ কথা শেষ করতে পারেননি নিয়ন। সঙ্গে সঙ্গেই অনেকটা রেগে গিয়ে শাহ এ এম এস কিবরিয়া বললেন, চলে যান আমি সাপ্তাহিক ২০০০ কে কোন সাক্ষাৎকার দেবনা। ওরা আমার বক্তব্য সব সময় বিকৃত করে ছাপে। টুইস্ট করে। আবারও বললেন, চলে যান।

আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকলাম। পাশে থাকা নিয়ন আমাকে ধীরে ধীরে বললেন, চলেন যাই। সাক্ষাৎকার দিবেন না। আমি তাকে বললাম, আমি সাক্ষাৎকার না নিয়ে যাব না। মিনিট কয়েক পর দরজার সামনে থেকেই আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম, স্যার আমি আপনার এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছি। আপনার সাক্ষাৎকারটা আমার লাগবে। আপনি যা বলবেন তাই লিখব। একটা শব্দও এদিক সেদিক হবে না। আপনি আমাকে সাক্ষাৎকারটা দেন।

কিছুটা সময় নিরব থেকে এম এস কিবরিয়া বললেন, আমি একটু আগে যা বলেছি সেগুলো ছাপতে পারবেন? যে, 'সাপ্তাহিক ২০০০ কিবরিয়ার বক্তব্য কখনই সঠিকভাবে ছাপে না। সব সময় বিকৃত করে ছাপে।'

কোন কিছু না বুঝেই দায়িত্ব নিয়ে বললাম, জ্বি স্যার, আপনার সাক্ষাৎকারের শুরুতেই এই বক্তব্য ছাপা হবে।

তারপর কিবরিয়া সাহেব তাঁর পাশে বসিয়ে আমাকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিলেন। প্রথমেই বললেন, আপনি অর্থনীতি বুঝেন? বললাম, স্যার আপনি বুঝিয়ে দিলে বুঝব। অত্যন্ত চমৎকার করে প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলতে থাকলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত সেগুলো শুনে গেলাম।

বললেন, জানেন আমি কিভাবে মানুষকে ১০টা কেজি দরে চাল দিতে পারি? কেন মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে? হবিগঞ্জের মানুষ কেন তাকে নির্বাচিত করবে? এরকম আরও অনেক বিষয়।

প্রশ্ন করেছিলাম যদি আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয় তাহলে হবিগঞ্জে… প্রশ্নটা শেষ করতে পারিনি। কিবরিয়া সাহেব জবাব দিলেন, বৃহত্তর সিলেটের অন্য তিন জেলায় যদি একটি আসনও আওয়ামী লীগ জিততে না পারলেও হবিগঞ্জের চারটি আসন আওয়ামী লীগ জিতবে। তার সেই কথা সত্য হয়েছিল। হবিগঞ্জে চারটি আসনেই জিতেছিল আওয়ামী লীগ।

ফজরের আযান শেষ হতে চলছে। কিবিরয়া সাহেব একের পর এক কথা বলা যাচ্ছেন। যিনি এক ঘণ্টা আগেও সাপ্তাহিক ২০০০ কে সাক্ষাৎকার দিতে চাননি। তিনি দিব্যি কথা বলে যাচ্ছেন। আর আমি সেই কথা শুনে যাচ্ছি গভীর মনযোগের সঙ্গে।

এতো সুন্দর করে, বিনয়ের সঙ্গে একজন মানুষ কথা বলতে পারেন। কিবরিয়া সাহেবের সঙ্গে দেখা না হলে, তার কাছাকাছি না পৌঁছতে পারলে সেই সুন্দর, ও বিনয় থেকে সত্যিই বঞ্চিত হতাম।

গতকাল ছিল শাহ এ এম এস কিবিরয়ার মৃত্যু বার্ষিকী। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে দলীয় এক সমাবেশে যোগ দিতে গেলে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব সাবেক এই অর্থমন্ত্রী। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রাজধানীতে পৌঁছতে পৌঁছতেই ওপারে পাড়ি জমান দেশের উজ্জ্বল এই নক্ষত্র।

আজও তার হত্যার বিচার শেষ হয়নি। তার এই অস্বাভাবিক প্রয়াণের দিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। একই সঙ্গে শুধু একটাই চাওয়া দ্রুত বিচার সম্পন্ন হোক। প্রকৃত অপরাধীদের সাজা হোক।

লেখক- সাংবাদিক

/এএস

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল