শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের কথকতা

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বলা হতো অলিম্পককে, আর এখন ফুটবল বিশ্বকাপকেও। বলা হয়, ‘ফুটবল প্রায়শই একটি খেলার চেয়ে বেশি’। সপ্তাহখানেক আগে যবনিকাপাত হওয়া কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল তারই সাক্ষ্য বহন করে। আর এবার অবসান হলো আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার, একই সঙ্গে মেসিরও অব্যক্ত যন্ত্রণার।

আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতার উচ্ছ্বাস আর ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয়বার জিততে না পারার হাহাকার বিশ্বব্যাপী ফুটবল ভক্তদের মধ্যে মিলেমিশে একাকার। এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ, আর ভবিষ্যতের হিসেব নিকেশ। এদিকে হ্যাট্রিক সত্ত্বেও এমবাপ্পের প্রায় বাকরুদ্ধ হওয়া এবং ‘আবার ফিরে আসার’ অঙ্গীকারের নতুন দ্যোতনায় ভক্তরা উজ্জীবিত। ২০২৬ সালে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা’ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবে এবারের স্মরণীয় সাফল্য এবং শ্বাসরুদ্ধকর ফাইন্যালের মৌতাত।

মেসিময় বিশ্ব, মেসি দেবতার উত্থান

ফুটবল বিশ্বকাপ জেতার পর বিশ্ব এখন মেসিময়। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে মেসি বন্দনা চলছে। আর আর্জেন্টাইনদের কাছে মেসি তারও চেয়ে বেশি কিছু। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতানোর পর ম্যারাডোনা আর্জেন্টাইনদের কাছে ’ফুটবল ঈশ্বর’-এ পরিণত হয়। ১৯৯৮ সালের ৩০ অক্টোবর ম্যারাডোনার ৩৮তম জন্মদিনে তার নামে আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে গির্জা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যারাডোনার তিন পাঁড় ভক্ত ‘ইগলেসিয়া ম্যারাডোনিয়ানা’ বা ‘চার্চ অব ম্যারাডোনা’ নামে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

এবার তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ে মেসিকে আর্জেন্টাইনবাসী আরেক ফুটবল ইশ্বরের আসনে ইতোমধ্যে অধিষ্ঠিত করে ফেলেছে। হয়ত ম্যারাডোনার মত কোনো মেসি গির্জাও প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। এ পর্যন্ত আসতে মেসিকে দীর্ঘদিন দেশের হয়ে ট্রফি না পাওয়ার অনেক যন্ত্রণা বয়ে চলতে হয়েছে।

মেসির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ ছিল। প্রথম অভিযোগটি, মাত্র ১৩ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের জন্য স্পেনের বার্সেলোনায় চলে যাওয়া। যা তাকে পরবর্তীতে যতটা না ’লিও দ্য কাতালান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ততটা আর্জেন্টাইন হিসেবে নয়। দ্বিতীয়ত: ম্যারাডোনার মত নেতা না হওয়া। নেতা হওয়ার মত যোগ্যতা তার নেই—এমন অভিযোগে প্রায়শই বিদ্ধ হতে হয়। তৃতীয়ত: বার্সেলোনায় যত ট্রফি অর্জন করেছেন তার ছিটেফোঁটাও দেশের হয়ে করতে পারেননি।

আর এ সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন তার ভক্তরা। তাদের মতে, প্রথম অভিযোগটি একেবারেই অমূলক। অল্প বয়সে স্পেনে গেলেও দেশের প্রতি তার নাড়ির টানে কোনো ঘাটতি ছিল না। এক্ষেত্রে তার প্রতিভা জন্মভূমির প্রতি একটা নৈতিক ঋণ চাপিয়ে দিয়েছে নিজের উপর। বিশ্বকাপ জয়ের মধ্যে দিয়ে যার দায় থেকে মুক্ত হওয়া গেছে। নেতা হওয়া নিয়ে বলা যায়, মেসি এমনিতে কথা বলে কম। তার উপর নম্র, ভদ্র। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সে এবারের বিশ্বকাপে মেসি নিজেকে বদলে ফেলেন। নেতৃত্বের আগ্রাসী মেজাজেই তিনি বিশ্বকাপ জয় করেন। ২০২১ সালে মেসির নেতৃত্বে কোপা আমেরিকার জয় তাকে কিছুটা চাপমুক্ত করেছে। আর অভিযোগকারীদের থামিয়ে দিয়েছে যে, ‘সে ক্লাবের হয়ে যেভাবে খেলেছে সেভাবে আমাদের জন্য খেলেনি’।

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিবিসির একটি কলামে তার সতীর্থ পাবলো জাবালেতা লিখেছিলেন, ’মানুষ বিশ্বকাপে তার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে। মনে হয়, তাকে জিততেই হবে— সবসময়। অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য নয়’। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে চুমু খাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে তিনি মানুষের অগাধ প্রত্যাশাকে আলিঙ্গন করতে পেরেছেন!

এবং আর্জেন্টিনায় সিক্ত বাংলাদেশ

আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এক নম্বরে। আর সেজন্য আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়সহ সাধারণ মানুষ বাংলাদেশকে নানাভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। বাংলাদেশের এই নিঃস্বার্থ সমর্থন ও ভালোবাসায় সিক্ত আর্জেন্টিনা এবার বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে। আমরা খুশী হব, যদি আর্জেন্টিনা তলানীতে থাকা বাংলাদেশের ফুটবলকে একটু সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর সময় বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের সমর্থক প্রায় সমানে সমান ছিল। প্রথম পর্বের খেলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখে উভয় দেশের সমর্থকদের হৈ হুল্লোড়, মিছিল, খাওয়া দাওয়ার কমতি ছিল না। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোশিয়ার কাছে হেরে ব্রাজিলের অন্তর্ধানে একতরফা হয়ে যায় এই সব আয়োজন।

অবশ্য বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে ব্রাজিল আর্জেন্টিার পতাকা উড়েনি। গাড়ি, বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনাতেও ছিল এই দুই দেশের লোগো, পতাকা ও খেলায়াড়দের ছবি টাঙানো। সকাল থেকে রাত অবধি ঘরে ঘরে, অফিস আদালতে, চায়ের দোকানে, অনুষ্ঠানে ছিল বিশ্বকাপের কথকতা। পাড়ায় মহল্লায় বড় পর্দায় খেলা দেখা, প্রিয় খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেই টিভির আওয়াজের সাথে দর্শকদের উল্লাস। গোল হলেতো কথাই নেই, মধ্যরাতে গগনবিদারি চিৎকা্র, ভুভুজেলার আওয়াজে কান ঝালাপাল। চলে নানা ধরনের বাজি ধরা, খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজনও। সেই সঙ্গে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও তীর্যক মন্তব্য, একে অপরকে বিঁদ্ধ করার খেলা। যা অবশ্য বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও চলছে।

তবে যে দিকটি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তা হলো কিছু কিছু তরুণের সৃজনশীলতা। ঘরে ঘরে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা সমর্থনকে কেন্দ্র করে নানা টানাপোড়নের চিত্র হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে ধরেছে তারা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষায় তৈরি এইসব ভিডিও নাটক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। সৌখিন অভিনেতা অভিনেত্রীকে নিয়ে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বা ছোট ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে এ সব তৈরি। ভবিষ্যতে হয়তোএ তরুণদের কেউ কেউ তাদের সৃজনশীলতাকে নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিতে পারবে।

ইব্রাহিম আজাদ: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত