নারী জাগরণে এক শুকতারার গল্প
আমার কবিতা দিয়েই লেখাটি শুরু করতে চাই-
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া
জ্ঞানের দিশারী তুমিতো আমাদেরই রোকেয়া
ডেকেছো নারীকে কন্যা, জায়া, জননীর কাÐারী হয়ে আসা।
তুমিতো শুনিয়েছো সমতার বাণী নারীর স্বপ্নগাঁথা।
তুমি মহীয়সী, শিখিয়েছো নারীকে অবরোধ ভাঙার প্রথা
সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছো নতুন কোন আশা
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া
জীবনের আঙিনাতে কতো নারী সাজিয়েছে তোমার দীপশিখা।
তুমি মহীয়সী প্রত্যয়ী হতে শিখিয়েছো,
তুমি আঁধার ভাঙার গান।
তুমি শিখিয়েছো কতো কী যে!
শেকল ছেড়াঁর গান।
শতবর্ষ আগের চিন্তার ফসল আধুনিকতাকে ছড়িয়েও
তুমি দিয়েছো কতো রক্তিম প্রাণ।
তুমি মহীয়সী, তুমি রোকেয়া তুমি বাঙালি চিন্তাবিদ
তুমি অসামান্য দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সমাজ সংস্কারক, আমাদেরই দূরবীন।
এই উপমহাদেশের নারীর অগ্রগতি ও ক্ষমতায়নের অগ্রদূত ছিলেন বেগম রোকেয়া। যাকে আমি শুকতারা বলছি সেই শুকতারার জীবনকাল ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ থেকে ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২। তবে তিনি ক্ষণজন্মা, তার জীবনলীলায় জড়িয়ে আছে কত অজানা গল্প। শিশু বয়সে কলকাতায় একবার চিলেকোঠায় তিনদিন দুধ চিড়া খেয়ে থাকতে হয়েছিল নিচে নামলে যদি কোনো বেগানা নারীর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় সে ভয়ে। কিন্তু আজকের নারীসমাজ অন্তপুরের অন্ধকার ভেদ করে আলোর নিশানা পেরিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরীক হয়েছে । বাঙালির আধুনিক যুগের ইতিহাসে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অবিস্বরণীয় একটি নাম।
অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষিত নারী-পুরুষের অনেকের মন ও মননে পুরুষতান্ত্রিক প্রভাব ও গোঁড়ামি পরিলক্ষিত হয়। মেয়েরা শিক্ষিত হলে চাকরি করতে পারবে না। পর্দার আড়ালে থেকে এসে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করায় অসংখ্য বাধা সম্মুখে এসে দাঁড়ায়। খোদ পরিবারই এটা জিইয়ে রাখে অনেক সময়। নারী আজ মুক্ত হয়েছে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে। যুক্ত হয়েছে সমাজ ও দেশ বিনির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে।
নারীরা শিক্ষিত না হলে তারা যে পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ধারা থেকে পিছিয়ে পড়বে, তা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন শতবর্ষ আগেই বেগম রোকেয়া। বেগম রোকেয়ার রচনায় তিনি লিখেছেন-মাদক দ্রব্যের যতই সর্বনাশ হউক না কেন, মাতাল তাহা ছাড়িতে চাহে না সেইরূপ আমরা অঙ্গে দাসত্বের নিদর্শন ধারণ করিয়াও আপনাকে গৌরবান্বিতা মনে করি-গর্বে স্ফীতা হই! এ দেশে আমাদের স্বামী আমাদের নাকে ‘নোলক’ পরাইয়াছেন!! ঐ নোলক হইতেছে ‘স্বামী’র অস্তিত্বের (সধবার) নিদর্শন! অতএব দেখিলেন ভগিনি! আপনাদের ঐ বহুমূল্য অলঙ্কারগুলো দাসত্বের নিদর্শন ব্যতীত আর কী হইতে পারে? আবার মজা দেখুন, যাঁহার শরীরে দাসত্বের নিদর্শন যত অধিক, তিনি সমাজে ততোধিক মান্যা গণ্যা! যদিও জাপানে স্ত্রীকে স্বামীর প্রধান সেবিকা মনে করা হয় কিন্তু সচরাচর তাহাতে গৃহস্থিত অপর সকলে মাননীয়া গৃহিণী বলিয়া ডাকে। সুখের বিষয় এই যে এখন ইউরোপীয় রীতি নীতির সহিত পরিচিত শিক্ষিত সমাজে ক্রমশ রমণীয় অবস্থা উন্নত করিবার আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হইতেছে। জীবনের কর্তব্য অতি গুরুতর, সহজ নহে:
সুকঠিন গার্হস্থ্য ব্যাপার
সুশৃঙ্খলে কে পারে চালাতে?
রাজ্যশাসনের রীতি নীতি
সূ²ভাবে রয়েছে ইহাতে।
বোধ হয় এই গার্হস্থ্য ব্যাপারটাকে মস্তকস্বরূপ কল্পনা করিয়া শাস্ত্রকারগণ পতি ও পত্নীকে তাহার অঙ্গস্বরূপ বলিয়াছেন। তাই বলি আমাদের অবস্থা আমরা চিন্তা না করিলে আর কেহ আমাদের জন্য ভাবিবে না। ভাবিলেও তাহাতে আমাদের ষোলো আনা উপকার হইবে না। অনেকে মনে করেন যে পুরুষের উপার্জিত ধন ভোগ করে বলিয়া নারী তাহার প্রভুত্ব সহ্য করে। কথাটা অনেক পরিমাণে ঠিক। বোধ হয় স্ত্রীজাতি প্রথমে শারীরিক শ্রম অক্ষম হইয়া পরের উপার্জিত ধনভোগে বাধ্য হয়। এবং সেইজন্য তাহাকে মস্তক নত করিতে হয়।
আমরা সমাজেরই অর্ধঅঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপ? কোনো ব্যক্তির এক পা বাঁধিয়া রাখিলে, সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষদের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে-একই। কি আধ্যাত্মিক জগতে, কি সাংসারিক জীবনের পথে-সর্বত্র আমরা যাহাতে তাঁহাদের পাশাপাশি চলিতে পারি, আমাদের এরূপ গুণের আবশ্যক। বাস্তবিক অত্যাধিক যত্নে অনেক বস্তু নষ্ট হয়। যে কাপড় বহু যত্নে বন্ধ করিয়া রাখা যায়, তাহা উইএর ভোগ্য হয়। কবি বেশ বলিয়াছেন:
কেন নিভে গেল বাতি?
আমি অধিক যতনে ঢেকেছিনু তারে,
জাগিয়া বাসর রাতি,
তাই নিবে গেল বাতি।
সুতরাং দেখা যায়, তাঁহাদের অধিক যত্নই আমাদের সর্বনাশের কারণ।
“The five worst maladies that afflict the female mind are: indocility, discontent, slander, jealousy and silliness...such is the stupidity of her character, that it is incumbent on her, in every particular, to distrust herself and to obey her husband.” (Japan, the Land of the Rising Sun)
(ভাবার্থ-স্ত্রীজাতির অন্তঃকরণের পাঁচটি দুরারোগ্য ব্যাধি এই- [কোন বিষয় শিক্ষার] অযোগ্যতা, অসন্তোষ, পরনিন্দা, হিংসা এবং মূর্খতা।... নির্বোধ স্ত্রীলোকের কর্তব্য যে প্রত্যেক বিষয়ে নিজেকে অবিশ্বাস করিয়া স্বামীর আদেশ পালন করে)। বঙ্গীয় কোনো কোনো সমাজের স্ত্রীলোক যে স্বাধীনতার দাবি করিয়া থাকেন, তাহা প্রকৃত স্বাধীনতা নহে- ফাঁকা আওয়াজ মাত্র। এখন আর আমাদের হৃদয়ে স্বাধীনতা, ওজস্বিতা বলিয়া কোনো বস্তু নাই-এবং তাহা লাভ করিবার প্রবৃত্তি পর্যন্ত লক্ষিত হয় না! তাই বলিতে চাই:
অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনি!
বেগম রোকেয়ার রচনায় তিনি লিখেছেন-বিশ্ব জগতের মনোরম সৌন্দর্য আমি দেখি না। আমি কি দেখি, শুনিবে? যদি হৃদয়ে ফটোগ্রাফ তোলা যাইত, যদি চিত্রকরের তুলিতে হৃদয়ের প্রতিকৃতি অঙ্কিত করিবার শক্তি থাকিত,-তবে দেখাইতে পারিতাম, এ হৃদয় কেমন! কিন্তু সে উপায় নাই। যদি ভারতবর্ষকে ইংরাজি ধরনের একটি অট্টালিকা মনে করেন, তবে বঙ্গদেশ তাহার বৈঠকখানা (drawing room) এবং বাঙালি তাহাতে সাজসজ্জা (drawing room suit)! যদি ভারতবর্ষকে একটি সরোবর মনে করেন, তবে বাঙালি তাহাতে পদ্মিনী! যদি ভারতবর্ষকে একখানা উপন্যাস মনে করেন, তবে বাঙালি তাহার নায়িকা! ভারতের পুরুষসমাজে বাঙালি পুরুষিকা!! আজি কালি অধিকাংশ লোকে শিক্ষাকে কেবল চাকরি লাভের পথ মনে করে। মহিলাগণের চাকরি গ্রহণ অসম্ভব সুতরাং এই সকল লোকের চক্ষে স্ত্রীশিক্ষা সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। স্ত্রীলোকদের উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নাই। মেয়েরা চর্ব্য, চোষ্য রাঁধিতে পারে, বিবিধ প্রকার সেলাই করিতে পারে, দুই চারি খানা উপন্যাস পাঠ করিতে পারে, ইহাই যথেষ্ট। ‘Through woman came curse and sin; and through women came blessing and salvation also.’ (ভাবার্থ- নারীর দোষে জগতে অভিশাপ ও পাপ আসিয়াছে এবং নারীর কল্যাণেই আশীর্বাদ এবং মুক্তিও আসিয়াছে)। স্বামী যখন পৃথিবী হইতে সূর্য ও নক্ষত্রের দূরত্ব মাপেন, স্ত্রী তখন একটা বালিশের ওয়াড়ের দৈর্ঘ্য প্রস্থ (সেলাই করিবার জন্য) মাপেন! স্বামী যখন কল্পনার-সাহায্যে সুদূর আকাশে গ্রহনক্ষত্রমালা বেষ্টিত সৌরজগতে বিচরণ করেন, সূর্যমÐলের ঘনফল তুলাদণ্ডে ওজন করেন এবং ধূমকেতুর গতি নির্ণয় করেন, স্ত্রী তখন রন্ধনশালায় বিচরণ করেন চাউল ডাল ওজন করেন এবং রাঁধুনির গতি নির্ণয় করেন।
বেগম রোকেয়া একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন অসামান্য দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আধুনিক সময়ে এসেও আমরা তাকে আবিষ্কার করেছি একজন নিরেট, আধুনিক হিসেবে। শতবর্ষ আগের চিন্তা বর্তমান আধুনিক সময়কেও ডিঙিয়ে গেছে। তার শিক্ষার গুরুত্ব ছিল প্রখর। সাহসী নারী বেগম রোকেয়া নারী জাতির ঘুম ভাঙিয়েছেন। তিনি নারীদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন এভাবে- One evening I was lounging in an easy chair in my bed-room and thinking lazily of the condition of Indian womanhood. I am not sure whether I dozed off or not. But, as far as I remember, I was wide awake. I saw the moonlit sky sparking with thousands of diamond-like stars, very distinctly.- Mrs. R. S. Hossen, Sultana’s Dream
বেগম রোকেয়া নারীর ক্ষমতায়নের ভবিষ্যৎ রুপরেখা এঁকেছিলেন এভাবে-তোমাদের কন্যা শিশুদিগকে শিক্ষিত করিয়া ছাড়িয়া দাও দেখিবে তারা নিজেদের অন্ন-বন্ত্রের ব্যবস্থা নিজেরাই করিয়া নিতে পারিবে। বেগম রোকেয়ার চিন্তা চেতনায় মিশে আছে নারী জাগরণ। তিনি বহু আগেই সমাজ পরিবর্তনের ঝান্ডা তুলে ধরেছেন, তিনি শতবর্ষ আগেই বলে গেছেন-মানব সমাজ একটি দুই চাকার গাড়ির মতো। সমাজ এগিয়ে যায় সেই চাকার উপর ভর করেই। কিন্তু এক চাকাকে দূর্বল রেখে কিংবা অচল রেখে অপর চাকার উপর নির্ভর করে খুব বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া যায় না। গৃহের সিলেবাসে বন্ধি নারীরা আজ অনেকটাই শৃঙ্খলমুক্ত আশা জাগানিয়া হয়ে থাকতে ভালোবাসে। তাইতো বর্তমানে নারীদের রুটিন কর্ম থেকে বের হয়ে জাগরণের স্পৃহা নিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করছে। এটা নারীর ক্ষমতায়নের একটি ইতিবাচক দিক।
বেগম রোকেয়া ছিলেন প্রথম বাঙালি নারীবাদী চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, উপন্যাসিক ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক এবং একজন উঁচুমানের সমাজ সংস্কারক। বাংলাদেশের নারীসমাজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনে বেগম রোকেয়ার দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে।বেগম রোকেয়া নারীবাদী স্বপ্নপালনের মাধ্যমে নারী-পুরুষের প্রচলিত ধ্যান ধারণা বদলে দিয়েছেন। পুরুষ সমাজকে ঘরের কোণে অবরুদ্ধ করে নারীকে তুলে ধরেছেন অর্থনৈতিক কাজের প্রধান চালিকাশক্তি করে। উদ্ভাবনীশক্তি ও যুক্তিবাদিতা সমৃদ্ধ করেছে তার লেখনীর জগত। তিনি তার স্বপ্ন বাস্তব হিসেবে দেখতে চেয়েছেন নারী সমাজের মাঝে। জীবনের অন্তিম বেলায় তাইতো তিনি লিখে রেখে গেছেন- ‘মেয়ে মানুষ নয়, মানুষ হয়ে বাঁচতে হবে, তবেই সার্থক মানবজনমের’। বিট্রিশ ভারতে বেগম রোকেয়া এক বিপ্লবী নাম। পিছিয়ে-পড়া নারীসমাজকে তিনি রাষ্ট্র ও পরিবার-কাঠামোর মূল প্রবাহে জায়গা করে দিতে চেয়েছেন। তাঁর এই চাওয়া শেষ পর্যন্ত একটি বিশেষ সমাজ-দর্শনে পরিণতি লাভ করে। কলকাতা এবং বিশেষভাবে পূর্ববঙ্গের সমাজকে তিনি প্রধান বিবেচ্য রেখে তুলনামূলক পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনে সারা দুনিয়ার নারী সমাজকে আমাদের সামনে হাজির করেছেন।
৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসকে ঘিরে তার দর্শন ধারণ করে সে অনুযায়ী বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। সভা সেমিনারে যেখানেই আমরা বেগম রোকেয়ার স্বপ্নকে তুলে ধরি না কেন তার দর্শনের যথার্থ প্রয়োগ ঘটানো ভীষণ জরুরি। তাইতো আমরা দেখতে পাই বেগম রোকেয়ার দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নারী মুক্ত হয়েছে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে, যুক্ত হয়েছে দেশ সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে। বুদ্ধি মনন এবং দর্শন চেতনায় তিনি যে সময় থেকে একশ বছর অগ্রসর ছিলেন, মার্ক্সের রচনার সঙ্গে পরিচয় না থাকা সত্তে¡ও নারীসমাজের অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যাপারটিকে গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন। অবরোধ প্রথাকে ভাঙতে হবে বলেই অবরোধ প্রথাকে ভাঙেননি। তাকে মানুষের প্রয়োজনে, সমাজের প্রয়োজনে কাজে লাগান। একজন সুলতানার ভেতরের মুক্তচিন্তার অনুপ্রেবেশ ঘটেছিল বহু আগে। তিনি নারী ও পুরুষের সঙ্গে সমান তালে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার মানসিকতা তৈরিতে এক বিন্দু কুণ্ঠাবোধ করেননি।
একটি অন্ধকারচ্ছন্ন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে জন্ম নিয়ে তিনি তার সমস্ত হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নারীর কষ্ট, যন্ত্রনা, বৈরিতা। মাত্র ৩০ বছর বয়সে বিধবা বেগম রোকেয়া তৎকালীন সমাজের প্রথাগুলো মেনে নিয়ে একটি নীরব সংগ্রাম করে গেছেন যার প্রতিকূলতা আজও প্রবাহমান। স্বামীর প্রথম পক্ষের জামাতা করেছিলেন তাকে লাঙ্চিত শেষমেষ বিতাড়িত হয়ে ১৯১০ সালে কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্থির বিশ্বাস ও ধীর বুদ্ধি বেগম রোকেয়ার জীবনকে পাল্টে দিল। কলকাতায় বসে তিনি আঁধার ভাঙার প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োাজিত করলেন। ১৯৩২ সালে ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন এই মহীয়সী নারী আমাদের শুকতারা।