বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিজয় দিবস: পেছনে দেখা আর সামনে তাকানো

অতীতের অর্জন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে শুধু স্মৃতিচারণ নয় স্বপ্নের পরিভ্রমণও ঘটে। আমাদের দেশের জীবনে তেমনি এক দিন বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২ তারিখ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ ইশতেহার ঘোষণা, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্সের ঘোষণা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১০ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার গঠন, ১৭ এপ্রিল অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ আর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, এক বছরেই এতগুলো অর্জন।

স্বাধীনতা দিবস থেকে বিজয় দিবস ২৬৬ দিনের এক অবিস্মরণীয় যাত্রা। রক্তে ভেজা ভুখণ্ড, একটি পতাকা, জাতীয় সংগীত আর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। আকাশচুম্বী আশা নিয়ে, সাগর পরিমাণ রক্ত দিয়ে, প্রতিজ্ঞা আর সাহসে ভর করে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। কাঁধে রাইফেল, মুখে বিজয়ের উল্লাস নিয়ে আর সবুজের বুকে লাল বৃত্ত আঁকা পতাকা উড়িয়ে যখন তারা দেশে মার্চ করছিল তখন সন্তানহারা মা তার হাহাকার ভুলে গিয়েছিল আর সম্ভ্রমহারা বোনটি মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছিল। ভেবেছিল সবাই, এবার দেশটা আমাদের হবে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, সময়ের হিসাবে পার হয়ে গেছে ৫১ বছর, কিন্তু মনে হয় এই তো সেদিনের কথা! এই ৫১ বছরে বাংলাদেশের অর্জন কম নয় বরং অনেকেই বলছেন বিস্ময়কর। যদি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতির চিত্র দেখি তাহলে দেখব মাথাপিছু আয় ১১০ ডলার থেকে বেড়ে এখন ২৮২৪ ডলার, জিডিপি ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে হয়েছে ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা।

খাদ্য উৎপাদন ১ কোটি ১০ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া, সেতু, হাইওয়ে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল আর মেট্রোরেল অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে দৃশ্যমান করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পূর্বসুরিরা তাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করেছিলেন দেশের ভবিষ্যতের জন্য। নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে একটা জাতিকে যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল তার নজীর পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। ৩০ লাখ মানুষের জীবন দান, ২ লক্ষাধিক নারীর সম্ভ্রম, কোটি মানুষের গৃহহারা হয়ে দেশান্তরী হওয়া, গোটা দেশটাই একটা নির্যাতন ক্যাম্পে পরিণত হওয়ার ঘটনা যেমন বিশ্ববাসী জানে, তেমনি জানে কী অপরিসীম সাহস ও দেশপ্রেমের বলে বলিয়ান হয়ে মাত্র ৮/১০/১২ সপ্তাহ ট্রেনিং নিয়ে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছিল বাংলার দামাল ছেলে-মেয়েরা।

এই অসম লড়াইয়ে সাহসের উৎস কী ছিল? ছিল দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা, মুক্তি অর্জন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আকুতি। প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসনে এই ভূখণ্ডের মানুষের বুকে পরাধীনতার গ্লানি আর চোখে স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে সংগ্রাম করেছে। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সর্ব ভারতীয় জাতিয়তাবোধ ধীরে ধীরে গড়ে উঠছিল। কিন্তু তা পরিণত রূপ পায়নি নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাব ও ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে।

দ্বিজাতি তত্ত্বের নামে ধর্ম ভিত্তিক জাতিয়তার যে বীজ বপন করা হয় তার ফলশ্রুতিতে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে গড়ে উঠে পাকিস্তান। পৃথিবীর কোথাও ধর্মের ভিত্তিতে দেশ হয়নি। যদি তা হত তাহলে এশিয়া আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সব কটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত অঞ্চল মিলে একটি মুসলিম দেশ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। ইউরোপের সবগুলো দেশ মিলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দেশ হয়নি। চীন, জাপান, কোরিয়া মিলে যেমন বৌদ্ধ ধর্মের দেশ হয়নি তেমনি ভারত নেপাল মিলে হিন্দু বা সনাতন ধর্মের দেশ হয়নি। কারণ, দেশ হতে গেলে ভূখণ্ডগত ঐক্য, সাংস্কৃতিক বন্ধন, ভাষা, অর্থনৈতিক জীবনধারা প্রভৃতি দরকার হয়। যে কারণে এক ধর্মের মানুষ হলেও তাদেরকে নিয়ে এক দেশ হয় না। তাই হাজার মাইলের ভৌগলিক দূরত্ব, ভাষা সংস্কৃতির পার্থক্য নিয়ে শুধু মাত্র ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামের যে দেশ গড়ে তোলা হয়েছিল তা কোন বিচারেই এক রাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল না।

এই কৃত্রিম রাষ্ট্র ঐক্য প্রতিষ্ঠার নামে যে সব পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিল তাতে মোহ ভঙ্গ হতে বেশি দেরি লাগেনি। ভাষার উপর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ৫২ সালে, শিক্ষার অধিকার সংকুচিত করার প্রতিবাদে ৬২ সালে, সংস্কৃতির উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে ৬৫ সালে, ৬ দফার লড়াইয়ে ৬৬ সালে, সামরিক শাসক আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ৬৯ সালে, মানুষের বিপুল অংশগ্রহণে নির্বাচনে ধস নামানো বিজয় ৭০ সালে এবং এর ধারাবাহিকতায় ৭১ এর সশস্ত্র লড়াই আমাদের আকাঙক্ষা খাকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। পাকিস্তান ছিল একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র তার বিপরীতে ধর্ম নিরপেক্ষতা, পাকিস্তান ছিল সামরিক শাসন দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্র তার বিপরীতে গণতন্ত্র, ব্রিটিশ শোষণ ও পাকিস্তানের ২২ পরিবারের শোষণের বিরুদ্ধে শোষণ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে সমাজতন্ত্র আর দীর্ঘদিনের উপনিবেশিক ও পাকিস্তানি প্রায় উপনিবেশিক শাসনের বিপরীতে জাতীয়তাবাদ, এই আকাঙ্ক্ষাগুলো মূর্ত হয়ে উঠেছিল আমাদের চেতনায়।

তাই ঘোষণা করা হয়েছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাম শহরের শ্রমজীবী মানুষ, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মধ্যবিত্ত নেমে এসেছিল আন্দোলন, অভ্যুত্থান আর স্বাধীনতার লড়াইয়ে। সব পথ যেন মিশে গিয়েছিল মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়, স্বাধীনতার মোহনায়। কিন্তু ৫১ বছর পরে আকাঙক্ষায় আর প্রাপ্তির হিসেব মেলাতে গেলে দেখা যাবে অনতিক্রম্য এক বিশাল ফারাক তৈরি হয়েছে তাই নয় মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক সুউচ্চ দেয়াল। স্বাধীনতার জন্য লড়েছিল যারা আর সুফল ভোগ করছে যারা তারা একদেশের মানুষ হয়েও যেন এক জাতের মানুষ নয়।

এক দেশে অর্থনৈতিকভাবে দুই জনগোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেল যাদের স্বপ্ন আলাদা, শিক্ষা আলাদা এমন কী ভাষাও আলাদা হয়ে গেছে দিনে দিনে। কেউ অভাবের চাপে বিদেশে গিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে টাকা পাঠায় দেশে আবার কেউ দেশে লুটপাট করে টাকা পাচার করে বিদেশে। বন্যা, খরা, ঝড় বেশিরভাগ মানুষের জীবন ছিন্নভিন্ন করে দেয় আবার কারও জন্য মুনাফার সুযোগ অবারিত করে দেয়। তাইতো ২ জন কোটিপতি নিয়ে যে দেশের যাত্রা শুরু সে দেশে এখন সোয়া লাখের বেশি কোটিপতি আর ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচেই থেকে গেছে। যেখানে বলা হচ্ছে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার সেখানে দেশের শ্রমজীবীদের ১৫০০ ডলার রোজগার করাই কঠিন। এই টাকা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হলে কত দাঁড়াবে? গণতন্ত্র এবং নির্বাচন যেন সুদুরের স্বপ্ন হয়েই রইল। মানবিক মর্যাদা যেন বেদনাময় আকুতি, ন্যায়বিচার যেন দীর্ঘশ্বাসের উচ্চারিত শব্দ। স্বাধীনতার পর দেশের বয়স যত বাড়ছে স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো যেন তত দূরে সরে যাচ্ছে। বিজয় দিবস তাই স্মরণ করিয়ে দেয়, বিজয়ের স্বাদ পেতে হলে এখানে থেমনা, আরও পথ বাকি আছে, লড়তে হবে আরও বহুদিন।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে অবস্থিত শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে এই সপ্তাহে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মন্দিরের দেয়ালে গ্রাফিতি করে লেখা হয় ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বার্তা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত রোববার (৯ মার্চ) সকালে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের এবং চরম বর্বরতার খবর পেয়েছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নেপথ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি স্থানীয় প্রশাসনকে। এই মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার আবেদন জানাচ্ছি।’

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টের মাধ্যমে এদিন বিএপিএস পাবলিক অ্যাফেয়ারস জানায়, ‘আরেকটি মন্দিরে অপবিত্রতা ছড়ানো হলো। ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি এই ঘৃণা প্রদর্শনের চরম বিরোধিতা করছি। চিনো হিলস এবং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার মাটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি এই ঘৃণাকে আমরা কখনোই শিকড়ে গাঁথতে দেব না।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের সাধারণ মানবিকতা, বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যাতে শান্তি-করুণা বিরাজ করতে পারে সর্বত্র।’ যদিও এখনও পর্যন্ত চিনো হিলস পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি।

 

এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রেমেন্টোতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। মন্দিরের গায়ে ঘৃণাসূচক মন্তব্য লিখে রাখা হয়েছিল। বার্তা লেখা ছিল, ‘হিন্দুজ গো ব্যাক’।

Header Ad
Header Ad

শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস

শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতারে করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সফরে আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় তিনি বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতারে অংশ নেবেন।

বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তার বক্তব্য অনুযায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব তিন দিনের এই সফরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

১৪ মার্চ সকালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও উচ্চ প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবেন গুতেরেস। পরে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন। উভয়ে একসঙ্গে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হবেন এবং সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে আসবেন।

কক্সবাজার সফরের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়টি আলোচনা করবেন গুতেরেস ও ইউনূস।

প্রেস সচিব জানান, রোহিঙ্গা সংকটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে কাজ করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গুতেরেসের সফরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকটের সময়ও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন আন্তোনিও গুতেরেস। এটি তার দ্বিতীয় সফর। সফরের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক ও একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (ইনসটে অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম)। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে আগামীকাল (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য উক্ত শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মেইলটি করা হয়।

মেইলে উল্লেখ করা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে। এই সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এই কোর্স না শুধু প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষারই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছ এক নারী শিক্ষার্থীকে এগুলো দিয়েছেন। মেইলের সঙ্গে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত কিছু পিডিএফ সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি পিডিএফের মেটাডাটা উল্লেখ করা হয়।

মেটাডেটা বিশ্লেষণে শিক্ষক কতৃক সরবরাহ করা পিডিএফ ফাইল তৈরির ডিভাইস, তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।'

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, 'আমরা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছি। তবে এই বিষয়টি যেহেতু বেনামি মেইল থেকে আসা তাই আমরা সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না যদি শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ না দেয়।'

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও প্রভাষক জাকিয়া জাহান মুক্তা বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো। অভিযোগটি ভিত্তিহীন নাকি সত্য, তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।'

পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর আমরা শিক্ষকরা মিলে এই ব্যাচের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে এ সংক্রান্ত একটি মেইল পেয়েছি। আমরা ঐ বিভাগের চেয়ারম্যানসহ কথা বলেছি। আগে বিভাগের একাডেমিক কমিটি বিষয়টি দেখবে। তারপর এই বিষয়ে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'আমাদের কাছে এখনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিভাগ বা শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।'

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!
শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ১ লাখ টাকায় সালিশের রায়, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন
ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ
বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা
জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
পাঁচ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, রোগীদের ভোগান্তি
৩ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আতিকুল-মহিবুল
আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর অনেক এলাকায়
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে 'ডাক্তার' লেখা যাবে না: হাইকোর্ট
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি, দুবার বন্ধ হয়েছে হৃৎস্পন্দন