বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রোহিঙ্গা সংকট ও তার সমাধানে করণীয়

পর্ব-১

আজকে রোহিঙ্গা সমস্যা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটি আমাদের দেশে একটি বিরাট সমস্যা। এটি মানবিক বিচারের দিক থেকে যেমন একটি বিরাট সমস্যা, নিরাপত্তার দিক থেকে এমনকি কৌশলগত দিক থেকেও একটি বিরাট সমস্যা। তার কারণ হলো, প্রায় দশ লাখ মানুষ এ যাত্রায় বাংলাদেশে এসেছে। তারা সাংঘাতিক রকম নিগ্রহের শিকার হয়ে আমাদের দেশে এসেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী, শিশু এবং দুস্থ মানুষ।

মিয়ানমারে ‘আরসা’ নামে একটি সংগঠন ভুক্তভোগীদের আক্রমণ করে। ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট যখন আক্রমণ শুরু হয় সেদিন জাতিসংঘের প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল কফি আনান মিয়ানমারের জাতিগত সমস্যার সমাধানের উপর একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন। মিয়ানমার সরকার কফি আনান কমিশনকে এ বিষয়ে অবহিত করিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত মিয়ানমারের কিছু বোদ্ধা মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই বিষয়ে তারা সুপারিশ করেছিলেন যে, রোহিঙ্গাসহ অন্য জাতি গোষ্ঠীগুলোর যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানে মিয়ানমার সৃজনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো তৈরি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তাদের সমস্যার মানবিক যে দিকগুলো আছে তা দেখতে হবে। রাজনৈতিক দিক যেগুলো আছে তা দেখতে হবে এবং দেখতে হবে অর্থনৈতিক বিষয়।

এখানে যে কথাটি বলে রাখতেই হবে যে, রাখাইন জনগোষ্ঠী সব থেকে অনুন্নত, সবচেয়ে অশিক্ষিত এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল একটি জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের যে নেতিবাচক ধারণা তা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। যার ফলে ২০১২ সালে সেখানে একটি বড় ধরনের রায়ট হয়েছিল। তখন কিছু মানুষ আমাদের এখানে পালিয়ে এসেছিল। ২০১৬ সালে হয়েছিল, তখনও কিছু লোক পালিয়ে এসেছিল। ২০১৭ সালে সামরিক বাহিনী এবং মিয়ানমার সরকার প্রচণ্ডভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ করেছিল। সেখানে গণহত্যা থেকে শুরু করে জাতিসংঘ যেটি বলছে আন্তর্জাতিকভাবেও যা স্বীকৃত, সেখানে অন্যায়-অত্যাচার, ধর্ষণ-নির্যাতন হয়েছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের সেখানে টিকে থাকাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছে। সেই আশ্রয়ের সূত্র ধরেই আমরা প্রায় পাঁচ বছর সময় পার করেছি। আমরা যখন আশ্রয় দিয়েছিলাম তখন আমাদের একটা ধারণা ছিল এবং এই ধারনা এখনও আছে যে, এরা সাময়িকভাবে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে। সেখানকার অবস্থার পরিবর্তন হলে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদে নিজেদের সম্মান নিয়ে নিজেদের অধিকার নিয়ে নিরাপদে ফিরে যেতে পারবে। এখানে আরও একটি বিষয় যুক্ত করা অনুচিত হবে না যে, মিয়ানমার সরকার যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার আগেই অনেকগুলো ঘটনা ঘটিয়েছে।

এভাবে মিয়ানমার সরকার তাদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে এবং সবশেষে তারই প্রক্রিয়াস্বরূপ রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়ার কৌশলটি তারা ব্যবহার করেছে। আমরা মানবিক বিচারে সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি এবং পরবর্তীতে আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধুরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানবিক উদ্যোগকে তারা সমর্থন করেছে। আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেটি আর্থিকভাবে, কূটনৈতিকভাবে, অন্যক্ষেত্রেও তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

ঘটনাটি যখন ঘটেছে তখন আন্তর্জাতিক মহলগুলো ব্যপকভাবে নিন্দা করেছিল এবং ধারণা করা হয়েছিল মিয়ানমার সরকার তাদের ভুলটা বুঝতে পারবে এবং এই জনগোষ্ঠীকে তারা সরিয়ে নিয়ে যাবে। ২০১৭ সালের আগস্টে যখন এই ঘটনাটি ঘটে, আন্তর্জাতিকভাবেও যখন মিয়ানমার সরকার চাপের মুখে ছিল তখন মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে নভেম্বর মাসে দ্বিপাক্ষিক এরেঞ্জিং ব্যবস্থা করে আন্তর্জাতিক মহলে দেখাতে চেয়েছিল যে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু পরপর দুইবার উদ্যোগ নেওয়ার পরেও আমরা একটি মানুষকে এখান থেকে পাঠাতে পারিনি। তার প্রধান কারণ হচ্ছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রধান যে দুটি অভিযোগ রয়েছে তা হলো, সেখানে থাকা মানুষগুলোর বাড়িঘর তারা শুধু ধংস করেনি, বাড়িঘরের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে দিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ফাইন্ডিং কমিটি তারা সকলে বলছে মিয়ানমারের এই বিষয়টি অমানবিক এবং মানবতাবিরোধী কাজ।

এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা যে কবে যাবে তার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির জায়গা তৈরি করা, সে বিষয়েও তারা কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। আমাদের দিক থেকে আমরা যথেষ্ট পরিমাণে উদ্যোগ নিয়েছি কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। যার ফলে আমরা ভুক্তভোগী হচ্ছি বিভিন্নভাবে। একটি হচ্ছে নিরাপত্তা সংকট দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে সেখানে তাদের এক নেতাকে গুলি মেরে ফেলা হয়েছে। ক্যাম্পে খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে। তারপর আরও আটজনকে মারা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িয়ে পড়ছে। যার মধ্যে ইয়াবা পাচার, মানব পাচার ইত্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ এমনিতে জনবহুল দেশ। সেক্ষত্রে জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে আমরা নিজেরাই নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছি। তারমধ্যে আমাদের এই ছোট্ট জায়গায় থেকে প্রায় দশ লাখ মানুষ যদি এমন বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সেটি আমাদের জন্যও বড় ধরনের আইনী জটিলতায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। যা আমরা কখনও চাইনি। আরও একটি বিষয় হচ্ছে এরা যখন এসেছিল তখন যারা ছিল শিশু এখন তারা কিশোর অথবা তরুণ। এরা যে নৃশংসতা দেখে এসেছে এবং নৃশংসতা এখনও তাদের মধ্যে সজীব এবং সেই স্মৃতিটা নিয়েই তারা আছে। ভয়ের কারণ হচ্ছে, তারা তরুণ হওয়ার ফলে যদি সেই প্রতিশোধমূলক মানসিকতার বশবর্তী হয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কিছু করতে চায় অথবা তারা যদি অন্য ধরনের সমস্যা যেমন জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। কাজেই একদিকে নিরাপত্তাসহ নানা জটিলতার আশংকা আছে। বিশেষ করে এই দশ লাখ মানুষ সেখানে থাকার পর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের একটি সংঘাতের আশংকা রয়েছে এবং সেটি ক্রমে বর্ধিত হচ্ছে। তাছাড়া এই মানুষগুলোকে ভরণপোষণের একটি খরচ আছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক একটি চাপের মধ্যে আছে। সেই জায়গাতে আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধুরা আমাদের সহযোগিতা করছে।

এই রক্ষণাবেক্ষণে অনেকগুলো কাজ আমাদের করতে হয়। যেগুলো আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সমস্যাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং এই সমস্যাটির নেতিবাচক বোঝাটি অনেকদিন ধরে বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। যে কারণে আমরা বরাবরই বলছি এই সমস্যাটি বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং বাংলাদেশ সাময়িকভাবে এই সমস্যাটি বইছে এবং কোনভাবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হোক আমরা চাই না। এই সমস্যা সমাধানে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগও দেখতে পারছি। আমরা তাদের থেকে নৈতিক সহযোগিতা পাচ্ছি। কিছুটা অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাচ্ছি এবং জাতিসংঘের আওতায় আমাদের উন্নয়ন সহযোগী যারা আছে তারা আমাদের অর্থ সংস্থান দিচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা বলব যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মোটামুটিভাবে অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সঙ্গে আছে। কূটনৈতিকভাবেও কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে আছে। প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক মহল রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যায়, মিয়ানমার যেন তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে সেটি তারা চায়।

আন্তর্জাতিক আদালতেও মিয়ানমারে যে গণহত্যা করেছে তার বিরুদ্ধে ওআইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে একটি মামলা করেছে। এই মামলার ক্ষেত্রে তারা আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। তারা যেটি বলেছে তা হলো, এখনও যা চলছে সেটি বন্ধ করতে হবে এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে উপযুক্ত সাজা দিতে হবে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষমতা ব্যবহারের জন্য যে টুলস অথবা পর্যাপ্ত মাল-মশলা দরকার হয় সেক্ষত্রেও তারা কিন্তু এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারেনি অথবা বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেনি। তার প্রধান কারণ হলো, জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে আমাদের যারা বন্ধু আছে, যেমন চীন, রাশিয়া ইত্যাদি দেশও কিন্তু এর স্বপক্ষে শক্তিশালীভাবে দাঁড়াচ্ছে না। ফলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ ব্যাপারে শক্ত কোনো ভূমিকা নিতে পারছে না।

চলবে......

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত।
অনুলিখন: শেহনাজ পূর্ণা

এসপি/এএন/এএস

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া