শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমাবেশ, আতঙ্ক আর বিশেষ অভিযান

কী হবে ১০ ডিসেম্বরে, কী করবে জাতীয়তাবাদী দল আর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, সরকার বিশেষ করে পুলিশের ভূমিকাই বা কী হবে? এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, উত্তেজনা আর জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যেকোনো আলোচনায় প্রসঙ্গক্রমে অথবা অপ্রাসঙ্গিকভাবে এ বিষয়টা চলে আসছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সারাদেশে সভা সমাবেশ চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে তাদের সাফল্য আর স্বপ্নের কথা প্রচার করার জন্য। বিএনপি সমাবেশ করে তাদের উপর নিপীড়ন, মামলা হামলা, তাদের নেতার মুক্তি, দেশের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সংকট নিরসনের কথা বলছে। বামপন্থীদের জোট ও বাসদ, সিপিবি সমাবেশ করে ব্যাখ্যা করছে দেশের সংকটের কারণ এবং জনগণকে আহ্বান করছে বিকল্প চিন্তা এবং শক্তিগড়ে তোলার জন্য। রাজনীতিতে এরকম একটা পরিবেশই তো কাম্য। কিন্তু সরকার ও পুলিশের ভূমিকা সবার ক্ষেত্রে একরকম থাকছে না। কারো ক্ষেত্রে পুলিশি বাধা, কারো ক্ষেত্রে পরিবহন বন্ধ আর কারো ক্ষেত্রে পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতা মানুষের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে, তৈরি করেছে নিরপেক্ষতা সম্পর্কে অনাস্থা।

এরকম এক পরিবেশে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নানা টানাপোড়েন। সমাবেশের স্থান নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা আর চলছে বিতণ্ডা।

যেটিই হোক, একটি সমঝোতা হবে, হয়ে যাবে— একথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর তার জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বল তো ওনার কোর্টে। উনি (ওবায়দুল কাদের) কী সমঝোতা করবেন, সেটা উনিই বলবেন। আমরা তো বলেছি নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে চাই। তারা আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিয়েছেন। কিন্তু আমরা সেখানে করব না।’ ফলে বল যার কোর্টেই থাক খেলা নিয়ে উত্তেজনা কিন্তু কমছে না। কারণ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তারা নয়া পল্টনে অনুমতি দেবে না। আমরা তো বলেছি—আপনারা কী চান, বিকল্প কী দেবেন, আপনারা দিন। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাব না। তারা নয়া পল্টনে দেবে না, তো কোন মাঠ দেবে, দাও। গ্রহণযোগ্য হলে আমরা নেব। ১০ ডিসেম্বর আমরা গণসমাবেশ করব।’

বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১২ অক্টোবর বিএনপির প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ময়মনসিংহ থেকে প্রতিটি সমাবেশের আগের দিনই বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছিল। দূর-দূরান্ত থেকে কেউ কেউ চিড়া-মুড়ি, বিছানাপত্র নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছিল। পত্রপত্রিকায় তা ফলাও প্রচার পেয়েছে। ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করেও তাদের সেরকম প্রস্তুতির আশঙ্কা করেছিল ক্ষমতাসীন দল। এটা বিবেচনায় রেখেই যে সমস্ত কথা শোনা যাচ্ছে যা থেকে মনে হচ্ছে যে, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ যেখানেই হোক না কেন, আগের দিন থেকে অবস্থান নেওয়ার সুযোগ দেবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ জন্য ঢাকার মেস, হোটেল ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে। দেখা যাবে যে ১০ ডিসেম্বরের পূর্বে নয়াপল্টনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে। তা ছাড়া
পার্শ্ববর্তী জেলা এবং দূর থেকে যাতে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ না দিতে পারে, এ জন্য ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে তিন-চার দিন আগে থেকেই কয়েক স্তরের নিরাপত্তাচৌকি বসানোর পরিকল্পনা আছে পুলিশের।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারাও বলেছেন, ঢাকা মহানগর, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে তাদের নেতা-কর্মীরা যেন সতর্ক পাহারায় থাকে। তবে অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো ঢাকাতেও পরিবহন বন্ধ হবে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়।

পরিবহন খাতের সূত্রগুলো বলছে, ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা না এলেও আতঙ্ক, তল্লাশি—এসব কারণে ১০ ডিসেম্বরের আগে থেকেই যানবাহন চলাচল কমে যেতে পারে একথা ভাবছেন তারা।

নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ১০ ডিসেম্বর অবশ্যই ঢাকায় সমাবেশ হবে একথা জোরের সঙ্গে বলছে বিএনপি নেতারা। তাদের নেতারা জোরের সঙ্গে বলছেন, এই সমাবেশ থেকে মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখবে। এরপর তারা নতুন কর্মসূচি নিয়ে আরও তীব্রভাবে মাঠে নামবে। জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করবে।

১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশের স্থান নিয়ে এখনো বিএনপি ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। তবে নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে রাজধানীর আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করার নতুন প্রস্তাব এসেছে। এটা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও সংকট কাটবে বলে আশা করা কঠিন।

সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের আলোচনা চললেও কঠোর অবস্থান থেকে সরছে না সরকার। তারাও চাইছে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে রাজধানী ঢাকাকে ‘অবরুদ্ধ’ করতে। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা হচ্ছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা কার্যত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া হবে, যাতে কয়েক স্তরের বাধা ভেদ করে বিএনপির পক্ষে বড় জমায়েত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঢাকার সমাবেশ ঘিরে সরকারের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরাসরি মাঠে থাকবে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিএনপি যাতে ঢাকায় সাংগঠনিক শক্তি ও জমায়েত দেখাতে না পারে। এর প্রত্যক্ষ ফলাফল হবে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ। বিষয়টি কি সরকার, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাথায় নেই?

এর মধ্যে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। পুলিশ বলছে এসব রুটিন ওয়ার্ক। কিন্তু মানুষ কি তা ভাবছে? ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুসারে, বিশেষ অভিযানে গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ২৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনা শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, ইতোমধ্যে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১৫টি দেশ যৌথভাবে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে এ দেশের সাফল্যকে আরও উৎসাহিত করতে আগ্রহী এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এই বিবৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

বিবৃতিতে তারা বলেছে, আমরা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের মৌলিক ভূমিকাকে তুলে ধরতে চাই। আমরা মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে সংরক্ষিত স্বাধীনতা উদযাপন করি এবং ঘোষণাপত্রে বর্ণিত বিভিন্ন অঙ্গীকারের মধ্যে স্বাধীন মত প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নির্বাচন বিষয়ে জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের অঙ্গীকার রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরি।’

‘অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ, সমতা, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনুসরণীয় মূল্যবোধ ও নীতি হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক শাসনকে সমর্থন ও উৎসাহিত করি।’

জাতীয়ভাবে সহিংসতার আশঙ্কা, আন্তর্জাতিকভাবে শঙ্কা আর সমাবেশ নিয়ে মারমুখী অবস্থান দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাবে? গণতন্ত্রের কথা বলতে বলতে কি অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়ে যাচ্ছে না? নাকি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নাটকীয়তা জিইয়ে রেখে সমাধানের পথ খুঁজছে উভয়পক্ষ? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড