বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মূল্যবৃদ্ধির চাপ ও চিড়ে চ্যাপ্টা জনগণ

নতুন বছর আসে, নানা ধরনের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কিন্তু শুভেচ্ছা জানিয়ে অর্থনৈতিক চাপ থেকে মুক্তি দেওয়া যায় কি? ধান থেকে চিড়া হয়। চিড়া বানানোর বিশেষ প্রক্রিয়া আছে। এক্ষেত্রে এমনভাবে চাপ দেওয়া হয় যাতে চাল ভেঙে গুড়ো হয় না বরং চ্যাপ্টা হয়ে যায়।

অর্থনীতিতেও এমন কিছু চাপ আছে যাতে ক্রেতা বা ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হবে না কিন্তু এমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে যে, সে জীবন্মৃত হয়ে টিকে থাকবে। একে চিড়ে চ্যাপ্টা দশা বলা যেতে পারে। ক্ষমতাসীনরা বলবেন কই, না খেয়ে মানুষ তো মরেনি। আর সাধারণ মানুষ ভাববে এ ভাবে বেঁচে থাকার কষ্ট যদি আপনারা বুঝতেন?

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পাল্টা-পাল্টি আলোচনা এখন আর শুধু একাডেমিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন সাধারণ মানুষও জানতে চাইছেন এবং জানতে পারছেন কি হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে, ডলার রিজার্ভ কত, খেলাপি ঋণ কত, কে বা কারা ঋণ নিচ্ছে বিপুল পরিমাণে আর তার প্রভাব কি পড়ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কিন্তু কী করবেন তারা? না জানাটা অজ্ঞতা আর জেনেও কিছু করতে না পারাটা তাদের অসহায়ত্ব। তারপরও জানতে হয় এবং তারা সেটা জানছেন পত্রিকা মারফত। জেনে ভবিষ্যতে আরও কত কি দেখতে হবে বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছেন।

দেশের অভ্যন্তরে ব্যাংকগুলোর আমানত কমছে। গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ দ্বিগুণের বেশি ঋণ বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্য দেখা দিয়েছে। আমানতের সুদ মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম বলে অনেকেই ব্যাংকে টাকা রাখছেন না। আবার অনেকে খরচ মেটাতে সঞ্চয় ভেঙে ফেলছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে নতুন করে সঞ্চয়ও কমে এসেছে।

গত অক্টোবরে আমানতের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, নভেম্বরে যা ৩ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি বেশি দামে ডলার কেনা, রেমিট্যান্স কেনা, রপ্তানি বিল নগদায়নে গ্রাহকদের বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। আবার ব্যবসা মন্দার কথা বলে ব্যবসায়ীরাও ঋণ পরিশোধ করতে গড়িমসি করছেন। ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্যের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, গত ৬ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৬৫ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ধার করেছে বাংলাদেশ সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া এ ঋণের টাকার অর্ধেকের মত ব্যয় হয়েছে সরকারের বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকার ঋণ শোধ করতে। এর ফলে বেসরকারি ব্যাংকের কাছে নেওয়া ঋণ কমলেও বেড়ে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঋণের পরিমাণ।

আমদানি, রপ্তানি, ব্যাংকের তারল্য, ঋণ ব্যবস্থাপনা, ব্যাংকের আমানত সব কিছুর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে। সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে— এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই

প্রতিবেদনে শুধু বাংলাদেশ নয় অন্যান্য দেশ সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যেমন, ভারতের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, পাকিস্তানের ২ শতাংশ, নেপালে ৫ দশমিক ১ শতাংশ, ভুটানে ৪ দশমিক ১ শতাংশ, মালদ্বীপে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

উপরের স্তরে এইসব আলোচনা মানুষকে স্পর্শ না করলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বিশেষ করে গত এক বছর ধরে মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া। ২০২১ সালের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে বিপুল পরিমাণ বাড়ানোর পর থেকে মূল্যস্ফীতি যেন মাত্রা ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২২ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হলেও এই দুই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। বিবিএস এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের আগস্টে গত ১১ বছর ৩ মাসের (১৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ হওয়া দরকার। কিন্তু যারা নীতি নির্ধারক তারা কোনো পরামর্শ কানে তুলছেন বলে মনে হচ্ছে না। বরং বিরোধীদের বিরোধিতা করতে তাদের সময় ও শক্তি ব্যয় করছেন।

এর মধ্যেই বছরের শুরুতেই নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এরপর বাড়াল গ্যাসের দাম। এতদিন দাম বাড়ানোর জন্য গণশুনানির যে নামকা ওয়াস্তে পদ্ধতি ছিল এবার সেটাও আর রক্ষা করা হলো না। বিদ্যুৎ খাতে কি এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে এতো দ্রুত দাম না বাড়ালে চলতো না?

এর ফলে কী হলো? এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের তো তাহলে আর কিছু করার থাকল না। সঙ্গত কারণে প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাহলে এত কষ্টের টাকা খরচ করে কমিশন নামক প্রতিষ্ঠান রাখার কি প্রয়োজন? শুনানি হলে অন্তত কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারতেন, দুর্নীতি-অনিয়ম ও কোম্পানির অদক্ষতার বিষয়টা আলোচনা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আসতে পারতো। ফলে এটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মানে একটাই তা হলো যা সিদ্ধান্ত নেব তাই বাস্তবায়ন করব। আর নির্বাহী আদেশে দাম বাড়ানোর পদ্ধতি চালু হলে বাজারে মনোপলি (একচেটিয়া) তৈরি হবে। এতে লাভবান হবে কোম্পানিগুলো তারা অতিরিক্ত মুনাফা তুলে নেবে। আর কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা কমবে, অদক্ষতা ও অপচয় বাড়বে। আর মূল্যবৃদ্ধির চাপ বহন করে জনগণ চ্যাপ্টা হতেই থাকবেন। বিদ্যুতের পর গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো। গ্যাসের দাম বাড়ল বলে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। বাড়িওয়ালারা বলছেন বাড়ি ভাড়া না বাড়ালে তো আর চলে না। শিশুর খাদ্য থেকে মৃত্যু পথযাত্রী অসুস্থ রোগীর ওষুধের দাম, কোনটা বাড়ছে না? বাড়ছে না শুধু সাধারণ মানুষের আয় রোজগার। মূল্যবৃদ্ধির এই চাপ থেকে মানুষের কি রেহাই মিলবে না?

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে অবস্থিত শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে এই সপ্তাহে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মন্দিরের দেয়ালে গ্রাফিতি করে লেখা হয় ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বার্তা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত রোববার (৯ মার্চ) সকালে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের এবং চরম বর্বরতার খবর পেয়েছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নেপথ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি স্থানীয় প্রশাসনকে। এই মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার আবেদন জানাচ্ছি।’

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টের মাধ্যমে এদিন বিএপিএস পাবলিক অ্যাফেয়ারস জানায়, ‘আরেকটি মন্দিরে অপবিত্রতা ছড়ানো হলো। ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি এই ঘৃণা প্রদর্শনের চরম বিরোধিতা করছি। চিনো হিলস এবং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার মাটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি এই ঘৃণাকে আমরা কখনোই শিকড়ে গাঁথতে দেব না।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের সাধারণ মানবিকতা, বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যাতে শান্তি-করুণা বিরাজ করতে পারে সর্বত্র।’ যদিও এখনও পর্যন্ত চিনো হিলস পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি।

 

এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রেমেন্টোতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। মন্দিরের গায়ে ঘৃণাসূচক মন্তব্য লিখে রাখা হয়েছিল। বার্তা লেখা ছিল, ‘হিন্দুজ গো ব্যাক’।

Header Ad
Header Ad

শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস

শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতারে করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় তিনি বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতারে অংশ নেবেন।

বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তার বক্তব্য অনুযায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব তিন দিনের এই সফরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

১৪ মার্চ সকালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও উচ্চ প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন গুতেরেস। পরে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন। উভয়ে একসঙ্গে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবেন এবং সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে আসবেন।

কক্সবাজার সফরের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি আলোচনা করবেন গুতেরেস ও ইউনূস।

প্রেস সচিব জানান, রোহিঙ্গা সংকটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে কাজ করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গুতেরেসের সফরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকটের সময়ও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন আন্তোনিও গুতেরেস। এটি তার দ্বিতীয় সফর। সফরের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক ও একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (ইনসটে অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম)। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে আগামীকাল (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য উক্ত শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মেইলটি করা হয়।

মেইলে উল্লেখ করা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে। এই সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এই কোর্স না শুধু প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষারই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছ এক নারী শিক্ষার্থীকে এগুলো দিয়েছেন। মেইলের সঙ্গে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত কিছু পিডিএফ সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি পিডিএফের মেটাডাটা উল্লেখ করা হয়।

মেটাডেটা বিশ্লেষণে শিক্ষক কতৃক সরবরাহ করা পিডিএফ ফাইল তৈরির ডিভাইস, তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।'

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, 'আমরা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছি। তবে এই বিষয়টি যেহেতু বেনামি মেইল থেকে আসা তাই আমরা সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না যদি শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ না দেয়।'

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও প্রভাষক জাকিয়া জাহান মুক্তা বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো। অভিযোগটি ভিত্তিহীন নাকি সত্য, তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।'

পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর আমরা শিক্ষকরা মিলে এই ব্যাচের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে এ সংক্রান্ত একটি মেইল পেয়েছি। আমরা ঐ বিভাগের চেয়ারম্যানসহ কথা বলেছি। আগে বিভাগের একাডেমিক কমিটি বিষয়টি দেখবে। তারপর এই বিষয়ে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'আমাদের কাছে এখনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিভাগ বা শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!
শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ১ লাখ টাকায় সালিশের রায়, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন
ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ
বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা
জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
পাঁচ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, রোগীদের ভোগান্তি
৩ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আতিকুল-মহিবুল
আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর অনেক এলাকায়
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে 'ডাক্তার' লেখা যাবে না: হাইকোর্ট
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি, দুবার বন্ধ হয়েছে হৃৎস্পন্দন