বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিজয় দিবস: পেছনে দেখা আর সামনে তাকানো

অতীতের অর্জন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে শুধু স্মৃতিচারণ নয় স্বপ্নের পরিভ্রমণও ঘটে। আমাদের দেশের জীবনে তেমনি এক দিন বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২ তারিখ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ ইশতেহার ঘোষণা, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্সের ঘোষণা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১০ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার গঠন, ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ আর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, এক বছরেই এতগুলো অর্জন।

স্বাধীনতা দিবস থেকে বিজয় দিবস ২৬৬ দিনের এক অবিস্মরণীয় যাত্রা। রক্তে ভেজা ভুখণ্ড, একটি পতাকা, জাতীয় সংগীত আর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। আকাশচুম্বী আশা নিয়ে, সাগর পরিমাণ রক্ত দিয়ে, প্রতিজ্ঞা আর সাহসে ভর করে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। কাঁধে রাইফেল, মুখে বিজয়ের উল্লাস নিয়ে আর সবুজের বুকে লাল বৃত্ত আঁকা পতাকা উড়িয়ে যখন তারা দেশে মার্চ করছিল তখন সন্তানহারা মা তার হাহাকার ভুলে গিয়েছিল আর সম্ভ্রমহারা বোনটি মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছিল। ভেবেছিল সবাই, এবার দেশটা আমাদের হবে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, সময়ের হিসাবে পার হয়ে গেছে ৫১ বছর, কিন্তু মনে হয় এই তো সেদিনের কথা! এই ৫১ বছরে বাংলাদেশের অর্জন কম নয় বরং অনেকেই বলছেন বিস্ময়কর। যদি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতির চিত্র দেখি তাহলে দেখব মাথাপিছু আয় ১১০ ডলার থেকে বেড়ে এখন ২৮২৪ ডলার, জিডিপি ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।

খাদ্য উৎপাদন ১ কোটি ১০ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া, সেতু, হাইওয়ে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল আর মেট্রোরেল অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দৃশ্যমান করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পূর্বসুরিরা তাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছিলেন দেশের ভবিষ্যতের জন্য। নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে একটা জাতিকে যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল তার নজীর পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। ৩০ লাখ মানুষের জীবন দান, ২ লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রম, কোটি মানুষের গৃহহারা হয়ে দেশান্তরী হওয়া, গোটা দেশটাই একটা নির্যাতন ক্যাম্পে পরিণত হওয়ার ঘটনা যেমন বিশ্ববাসী জানে, তেমনি জানে কী অপরিসীম সাহস ও দেশপ্রেমের বলে বলিয়ান হয়ে মাত্র ৮/১০/১২ সপ্তাহ ট্রেনিং নিয়ে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছিল বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েরা।

এই অসম লড়াইয়ে সাহসের উৎস কী ছিল? ছিল দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা, মুক্তি অর্জন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আকুতি। প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসনে এই ভূখণ্ডের মানুষের বুকে পরাধীনতার গ্লানি আর চোখে স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে সংগ্রাম করেছে। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সর্ব ভারতীয় জাতিয়তাবোধ ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল। কিন্তু তা পরিণত রূপ পায়নি নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব ও ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে।

দ্বিজাতি তত্ত্বের নামে ধর্ম ভিত্তিক জাতিয়তার যে বীজ বপন করা হয় তার ফলশ্রুতিতে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে গড়ে উঠে পাকিস্তান। পৃথিবীর কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে দেশ হয়নি। যদি তা হত তাহলে এশিয়া আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সব কটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল মিলে একটি মুসলিম দেশ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। ইউরোপের সবগুলো দেশ মিলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দেশ হয়নি। চীন, জাপান, কোরিয়া মিলে যেমন বৌদ্ধ ধর্মের দেশ হয়নি তেমনি ভারত নেপাল মিলে হিন্দু বা সনাতন ধর্মের দেশ হয়নি। কারণ, দেশ হতে গেলে ভূখণ্ডগত ঐক্য, সাংস্কৃতিক বন্ধন, ভাষা, অর্থনৈতিক জীবনধারা প্রভৃতি দরকার হয়। যে কারণে এক ধর্মের মানুষ হলেও তাদেরকে নিয়ে এক দেশ হয় না। তাই হাজার মাইলের ভৌগলিক দূরত্ব, ভাষা সংস্কৃতির পার্থক্য নিয়ে শুধু মাত্র ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামের যে দেশ গড়ে তোলা হয়েছিল তা কোন বিচারেই এক রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল না।

এই কৃত্রিম রাষ্ট্র ঐক্য প্রতিষ্ঠার নামে যে সব পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিল তাতে মোহ ভঙ্গ হতে বেশি দেরি লাগেনি। ভাষার উপর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ৫২ সালে, শিক্ষার অধিকার সংকুচিত করার প্রতিবাদে ৬২ সালে, সংস্কৃতির উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ৬৫ সালে, ৬ দফার লড়াইয়ে ৬৬ সালে, সামরিক শাসক আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ৬৯ সালে, মানুষের বিপুল অংশগ্রহণে নির্বাচনে ধস নামানো বিজয় ৭০ সালে এবং এর ধারাবাহিকতায় ৭১ এর সশস্ত্র লড়াই আমাদের আকাঙক্ষা খাকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। পাকিস্তান ছিল একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র তার বিপরীতে ধর্ম নিরপেক্ষতা, পাকিস্তান ছিল সামরিক শাসন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র তার বিপরীতে গণতন্ত্র, ব্রিটিশ শোষণ ও পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শোষণের বিরুদ্ধে শোষণ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে সমাজতন্ত্র আর দীর্ঘদিনের উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি প্রায় উপনিবেশিক শাসনের বিপরীতে জাতীয়তাবাদ, এই আকাঙ্ক্ষাগুলো মূর্ত হয়ে উঠেছিল আমাদের চেতনায়।

তাই ঘোষণা করা হয়েছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাম শহরের শ্রমজীবী মানুষ, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মধ্যবিত্ত নেমে এসেছিল আন্দোলন, অভ্যুত্থান আর স্বাধীনতার লড়াইয়ে। সব পথ যেন মিশে গিয়েছিল মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, স্বাধীনতার মোহনায়। কিন্তু ৫১ বছর পরে আকাঙক্ষায় আর প্রাপ্তির হিসেব মেলাতে গেলে দেখা যাবে অনতিক্রম্য এক বিশাল ফারাক তৈরি হয়েছে তাই নয় মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক সুউচ্চ দেয়াল। স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল যারা আর সুফল ভোগ করছে যারা তারা একদেশের মানুষ হয়েও যেন এক জাতের মানুষ নয়।

এক দেশে অর্থনৈতিকভাবে দুই জনগোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেল যাদের স্বপ্ন আলাদা, শিক্ষা আলাদা এমন কী ভাষাও আলাদা হয়ে গেছে দিনে দিনে। কেউ অভাবের চাপে বিদেশে গিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে টাকা পাঠায় দেশে আবার কেউ দেশে লুটপাট করে টাকা পাচার করে বিদেশে। বন্যা, খরা, ঝড় বেশিরভাগ মানুষের জীবন ছিন্নভিন্ন করে দেয় আবার কারও জন্য মুনাফার সুযোগ অবারিত করে দেয়। তাইতো ২ জন কোটিপতি নিয়ে যে দেশের যাত্রা শুরু সে দেশে এখন সোয়া লাখের বেশি কোটিপতি আর ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচেই থেকে গেছে। যেখানে বলা হচ্ছে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার সেখানে দেশের শ্রমজীবীদের ১৫০০ ডলার রোজগার করাই কঠিন। এই টাকা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হলে কত দাঁড়াবে? গণতন্ত্র এবং নির্বাচন যেন সুদুরের স্বপ্ন হয়েই রইল। মানবিক মর্যাদা যেন বেদনাময় আকুতি, ন্যায়বিচার যেন দীর্ঘশ্বাসের উচ্চারিত শব্দ। স্বাধীনতার পর দেশের বয়স যত বাড়ছে স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো যেন তত দূরে সরে যাচ্ছে। বিজয় দিবস তাই স্মরণ করিয়ে দেয়, বিজয়ের স্বাদ পেতে হলে এখানে থেমনা, আরও পথ বাকি আছে, লড়তে হবে আরও বহুদিন।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহযোগিতায় এবং ব্যাবিলন গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হাত হারানো পাঁচজন ব্যক্তিকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রোবটিক হাত প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারে এই বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকালে হাত হারানো পাঁচজন ব্যক্তি- আরিফুল ইসলাম, ইমন আহমেদ, মঞ্জুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান এবং রাজন মিয়া এই রোবটিক হাত গ্রহণ করেন।

রোবটিক হাতটি তৈরি করেছে স্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রোবোলাইফ টেকনোলজিস। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাদের অঙ্গ হারিয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এটি আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোবটিক হাত তৈরি এবং বিতরণ করা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রমাণ। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ তাদের জীবনে নতুন আশার আলো বয়ে আনবে।”

রোবোলাইফ টেকনোলজিসের তৈরি রোবটিক হাত ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, তুরস্ক এবং ভারতে সাফল্যের সাথে ব্যবহৃত হয়েছে। স্থানীয় গবেষণার মাধ্যমে তৈরি এই প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে সহায়তা করেছে। রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা জয় বড়ুয়া লাভলু এই উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক গবেষণার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর একটি মানবিক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এ ধরনের উদ্যোগ শুধু প্রযুক্তির বিকাশ নয়, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সমাজে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সাহসী মানুষদের সহায়তা করার এ মানবিক প্রচেষ্টা সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

Header Ad

সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনানিবাসস্থ সেনাকুঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরেজা থেকে রওয়ানা হয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের দীর্ঘ ৪০ বছরের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে টেনে হিঁচড়ে জবরদস্তি করে বের করে দেয়া হয়েছিল। আজ সেই সেনানীবাসের সেনাকুঞ্জে যাবেন তিনি।

এদিকে ২০১৮ সালের পর এই প্রথম বিএনপি চেয়ারপারসন প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সবশেষ সিলেট সফর করেন। এছাড়া ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশ্বস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন অমন্ত্রণের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উনারা সস্ত্রীক বাসায় এসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে গেছেন।

এদিকে, খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র ২৬ জন নেতাও সশ্বস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ জানানো হলো।

Header Ad

সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না

জহিরুল ইসলাম খান পান্না (ইনসটে: শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্না (জেড আই খান পান্না)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জেড আই খান পান্না বলেন, আজ আদালতে নিয়মিত শুনানির সময় কেউ একজন জানতে চান যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিটি) আমি কারও পক্ষে লড়ব কি না। তখন আমি বলেছি, সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষেই লড়ব।

অতীতে আপনি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এখন তার পক্ষে লড়তে চাইছেন। এটি আপনার আগের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না?

উত্তরে জেড আই খান পান্না বলেন, অবশ্যই সাংঘর্ষিক। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তবে আমি যেকোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের