বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুষ্টিয়ার ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’: মুঘল আমলের নন্দনশৈলীর নিদর্শন

স্থাপত্য ইতিহাস প্রকাশনায় ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’ কবে এবং কে তৈরি করেছেন, তার নিশ্চিত উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে জনশ্রুতি আছে, মুঘল আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কুশলীবাসা গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থিত ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’। অদূরেই কালীগঙ্গা নদী মৃতপ্রায় অবস্থায় প্রবাহিত।

গবেষকরা মনে করেন, মুঘল সম্রাট মুহিউদ্দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব (শাসনকাল ১৬৫৮-১৭০৭) তার শাসনামলে রাজকর্মচারী হিসেবে অনেককে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে নদী পথে পাটজাত সোনালী আঁশ কেনা-বেচার দেওয়ানী দিয়ে পাঠাতেন। কর্মচারীদের অধিকাংশ ছিলেন সুফি মতাদর্শের ও ধর্মভীরু। তারাই প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের আস্তানা তৈরি করে রাজকার্যের পাশাপাশি ইসলাম ধর্ম প্রচারেও যত্নশীল ছিলেন। মুঘল আমলে নির্মিত ছোটো আকৃতির নন্দনশৈলীর মসজিদগুলো তাদের সেই সহমর্মিতার নিদর্শন বহন করে।

‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’টি আওরঙ্গজেবের আমলের নির্মিত বলে ধারণা করা যায়। এই জাতীয় কর্মচারী ও ধর্ম প্রচারকদের অধিক সমাবেশ বাংলা অঞ্চলে লক্ষ্যণীয়, যারা সব ধর্মের মানুষের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হন। তাদের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘মানবধর্ম’ সমগ্র জনগোষ্ঠীকেই মুগ্ধ করতো।

মসজিদ স্থাপত্য (১২০৪-১৭৬৫) একটি কাঠামোগত ধারণা, যেখানে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা একসঙ্গে বা পৃথকভাবে তাদের নিত্যদিনের নামাজ আদায় করে থাকেন। প্রায় প্রত্যেক মসজিদ স্থাপত্যেরই একটি সাধারণ গাঠনিক রূপ থাকে। যেমন–মূল প্রার্থনা কক্ষ, ছাদের উপর স্থাপিত অর্ধ-বৃত্তাকার গম্বুজ, পিলার বা স্তম্ভের উপর ছোট মিনার-গম্বুজ এবং উঁচু মিনার। এ গঠনের ব্যতিক্রমও চোখে পড়ে। বিশেষ করে বিভিন্ন ভূখণ্ডের মানুষের সংস্কৃতি, আবহাওয়া, ভূ-প্রকৃতি, শাসন কাঠামো, রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভৃতি সকল দিকই সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডের ধর্মীয় স্থাপত্য নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। বাংলায় মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠার পর মুসলমানদের ধর্মীয় আয়োজন মেটানোর প্রয়োজনে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নির্মাণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় পোড়ামাটির টেরাকোটা, চুন-সুঁড়কি, বিশেষ ধরনের মাটি পোড়ানো টালি। এসব উপকরণও নিজেদের মেধা বুদ্ধি দিয়ে ধর্মপ্রচারকগণ অথবা মুসলিম জমিদারগণ নির্মাণ করেন স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী নির্মাণশৈলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছোটখাটো বাস্তব উপযোগী মসজিদ যার মধ্যে স্থাপত্য কর্তৃত্বের ছাপ প্রতিফলিত হতো।



কুশলীবাসা শাহী মসজিদের গায়ে লতা-পাতার নকশা অঙ্কিত। মসজিদের মাঝে বড় গোলাকৃতি গম্বুজ একটি যার গায়ে লাগোয়া দুই পাশে লম্বা আকৃতির চারচালা ঘরের আদলে লম্বা ঢিবি আকৃতির দুটি গম্বুজ, যা একদমই ব্যতিক্রম। চারপাশে চারটি স্তম্ভ বা পিলারের উপর ছোটো আকৃতির মিনার যার উপর উল্টো করে টেপা কলস আকৃতির ছোটো গম্বুজ। বড় গম্বুজের উপর খাঁজকাটা নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী মিনার রয়েছে। মসজিদের দুটি দরজা একটি পূর্বদিকে অন্যটি উত্তরে। উত্তরের দরজার দৈর্ঘ্য ৪৬ ইঞ্চি, প্রস্থ ৩৩ ইঞ্চি এবং দেয়ালের পুরুত্ব ১৮ ইঞ্চি। মসজিদের প্রবেশ দরজা এখন ভূমি সমতল থেকে ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতায় রয়েছে। ভেতরের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। পশ্চিম দেয়ালে দুটি ও পূর্ব দেওয়ালে দুটি করে চারটি কোটর রয়েছে আলোক উৎস রাখার জন্য। মেহরাব দৈর্ঘ্যে ২ ফুট ৪ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং গভীরে ১ ফুট ৩ ইঞ্চি। উপর থেকে পরিমাপে দেখা গেছে, মসজিদের লম্বা ১৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১০ ফুট। মসজিদটি অন্তত ৫ ফুট মাটির নিচে চলে গেছে। এক কাতারের এই মসজিদে ৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ সংলগ্ন একটি ইন্দারা ছিল, যা মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া আছে। ১৯৭৮ সালে (১৩৮৫ বঙ্গাব্দ) মসজিদের কয়েকটি অংশের মেরামত করা হয়।



মসজিদ নির্মাতার উত্তরাধিকার আব্দুল খালেক মিয়া জানান, তাদের পরিবার মসজিদের নামে ৫ শতক জায়গা ওয়াকফ করে দিয়েছেন। ঐতিহ্য রক্ষায় মাঝে মাঝে তাদের পরিবার সমস্যার সম্মুখীন হন। শত প্রতিকূলতার মাঝে তার পরিবার এখনও মসজিদটি বাঁচিয়ে রেখেছে। মসজিদ সংলগ্ন একটি কবর অবস্থিত। কবর সম্বন্ধে তাদের পূর্বপুরুষরা বলে গেছেন যে, তিনি এমন একজন কামেল ব্যক্তি ছিলেন, যিনি মসজিদের অভ্যন্তরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতেন। তার বেশ কিছু সহচরও ছিল বলে তিনি শুনেছেন। সুফি ব্যক্তিত্বের মৃত্যু হলে তাকে মসজিদ আঙিনাতে দাফন করা হয় এবং সহচররা ভারতে ফিরে যান।

তাদের সংরক্ষিত পূর্বপুরুষ জামানার ছেঁড়া দলিল থেকে ‘একিন সা ফকির’ নামক একজনের নাম পাওয়া যায়। যার সঙ্গে মসজিদ নির্মাতার ঘনিষ্ঠতা অথবা ঘনিষ্ঠ উত্তরসূরি বলে ধারণা করা হয়। প্রাচীন মসজিদের সামনে ৬ কাতারের নতুন মসজিদ নির্মিত হয়েছে, যার প্রতি কাতারে ২৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। গবেষকদের ধারণা, ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’, যেখানে পাঁচজন মাত্র মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন–এমন ছোট আকারের মসজিদ কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের কোথাও আছে কি না সন্দেহ!

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত