শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নির্বাচন বিতর্ক ও সংস্কার

দেশের রাজনৈতিক আন্দোলন এখন জনগণের অধিকারের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মুখর হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলসমুহের আন্দোলনের হুঙ্কার আর ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক নির্বাচনের হাওয়া তোলার চেষ্টা,দুটোই চলছে রাজনীতিতে। প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচন হবে, নির্বাচনের এই সময় সীমা মানলে আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ২০২৩ এর শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সে হিসেবে নির্বাচনের আগে আগামী ৮/৯ মাস রাজনীতিতে একটা চরম উত্তেজনার সময়।

বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন প্রিয় বলে সবাই মানেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে সংশয় এবং অনাস্থা। আগামী নির্বাচনেও সকল দল কি অংশ নেবে, নির্বাচন কি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে? এই প্রশ্ন যেমন আছে অতীতের উদাহরণ দেখে সংশয় তেমনি আছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও দেশের নির্বাচন নিয়ে যত বিতর্ক হয় তার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই থাকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি না এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না।

সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে প্রশ্নে সব আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দল একমত হয়েছিলেন তা হলো নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হতে হবে। আর ইতিহাস বলে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশের জন্ম। ৭০ এর নির্বাচন এক্ষেত্রে এক মাইল ফলকের মত কাজ করলেও স্বাধীনতার পর থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ক্ষমতাসীনেরা বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। মাগুরা উপনির্বাচনকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের পর আওয়ামী লীগ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে। তারা আন্দোলন, নির্বাচন বর্জন এর মধ্যদিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে বাধ্য করে। যেহেতু সংবিধানে ছিল না তাই সংবিধানের অসামঞ্জ্যস্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল একটি রাজনৈতিক সমঝোতার ফল। এর ফলে আশা করা হয়েছিল শুধু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তাই নয় সমস্ত রাজনৈতিক দল যেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে উঠবে।

কিন্তু আশা স্থায়ী হলো না। রাজনৈতিক সমঝোতার উপর ধাক্কা এলো ২০০৪ সালে, বিএনপি সরকারের আমলে, সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী এলো। এর মাধ্যমে বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হলো, যা সন্দেহের উদ্রেগ করল রাজনৈতিক মহলে। দ্বিতীয় ধাক্কা আসে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ভবিষ্যতের জন্য অসাংবিধানিক ঘোষণা করে প্রদত্ত রায়ের পর। আদেশে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ‘প্রসপেকটেভলি’ বা ভবিষ্যতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন, যদিও এর আগে হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে সংবিধানসম্মত বলে রায় দিয়েছিলেন।

তবে এর আগেই ‘মেজরিটারিয়ান পদ্ধতিতে’ বা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে, ২০১১ সালের ৩০ জুন তারিখে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে যে বিধান ছিল তা বাতিল করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী একতরফাভাবে পাসের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার এই কাজ করে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টির কারণে এবং পরবর্তীতে সর্বস্তরে যে সর্বগ্রাসী দলীয়করণ হয়েছে, তার ফলে শুধু নির্বাচনীব্যবস্থা নয় প্রশাসন ব্যবস্থাও আস্থা হারিয়েছে। একথা উল্লেখ করতে হয় যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখার পক্ষে বিশেষ সংসদীয় কমিটির সর্বসম্মত সুপারিশ উপেক্ষা করে, আদালতের সংক্ষিপ্ত আদেশের একটি ব্যাখ্যার ভিত্তিতে (যে ব্যাখ্যা নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে) এবং আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় ১৫ মাস আগে। এর পর অনুষ্ঠিত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দুটি সংসদ নির্বাচন দেশের রাজনীতিতে এক অমোচনীয় কালির দাগ রেখে গেছে।এ রকম এক পরিস্থিতিতে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কড়া নাড়ছে তখন দেশের নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসন ও পুলিশের ভুমিকা এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সবকিছু নিয়েই সন্দেহ ও অবিশ্বাস দানা বেঁধে উঠেছে। ফলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক নির্বাচন কি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামত ধারন করে? এই প্রশ্ন জোরেশোরে উঠছে। বিষয়টা একটু বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। বাংলাদেশে এ যাবতকালে অনুষ্ঠিত এগারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে চারটি নির্বাচনকে আপাত গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়।

সেই নির্বাচনগুলো যেমন ১৯৯১, ১৯৯৬(জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোট, আসন এবং ক্ষমতায় যাওয়ার মধ্যে একটা বড় ধরনের অসামঞ্জ্যস্য লক্ষ্য করা যায়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সরকার গঠনকারী দল বিএনপির প্রাপ্ত ভোট ৩০.৮১ শতাংশ এবং আসন সংখ্যা ১৪০ আর আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোট ৩০.০৮ শতাংশ আর আসন ছিল ৮৮। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ৪৮.৯০ শতাংশ ভোট পেয়ে ২৩০ আসন আর বিএনপি ৩৭.২০ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পায় ৩২। দেখা যাচ্ছে এই পদ্ধতিতে ভোটের সংখ্যা ও ভোটের হার নয় কতটা আসনে বিজয়ী হলো এটাই প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এক ভোটেও যদি কোনো প্রার্থী বিজয়ী হন তাহলে বিপক্ষ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের কোনো মূল্যই থাকে না। সে কারণেই নির্দিষ্ট আসনে বিজয়ী হবার জন্য প্রার্থীরা যেকোনো পথ অবলম্বন করতে দ্বিধা করে না। ফলশ্রুতিতে দেশ শাসিত হয় সংখ্যালঘিষ্ঠ দ্বারা। নির্বাচনী ব্যবস্থার এই দুর্বলতা সংশোধনের জন্য বামপন্থী দলসমূহসহ অনেক রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা প্রপোরশোনাল রিপ্রেজেন্টেশন পদ্ধতির কথা বলছেন। এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কাজে লাগে বা মুল্যায়িতহয়।

বর্তমানে পৃথিবীর ৯২টি দেশে নানা পদ্ধতিতে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের নীতি অনুসরণ করে নির্বাচন পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি চালু আছে যেমন মুক্ত তালিকা, বদ্ধ তালিকা এবং মিশ্র তালিকা। এর ফলে একক দলীয় আধিপত্য, অর্থ ও পেশি শক্তির প্রভাব হ্রাস পায় এবং সংখ্যাগুরুর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলেও সংখ্যালঘু উপেক্ষিত হয় না। নির্বাচন আসছে এবং কীভাবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে বিতর্কও বাড়ছে। আগামী দিনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হবে সে বিষয়ে ভাবতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভাবতেই হবে। কিন্তু নির্বাচনে যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে তত ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অতীতে নির্বাচন হয়েছে কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রথা এবং প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হয়নি বরং দুর্বল হয়েছে, গণমানুষের আস্থা হারিয়েছে। আস্থা হারানো মানুষের আস্থা ফেরাতে এবং সংঘাত, সহিংসতা না এড়াতে পারলে দেশ তো অনিশ্চয়তায় পড়বে। সামগ্রিক বিবেচনাতেই নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার তাই জরুরি।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি