বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বছর জুড়ে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে

বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন অনেক কিছুর সঙ্গেই সংযুক্ত। আমাদের দেশের অর্থনীতিও বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। সেদিক চিন্তা করলে যেসব কারণে অর্থনীতি নিয়ে চিন্তার ব্যাপার আছে তা হলো, কোভিডের পরে রিকভারি চলছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে দাম বৃদ্ধি যে পুরোপুরি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য তা নয়। কোভিড রিকভারি প্রসেসের মধ্য দিয়েই এরকম হয়েছে। সেই জায়গা থেকে এটি ধারাবাহিকভাবেই চলছে। সেই বিচারে নিজেদের অর্থনীতি নিয়ে বেশি ভাবতে হবে এজন্য যে, বিশ্বের অর্থনীতিতে একটি মন্দাভাব থাকবে। তবে বাজারগুলি যেহেতু আমাদের রপ্তানির প্রধান বাজার সেদিক থেকে আমাদের সচেতন ও চিন্তা ভাবনার দরকার আছে।

আমি বলব এখন পর্যন্ত আমাদের রপ্তানি বেশ ভালো। আমরা যদি এটি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে নিতে পারি, রপ্তানির দিক থেকে দুশ্চিন্তার কারণ হবে না। তবে অবশ্যই এই বাজারগুলি আমাদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে অর্থনীতি কোথায় যাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি মন্দার আশঙ্কা বড় বড় অর্থনীতিবিদ অথবা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা করছে। কাজেই ২০২৩ এ একটি মন্দাভাব থাকবে। সেক্ষেত্রে এই অনিশ্চিত অবস্থায় আমাদের পণ্যের বাজার কেমন হবে সেটি সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখতে হবে।

আরও একটি সতর্কতার বিষয় হচ্ছে, এ বছর হচ্ছে নির্বাচনের বছর। যদিও নির্বাচনের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে যেহেতু নির্বাচন হবে, তবে সারা বছর ধরেই তার প্রভাব কিন্তু অর্থনীতির মধ্যে পড়বে। সেটির একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, নানান জিনিসের কেনা বেচা অথবা বাজার একটু সরগরম থাকে; বিশেষ করে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। উদাহরণস্বরূপ প্রিন্টিংসহ স্বল্প আয়ের মানুষের নানামুখি কর্মসংস্থান যেমন চায়ের স্টলের আড্ডা থেকে সবকিছুই অর্থনীতির অংশ হয়ে যায়; যেগুলো নির্বাচনের বছরগুলোতেই চাঙ্গা হয়।

আবার কিছু অনিশ্চয়তা আমরা দেখি যেটি অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনে না। আমার মতে, এ বছরে অর্থনীতির দিক থেকে একটি ইতিবাচক প্রভাব থাকবে। এবারের নির্বাচন গ্রামে-গঞ্জে সারা দেশেই ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করবে। নির্বাচনকে ঘিরে যতধরনের পণ্য তার সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসা যুক্ত হবে। সেদিক থেকে বলা যায় যে, দেশের অর্থনীতি বেশ চাঙ্গা থাকবে। তবে বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে, মূল্যস্ফীতির বিষয়টি আমাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয়।

২০২৩-এ আমি মনে করি, এটি এখন পর্যন্ত যে গতিতে কমছে, সেটি বেশ ধীরগতি। আগামীতে ধানের ফলন ও সাপ্লাই চেঞ্জ ইত্যাদি জায়গাগুলোতে আমাদের মনোযোগ রাখতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো যেমন বন্যায় ফসল নষ্ট হয়, এসব ক্ষেত্রে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারে যারা নির্দিষ্ট আয়ে সংসার চালান, তারা চলছেন কিন্তু একটি চাপের মধ্যে আছেন। সেদিক বিবেচনায় মূল্যস্ফীতি বছর জুড়েই চিন্তার একটি ব্যাপার হবে।

সবকিছু মিলিয়ে আমি মনে করি, ২০২৩ সাল বাংলাদেশের জন্য একটি পরীক্ষার বছর, বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরের উন্নয়নের ধারায় আমাদের শক্তিমত্তা কতটুকু? বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে কিছুটা মন্দাভাব থাকলেও দরিদ্র-ধনী সবাই মিলে আমরা টিকে থাকতে পারি কীভাবে, সেদিক থেকে পরীক্ষার বছর। এই পরীক্ষায় ভালো ফল পেতে হলে আমাদের সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এ বিষয়ে আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।

নাজনীন আহমেদ: অর্থনীতিবিদ

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক