সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানব পাচার রোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ

ইউএন

সাধারণত জোড়পূর্বক শ্রম, যৌন দাসত্ব অথবা পাচারকৃত মানুষদেরকে ব্যবসায়িক যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত করার জন্য সংঘটিত অবৈধ মানব বাণিজ্যকে মানব পাচার বলে। মানব পাচার একটি দেশের অভ্যন্তরে অথবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংঘটিত হতে পারে। তবে মানব পাচার যেখানে এবং যেভাবেই সংঘটিত হোক না কেন, তা বড় ধরনের অপরাধ।

মানব পাচার আইন-২০১২ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির অধিকার হরণ করে জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়, দাসত্বমূলক আচরণ, পতিতাবৃত্তি বা যৌন শোষণ বা নিপীড়নের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে শোষণ বা নিপীড়ন করা হলে তা মানবপাচার হিসেবে গণ্য হবে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী, মানবপাচার হচ্ছে মানুষের অধিকারের লঙ্ঘন।আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে, যা দু:খজনক। অভাবের তাড়নায় কিংবা অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে অথবা উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে নারী-পুরুষ মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় প্রতিনিয়ত পাচারের শিকার হচ্ছেন। উন্নত জীবন আর ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের পাচার করার পর শেষ পর্যন্ত তাদেরকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। অর্থলোভী, অসৎ ব্যক্তি এবং দালালদের খপ্পরে পড়ে এভাবেই নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষের জীবন। সম্প্র্রতি ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচার চক্রের প্রধানসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যব। সেই সাথে উদ্ধার করা হয় পাচার হতে যাওয়া ২৩জন নারীকে। বিদেশে চাকরিসহ নানা প্রলোভনে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। গত বছরের ২৭ মে লিবিয়ায় ৩০ জন অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাঁদের অধিকাংশই ছিল মানব পাচারের শিকার।

 

২০১৫ সালের ১ মে থাইল্যান্ডের গহিন অরণ্যে পাওয়া গিয়েছিল গণকবর। তারপর মালয়েশিয়াতেও পাওয়া যায় গণকবর। আর ওইসব গণকবরে পাওয়া যায় অনেক বাংলাদেশীর লাশ, যাদের অধিকাংশই মানব পাচারের শিকার। ওই বছর ওই দুটি দেশ আর ইন্দোনেশিয়া থেকে মানব পাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার ১৭৫ জনকে দেশে ফিরে আনা হয়। এরপরও থেমে নেই মানব পাচার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানব পাচারকারীরা ইউরোপে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকায় এসময় মানব পাচারকারীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। বর্তমানে মানব পাচারকারীদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মায়ানমার থেকে নির্যাতন-নিপিড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। পাচারকারীরা রোহিঙ্গা পুরুষদের চাকরি ও মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের চেষ্টা করে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলা থেকেই পাচার হয়েছে এক লাখের বেশি লোক। পরবর্তী সময়ে মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া হয় যৌনপলি­তে, আর শিশুদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে অবৈধ ও জবরদস্তি শ্রমে। এমনও দেখা গেছে, ইউরোপে যেতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে নির্যাতনের কারণে এবং খাদ্যের অভাবে সাগরেই মর্মান্তিকভাবে মারা গেছে। আর এভাবেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমানোর স্বপ্ন ভেসে যায় সাগরে, কখনোবা সেই স্বপ্নের কবর রচিত হয় গহীনবনে, অথবা গণকবরে কিংবা পতিতাপল্লীতে।

 

বাস্তবতা হচ্ছে, মানব পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় অনেক মামলা হলেও শেষ পর্যন্ত এসব মামলার তদন্ত এবং বিচার এগোয় না। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১২ সালে দেশে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মানব পাচার সংক্রান্ত প্রায় ৬হাজার মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয় ৯ হাজার ৬৯২ জন। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এসব মামলায় সাজা হয় মাত্র ৫৪ জনের। আর মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির হার খুব-ই কম। মূলত: পাচারের শিকার অধিকাংশ পরিবারগুলো সমস্যা আর ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করে। আর মানব পাচারকারী ও দালালেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিনেমার ‘দাদা ভাই’-এর ন্যায় পর্দার অন্তরালে থাকে। ফলে মানব পাচার বন্ধ হয় না। অনেক সময় মানব পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে ঘাটতি থাকায় আসামিরা খালাস পেয়ে যায়। বলা বাহুল্য, আইনের প্রকৃত শাসন থাকলে এত মানুষ পাচারের শিকার হতো না। এটা বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার প্রয়োজন। বর্তমানে মানব পাচারের সবচেয়ে বড় রুট হচ্ছে কক্সবাজার। এখানে মানব পাচারের মামলা হয়েছে ৬৩৭টি। কিন্তু নিষ্পত্তি হয়েছে দু-একটি। অর্ধেক মামলা তদন্তাাধীন রয়েছে আর খারিজ হয়ে গেছে ১৬টি মামলা। ইতোপূর্বে দেশে মানব পাচার বিষয়ক কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না। তখন দন্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মানবপাচার সংক্রান্ত অপরাধের বিচার করা হতো। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২’ নামক আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের ৬ ধারায় মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও  কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। আইনটির ৭ ধারায় সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের সাজা মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা কমপক্ষে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। এ আইনের অধীনে কৃত অপরাধগুলো আমলযোগ্য এবং তা আপস ও জামিনের অযোগ্য অপরাধ।

 

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হওয়ার পর গত নয় বছরে এ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৬টি। এ পর্যন্ত মাত্র ২৪৭টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থ্যাৎ মামলা নিষ্পত্তির হার মাত্র ৪%। অনেক বিচার এখনো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই হচ্ছে। মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পেছনে এটিও একটি কারণ।আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে মানব পাচার মামলায় আদালতে পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হওয়া। মানব পাচার মামলায় সাধারণত নিয়মিতভাবে সাক্ষী পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগীরা সহায়তা না করলে শেষ পর্যন্ত মামলা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় কথা,মানব পাচাররোধে আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটানো হলে, সরকারিভাবে দেশে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এবং জনগণ কর্তৃক দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার মানসিকতা পরিহার করলে মানবপাচারের সংখ্যা নি:সন্দেহে কমে আসবে। যেহেতু দেশে মানব পাচারের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে, তাই মানব পাচার রোধে এখন আইনের কঠোর প্রয়োগের বিকল্প নেই। পাশাপাশি মানব পাচার রোধে গণমাধ্যমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অধিকতর তৎপর হতে হবে। অন্যথায়, মানব পাচার বন্ধ হবে না এবং মানব পাচারকারীরাও শাস্তি পাবে না।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আবদুল হাই কানু নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করেছেন স্থানীয় লোকজন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চৌদ্দগ্রামের নিজ এলাকা কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠছে।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুল হাই কানু। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্থানীয় এমপি মুজিবুল হকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে আগে একাধিক মামলা হয়েছিল। রোববার দুপুরে তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি হেনস্তা করে গলায় জুতার মালা দেয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জামায়াত সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে অহিদ, রাসেল, পলাশসহ ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা কানুর গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকা এমনকি কুমিল্লায় থাকতে পারবেন না বলে হুমকি দিচ্ছেন। এ সময় তিনি জুতার মালা সরিয়ে এলাকায় আর আসবেন না বলেও জানান। এ সময় তার ভিডিও ধারণ ও ছবি নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিরা বলতে থাকেন ‘এক গ্রাম লোকের সামনে মাফ চাইতে পারবেন কিনা? অন্যরা বলতে থাকেন তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট, ছেড়ে দাও।’

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ আমাকে একা পেয়ে জোর করে ওরা জুতার মালা গালায় দিয়ে ভিডিও করেন। বিচার কার কাছে চাইব? মামলা দিয়ে আর কী হবে? তারা সবাই জামায়াতের রাজনীতি করে। আমি আওয়ামী লীগ করলেও বিগত দিনে তাদের কোনও ক্ষতি করিনি। উল্টো আওয়ামী লীগের এমপির রোষানলে পড়ে ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর ওই মুক্তিযোদ্ধা মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করবেন না বলেও জানান। তবে রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার আবারও তাকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দেবেন কি না বিষয়টি এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে রোববার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনার সাথে স্থানীয় জামায়াতের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জড়িতরা আমাদের কেউ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

ফাইল ছবি

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে সই করেছেন।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।

সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসেনি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেবো না। যারা অসুস্থ, শুধু তারাই মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় পাচ্ছেন।

‘পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের যে কথা বলেছেন, সেটা স্লিপ অব টাং। দুই মাসে নয়, গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার প্রবেশ করেছে’, যোগ করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে সেখানে দাফন করা হয়।

এসময় হাসান আরিফের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সরকারের শীর্ষস্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

গত ২০ ডিসেম্বর উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

তার প্রথম নামাজে জানাজা ২১ ডিসেম্বর বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নাম্বার বায়তুল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জানাজা ওইদিন দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরে তার মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে নিয়ে আজ চিরশায়িত করা হলো হাসান আরিফকে। তার জন্য আজ সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে হাসান আরিফ গত ৮ আগস্ট শপথ নেন। ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস