বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্যটনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ

অর্থনীতিতে চাহিদা তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে গেলে এর মূল্য বাড়ে। আবার সরবরাহ বাড়লে ওই দ্রব্যের মূল্য কমে। তবে সরবরাহকারী ও বিক্রেতা এক হয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করলে অর্থনীতির চাহিদা তত্ত্ব আর কাজ করে না। তখন দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয় এবং ইচ্ছামতো মূল্য বাড়ানো হয়। ফলে ক্রেতা সাধারণ তাদের ভোক্তা অধিকার হারান। পণ্যের ন্যায্য মূল্য ছাড়াও ভোক্তা অধিকারের মধ্যে আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত। যেমন- পণ্যের মান, মূল্য অনুযায়ী মান, সরবরাহের সময়, সরবরাহের স্থান ইত্যাদি।

সমাজাবজ্ঞানীরা বলছেন যে, এই সব কিছু ঠিক রাখতে হলে সুশাসন ছাড়া সম্ভব নয়। সুশাসনের অভাবে বাজারের ভাষা ও জনগণের ভাষার মধ্যে ব্যাপক ফারাক হয়ে হয়। বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয় এবং মানুষের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষাগুলো পীড়নের মুখে পড়ে। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, পণ্যের মান হ্রাস, সেবায় বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি সমভাবে পরিলক্ষিত হয়। এই অবস্থায় আমরা খুব সহজেই একে বাজার অর্থনীতির উপর চাপিয়ে দিয়ে দায় মুক্ত হই। আরও বিপদের কথা হলো রাষ্ট্র যখন এই অবস্থাকে সমর্থন করে, ক্রেতা সাধারণ তখন হতাশায় প্রমাদ গুণে।

দৈনন্দিন জীবনে অপাংক্তেয় ও অশুভ শক্তিকে প্রতিদিন অসহায়ভাবে মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের মানুষকে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ এখন জীবনধারার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৈরি হচ্ছে সামাজিক অভ্যন্তরীণ ক্ষত ও অসহনীয় যন্ত্রণা। অসহায় মানুষ এর প্রতিকারের জন্য নিষ্ফল চেষ্টা করে বটে, তবে তাতে কোনো ফল পায় না। আবার তাতে কারো কিছু যায় আসেও না। অসহায়ত্ব দিনে দিনে বোঝা হয়ে সমাজে গ্লানিকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এভাবেই রাজনীতি ও সুশাসনের বিকৃত রূপের মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মানুষ ভোক্তা অধিকার হারিয়ে লাচার হয়ে পড়েছেন।

সাধারণ মানুষ ভোক্তা অধিকার হারালে সমাজে তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ভোক্তাগণ সমাজের অংশ। সমাজ টিকে থাকে তাদের কর্ম, চিন্তা ও দর্শনের দিয়ে। তাদের উৎপাদিত পণ্য, সেবা ও চেতনা বর্তমান ও ভবিষ্যত সময়ের প্রধান উপকরণ হিসেবে সমাজ পরিচালনা করে। ফলে ভোক্তাদের দুর্ভোগ সমাজে ক্রমসঞ্চিত নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। যা এক কাল থেকে অন্য কালে হেঁটে যায় - ইতিহাসে একে মন্দ ঘটনা বলে উদ্ধৃত করা হয়।

আমাদের দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণীত হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পণ্যের মোড়কীকরণ না করা, মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয় করা, ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা, খাদ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মেশানো, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন, ওজন ও পরিমাপে কারচুপি, নকল পণ্য প্রস্তুত, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন ও নিরাপত্তা বিপন্ন করা এবং সর্বোপরি কোনো সেবা প্রদানকারী অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানি ঘটানো শান্তিযোগ্য অপরাধ। অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের আরো কতগুলি বিষয় যেমন পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি এবং মূল্য বৃদ্ধির রূপরেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষোক্ত এই দুটি বিষয় নির্ধারণের ব্যর্থতায় ভোক্তা অধিকার সম্যকভাবে কার্যকর হচ্ছে না।

এবার পর্যটনের দিকে নজর দেওয়া যাক। পর্যটনের প্রধান ভোক্তা পর্যটক। একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে কিছুটা সময়ের জন্য পর্যটকগণ ভ্রমণে যান। ওই সময় তাদের প্রয়োজন পড়ে জীবনমুখী নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য পণ্য ও সেবার। যাপিত জীবনের একটা অংশে এরা ভ্রমণ করেন; আগ্রহী হন বিশ্রাম, বিনোদন বা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভের আশায়। এদের ভ্রমণকে কেন্দ্র করে পৃথিবীতে পর্যটন শিল্প আজ তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পের আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক জিডিপির ১০% আসে পর্যটন থেকে, ১০% কাজও সৃষ্টি করেছে পর্যটন খাত। তাই পর্যটকদেরকে যত্ন করার দায়িত্ব স্থানীয় মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের। উল্লেখ্য যে, পর্যটক প্রধান ভোক্তা হলেও গন্তব্যে বসবাসকারী মানুষ, পর্যটন সেবাদানকারী ব্যক্তিবর্গ এমনকি ওই স্থানে যাওয়া অন্যান্য মানুষও তাদের ভোক্তা অধিকার থেকে ব্যাপকভাবে বঞ্চিত হন। পর্যটনের জন্য অন্যদের অধিক মূল্যে পণ্য ও সেবা ক্রয় করতে হয়, যার ফলে গন্তব্যের সুনাম নষ্ট হয়।

কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলো পর্যটন স্থানগুলিতে গমনাগমনের যানবাহনের মূল্য, বিশেষত আকাশযানের মূল্য সারা পৃথিবীতিতেই নিয়ন্ত্রণহীন। জুয়া খেলার মতো বিমান ভাড়া নিয়ে চলে নানা ধরনের কারসাজি। কখন বাড়ে আর কখন কমে তা কেউ বলতে পারে না। কেউ নিয়ন্ত্রণও করে না। বৈশ্বিক এই অনুশীলন থেকে অন্যরা শিক্ষা লাভ করে অবশিষ্ট সেবা যেমন খাদ্য, আবাসন, দর্শনীয় স্থানের প্রবেশ মূল্য, বিনোদন মূল্য ইত্যাদি সবই প্রতিদিন মাত্রা ছাড়িয়ে বাড়তে থাকে। এই অবস্থার জন্য ভ্রমণরত মানুষ অসহায় হয়ে পড়েন। ভ্রমণের সকল আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়ে যায়। ফলে পর্যটন ভোক্তাগণ নিত্যদিন তাদের ভোক্তা অধিকার হারান।

ভোক্তাগণ অধিকার হারালে কী হবে? এটি খুবই একটি সংবেদনশীল প্রশ্ন। আমরা হয়তো এর গভীরতায় প্রবেশ করতে চাই না। তবে বিষয়টি তলিয়ে দেখা দরকার বলেই আমার ধারণা। নিচে এর একটি তুলনামূলক উপসংহার তুলে ধরছি।

প্রথমত, সাধারণ ভোক্তাগণ মূল্য বৃদ্ধি ও অন্য কোনো কারণে পণ্য ক্রয় বাধাগ্রস্ত হলে প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য ভোগহ্রাস পদ্ধতিতে জীবন নির্বাহ করবেন। অনেকে কিছু পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করতে পারেন। কেউ কেউ পণ্য প্রতিস্থাপন কৌশলও বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ কৃচ্ছ্রতার আশ্রয় গ্রহণ করাই হবে ভোক্তাদের প্রধান চেষ্টা। এই চিত্রটি অর্থনীতিতে একটি বড় ধাক্কা দেবে এবং সমাজে অনাচারের জন্ম দিবে। নিম্ন আয়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ বাঁচার জন্য শ্রমের মূল্য বাড়াবে, যা আবার পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সাধারণের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ না করতে করতে পারলে এই অনাচারের শিকার হতে হবে কমবেশি সকলকেই।

অন্যদিকে পর্যটন ভোক্তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে একটি গন্তব্যে পর্যটন পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি ও মান হ্রাস হলে ভ্রমণকে আপদকাল হিসেবে বিবেচনা করে পর্যটনগণ বাধ্য হবেন পণ্য বা সেবা ক্রয় সংকোচন করে ভ্রমণ শেষ করতে। তবে পরবর্তীতে উক্ত গন্তব্যে গমনে অবশ্যই এরা বিমুখ হবে। এই বিমুখতা গন্তব্যের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পর্যটকদের পরিমাণ হ্রাস পেলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কর্মচ্যুতি ঘটবে। বিনিয়োগকারীগণ তাদের বিনিয়োগ নিয়ে বিপদে পড়বেন। ব্যাংকগুলো তাদের ব্যাংকগুলোকে তাদের ঋণ তুলে আনতে হিমশিম খেতে হবে। সর্বোপরি উক্ত গন্তব্য তার আয়ুষ্কাল দ্রুত হারাবে। যা গন্তব্যের বিনিয়োগকারীদেরকে ‘ট্যুরিজম রিফিউজি’তে পরিণত করতে পারে।

এই অবস্থায় আমাদের করণীয় নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়ন জরুরি। পর্যটন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে অন্তত নিচের ৫টি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রত্যক্ষভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। সঙ্গে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে।

১. পর্যটন আবাসন যেমন হোটেল, মোটেল, রেস্টহাউজ ইত্যাদির খুচরা মূল্য ৯০ দিন পূর্বে ঘোষণা করতে হবে। করপোরেট রেট, বিশেষ মূল্য এবং বিজনেস টু বিজনেস মূল্য আলাদা ও অপ্রকাশিত থাকতে পারে।
২. গন্তব্যের যানবাহনের পরিবহণ মূল্য অন্তত ৩০ দিন পূর্বে নির্ধারণ করে ঘোষণা করতে হবে।
৩. খাদ্য মূল্য মান নির্ধারণসহ অন্তত ১৫ দিন পূর্বে ঘোষণা করতে হবে।
৪. স্থানীয় গাইডদের নামের তালিকা ও মূল্য ৯০ দিন পূর্বে ঘোষণা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, গাইড প্রশিক্ষণ ও মান অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
৫. গন্তব্যের স্থানীয় বাজার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যেন নিত্যপণ্য, স্যুভেনির ইত্যাদি কোনো কিছুই অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় না করতে পারে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪