সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নাগরিক সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয় তা প্রমাণিত

বিতর্কটা তুমুল ও বিষয়টাও তুচ্ছ নয়। দেশের স্বাধীনতা, খাওয়া-পরার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোনটা বড় আর কোনটা ছোট এই নিয়ে চলছে বিতর্ক। যদি প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি প্রয়োজনীয়?

উত্তর দেওয়াটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। কঠিন কারণ প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্নও আসবে কার স্বাধীনতা ও কার নিরাপত্তা। একের স্বাধীনতা অন্যের নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন করে তোলে কি না? স্বাধীনতার সীমা এবং নিরাপত্তার মাপকাঠি কী হবে? আইন করে নিরাপত্তা সুরক্ষিত হবে নাকি স্বাধীনতাকে সংকুচিত করা হবে? বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বলতে কী বোঝায়? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কাকে নিরাপত্তা দেবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাম্প্রতিক প্রয়োগ নিয়ে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আশঙ্কা, আতঙ্ক ও আলোচনা তো কম হলো না। আইন প্রণয়নের সময় থেকেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলেছিলেন এবং এখনো বলছেন এই আইনের অপপ্রয়োগ হবে না এবং আইনটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। গত বছর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে না। (সমকাল, ২১ মে ২০২২)। এতেই স্বস্তি ফেরেনি। কারণ আইনটা এমন যে এর প্রয়োগটাও ভয় ধরাতে পারে। বাস্তব উদাহরণ প্রমাণ করে যে এই আইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ফেসবুক পোস্ট ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৪২৬টি মামলা বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) দেখিয়েছে যে, এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯১৩ জনকে। তাদের মধ্যে ১১ শতাংশের বেশি রাজনীতিবিদ এবং ১০ শতাংশের বেশি সাংবাদিক। এসব মামলায় আটক হয়েছেন ২৭৩ জন, যাদের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ হচ্ছেন সাংবাদিক। গবেষণা থাকে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যায়, রাজনীতিবিদরা বেশি অভিযুক্ত হলেও আটকের তালিকায় সাংবাদিকরাই আছেন বেশি।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদের বিরুদ্ধে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রেস কাউন্সিলে যেমন যেতে পারেন আবার মানহানিকর কোনো বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য দণ্ডবিধিতেই (৪৯৯ ধারা) বিধান রয়েছে। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হওয়ার পর থেকে কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ বা সমালোচনামূলক এমনকি ইঙ্গিতপূর্ণ বা রসিকতামূলক ফেসবুক পোস্টদাতার বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন সব ব্যক্তি মামলা করছেন, যারা সরাসরি ওই সংবাদ ও ফেসবুক পোস্টের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নন।

এই আইনের সবচেয়ে বড় ভয় এবং যে দুর্বলতা (অনেকের ধারণা তা রাখা হয়েছে সচেতনভাবেই) সেটা হলো এই আইনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’র কোনো সংজ্ঞা নেই। ফলে রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক অন্য যেকোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করতে পারছেন এবং এ আইনের এমনই ক্ষমতা যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এমনকি মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ফেলছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা সরকারের অসন্তুষ্টির কারণ ঘটে এমন কোনো সংবাদ বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ প্রতিরোধ করাই যেন এই আইনের লক্ষ্য। অর্থাৎ নাগরিকের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা বলা হলেও এই আইনের প্রধান লক্ষ্য যে সেটি নয়, তা বেশকিছু ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা সংবাদ মাধ্যম বা গণতন্ত্রের পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।

ঘটনা যা ঘটে তা বলা বা লেখা কী বিপদের কারণ হবে? সিজিএস এর 'দ্য আনএন্ডিং নাইটমেয়ার: ইমপ্যাক্টস অব বাংলাদেশ'স ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ২৬ মাসে এই আইনের অধীনে ৮৯০টি মামলায় দায়ের হয়। প্রতি মাসে গড়ে ৮৬ জনের বেশি মানুষসহ ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’ ‘দ্য গ্লোবাল ফ্রি এক্সপ্রেশন রিপোর্ট-২০২২’ এর প্রতিবেদন অনুসারে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায়’ সবচেয়ে তলানিতে থাকা ৫টি দেশের একটি। স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার এটাই বাস্তব চিত্র!

যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের আবেগ এবং গর্ব সেই যুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বা ফিরে এসেছিলেন বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন-আশার জায়গা ছিল অভিন্ন। সবারই প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তা হবে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাধীন দেশে শোষণমুক্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে, প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, নিরাপত্তা থাকবে জীবন ও সম্পদের।

সেই স্বপ্ন-আশার যেটুকু অর্জিত হয়েছে, যেটুকু হয়নি, না হলে কেন হয়নি দেশ স্বাধীনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে এসব প্রশ্ন জনগণের মনে আসাটাই তো স্বাভাবিক। সেই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে আবেগ তৈরি হওয়াটাও তো স্বাভাবিক! সেই আবেগ প্রকাশকে যদি স্বাধীনতার প্রতি কটাক্ষ আর ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে স্বাধীনতা আর পরাধীনতার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ হবে কীভাবে?

ভোট ও ভাতের লড়াই এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এত উন্নয়নের পরও মানুষের পেটে ভাতের অবস্থা কী? গত ২৯ মার্চ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম তাদের এক গবেষণায় উল্লেখ করে, ‘প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ৭১ শতাংশ পরিবার। গত ছয় মাসে তাদের জীবিকার খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। একবেলা না খেয়ে থাকছে ৩৭ শতাংশ নিম্নআয়ের পরিবার। ৭৪ ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবার ধার করে চলছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষ ব্যাপকভাবে খরচ কমিয়েছে। পোশাক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য।'

শাসক দলের কর্তা ব্যক্তিরা সবসময় বলতে পছন্দ করেন যে তাদের আমলে যে উন্নতি হচ্ছে তা বিগত কোনো আমলেই হয়নি। কথা তো সত্য। কারণ আগে যা হয়েছে তাতো আর হওয়ার উপায় নেই। এখন যা হবে সব তো নতুনই হবে। ফলে সফলতার শ্লাঘা থাকবেই। কিন্তু এই আলোচনাও তো থাকতে হবে যে আর কী কী হতে পারত। কেন হলো না সেই প্রশ্ন এবং সমালোচনাও তো থাকবে। ক্ষমতায় থাকলে সমালোচনা হবে, কেউ করবেন ভালোর জন্য আবার কেউ করবেন ত্রুটি দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য। কিন্তু সমালোচনাটাই হবেই এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে সমালোচনা করতেই হবে। আর গণতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা না হলে সমালোচনা সহ্য করা সম্ভব হয় না সেটা তো জানা কথা। কিন্তু জনগণ স্বাধীনতা চাইবে তার স্বপ্নের কথা, তার স্বপ্নভঙের কথা বলার জন্য আর নিরাপত্তা চাইবে তার স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কোনো নিরাপত্তা আইন যদি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে তখন প্রতিবাদ করেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি