মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কুষ্টিয়ার ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’: মুঘল আমলের নন্দনশৈলীর নিদর্শন

স্থাপত্য ইতিহাস প্রকাশনায় ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’ কবে এবং কে তৈরি করেছেন, তার নিশ্চিত উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে জনশ্রুতি আছে, মুঘল আমলে এই মসজিদটি নির্মিত হয়। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কুশলীবাসা গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনায় অবস্থিত ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’। অদূরেই কালীগঙ্গা নদী মৃতপ্রায় অবস্থায় প্রবাহিত।

গবেষকরা মনে করেন, মুঘল সম্রাট মুহিউদ্দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব (শাসনকাল ১৬৫৮-১৭০৭) তার শাসনামলে রাজকর্মচারী হিসেবে অনেককে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে নদী পথে পাটজাত সোনালী আঁশ কেনা-বেচার দেওয়ানী দিয়ে পাঠাতেন। কর্মচারীদের অধিকাংশ ছিলেন সুফি মতাদর্শের ও ধর্মভীরু। তারাই প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের আস্তানা তৈরি করে রাজকার্যের পাশাপাশি ইসলাম ধর্ম প্রচারেও যত্নশীল ছিলেন। মুঘল আমলে নির্মিত ছোটো আকৃতির নন্দনশৈলীর মসজিদগুলো তাদের সেই সহমর্মিতার নিদর্শন বহন করে।

‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’টি আওরঙ্গজেবের আমলের নির্মিত বলে ধারণা করা যায়। এই জাতীয় কর্মচারী ও ধর্ম প্রচারকদের অধিক সমাবেশ বাংলা অঞ্চলে লক্ষ্যণীয়, যারা সব ধর্মের মানুষের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হন। তাদের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘মানবধর্ম’ সমগ্র জনগোষ্ঠীকেই মুগ্ধ করতো।

মসজিদ স্থাপত্য (১২০৪-১৭৬৫) একটি কাঠামোগত ধারণা, যেখানে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা একসঙ্গে বা পৃথকভাবে তাদের নিত্যদিনের নামাজ আদায় করে থাকেন। প্রায় প্রত্যেক মসজিদ স্থাপত্যেরই একটি সাধারণ গাঠনিক রূপ থাকে। যেমন–মূল প্রার্থনা কক্ষ, ছাদের উপর স্থাপিত অর্ধ-বৃত্তাকার গম্বুজ, পিলার বা স্তম্ভের উপর ছোট মিনার-গম্বুজ এবং উঁচু মিনার। এ গঠনের ব্যতিক্রমও চোখে পড়ে। বিশেষ করে বিভিন্ন ভূখণ্ডের মানুষের সংস্কৃতি, আবহাওয়া, ভূ-প্রকৃতি, শাসন কাঠামো, রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভৃতি সকল দিকই সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডের ধর্মীয় স্থাপত্য নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। বাংলায় মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠার পর মুসলমানদের ধর্মীয় আয়োজন মেটানোর প্রয়োজনে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নির্মাণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় পোড়ামাটির টেরাকোটা, চুন-সুঁড়কি, বিশেষ ধরনের মাটি পোড়ানো টালি। এসব উপকরণও নিজেদের মেধা বুদ্ধি দিয়ে ধর্মপ্রচারকগণ অথবা মুসলিম জমিদারগণ নির্মাণ করেন স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী নির্মাণশৈলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছোটখাটো বাস্তব উপযোগী মসজিদ যার মধ্যে স্থাপত্য কর্তৃত্বের ছাপ প্রতিফলিত হতো।



কুশলীবাসা শাহী মসজিদের গায়ে লতা-পাতার নকশা অঙ্কিত। মসজিদের মাঝে বড় গোলাকৃতি গম্বুজ একটি যার গায়ে লাগোয়া দুই পাশে লম্বা আকৃতির চারচালা ঘরের আদলে লম্বা ঢিবি আকৃতির দুটি গম্বুজ, যা একদমই ব্যতিক্রম। চারপাশে চারটি স্তম্ভ বা পিলারের উপর ছোটো আকৃতির মিনার যার উপর উল্টো করে টেপা কলস আকৃতির ছোটো গম্বুজ। বড় গম্বুজের উপর খাঁজকাটা নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী মিনার রয়েছে। মসজিদের দুটি দরজা একটি পূর্বদিকে অন্যটি উত্তরে। উত্তরের দরজার দৈর্ঘ্য ৪৬ ইঞ্চি, প্রস্থ ৩৩ ইঞ্চি এবং দেয়ালের পুরুত্ব ১৮ ইঞ্চি। মসজিদের প্রবেশ দরজা এখন ভূমি সমতল থেকে ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতায় রয়েছে। ভেতরের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। পশ্চিম দেয়ালে দুটি ও পূর্ব দেওয়ালে দুটি করে চারটি কোটর রয়েছে আলোক উৎস রাখার জন্য। মেহরাব দৈর্ঘ্যে ২ ফুট ৪ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং গভীরে ১ ফুট ৩ ইঞ্চি। উপর থেকে পরিমাপে দেখা গেছে, মসজিদের লম্বা ১৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১০ ফুট। মসজিদটি অন্তত ৫ ফুট মাটির নিচে চলে গেছে। এক কাতারের এই মসজিদে ৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ সংলগ্ন একটি ইন্দারা ছিল, যা মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া আছে। ১৯৭৮ সালে (১৩৮৫ বঙ্গাব্দ) মসজিদের কয়েকটি অংশের মেরামত করা হয়।



মসজিদ নির্মাতার উত্তরাধিকার আব্দুল খালেক মিয়া জানান, তাদের পরিবার মসজিদের নামে ৫ শতক জায়গা ওয়াকফ করে দিয়েছেন। ঐতিহ্য রক্ষায় মাঝে মাঝে তাদের পরিবার সমস্যার সম্মুখীন হন। শত প্রতিকূলতার মাঝে তার পরিবার এখনও মসজিদটি বাঁচিয়ে রেখেছে। মসজিদ সংলগ্ন একটি কবর অবস্থিত। কবর সম্বন্ধে তাদের পূর্বপুরুষরা বলে গেছেন যে, তিনি এমন একজন কামেল ব্যক্তি ছিলেন, যিনি মসজিদের অভ্যন্তরে সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতেন। তার বেশ কিছু সহচরও ছিল বলে তিনি শুনেছেন। সুফি ব্যক্তিত্বের মৃত্যু হলে তাকে মসজিদ আঙিনাতে দাফন করা হয় এবং সহচররা ভারতে ফিরে যান।

তাদের সংরক্ষিত পূর্বপুরুষ জামানার ছেঁড়া দলিল থেকে ‘একিন সা ফকির’ নামক একজনের নাম পাওয়া যায়। যার সঙ্গে মসজিদ নির্মাতার ঘনিষ্ঠতা অথবা ঘনিষ্ঠ উত্তরসূরি বলে ধারণা করা হয়। প্রাচীন মসজিদের সামনে ৬ কাতারের নতুন মসজিদ নির্মিত হয়েছে, যার প্রতি কাতারে ২৫ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। গবেষকদের ধারণা, ‘কুশলীবাসা শাহী মসজিদ’, যেখানে পাঁচজন মাত্র মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন–এমন ছোট আকারের মসজিদ কুষ্টিয়াসহ বাংলাদেশের কোথাও আছে কি না সন্দেহ!

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চ্যানেলটির স্ক্রলে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ক্রলে উল্লেখ করা হয়, “অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া হলেও জানা গেছে, সাম্প্রতিক এক সংবাদ প্রতিবেদনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর কাছে ‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ১৪০০ শহীদ’ সংক্রান্ত বিতর্কিত প্রশ্নের জের ধরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এ ঘটনায় দীপ্ত টিভির এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ গ্রহণ শেষে খুব শিগগিরই সংবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের অভ্যন্তরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত নকশায় না থাকলেও বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ (রেস্টুরেন্ট) পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবনের ছাদে অবৈধভাবে রুফটপ রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিধিবহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ পরিচালনা করায় এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঘটনা ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে অনেক অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনৈতিক উপায়ে করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে।

ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্পদ ও জানমালের ঝুঁকি এড়াতে নকশাবহির্ভূত সব রেস্তোরাঁ এবং ভবনের ছাদে স্থাপিত রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণা করা হলো। বাতিল করা লাইসেন্স দিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যেসব রেস্তোরাঁ সঠিক তথ্য না দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে ভবনের অনুমোদন কিন্তু বাতিল করা হয়নি। ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সশরীর উপস্থিত হয়ে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত দিলে সেগুলো সচল করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার বিষয়টি জানায় ডিএসসিসি। ছবি: সংগৃহীত

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁকে আলাদা করে চিঠি পাঠাব।’

ডিএসসিসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ডিএসসিসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম চলছে। ব্যবসাগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। রাজউকের পাস করা ভবনের নকশায় রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। বিগত সরকারের সময় এই জটিলতা নিরসনে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছিল। সেই টাস্কফোর্সের দুটি বৈঠক হয়েছিল। তারপর তো সরকার বদল হয়ে গেল।

ইমরান হাসান বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে এখন যদি ডিএসসিসি অভিযানে নামে, তাহলে নতুন করে হয়রানিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’

গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর রেস্তোরাঁর অনুমোদন ও অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতি সামনে আসে। ওই ভবনে আটটি রেস্তোরাঁ ছিল, তবে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চার বছর আগে দেশের রেস্তোরাঁ খাত নিয়ে একটি জরিপ করে। সেই জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে মোট হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছিল ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশি। সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৫২টি। বাকি সব ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসা করতে চাইলে একজন বিনিয়োগকারীকে সরকারের সাতটি সংস্থার অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিতে হয়। রেস্তোরাঁর জন্য প্রথমে নিবন্ধন ও পরে লাইসেন্স নিতে হয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ২০২৪ সালের মার্চ মাসের তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সব সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছে মাত্র ১৩৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১২৮টি রেস্তোরাঁ।

Header Ad
Header Ad

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বান। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জনরোষের মুখে পড়েছেন।” পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা