মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মানব পাচার রোধে প্রয়োজন জনসচেতনতা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ

ইউএন

সাধারণত জোড়পূর্বক শ্রম, যৌন দাসত্ব অথবা পাচারকৃত মানুষদেরকে ব্যবসায়িক যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত করার জন্য সংঘটিত অবৈধ মানব বাণিজ্যকে মানব পাচার বলে। মানব পাচার একটি দেশের অভ্যন্তরে অথবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে সংঘটিত হতে পারে। তবে মানব পাচার যেখানে এবং যেভাবেই সংঘটিত হোক না কেন, তা বড় ধরনের অপরাধ।

মানব পাচার আইন-২০১২ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির অধিকার হরণ করে জবরদস্তিমূলক শ্রম আদায়, দাসত্বমূলক আচরণ, পতিতাবৃত্তি বা যৌন শোষণ বা নিপীড়নের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে শোষণ বা নিপীড়ন করা হলে তা মানবপাচার হিসেবে গণ্য হবে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী, মানবপাচার হচ্ছে মানুষের অধিকারের লঙ্ঘন।আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে, যা দু:খজনক। অভাবের তাড়নায় কিংবা অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে অথবা উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে নারী-পুরুষ মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় প্রতিনিয়ত পাচারের শিকার হচ্ছেন। উন্নত জীবন আর ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের পাচার করার পর শেষ পর্যন্ত তাদেরকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়। অর্থলোভী, অসৎ ব্যক্তি এবং দালালদের খপ্পরে পড়ে এভাবেই নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষের জীবন। সম্প্র্রতি ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচার চক্রের প্রধানসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যব। সেই সাথে উদ্ধার করা হয় পাচার হতে যাওয়া ২৩জন নারীকে। বিদেশে চাকরিসহ নানা প্রলোভনে তাঁদের পাচার করা হচ্ছিল। গত বছরের ২৭ মে লিবিয়ায় ৩০ জন অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাঁদের অধিকাংশই ছিল মানব পাচারের শিকার।

 

২০১৫ সালের ১ মে থাইল্যান্ডের গহিন অরণ্যে পাওয়া গিয়েছিল গণকবর। তারপর মালয়েশিয়াতেও পাওয়া যায় গণকবর। আর ওইসব গণকবরে পাওয়া যায় অনেক বাংলাদেশীর লাশ, যাদের অধিকাংশই মানব পাচারের শিকার। ওই বছর ওই দুটি দেশ আর ইন্দোনেশিয়া থেকে মানব পাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার ১৭৫ জনকে দেশে ফিরে আনা হয়। এরপরও থেমে নেই মানব পাচার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানব পাচারকারীরা ইউরোপে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকায় এসময় মানব পাচারকারীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। বর্তমানে মানব পাচারকারীদের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মায়ানমার থেকে নির্যাতন-নিপিড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। পাচারকারীরা রোহিঙ্গা পুরুষদের চাকরি ও মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের চেষ্টা করে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলা থেকেই পাচার হয়েছে এক লাখের বেশি লোক। পরবর্তী সময়ে মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া হয় যৌনপলি­তে, আর শিশুদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে অবৈধ ও জবরদস্তি শ্রমে। এমনও দেখা গেছে, ইউরোপে যেতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে নির্যাতনের কারণে এবং খাদ্যের অভাবে সাগরেই মর্মান্তিকভাবে মারা গেছে। আর এভাবেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমানোর স্বপ্ন ভেসে যায় সাগরে, কখনোবা সেই স্বপ্নের কবর রচিত হয় গহীনবনে, অথবা গণকবরে কিংবা পতিতাপল্লীতে।

 

বাস্তবতা হচ্ছে, মানব পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় অনেক মামলা হলেও শেষ পর্যন্ত এসব মামলার তদন্ত এবং বিচার এগোয় না। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১২ সালে দেশে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মানব পাচার সংক্রান্ত প্রায় ৬হাজার মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয় ৯ হাজার ৬৯২ জন। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এসব মামলায় সাজা হয় মাত্র ৫৪ জনের। আর মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির হার খুব-ই কম। মূলত: পাচারের শিকার অধিকাংশ পরিবারগুলো সমস্যা আর ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করে। আর মানব পাচারকারী ও দালালেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিনেমার ‘দাদা ভাই’-এর ন্যায় পর্দার অন্তরালে থাকে। ফলে মানব পাচার বন্ধ হয় না। অনেক সময় মানব পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে ঘাটতি থাকায় আসামিরা খালাস পেয়ে যায়। বলা বাহুল্য, আইনের প্রকৃত শাসন থাকলে এত মানুষ পাচারের শিকার হতো না। এটা বন্ধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার প্রয়োজন। বর্তমানে মানব পাচারের সবচেয়ে বড় রুট হচ্ছে কক্সবাজার। এখানে মানব পাচারের মামলা হয়েছে ৬৩৭টি। কিন্তু নিষ্পত্তি হয়েছে দু-একটি। অর্ধেক মামলা তদন্তাাধীন রয়েছে আর খারিজ হয়ে গেছে ১৬টি মামলা। ইতোপূর্বে দেশে মানব পাচার বিষয়ক কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না। তখন দন্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মানবপাচার সংক্রান্ত অপরাধের বিচার করা হতো। সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২’ নামক আইন প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের ৬ ধারায় মানব পাচার নিষিদ্ধ করে এর জন্য অনধিক যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও  কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। আইনটির ৭ ধারায় সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের সাজা মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা কমপক্ষে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়। এ আইনের অধীনে কৃত অপরাধগুলো আমলযোগ্য এবং তা আপস ও জামিনের অযোগ্য অপরাধ।

 

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন হওয়ার পর গত নয় বছরে এ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ৫ হাজার ৭১৬টি। এ পর্যন্ত মাত্র ২৪৭টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থ্যাৎ মামলা নিষ্পত্তির হার মাত্র ৪%। অনেক বিচার এখনো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই হচ্ছে। মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পেছনে এটিও একটি কারণ।আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে মানব পাচার মামলায় আদালতে পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হওয়া। মানব পাচার মামলায় সাধারণত নিয়মিতভাবে সাক্ষী পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগীরা সহায়তা না করলে শেষ পর্যন্ত মামলা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় কথা,মানব পাচাররোধে আইনের সঠিক প্রয়োগ ঘটানো হলে, সরকারিভাবে দেশে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে এবং জনগণ কর্তৃক দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার মানসিকতা পরিহার করলে মানবপাচারের সংখ্যা নি:সন্দেহে কমে আসবে। যেহেতু দেশে মানব পাচারের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে, তাই মানব পাচার রোধে এখন আইনের কঠোর প্রয়োগের বিকল্প নেই। পাশাপাশি মানব পাচার রোধে গণমাধ্যমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অধিকতর তৎপর হতে হবে। অন্যথায়, মানব পাচার বন্ধ হবে না এবং মানব পাচারকারীরাও শাস্তি পাবে না।

Header Ad
Header Ad

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!

সালমান খান ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

তামিল পরিচালক অ্যাটলি কুমারের নতুন সিনেমা নিয়ে উত্তেজনা কমছে না। ‘জাওয়ান’-এর সফলতার পর এবার অ্যাটলি তাঁর পরবর্তী মেগাবাজেট সিনেমা নিয়ে আসছেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সালমান খানকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন তিনি।

তবে এখন জানা গেছে, এই সিনেমায় থাকছেন না সালমান খান। বরং, পরিচালক এবার তার জায়গায় দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ‘পুষ্পা ২’ তারকা মৌখিকভাবে সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিক চুক্তি এখনও বাকি। শুটিং শিডিউল নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে পরিচালক-অভিনেতার। আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসের মধ্যেই প্রি প্রোডাকশনের কাজ শুরু হবে পুরোদমে।

কিন্তু হঠ কেন সালমান খানকে বাদ দিতে হল? এ বিষয়ে জানা গেছে, পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে অ্যাটলি পরিচালিত এই সিনেমার প্রযোজনা করবে ডাকসাইটে তামিল প্রযোজনা সংস্থা সান পিকচার্স। যারা এই পিরিয়ড ড্রামার জন্য ৬০০ কোটির বাজেট নির্ধারণ করেছেন। আর সেই প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকেই নাকি আপত্তি উঠেছে।

সালমান খান-অ্যাটলি কুমার ও আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

প্রযোজক নাকি সালমানের ওপর মেগাবাজেট সিনেমার ভার ছাড়তে নারাজ। সম্ভবত ভাইজানের বিগত কয়েক বছরের বক্স অফিসের গ্রাফ দেখেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের! আর সেই জন্যই আল্লু অর্জুনকে বেছে নিয়েছেন তারা। যে ‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দৌলতে একাই দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিকে ৩০০০ কোটির ব্যবসা দিয়েছিল।

চব্বিশ সালের শেষের দিকেই শোনা গিয়েছিল, অ্যাটলির সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন সালমান খান। বিগ বাজেট সিনেমার স্টারকাস্টে যে দক্ষিণী পরিচালক বড় চমক দেবেন, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল তখন। ভারতীয় বিনোদুনিয়ার দুই মেগাস্টার রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের নামও শোনা গিয়েছে। তবে সালমান না থাকলেও দক্ষিণের এই দুই তারকাকে দেখা যাবে সিনেমায়।

‘জাওয়ান’ সিনেমা বক্স অফিসে সাড়া ফেলতেই গত দুই বছর ধরে অ্যাটলি মগ্ন নতুন সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, অ্যাকশন প্যাকড সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। গত বছর দিনরাত এক করে পুনর্জন্মের প্রেক্ষাপটে এই মেগা বাজেট সিনেমার কাজ করছেন অ্যাটলি কুমার। চিত্রনাট্যে অতীত এবং বর্তমান দুই সময়কাল ধরা হবে।

জানা গেছে, অ্যাটলি চিত্রনাট্য এমনভাবে তৈরি করছেন, যেরকম পিরিয়ডিক গল্প আগে কোনওদিন সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। কাল্পনিক জগতের আঁধারে সিনেমাতে থাকবে রুদ্ধশ্বাস সব দৃশ্য। অ্যাটলির ফ্রেমে যোদ্ধার অবতারে চমক দেবেন আল্লু। যেহেতু অতীত-বর্তমান মিলিয়ে গল্প সাজানো হচ্ছে, তাই আপাতত চিত্রনাট্যে ঘষামাঝা করতে ব্যস্ত পরিচালক।

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪’ বাতিল করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই পদকের নীতিমালা চুড়ান্ত হলেও, সেটা কাউকে দেওয়া হয়নি।

গত বছর ২০ মে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক' সংক্রান্ত নীতিমালার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল তৎকালীন সরকার।

তবে এ সংক্রান্ত কোনো পুরস্কার এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অনুমোদনের ১০ মাসের মাথায় অন্তর্বতী সরকার সেটা বাতিল করল।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পরপর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের। পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ডলার এবং ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক ও সনদ।

পৃথিবীর যেকোনো স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি, যুদ্ধ বন্ধ ও বিরতিতে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল বাতিল হওয়া নীতিমালায়।

Header Ad
Header Ad

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার পর ভাইরাল হওয়া সুনামগঞ্জের যুবদল নেতা হাসমত আলীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সোমবার (৪ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সদস্য (সাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট আব্দুল হক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতা হাসমত আলী দিরাই পৌর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন হাসমত আলী। বক্তব্যের শেষে তিনি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ প্রসঙ্গে হাসমত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি দীর্ঘদিন ধরে শহীদ জিয়ার আদর্শে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অসুস্থতার কারণে অসাবধানতাবশত এমনটা হয়ে গেছে।"

এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!
৬৭ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশী
মব নিয়ে কড়া বার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নিজের তৈরি হেলিকপ্টারে আকাশে উড়লেন মানিকগঞ্জের তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা
শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন ঢাবি অধ্যাপক সি আর আবরার
যাত্রীদের নিরাপত্তায় মেট্রোরেলের ভেতরে পুলিশ মোতায়েন
ভারতের কারাগারে বন্দি ১০৬৭ বাংলাদেশি এবং পুলিশ লাইনে বন্দিশালার খোঁজ পেয়েছে গুম কমিশন