শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সড়কে যাত্রীদের সুরক্ষা দেবে কে?

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হাহাকার নিরসনের দায়িত্ব যাদের, তাদের বাগাড়ম্বর কথামালা ছাড়া বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিশেষ করে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি একেবারেই উপেক্ষিত। সর্বশেষ মাদারীপুরের শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে অকালে ঝরেছে ২০ জনের তাজা প্রাণ। অন্তত ৩০ জন আহতের অনেককেই আজীবন পঙ্গুত্বে বিকলাঙ্গ দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হবে। এ দুর্ঘটনার পর যথারীতি গঠন করা হয়েছে কয়েকটি তদন্ত কমিটি। এইসব কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার আগেই হয়ত আরেকটি দুর্ঘটনার খবর এসে যাবে। আর তাতেই ওইসব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ধামাচাপা পড়ে যাবে। যারা দায়ী তারাও হাফ ছেড়ে বেঁচে যাবে। নিহত ও আহতদের পরিবারের আর্তনাদ শোনার কারো সময় থাকবে না। এভাবেই চলছে এবং চলবে! কার সাধ্যি গড্ডালিকা প্রবাহের পরিবর্তন আনার?

গণমাধ্যমে শিবচরে এই বাস দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে নানা তথ্য ও বিশ্লেষণ ইতোমধ্যে চলে এসেছে। এতে দেখা যায়, প্রথমত: গাড়িটি ছিল বেপরোয়া গতির। এই এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণত ৮০ কিলোমিটার সীমাবদ্ধ থাকলেও গাড়িটির গতি ছিল নাকি ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি। যাত্রীরা আস্তে চালানোর জন্য অনুরোধ করলেও চালক কর্ণপাত করেনি। দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের মতো ভালোমানের সড়কে উঠলেই চালকরা পঙ্খীরাজ বনে যান। বিদেশে নির্দিষ্ট সীমার অতিরিক্ত গতিতে উঠলেই হাইওয়ে পুলিশ তৎক্ষণাৎ হাজির হয়ে ব্যবস্থা নেয়। আমাদের এই এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির অতিরিক্তি গতি মনিটরিংয়ের সেই ব্যবস্থা আছে কি না জানা নেই। যদি না থাকে তাহলে অবিলম্বে এই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মতো আধুনিক সড়ক নির্মাণে এই ব্যবস্থা না থাকাটা হবে অত্যন্ত খারাপ নজির। এজন্য যারা এর পরিকল্পনাকারী তাদেরও দায় আছে। আর যদি এই ব্যবস্থা থাকে, তাহলে কেন হাইওয়ে পুলিশ সময়মতো দুরন্ত গতির এই গাড়িটির বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিল না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।

দ্বিতীয়ত: আহত যাত্রীদের অনেকে বলেছেন, গাড়িটি চলার সময় চালক ও সহকারীর কথায় বুঝা গেছে, চাকার সমস্যা আছে। তাহলে চালক গাড়িটি থামিয়ে এর সমাধান করল না কেন? এ ছাড়া গাড়িটির ফিটনেসও ছিল না। এর আগেও গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। এতে নিহত হয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার জন। তাহলে ফিটনেস ছাড়া গাড়িটি কীভাবে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ালে? তার দায় দায়িত্ব কার? ইতোমধ্যে বিআরটিএর গৎবাঁধা বক্তব্য, লোকবলের অভাবে তাদের পক্ষে ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চলাচল মনিটরিং করা সম্ভব নয়। পুলিশের জবাব এখনো জানা যায়নি। হয়ত বলা হবে তাদেরও লোকবলের অভাব! তাহলে ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চলাচল কি অবাধে চলতে থাকবে? আর এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে! ইতোমধ্যে ইমাদ পরিবহনের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত এই মামলায় ফলপ্রসূ কিছু হয় কি না তা-ই এখন দেখার বিষয়।

তৃতীয়ত: চালক ক্লান্ত ছিল বলে ঘুম চোখে গাড়ি চালানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে— এমনও বলা হচ্ছে। গাড়িটির চালক জাহিদ হাসানও (৪০) নিহতদের তালিকায়। তার ছেলের বক্তব্য, তার বাবা একটানা ৩০ ঘণ্টা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেননি। এক্ষেত্রে দায় অবশ্যই পরিবহন সংস্থাটির। তাদের জানার কথা, চালককে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিলে বিপদের আশঙ্কা আছে। তারপরও তারা সেরকম ব্যবস্থা নেয় না কেন? পরিবহন মালিক সমিতি ও চালক সমিতির নেতারা কেন চালকদের পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে পারে না? অভিযোগ আছে, এই সমিতিগুলোর নেতাদের চাঁদাবাজি ছাড়া সাধারণ চালকদের বা যাত্রীদের সুরক্ষার দিকে কোনো মনোযোগ নেই!

সাধারণত সড়ক পরিবহন আইনের কোনো ধারা উপধারা নিয়ে পরিবহন সমিতিগুলোর নেতারা তাদের স্বার্থরক্ষায় সব সময় সোচ্চার থাকে! কিন্তু এরকম একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর তাদের কোনো বক্তব্য চোখে পড়েনি। চালকদের গাড়ি চালানোর জন্য সময়ে সময়ে সচেতন করার কাজটি তারাই করতে পারে। কিন্তু সেরকম কোনো কর্মসূচি মনে হয় না তাদের আছে। সড়কের কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’রও হয়ত নেই!

চতুর্থত: যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি কে দেখবে বা কারা তদারকি করবে? সাধারণত: এ রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় বিভিন্ন পর্যায় থেকে। কিন্তু শিবচরের দুর্ঘটনার পর এরকম কোনো সহায়তার ঘোষণা জানা যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটির মালিকের কাছ থেকেও নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা আসেনি। তাই নিহত ও আহতদের পরিবার এই বিশাল ক্ষতি নিয়ে কীভাবে দিনযাপন করবে? বিদেশে যাত্রী বিমা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাংলাদেশে কেন এখনো যাত্রীদের সার্বজনীন বিমার আওতায় আনা হলো না? এ নিয়ে যাত্রী সুরক্ষা সমিতিগুলো বারবার আহ্বান জানালেও কারো সাড়া নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, পরিবহন মালিক, শ্রমিক সমিতিগুলোর উদ্যোগ ছাড়া যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই আর কতো প্রাণ গেলে তাদের টনক নড়বে—সেটাই এখন প্রশ্ন?

এ ছাড়া পরিবহন সমিতিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলারও অভিযোগ আছে। আর এ চাঁদার ভাগ শুধু নেতাদের পকেটে না দিয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্যও কিছু দিতে পারে বলে অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকেও একটি তহবিল গঠন সময়ের দাবি। বিআরটিএ’র বিভিন্ন সেবায় এই তহবিলের জন্য অর্থ নেওয়া যেতে পারে। তাহলে অন্তত: দুর্দশাগ্রস্ত এই পরিবারগুলো চরম সংকটে কিছুটা হলেও বেঁচে থাকার অবলম্বন পেতে পারে।

ইব্রাহিম আজাদ: কবি ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি