মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের কথকতা

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বলা হতো অলিম্পককে, আর এখন ফুটবল বিশ্বকাপকেও। বলা হয়, ‘ফুটবল প্রায়শই একটি খেলার চেয়ে বেশি’। সপ্তাহখানেক আগে যবনিকাপাত হওয়া কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল তারই সাক্ষ্য বহন করে। আর এবার অবসান হলো আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার, একই সঙ্গে মেসিরও অব্যক্ত যন্ত্রণার।

আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার উচ্ছ্বাস আর ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয়বার জিততে না পারার হাহাকার বিশ্বব্যাপী ফুটবল ভক্তদের মধ্যে মিলেমিশে একাকার। এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ, আর ভবিষ্যতের হিসেব নিকেশ। এদিকে হ্যাট্রিক সত্ত্বেও এমবাপ্পের প্রায় বাকরুদ্ধ হওয়া এবং ‘আবার ফিরে আসার’ অঙ্গীকারের নতুন দ্যোতনায় ভক্তরা উজ্জীবিত। ২০২৬ সালে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা’ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবে এবারের স্মরণীয় সাফল্য এবং শ্বাসরুদ্ধকর ফাইন্যালের মৌতাত।

মেসিময় বিশ্ব, মেসি দেবতার উত্থান

ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার পর বিশ্ব এখন মেসিময়। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে মেসি বন্দনা চলছে। আর আর্জেন্টাইনদের কাছে মেসি তারও চেয়ে বেশি কিছু। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতানোর পর ম্যারাডোনা আর্জেন্টাইনদের কাছে ’ফুটবল ঈশ্বর’-এ পরিণত হয়। ১৯৯৮ সালের ৩০ অক্টোবর ম্যারাডোনার ৩৮তম জন্মদিনে তার নামে আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে গির্জা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যারাডোনার তিন পাঁড় ভক্ত ‘ইগলেসিয়া ম্যারাডোনিয়ানা’ বা ‘চার্চ অব ম্যারাডোনা’ নামে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

এবার তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ে মেসিকে আর্জেন্টাইনবাসী আরেক ফুটবল ইশ্বরের আসনে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত করে ফেলেছে। হয়ত ম্যারাডোনার মত কোনো মেসি গির্জাও প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। এ পর্যন্ত আসতে মেসিকে দীর্ঘদিন দেশের হয়ে ট্রফি না পাওয়ার অনেক যন্ত্রণা বয়ে চলতে হয়েছে।

মেসির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ ছিল। প্রথম অভিযোগটি, মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের জন্য স্পেনের বার্সেলোনায় চলে যাওয়া। যা তাকে পরবর্তীতে যতটা না ’লিও দ্য কাতালান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ততটা আর্জেন্টাইন হিসেবে নয়। দ্বিতীয়ত: ম্যারাডোনার মত নেতা না হওয়া। নেতা হওয়ার মত যোগ্যতা তার নেই—এমন অভিযোগে প্রায়শই বিদ্ধ হতে হয়। তৃতীয়ত: বার্সেলোনায় যত ট্রফি অর্জন করেছেন তার ছিটেফোঁটাও দেশের হয়ে করতে পারেননি।

আর এ সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন তার ভক্তরা। তাদের মতে, প্রথম অভিযোগটি একেবারেই অমূলক। অল্প বয়সে স্পেনে গেলেও দেশের প্রতি তার নাড়ির টানে কোনো ঘাটতি ছিল না। এক্ষেত্রে তার প্রতিভা জন্মভূমির প্রতি একটা নৈতিক ঋণ চাপিয়ে দিয়েছে নিজের উপর। বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যে দিয়ে যার দায় থেকে মুক্ত হওয়া গেছে। নেতা হওয়া নিয়ে বলা যায়, মেসি এমনিতে কথা বলে কম। তার উপর নম্র, ভদ্র। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সে এবারের বিশ্বকাপে মেসি নিজেকে বদলে ফেলেন। নেতৃত্বের আগ্রাসী মেজাজেই তিনি বিশ্বকাপ জয় করেন। ২০২১ সালে মেসির নেতৃত্বে কোপা আমেরিকার জয় তাকে কিছুটা চাপমুক্ত করেছে। আর অভিযোগকারীদের থামিয়ে দিয়েছে যে, ‘সে ক্লাবের হয়ে যেভাবে খেলেছে সেভাবে আমাদের জন্য খেলেনি’।

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিবিসির একটি কলামে তার সতীর্থ পাবলো জাবালেতা লিখেছিলেন, ’মানুষ বিশ্বকাপে তার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। মনে হয়, তাকে জিততেই হবে— সবসময়। অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য নয়’। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে চুমু খাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে তিনি মানুষের অগাধ প্রত্যাশাকে আলিঙ্গন করতে পেরেছেন!

এবং আর্জেন্টিনায় সিক্ত বাংলাদেশ

আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নম্বরে। আর সেজন্য আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়সহ সাধারণ মানুষ বাংলাদেশকে নানাভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। বাংলাদেশের এই নিঃস্বার্থ সমর্থন ও ভালোবাসায় সিক্ত আর্জেন্টিনা এবার বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে। আমরা খুশী হব, যদি আর্জেন্টিনা তলানীতে থাকা বাংলাদেশের ফুটবলকে একটু সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর সময় বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমর্থক প্রায় সমানে সমান ছিল। প্রথম পর্বের খেলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখে উভয় দেশের সমর্থকদের হৈ হুল্লোড়, মিছিল, খাওয়া দাওয়ার কমতি ছিল না। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোশিয়ার কাছে হেরে ব্রাজিলের অন্তর্ধানে একতরফা হয়ে যায় এই সব আয়োজন।

অবশ্য বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ব্রাজিল আর্জেন্টিার পতাকা উড়েনি। গাড়ি, বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনাতেও ছিল এই দুই দেশের লোগো, পতাকা ও খেলায়াড়দের ছবি টাঙানো। সকাল থেকে রাত অবধি ঘরে ঘরে, অফিস আদালতে, চায়ের দোকানে, অনুষ্ঠানে ছিল বিশ্বকাপের কথকতা। পাড়ায় মহল্লায় বড় পর্দায় খেলা দেখা, প্রিয় খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেই টিভির আওয়াজের সাথে দর্শকদের উল্লাস। গোল হলেতো কথাই নেই, মধ্যরাতে গগনবিদারি চিৎকা্র, ভুভুজেলার আওয়াজে কান ঝালাপাল। চলে নানা ধরনের বাজি ধরা, খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজনও। সেই সঙ্গে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও তীর্যক মন্তব্য, একে অপরকে বিঁদ্ধ করার খেলা। যা অবশ্য বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও চলছে।

তবে যে দিকটি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তা হলো কিছু কিছু তরুণের সৃজনশীলতা। ঘরে ঘরে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থনকে কেন্দ্র করে নানা টানাপোড়নের চিত্র হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে ধরেছে তারা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষায় তৈরি এইসব ভিডিও নাটক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। সৌখিন অভিনেতা অভিনেত্রীকে নিয়ে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বা ছোট ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে এ সব তৈরি। ভবিষ্যতে হয়তোএ তরুণদের কেউ কেউ তাদের সৃজনশীলতাকে নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিতে পারবে।

ইব্রাহিম আজাদ: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

৪০০ অভিযোগের মধ্যে ১৭২টি অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৩৭টি অভিযোগের সঙ্গে। ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৫৫টির সঙ্গে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৬টির সঙ্গে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৫টি অভিযোগের সঙ্গে।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে ফেলা হয়েছে বাকি অভিযোগ গুলো। যেগুলোর ক্ষেত্রে পরিচয় দেয়নি। শুধু বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি জানিয়েছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন৷ যারা আালমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, কতো নিষ্ঠুরভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, বোঝানো যাবে না।

কমিশন সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস বলেন, এখন পর্যন্ত গুমের চারটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক কারণে বিশাল সংখ্যক মানুষকে নেওয়া হয়েছে। প্রমাণিত না হলেও জঙ্গি সন্দেহে বড় একটা সংখ্যক নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক কারণেও গুম করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন।

গত ২৭ আগস্ট ওই গুম কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে।

Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আজ সকাল ১০ টার দিকে আমাকে দেশে ব্যবহৃত একটি বিদেশি নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের উদ্দেশ্যে গতকালের সিন্ডিকেটে কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণই এই হুমকির মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশের কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণের ভিতর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। দেশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা কাজ চলছে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে অনেকেরই সহজ রোজগারের পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, মাত্র দুইমাসে আমরা প্রায় দুই হাজারের অধিক কলেজে ‘পরিচালনা কমিটি’ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এ কমিটি করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খায় নাই এটি আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

হত্যার হুমকি দিলেও কোন লাভ নেই জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, অতএব এসব হত্যার হুমকি, পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কিচ্ছা কাহিনি লিখে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ লেখেন, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, হত্যার হুমকি নিয়ে জিডি করছি, সম্মানিত উপদেষ্টাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সচিবকেও বিষয়টা জানিয়েছি। এজেন্সিগুলোও জানে ব্যাপারটা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ৮০ শতাংশই হলো প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার। দেখি আমরা এর কোন একটা বিহিত করতে পারি কিনা। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন চাই।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে একটি বিশেষ অভিযানে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (JIM)। রবিবার পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেয় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার কর্মকর্তারা।

দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়, যিনি বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩০ বছর বয়সি এই ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় অবস্থানের জন্য কোনো বৈধ নথি বা পাসপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হন। অভিযানে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ছয় বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে, কেয়ারটেকার একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। অভিযানে অংশগ্রহণকারী দল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, এই মানবপাচার চক্র ভিকটিমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) গ্রহণ করে তাদের ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়। পরে, অতিরিক্ত ৫ হাজার রিঙ্গিত দাবি করে তাদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়।

এই অভিযান মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে অনেক বাংলাদেশি ফাঁদে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা