মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২০২৩-এ নতুন স্বপ্ন-আশা, নতুন চ্যালেঞ্জ

সময় চলে যায়। সেই হিসাবে ২০২২ সাল শেষ হতে চলেছে। নতুন ২০২৩ সমাগত। নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির ২০২৩। নতুন বছর কেমন যাবে— তার আগাম পূর্বাভাস ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে আমরা জেনেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় নেতিবাচক হলো— রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও খারাপ হওয়া। এই দু’টি বিষয়ের সঙ্গে রাজনীতি, অর্থনীতি, দুর্নীতিসহ আরও অনেক উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয় জড়িয়ে আছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত অনুন্নত সব দেশই পুড়ছে এই সংকটে।

ফ্রান্সের বিখ্যাত ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা নস্ট্রাডামাস ২০২৩ সালে চরম অর্থনৈতিক সংকট, গৃহযুদ্ধ, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলেছেন। এমনকি পৃথিবীর শেষও দেখেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তা অবশ্যম্ভাবী কি না ভবিষ্যৎ তা বলতে পারে! একই সঙ্গে তিনি মঙ্গলগ্রহে মানুষ বসবাস করবে বলেও জানিয়েছেন। আমেরিকা ও চীনের মঙ্গল যাত্রা সে দিকেই যাচ্ছে। নস্ট্রাডামাস ৫০০ বছর আগে ৬৩৩৮টি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যার অনেকগুলোই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তবে আমরা চাই, মঙ্গলে মানুষের অভিযান ছাড়া নস্ট্রাডামাসের অন্য ভবিষ্যদ্বাণী যেন সত্যি না হয়। তাহলে মানুষ বেঁচে থাকবে, পৃথিবী রক্ষা পাবে!

২০২৩ সাল কি শুধুই দুর্দশাগ্রস্ত হবে, নাকি আশার আলোও কিছু আছে— তা খুঁজে দেখা যেতে পারে।

বলা হচ্ছে, নতুন বছরে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি হবে। কোভিড মহামারির সময় থেকে প্রযুক্তির উন্নতির গতি ত্বরান্বিত হয়েছিল। নতুন বছরে তা আরও বেগবান হবে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জীবনযাত্রার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেকটা বাস্তব হয়ে উঠবে। বিশেষ করে, ২০২৩ সাল হবে ভার্চ্যুয়াল জগৎ ‘মেটাভার্স’-এর সামাজিকীকরণ ও দিক নির্দেশনার বছর। কারণ এই প্ল্যাটফর্ম ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।

প্রকৃতিকে নিজেদের মতো করে সাজাতে এবং মানুষের শরীরের স্ব-নিরাময় ক্ষমতা বাড়াতে নতুন বছরে ব্যাপক সাফল্য আসতে পারে। ন্যানোটেকনোলজি এবং জিন ও ডিএনএ পরিবর্তন করে গাছপালা এমনকি মানুষের শরীরেও পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। এতে ফসলের পুষ্টি উপাদান ও উৎপাদন আরও বাড়বে। মানুষের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য, যেমন— চোখ, চুলের রংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা যাবে। যেমন, আমরা কোনো একটি লেখা লিখলে সম্পাদনা করে কোনো বাক্য বা শব্দ যেভাবে পরিবর্তন করি অনেকটা সেভাবে এ সব ঘটবে।

২০২৩ সালে রোবট চেহারা ও সক্ষমতায় আরও বেশি মানুষ হয়ে উঠবে। কারখানা বা গুদামে জটিল কাজ ছাড়াও এ সব রোবট মানুষের পাশাপাশি গৃহস্থালির সাধারণ কাজও করবে। এক্ষেত্রে ‘রোবট বাটলার’ বা ঘরের কাজের সহযোগী কিনতে পাওয়া যেতে পারে!

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালে ‘গ্রিন এনার্জি’ বা ‘সবুজ শক্তি’ তথা বায়ু ও সৌর শক্তির উপর মানুষ আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও ব্যবহার অনেক বাড়বে। দেশে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের প্রচলন শুরু হবে। এ ছাড়াও আরও নানা ক্ষেত্রে উন্নতির আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে কি আশা করা যেতে পারে? সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সংসদ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাই আশা সুষ্ঠু নির্বাচন, আর সবার অংশগ্রহণ। এ ছাড়া ডলার সংকটসহ যে অর্থনৈতিক সংকটে সাধারণ মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে তার থেকে কিছুটা মুক্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এ বছর একাধিক মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন হতে পারে। এতে উন্মোচিত হবে দেশের চলমান উন্নয়নের নতুন রূপ ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সাল নিয়ে নানা নেতিবাচক খবরে এমনিতে মানুষ আতঙ্কিত। কোনো আশা-ভরশা ভাবায় না। কীভাবে দু’মুঠো খেয়ে বছরটা কাটিয়ে দিতে পারবে তারই চিন্তায় যেন সবাই অস্থির। তবুও নতুন দিনে, নতুন স্বপ্ন, নতুন কিছু প্রত্যাশা করা, শুভ কিছু কামনা করা হয়। এটাই চিরাচরিত নিয়ম। অবশ্য বেশিরভাগ মানুষের কাছে স্বপ্ন আর বাস্তবতা দুরতিক্রম্য। পূর্ণেন্দু পত্রী যেমন বলেছেন—

মানুষের ভাঙা-চোরা ভুরুর উপরে
চাঁদের ফালির মত
আজ কোনো স্থির আলো নেই।
ছাতার দোকানে ছাতা যেরকম ঝোলে
সেভাবে মানুষের রক্ত ও চন্দনমাখা স্বপ্নগুলো
হ্যাঙ্গারে রয়েছে।

(স্বপ্নগুলো হ্যাঙ্গারে রয়েছে, প্রিয় পাঠক), তারপরও নতুন বছর সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, সব মানুষের জন্য কল্যাণময় হয়ে উঠুক— এই আশা বুকে বাঁধতে পারি।

ইব্রাহিম আজাদ: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

৪০০ অভিযোগের মধ্যে ১৭২টি অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৩৭টি অভিযোগের সঙ্গে। ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৫৫টির সঙ্গে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৬টির সঙ্গে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৫টি অভিযোগের সঙ্গে।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে ফেলা হয়েছে বাকি অভিযোগ গুলো। যেগুলোর ক্ষেত্রে পরিচয় দেয়নি। শুধু বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি জানিয়েছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন৷ যারা আালমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, কতো নিষ্ঠুরভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, বোঝানো যাবে না।

কমিশন সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস বলেন, এখন পর্যন্ত গুমের চারটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক কারণে বিশাল সংখ্যক মানুষকে নেওয়া হয়েছে। প্রমাণিত না হলেও জঙ্গি সন্দেহে বড় একটা সংখ্যক নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক কারণেও গুম করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন।

গত ২৭ আগস্ট ওই গুম কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে।

Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আজ সকাল ১০ টার দিকে আমাকে দেশে ব্যবহৃত একটি বিদেশি নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের উদ্দেশ্যে গতকালের সিন্ডিকেটে কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণই এই হুমকির মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশের কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণের ভিতর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। দেশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা কাজ চলছে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে অনেকেরই সহজ রোজগারের পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, মাত্র দুইমাসে আমরা প্রায় দুই হাজারের অধিক কলেজে ‘পরিচালনা কমিটি’ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এ কমিটি করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খায় নাই এটি আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

হত্যার হুমকি দিলেও কোন লাভ নেই জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, অতএব এসব হত্যার হুমকি, পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কিচ্ছা কাহিনি লিখে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ লেখেন, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, হত্যার হুমকি নিয়ে জিডি করছি, সম্মানিত উপদেষ্টাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সচিবকেও বিষয়টা জানিয়েছি। এজেন্সিগুলোও জানে ব্যাপারটা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ৮০ শতাংশই হলো প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার। দেখি আমরা এর কোন একটা বিহিত করতে পারি কিনা। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন চাই।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে একটি বিশেষ অভিযানে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (JIM)। রবিবার পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেয় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার কর্মকর্তারা।

দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়, যিনি বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩০ বছর বয়সি এই ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় অবস্থানের জন্য কোনো বৈধ নথি বা পাসপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হন। অভিযানে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ছয় বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে, কেয়ারটেকার একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। অভিযানে অংশগ্রহণকারী দল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, এই মানবপাচার চক্র ভিকটিমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) গ্রহণ করে তাদের ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়। পরে, অতিরিক্ত ৫ হাজার রিঙ্গিত দাবি করে তাদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়।

এই অভিযান মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে অনেক বাংলাদেশি ফাঁদে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা