বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নাগরিক সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয় তা প্রমাণিত

বিতর্কটা তুমুল ও বিষয়টাও তুচ্ছ নয়। দেশের স্বাধীনতা, খাওয়া-পরার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোনটা বড় আর কোনটা ছোট এই নিয়ে চলছে বিতর্ক। যদি প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি প্রয়োজনীয়?

উত্তর দেওয়াটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। কঠিন কারণ প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্নও আসবে কার স্বাধীনতা ও কার নিরাপত্তা। একের স্বাধীনতা অন্যের নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন করে তোলে কি না? স্বাধীনতার সীমা এবং নিরাপত্তার মাপকাঠি কী হবে? আইন করে নিরাপত্তা সুরক্ষিত হবে নাকি স্বাধীনতাকে সংকুচিত করা হবে? বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বলতে কী বোঝায়? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কাকে নিরাপত্তা দেবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাম্প্রতিক প্রয়োগ নিয়ে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আশঙ্কা, আতঙ্ক ও আলোচনা তো কম হলো না। আইন প্রণয়নের সময় থেকেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলেছিলেন এবং এখনো বলছেন এই আইনের অপপ্রয়োগ হবে না এবং আইনটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। গত বছর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে না। (সমকাল, ২১ মে ২০২২)। এতেই স্বস্তি ফেরেনি। কারণ আইনটা এমন যে এর প্রয়োগটাও ভয় ধরাতে পারে। বাস্তব উদাহরণ প্রমাণ করে যে এই আইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ফেসবুক পোস্ট ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৪২৬টি মামলা বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) দেখিয়েছে যে, এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯১৩ জনকে। তাদের মধ্যে ১১ শতাংশের বেশি রাজনীতিবিদ এবং ১০ শতাংশের বেশি সাংবাদিক। এসব মামলায় আটক হয়েছেন ২৭৩ জন, যাদের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ হচ্ছেন সাংবাদিক। গবেষণা থাকে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যায়, রাজনীতিবিদরা বেশি অভিযুক্ত হলেও আটকের তালিকায় সাংবাদিকরাই আছেন বেশি।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদের বিরুদ্ধে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রেস কাউন্সিলে যেমন যেতে পারেন আবার মানহানিকর কোনো বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য দণ্ডবিধিতেই (৪৯৯ ধারা) বিধান রয়েছে। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হওয়ার পর থেকে কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ বা সমালোচনামূলক এমনকি ইঙ্গিতপূর্ণ বা রসিকতামূলক ফেসবুক পোস্টদাতার বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন সব ব্যক্তি মামলা করছেন, যারা সরাসরি ওই সংবাদ ও ফেসবুক পোস্টের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নন।

এই আইনের সবচেয়ে বড় ভয় এবং যে দুর্বলতা (অনেকের ধারণা তা রাখা হয়েছে সচেতনভাবেই) সেটা হলো এই আইনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’র কোনো সংজ্ঞা নেই। ফলে রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক অন্য যেকোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করতে পারছেন এবং এ আইনের এমনই ক্ষমতা যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এমনকি মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ফেলছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা সরকারের অসন্তুষ্টির কারণ ঘটে এমন কোনো সংবাদ বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ প্রতিরোধ করাই যেন এই আইনের লক্ষ্য। অর্থাৎ নাগরিকের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা বলা হলেও এই আইনের প্রধান লক্ষ্য যে সেটি নয়, তা বেশকিছু ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা সংবাদ মাধ্যম বা গণতন্ত্রের পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।

ঘটনা যা ঘটে তা বলা বা লেখা কী বিপদের কারণ হবে? সিজিএস এর 'দ্য আনএন্ডিং নাইটমেয়ার: ইমপ্যাক্টস অব বাংলাদেশ'স ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ২৬ মাসে এই আইনের অধীনে ৮৯০টি মামলায় দায়ের হয়। প্রতি মাসে গড়ে ৮৬ জনের বেশি মানুষসহ ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’ ‘দ্য গ্লোবাল ফ্রি এক্সপ্রেশন রিপোর্ট-২০২২’ এর প্রতিবেদন অনুসারে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায়’ সবচেয়ে তলানিতে থাকা ৫টি দেশের একটি। স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার এটাই বাস্তব চিত্র!

যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের আবেগ এবং গর্ব সেই যুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বা ফিরে এসেছিলেন বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন-আশার জায়গা ছিল অভিন্ন। সবারই প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তা হবে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাধীন দেশে শোষণমুক্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে, প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, নিরাপত্তা থাকবে জীবন ও সম্পদের।

সেই স্বপ্ন-আশার যেটুকু অর্জিত হয়েছে, যেটুকু হয়নি, না হলে কেন হয়নি দেশ স্বাধীনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে এসব প্রশ্ন জনগণের মনে আসাটাই তো স্বাভাবিক। সেই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে আবেগ তৈরি হওয়াটাও তো স্বাভাবিক! সেই আবেগ প্রকাশকে যদি স্বাধীনতার প্রতি কটাক্ষ আর ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে স্বাধীনতা আর পরাধীনতার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ হবে কীভাবে?

ভোট ও ভাতের লড়াই এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এত উন্নয়নের পরও মানুষের পেটে ভাতের অবস্থা কী? গত ২৯ মার্চ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম তাদের এক গবেষণায় উল্লেখ করে, ‘প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ৭১ শতাংশ পরিবার। গত ছয় মাসে তাদের জীবিকার খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। একবেলা না খেয়ে থাকছে ৩৭ শতাংশ নিম্নআয়ের পরিবার। ৭৪ ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবার ধার করে চলছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষ ব্যাপকভাবে খরচ কমিয়েছে। পোশাক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য।'

শাসক দলের কর্তা ব্যক্তিরা সবসময় বলতে পছন্দ করেন যে তাদের আমলে যে উন্নতি হচ্ছে তা বিগত কোনো আমলেই হয়নি। কথা তো সত্য। কারণ আগে যা হয়েছে তাতো আর হওয়ার উপায় নেই। এখন যা হবে সব তো নতুনই হবে। ফলে সফলতার শ্লাঘা থাকবেই। কিন্তু এই আলোচনাও তো থাকতে হবে যে আর কী কী হতে পারত। কেন হলো না সেই প্রশ্ন এবং সমালোচনাও তো থাকবে। ক্ষমতায় থাকলে সমালোচনা হবে, কেউ করবেন ভালোর জন্য আবার কেউ করবেন ত্রুটি দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য। কিন্তু সমালোচনাটাই হবেই এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে সমালোচনা করতেই হবে। আর গণতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা না হলে সমালোচনা সহ্য করা সম্ভব হয় না সেটা তো জানা কথা। কিন্তু জনগণ স্বাধীনতা চাইবে তার স্বপ্নের কথা, তার স্বপ্নভঙের কথা বলার জন্য আর নিরাপত্তা চাইবে তার স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কোনো নিরাপত্তা আইন যদি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে তখন প্রতিবাদ করেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!

২৮ জানুয়ারি থেকে চলবে না ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

পেনশন ও নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তারা বারবার সময় চাইছে। আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে সভায় আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।

ময়মনসিংহ স্টেশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ।

মো. মজিবুর রহমান বলেন, রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

চট্টগ্রাম বটতলী পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।  

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না। 

অবশ্য এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি

কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবার জানাজা। ছবি: সংগৃহীত

কোটি বাঙালির প্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান শোকাহত। তার বাবা মো. মাহবুব আলী খান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই রাজিউন)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এ শোকাবহ মুহূর্তে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। জানাজার মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায় শিল্পী মনির খানের আইফোন এবং তার ছেলের মোবাইল ফোন। গায়ক মনির খান নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবা মো. মাহবুব আলী খানের সঙ্গে মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

মাহবুব আলী খানকে পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রিয় বাবা হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মনির খান, এমন অবস্থাতেই চুরির এই ঘটনা তার জন্য দুঃখজনক।

মনির খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ১৯৯৬ সালে তার *তোমার কোন দোষ নেই* অ্যালবামটি প্রকাশের পরই তিনি সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেন। তার কণ্ঠে প্রায় সব গানই শ্রোতাদের হৃদয়ে দাগ কাটে, বিশেষ করে 'তোমার কোন দোষ নেই' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকে একের পর এক হিট অ্যালবাম এবং সিনেমার গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একক অ্যালবাম এবং তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন মনির খান। তার সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। 'অঞ্জনা' খ্যাত এই শিল্পী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল 'মনির খান' ও 'এমকে মিউজিক 24' থেকে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি, যা তার ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!