শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন লাইমলাইটে

গত ২১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাকে তিনি ‘ভেরি গুড অফিসার’ ও ‘তুখোড় ছেলে’ বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে তিনি যতদিন (মন্ত্রী হিসেবে) আছেন, ততদিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে (আগলে রেখে) যাবেন।’

এই কথা বলার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের একজন ভালো অফিসারের কাজকে যেমন সমর্থন করেছেন তেমনি দায়িত্বশীল মন্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন। মন্ত্রী কেবল দল কিংবা সরকারের প্রতিনিধি নন তিনি তার মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তার সহকর্মী- এই দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে অগ্রগামী চিন্তা লালনকারীর দৃষ্টান্ত। এজন্য তার এ কথাগুলোও গুরুত্ববহ- ‘বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে মাল্টি ন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে। উপরে উঠানোর চেষ্টা করে না, খালি নামানোর জন্য। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক ডিপ্লোম্যাট আছে, আমাদের একজন ডিপ্লোম্যাট, হি (তৌহিদুল) ইজ সাকসেসফুল।’ একজন মেধাবী অফিসারের পক্ষ নেওয়ার এই দৃষ্টান্ত বিরল। এদেশে কারও সম্পর্কে মিডিয়া কোনো নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করলেই মানুষ তাকে খারাপ ভাবতে শুরু করে। এজন্য মন্ত্রী মিডিয়া নিয়ে যৌক্তিক কথাই বলেছেন।

উল্লেখ্য, কূটনীতিক তৌহিদুল ইসলাম মেডিকেল ডাক্তার। তিনি ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করেন ফার্স্ট ক্লাশ পেয়ে, তারপর যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেন সেখানেও সারা দেশে ফার্স্ট, তার ব্যাচের ফার্স্ট বয় তিনি। অত্যন্ত ভালো, তুখোড় এই অফিসারকে এখন টেনে কীভাবে নামানো যায় সেই চেষ্টা করছে তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা। এমনকি তার বিরুদ্ধে আগে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত বলতে হয় দেশ-বিদেশের মানুষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে স্পষ্টভাষী ও সত্যবাদী হিসেবে ভালো করেই জানেন এবং চিনেন। এজন্য তিনি যখন কারও পক্ষে কথা বলেন তখন ধরে নিতে হবে সেই বিষয়ে জেনে, শুনে ও বুঝেই বলেছেন। এজন্য তার উপর আস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি এখন লাইমলাইটে। তার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত অনেক রাষ্ট্রদূতকেই আমরা জানি ও চিনি। যেমন- কলকাতায় নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও একজন সুযোগ্য ডিপ্লোম্যাট। আন্দালিব ইলিয়াসের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যাবে তিনি বিদেশে বসে দেশের জন্য কতটা আন্তরিক ও দেশের ইতিবাচক কাজের ধারা বাইরের দেশে তুলে ধরার জন্য কতটা নিবেদিত ও শ্রমনিষ্ঠ। তাকে নিয়োগ দেওয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই।

২.

জানুয়ারিজুড়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তৎপরতা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের অতি উৎসাহ এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা যখন উচ্চে তখন তিনি ১৪ জানুয়ারি বলেছেন, ‘আমরা একটা স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের গণতন্ত্র আছে, মানবাধিকার আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মতামতের প্রয়োজন নেই। এ দেশের নির্বাচন ভালো কী মন্দ হবে সেটা ঠিক করবে এ দেশের জনগণ। অন্য কেউ না। অন্য কেউ এটা নিয়ে কিছুই করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ এটা ঠিক করবে। তিনি একথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, আওয়ামী লীগ সরকার বুলেটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। বরং সব সময় স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে ব্যালটের মাধ্যমে। এজন্য যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ এমন দল না যে, কোনো বড় দলকে নির্বাচন করতে দেবে না। সবাইকে নিয়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ মন্ত্রীর এই কথাগুলো যে বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের তা লেখাবাহুল্য।

এ ছাড়া তিনি বিদেশে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পহেলা জানুয়ারিতে। বিশেষত দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বানোয়াট তথ্য দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিদেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচাররোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এটা নিয়ে কাজ করবে। প্রকৃত তথ্য ও ঘটনা তুলে ধরবে।’

নিজের দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌম রক্ষায় ড. মোমেন সব সময় সোচ্চার। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি। তার মতে, ‘আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো পরামর্শ বা মাতব্বরি করার সুযোগ নেই। কারণ ১৯৭১ সালে এসবের জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন।’ দেশের বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমেরিকা-রাশিয়া কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। আমরা চাই প্রতিটা দেশ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী চলবে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক গলাক সেটা আমরা চাই না।’

জানুয়ারিতেই ‘লাইমলাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল লিখেছে, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের গঠিত ২০১৯ সালের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যর্থ মনে করা হতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে। এর অন্যতম কারণ হলো ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ। অভিযোগ রয়েছে কতগুলো ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ ছিল না বলেই অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ তৎপরতা না থাকার কারণে কোনো একটি গোষ্ঠী লবিস্ট নিয়োগ করে র‌্যাবের উপর এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হতো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য নানাভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। যেমন- ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি’, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ এ ধরনের মন্তব্যের জন্য তিনি সারা বছরজুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের শুরুতে তিনি পাশার দান উল্টে দিলেন এবং এখন সফল মন্ত্রীদের তালিকা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর নামই প্রথমে আসে।’

এই ভূমিকা দেওয়ার পর নিউজ পোর্টালটি দেশপ্রেমিক এই মন্ত্রীর বিভিন্ন অবদানকে তুলে ধরে। যেমন- সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সফরে করে গেছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তার এই সফরের আগে নানা জল্পনা-কল্পনার কথা শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে মার্কিন দূতাবাস পিটার ডি হাস এর যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ফলে ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের আগে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনার গুঞ্জন উঠে। গুঞ্জন উঠেছিল ঢাকার উপর আবার নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে তেমন কোনো কিছুই হয়নি। বরং তিনি ঢাকা সফরে এসে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে।’ লু আরও বলেন, ‘র‌্যাব নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্বীকৃতি দিয়েছে, আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। খুব চমৎকার কাজ হয়েছে। তারা ল’ এনফোর্সমেন্ট এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।’ জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু দেশ অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি। জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে।’

অর্থাৎ ডোনাল্ড লু’র সফরের আগে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গেলেও সেগুলোর কোনোটাই হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকার জন্যই বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা পাল্টেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এর পেছনে কৃতিত্ব রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।

৩.

মূলত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এ কে আব্দুল মোমেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে চলে নিজের মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজিয়েছেন। নিজের দেশকে নিয়ে সর্বদা কেবল গর্ব করেন না, বরং তিনি কাজ দিয়ে মানুষের মূল্যায়ন করে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন ও তার নিজের অফিসারদের নির্দেশনা দিয়ে সুরক্ষা করেন। ড. মোমেনের মতো মন্ত্রী আছেন বলেই এদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ববাসীর কাছে আরও বেশি উজ্জ্বল হচ্ছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করার পেছনে যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য অবদান রয়েছে তেমনি দেশের এই সাফল্যকে ধরে রাখা ও এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই কাজটি সুচারুভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কেবল একজন যোগ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন বলেই।

ড. মিল্টন বিশ্বাস: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক। 

এসজি

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ