শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যের সন্ধানে

এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হলাম রাজশাহী কলেজে। বাংলাদেশের তৃতীয় প্রাচীনতম কলেজ। এই কলেজ থেকেই এইচএসসি পাস করেছিলাম ১৯৮১ সালে। সাইন্স, আর্টস এবং কমার্স মিলিয়ে আমাদের ব্যাচের আমরা ছিলাম প্রায় ৭৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী। এর বহু বহু বছর পর আমাদের ব্যাচের পুরনো বন্ধুরা একত্রিত হয় গড়ে তুলেছি একটি সংগঠন, যার নাম ৮১’র বন্ধন।

৮১’র বন্ধনের ৪০ বছর পুর্তি এবং ৩য় পুনর্মিলনীর আয়োজন চলছিল অনেকদিন ধরে। কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে সকল বাধার উত্তরণ ঘটিয়ে জাকজমকপূর্ন অনুষ্ঠান আয়োজন হলো এবার জানুয়ারি মাসের শেষ শুক্রবার। সারাদিন বেশ হৈ হুল্লোড় করে কাটল। পরদিন শনিবার ছিল পিকনিকের আয়োজন। আমরা আট বন্ধু পরিকল্পনা করলাম, খুব ভোরে রওয়ানা হয়ে কিছুটা বেরিয়ে এসে পিকনিকে যোগ দেবার। গন্তব্য হলো প্রাচীন গৌড়, সে এক সময়ের বাংলার রাজধানী।
ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবে সেখানে এখনো কিছু স্থাপনা আছে, উদ্দেশে হলো সেগুলো ঘুরে দেখা।

গৌড় সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। ভারতবর্ষের মধ্যযুগে সবচাইতে সমৃদ্ধ সময়কালে বঙ্গের রাজধানী ছিল গৌড়। নগরটির নাম কখনো ছিল গৌড়, এর আগে লখনৌতি, আবার পরে কিছু কালের জন্য জান্নাতাবাদ। ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের একটি জরিপ অনুসারে গৌড় নগরীর জনসংখ্যা ছিল ২ লক্ষ, যা ছিল তখন জনসংখ্যার হিসেবে পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম নগর, এবং সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ নগর এলাকা। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দেশ বিভাগের সময় অঞ্চলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। বড় অঞ্চলটি চলে যায় ভারতের অধীনে, ছোট অংশটি পড়ে পুর্ব পাকিস্তান, বা আজকের বাংলাদেশের অধীনে, বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে।

ঐতিহাসিকভাবে ভারতবর্ষ এবং চীনের সমৃদ্ধির ইতিহাস নিয়ে নানা উপাখ্যান আছে। এগুলোর সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করতে গত শতাব্দীর শেষদিকে Organization for Economic Cooperation and Development (OECD) এর পক্ষ থেকে পৃথিবীর অর্থনীতির ইতিহাস নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়। প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ Angus Maddison-এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যগুলো সিরিজ আকারে প্রকাশিত হতে থাকলে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসে। ২০০১ সালে প্রকাশিত The World Economy: A Millennial Perspective বইটি ছিল এই সিরিজের অন্যতম।

এই গবেষণার উঠে আসে, খিষ্টাব্দ ১ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অর্থনীতিতে বিশ্বে প্রথম স্থানে ছিল ভারত, ২য় স্থানে ছিল চীন। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের জিডিপির প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিল ভারতবর্ষের, আর ২৬ শতাংশ ছিল চীনের দখলে। অন্য কোনো দেশের সম্পদ লুটপাট না করেও ১০০০ বছর যাবত বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রথম স্থান ধরে রাখা হলো এক নজিরবিহীন ইতিহাস। এই সমৃদ্ধই হয়তো কাল হয়ে দাঁড়ায় ভারতবর্ষের জন্য। ইউরোপ থেকে বানিজ্যের নামে আসা আরম্ভ হয় ক্ষমতাবানদের। বানিজ্য আর শাসনের নামে চলে যথেচ্ছ লুটতরাজ।

১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ সরকার যখন ভারতবর্ষের দায়িত্বভার নেয়, তখনও ২৪.৫ শতাংশ জিডিপি নিয়ে ভারতবর্ষ ছিল বিশ্ব অর্থনীতির শিখরে। ১৮০০ সাল আসতে আসতে তা নেমে যায় ২০ শতাংশে, ২৯ শতাংশ নিয়ে প্রথম স্থানে উঠে যায় চীন। ১৯০০ সাল নাগাদ কমে গিয়ে তা দাঁড়ায় মাত্র ১.৭ শতাংশ । এক সময়কার স্বর্ণ ও শিল্প বানিজ্যে সমৃদ্ধ দেশটি লুটপাটের পর সব খুইয়ে কেবল কৃষিনির্ভর হয়ে পড়ে।

গৌড়ের ইতিহাস অবশ্য অনেক পুরনো। গৌড় রাজ্য এবং গৌড় শহর দুটি পৃথক বিষয়। কিছু কিছু ইতিহাসবিদ ৪র্থ শতাব্দিতে গুপ্ত সাম্রাজ্য সৃষ্টির আগেও গৌড় সাম্রাজ্য ছিল বলে অভিমত দেন। তবে সন্দেহাতীতভাবে সম্মিলিত বঙ্গের প্রথম অধিকর্তা হিসেবে যার নাম আসে, তিনি ছিলেন রাজা শশাঙ্ক। ৫৯০-৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ সময়কাল তিনি শাসন করেছিলেন। তারই সময় গৌড় শহরকে বঙ্গের (বা তৎকালীন গৌড় সাম্রাজ্যের) রাজধানী হিসেবে স্থাপন করা হয়। তারই সময় প্রথমবার বাংলায় দিনপঞ্জি প্রচলন করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে মোঘল সম্রাট আকবর পুনর্বিন্যাশ করে প্রচলন করেন।

এর পর ক্রমান্বয়ে আসে পাল বংশ ও সেন বংশ। মূলত বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী বংশোদ্ভূতদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বঙ্গ তথা ভারতবর্ষের শাসন। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তানের শাসক ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ঘুরি। তারই আক্রমণে ১১৯৭ সাল থেকে ভারতবর্ষ ধীরে ধীরে মুসলিম শাসকদের অন্তর্গত হতে থাকে। ১২০৩ সালে বঙ্গ দখলে মোহাম্মদ ঘুরির একজন সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজী’র ইতিহাস আমরা সকলেই ছোটবেলায় পড়েছি। মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে ঝটিকা আক্রমণ করে লক্ষ্মণ সেনকে পরাভূত করা হলে এর মাধ্যমেই বঙ্গে আরম্ভ হয় মুসলিম শাসকদের ইতিহাস। যা পরবর্তী সময়ে সুলতানী ও মোঘল রাজত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ১১৯৭ সাল থেকে আরম্ভ করে ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজীর মৃত্যুকাল পর্যন্ত কত সহস্র বৌদ্ধ সাধু হত্যা করা হয়েছিল তার হিসেব নেই। বিহারে ৪২৭ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত ঐতিহাসিক নালন্দা মহাবিহারটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল তারই নির্দেশে।

১২০৬ সালে মোহাম্মদ ঘুরির মৃত্যু হলে তার মূল সেনাপতি তুর্কি বংশোদ্ভূত কুতুব উদ্দিন আইবক দিল্লীর শাসনভার গ্রহণ করেন। তারই মাধ্যমে ভারতবর্ষ জুড়ে আরম্ভ হয় সুলতানী আমল, যা ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রচলিত ছিল।

এদিকে বঙ্গে খলজী সাম্রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে (১২০৮-১২১০ এবং ১২১২-১২২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গৌড়ের অধিকর্তা ছিলেন ইওয়াজ খলজী, যিনি পরে গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ নাম ধারণ করেছিলেন। তারই সময়কালে ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাংক রোডকে রাজশাহী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছিল। বঙ্গের প্রথম নৌবহর প্রচলন এবং গৌড় নগরের নিরাপত্তাবলয় নির্মাণও হয়েছিল তারই সময়ে। বঙ্গের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরকে বন্যামুক্ত করার জন্য বাধ নির্মান প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তার সময়, যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম বাধ প্রকল্প হিসেবে সুখ্যাত।

নাফিসুর রহমান: ডিস্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপ কনসালটেন্ট

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম