সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন লাইমলাইটে

গত ২১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাকে তিনি ‘ভেরি গুড অফিসার’ ও ‘তুখোড় ছেলে’ বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে তিনি যতদিন (মন্ত্রী হিসেবে) আছেন, ততদিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে (আগলে রেখে) যাবেন।’

এই কথা বলার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের একজন ভালো অফিসারের কাজকে যেমন সমর্থন করেছেন তেমনি দায়িত্বশীল মন্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন। মন্ত্রী কেবল দল কিংবা সরকারের প্রতিনিধি নন তিনি তার মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তার সহকর্মী- এই দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে অগ্রগামী চিন্তা লালনকারীর দৃষ্টান্ত। এজন্য তার এ কথাগুলোও গুরুত্ববহ- ‘বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে মাল্টি ন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে। উপরে উঠানোর চেষ্টা করে না, খালি নামানোর জন্য। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক ডিপ্লোম্যাট আছে, আমাদের একজন ডিপ্লোম্যাট, হি (তৌহিদুল) ইজ সাকসেসফুল।’ একজন মেধাবী অফিসারের পক্ষ নেওয়ার এই দৃষ্টান্ত বিরল। এদেশে কারও সম্পর্কে মিডিয়া কোনো নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করলেই মানুষ তাকে খারাপ ভাবতে শুরু করে। এজন্য মন্ত্রী মিডিয়া নিয়ে যৌক্তিক কথাই বলেছেন।

উল্লেখ্য, কূটনীতিক তৌহিদুল ইসলাম মেডিকেল ডাক্তার। তিনি ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করেন ফার্স্ট ক্লাশ পেয়ে, তারপর যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেন সেখানেও সারা দেশে ফার্স্ট, তার ব্যাচের ফার্স্ট বয় তিনি। অত্যন্ত ভালো, তুখোড় এই অফিসারকে এখন টেনে কীভাবে নামানো যায় সেই চেষ্টা করছে তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা। এমনকি তার বিরুদ্ধে আগে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত বলতে হয় দেশ-বিদেশের মানুষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে স্পষ্টভাষী ও সত্যবাদী হিসেবে ভালো করেই জানেন এবং চিনেন। এজন্য তিনি যখন কারও পক্ষে কথা বলেন তখন ধরে নিতে হবে সেই বিষয়ে জেনে, শুনে ও বুঝেই বলেছেন। এজন্য তার উপর আস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি এখন লাইমলাইটে। তার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত অনেক রাষ্ট্রদূতকেই আমরা জানি ও চিনি। যেমন- কলকাতায় নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও একজন সুযোগ্য ডিপ্লোম্যাট। আন্দালিব ইলিয়াসের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যাবে তিনি বিদেশে বসে দেশের জন্য কতটা আন্তরিক ও দেশের ইতিবাচক কাজের ধারা বাইরের দেশে তুলে ধরার জন্য কতটা নিবেদিত ও শ্রমনিষ্ঠ। তাকে নিয়োগ দেওয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই।

২.

জানুয়ারিজুড়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তৎপরতা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের অতি উৎসাহ এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা যখন উচ্চে তখন তিনি ১৪ জানুয়ারি বলেছেন, ‘আমরা একটা স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের গণতন্ত্র আছে, মানবাধিকার আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মতামতের প্রয়োজন নেই। এ দেশের নির্বাচন ভালো কী মন্দ হবে সেটা ঠিক করবে এ দেশের জনগণ। অন্য কেউ না। অন্য কেউ এটা নিয়ে কিছুই করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ এটা ঠিক করবে। তিনি একথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, আওয়ামী লীগ সরকার বুলেটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। বরং সব সময় স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে ব্যালটের মাধ্যমে। এজন্য যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ এমন দল না যে, কোনো বড় দলকে নির্বাচন করতে দেবে না। সবাইকে নিয়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ মন্ত্রীর এই কথাগুলো যে বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের তা লেখাবাহুল্য।

এ ছাড়া তিনি বিদেশে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পহেলা জানুয়ারিতে। বিশেষত দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বানোয়াট তথ্য দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিদেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচাররোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এটা নিয়ে কাজ করবে। প্রকৃত তথ্য ও ঘটনা তুলে ধরবে।’

নিজের দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌম রক্ষায় ড. মোমেন সব সময় সোচ্চার। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি। তার মতে, ‘আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো পরামর্শ বা মাতব্বরি করার সুযোগ নেই। কারণ ১৯৭১ সালে এসবের জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন।’ দেশের বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমেরিকা-রাশিয়া কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। আমরা চাই প্রতিটা দেশ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী চলবে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক গলাক সেটা আমরা চাই না।’

জানুয়ারিতেই ‘লাইমলাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল লিখেছে, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের গঠিত ২০১৯ সালের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যর্থ মনে করা হতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে। এর অন্যতম কারণ হলো ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ। অভিযোগ রয়েছে কতগুলো ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ ছিল না বলেই অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ তৎপরতা না থাকার কারণে কোনো একটি গোষ্ঠী লবিস্ট নিয়োগ করে র‌্যাবের উপর এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হতো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য নানাভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। যেমন- ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি’, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ এ ধরনের মন্তব্যের জন্য তিনি সারা বছরজুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের শুরুতে তিনি পাশার দান উল্টে দিলেন এবং এখন সফল মন্ত্রীদের তালিকা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর নামই প্রথমে আসে।’

এই ভূমিকা দেওয়ার পর নিউজ পোর্টালটি দেশপ্রেমিক এই মন্ত্রীর বিভিন্ন অবদানকে তুলে ধরে। যেমন- সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সফরে করে গেছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তার এই সফরের আগে নানা জল্পনা-কল্পনার কথা শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে মার্কিন দূতাবাস পিটার ডি হাস এর যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ফলে ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের আগে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনার গুঞ্জন উঠে। গুঞ্জন উঠেছিল ঢাকার উপর আবার নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে তেমন কোনো কিছুই হয়নি। বরং তিনি ঢাকা সফরে এসে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে।’ লু আরও বলেন, ‘র‌্যাব নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্বীকৃতি দিয়েছে, আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। খুব চমৎকার কাজ হয়েছে। তারা ল’ এনফোর্সমেন্ট এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।’ জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু দেশ অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি। জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে।’

অর্থাৎ ডোনাল্ড লু’র সফরের আগে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গেলেও সেগুলোর কোনোটাই হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকার জন্যই বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা পাল্টেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এর পেছনে কৃতিত্ব রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।

৩.

মূলত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এ কে আব্দুল মোমেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে চলে নিজের মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজিয়েছেন। নিজের দেশকে নিয়ে সর্বদা কেবল গর্ব করেন না, বরং তিনি কাজ দিয়ে মানুষের মূল্যায়ন করে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন ও তার নিজের অফিসারদের নির্দেশনা দিয়ে সুরক্ষা করেন। ড. মোমেনের মতো মন্ত্রী আছেন বলেই এদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ববাসীর কাছে আরও বেশি উজ্জ্বল হচ্ছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করার পেছনে যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য অবদান রয়েছে তেমনি দেশের এই সাফল্যকে ধরে রাখা ও এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই কাজটি সুচারুভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কেবল একজন যোগ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন বলেই।

ড. মিল্টন বিশ্বাস: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক। 

এসজি

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি