সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সন্তান প্রতিপালনের কৌশল রপ্ত করা বাবা-মায়ের জন্য জরুরি

পৃথিবীর সব বাবা-মায়ের কাছে তাদের সন্তান প্রাণের চেয়ে প্রিয় এতে কোনো সন্দেহ নেই । সন্তান জন্মের পর থেকে প্রত্যেক বাবা -মা স্বপ্ন দেখেন যে, একদিন তাদের সন্তান মানুষের মত মানুষ হবে, সুনামের অধিকারী হবে, দেশ, জাতি এমনকি বিশ্বের জন্য একদিন অনেক কিছু করবে । এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন কিন্তু এত সহজ নয়। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে অনেকগুলো বিষয়ে পিতা-মাতাতে সচেতন থাকা জরুরি। পাশাপাশি পরিকল্পনা থাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

সন্তান পরিপালন করার অনেক কৌশল রয়েছে। এসব যে সব বাবা-মা একবার বুঝে ফেলেন তারাই সফল হন। আর যারা সন্তান জন্মের পর তাদের গড়ে তোলার ব্যাপারে খামখেয়ালী করেন কিংবা জাগতিক নানা ভোগ বিলাস কিংবা অর্থের পেছনে ছুটেন, তারা কখনো সন্তানের গর্বিত বাবা-মা হতে পারেন না ।

শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শৈশবে কোনো শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে কিনা তা অনেক ধনী বাবা-মাও খেয়াল করেন না। যারা বিষয়টা জানেন তারা কিন্তু তাদের শিশু সন্তানের সুষম খাবার প্রদানে অনেক কাজ করে থাকেন। অনেকে মনে করেন যে তাদের সন্তান খেতে চায় না সে জন্য কি আর করবেন ..। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। শিশু সন্তানটি কেন খাচ্ছে না, কীভাবে তাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো যায়, ভিন্ন কোনো কৌশল অবলম্বন করে শিশুটিকে খাওয়ানো যায় কিনা— এ সব জানার আগ্রহ বাবা-মায়ের থাকতে হবে । অনেকক্ষেত্রে শিশু চিকিৎসক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করাও দরকার। কারণ, জীবনের প্রথম ১২ বছরে কোনো শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হলে বাকি জীবনে মহামূল্যবান খাবার খেয়েও কোনো লাভ হবে না।

শিশু সন্তানকে শৈশব থেকে আদর যেমন করতে হবে তেমনি খুব সচেতনভাবে শাসনও করতে হবে । মাত্রাতিরিক্ত আদর পেলে শিশু সন্তান বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবা -মায়ের অবাধ্য হয়ে যেতে থাকে দিনে দিনে। এক সময় বাবা-মাকে অবজ্ঞা করতেও দেখা যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে। তাই বলে সবসময় কঠোর অনুশাসন একদমই করা যাবে না। শিশুদের শৈশব থেকে বিনয়ী হতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্য শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, আত্মীয় স্বজনদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, সবাইকে সম্মান করে কথা বলা, এ সব বিষয়গুলো শিশুর মাকে প্রতিনিয়ত শেখাতে হবে। বিদেশে শিশুদের বাবা-মা এবং প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা এ কাজটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে করে থাকেন। তারা শিশুর মনোজগৎকে উন্নত করার কাজটি করে থাকেন। শিশুদের অধিক পড়াশুনার চাপে না ফেলে কথার ছলে, গল্প বলতে বলতে অনেক কিছু শিখিয়ে থাকেন।

মা হলো শিশুদের সব চেয়ে বড় শিক্ষক। যেসব মায়েরা বিষয়টা একবার বুঝে যান তাদের সন্তানরা আর সফল না হয়ে পারে না। মায়ের আচরণের ছাপ শিশুদের মধ্যে প্রতিফলিত হয়।

আমরা শিশুদের যতটা অবুঝ মনে করে থাকি আসলে তারা কিন্তু তা নয়। অনেক শিশু শৈশব থেকেই অনেক কিছু খেয়াল করে। সে কারণে যে সব স্বামী-স্ত্রী শিশুদের সামনে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন, তাদের সন্তানরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে না। এটি খুবই বড় একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ভবিষ্যতে। সুতরাং প্রত্যেক বাবা-মাকে এমন কাজ থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে । সন্তানের অগোচরে অনেক স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করেন। এটি মন্দের ভালো। সন্তান জানতে পারে না বাবা মায়ের মনোমালিন্য।

শিশু সন্তানকে উন্নত মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো খুবই জরুরি। এমনকি উচ্চশিক্ষার জন্যও সন্তানদের বিখ্যাত কলেজ /বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে। অনেক টাকা ছাড়াও এটি করা সম্ভব যদি আপনি আপনার সন্তানদের শৈশব থেকে যত্ন নিয়ে থাকেন। মনে রাখবেন, সন্তান পরিচর্যা কঠিন এক অধ্যবসায়। পৃথিবীর বহু মা -বাবা সন্তানের সফল জীবন গড়ে দিতে গিয়ে আজীবন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। আর যারা তা করেন নাই তারা নিজেরা ভোগ বিলাস করে গেছেন আর সন্তানদের জীবন নষ্ট করে গেছেন ।

আপনার জীবনের যেসব স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন নাই — সে সব পূরণ করা সম্ভব সন্তানের সফল জীবন গঠনের মাধ্যমে। অনেক বাবা-মা তা করে থাকেন। সুতরাং সন্তান প্রতিপালনের সব কৌশল রপ্ত করা বাবা-মায়ের জন্য অতি জরুরি।

লেখক: সাবেক কর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর ট্যাক্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ

আরএ/

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি