সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উচ্চশিক্ষায় সংকট: প্রসঙ্গ বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজ

দেশের প্রান্তিক মানুষের উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার অল্পদিনের মধ্যে চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সবার নজরে চলে আসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। ক্যাম্পাসের সংখ্যাধিক্য ও শিক্ষার্থী আয়তনে বিশ্বের অদ্বিতীয় এই প্রতিষ্ঠানটি নানাদিক দিয়ে আজও প্রথম। লুটপাট দুর্নীতি আর চরম অব্যস্থাপনায়ও বিশ্ববিদ্যালয়টি অদ্বিতীয়, এই তকমাটিও এখন মাঝে মাঝেই সামনে আসে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই প্রতিষ্ঠানটি শায়ত্বশাসন ভোগ করার কথা থাকলেও সূচনা লগ্ন থেকেই সরকারি হস্তক্ষেপ ও সরকারের অনুগত ভিসি নিয়োগের ভিতর দিয়ে স্বেচ্ছারিতা ও দুর্নীতির ষোলোকলা পূরণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ করে বেসরকারি অনার্স কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নানা অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, নবায়নের নামে অধিভুক্ত কলেজের নিকট থেকে অর্থ আদায়, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতনের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, অধ্যক্ষদের লুটপাটে ইন্ধন, মিনিস্ট্রি অডিটের নামে অর্থ আদায় সহ নানা অনিয়ম সেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজ এখন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম। শিক্ষাকে নিয়ে ব্যবসা পৃথিবীর আর কোথাও হয় বলে বোধগম্য নয়।

দেশের সর্বত্র উচ্চশিক্ষা বিস্তারের যে মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি যাত্রা শুরু করে আজ অনেকটাই দূরে চলে এসেছে তার লক্ষ্য থেকে। তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে যে নতুন দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার পাঁয়তারা করছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের স্ব স্ব কলেজগুলো বেতন দেবে বলে তাদের কলেজ নিয়োগ দেয়। অনেক কলেজ সে শর্ত আমলে নেয় না। নামমাত্র বেতন দিয়ে কলেজগুলোর বেশির ভাগ শিক্ষককে শ্রমদাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

অনার্স কলেজের আয়ের সম্পূর্ণ অংশ শিক্ষকদের বেতন হিসেবে দেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ কলেজ সেটি দেয়নি কিন্তু অভিভাবক প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই সমস্যার কোনো আশু সমাধান করেনি। উল্টো অধ্যক্ষদের লুটপাটে উসকে দিয়েছেন। বলা বাহুল্য অধিভুক্ত এই বেসরকরি অনার্স মাস্টার্স কলেজগুলো জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের লুটপাটের এজেন্ট। তাদের লুটপাটে সহযোগী হিসেবে কাজ করে এসব প্রতিষ্ঠান। করোনাকালে শিক্ষকদের এসব কলেজ কোনো বেতন দেয়নি। আর তখনই এই সংকট আবারও নতুন করে সবার সামনে চলে আসে। এই নিয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকগণ গত ১৬ ই মে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ফটকে মানব বন্ধন করে।

গত ১৬ মে শিক্ষকগণ যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ভিসিসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান রাখার শপথ করে। উপায় না দেখে ভিসি প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী দেশে আসলে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধান দেবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ গুলোতে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে এসএসসি ৩.৫০ও এইচএসসিতে ৩.০০ সবমিলিয়ে ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। আর এই শর্ত বহাল থাকলে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী এমনকি শহরের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মতো কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকরা। আর এতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে বলেই মনে হচ্ছে।

সরকার শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে সমাধানের দৃষ্টিতে বিবেচনা না করে উল্টো কৌশলে দমননীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা আমাদের সমগ্র শিক্ষাবৗবস্থার জন্য সুখকর কোনো সংবাদ নয়। শিক্ষকরা আন্দোলনের মাঝপথে বাড়ি ফিরে যান আর তখনই আসে এমন সিদ্ধান্ত। মূলত এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে শর্তের বেড়াজালে অধিভূক্ত কলেজ গুলোকে শিক্ষার্থী শূন্য করাই এর মূল উদ্দেশ্য যা বুঝতে কারও বাকি নেই। শিক্ষামন্ত্রীর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় নিয়ে করা এক বছরের মন্তব্য বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখি তিনি শিক্ষামন্ত্রক এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বরত অবস্থায় সবসময় এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলে আসছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এমন তালবাহানার সময়সীমা আরও বাড়বে বৈ কমার কোনো সম্ভাবনা শিক্ষকনেতারা দেখছেন না। মন্ত্রী একবার বলেন শর্টকোর্স খুলে শিক্ষকদের পুর্নবাসন করা হবে একবার বলেন লংকোর্স খোলা হবে ইত্যাদি কথা চরম অব্যস্থাপনার লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে, সেইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এই সময়ে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মূলত বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজকে অকার্যকর করতেই সরকারের এই চক্রান্ত। আধুনিক গণতান্ত্রিক কল্যাণকর রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য শিক্ষাকে সেবা হিসেবে বিবেচনা করে এর প্রসারেরর লক্ষে কাজ করা কিন্তু আমাদের দেশে সরকারের এই শিক্ষা সংকোচন নীতি বলে অন্যকথা। শিক্ষায় সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের এমন নজির বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।

সরকারের নেতিবাচক এমন সিদ্ধান্তে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয় চূড়ান্ত বিচারে শিক্ষার্থীরাও হবে ভুক্তভোগী।। শিক্ষার্থীদের কোনো কথা না ভেবে শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্য শিক্ষক সমাজ মেনে নিতে পারেনি। শিক্ষার্থী ভর্তির এমন প্রক্রিয়া আবারও ভাবিয়ে তুলেছে শিক্ষকসমাজকে। এভাবে সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে অনার্স কলেজগুলো কোনো শিক্ষার্থী পাবে না। অনেক শিক্ষার্থীর বন্ধ হবে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য ফলপ্রসু, টেকসই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে শিক্ষকসমাজ সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা। উচ্চ শিক্ষার সম্প্রসারণকে সরকার বেকারত্ব সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে অপব্যাখা করে, যদি সত্যিকার অর্থেই তেমনটি হয় তাহলে সে দায় কি সরকারের নয়? আর আমরা জানি শুধু কর্মসংস্থান নয় আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য তাহলে শুধু বেকারত্ব তৈরির দোহাই দিয়ে উচ্চশিক্ষাকে কোনঠাসা করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করে দেশের সুশীল সমাজ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপিত হচ্ছে এটা কম সময় নয়। এর চাইতে কম সময়ের মধ্যে প্রতিবেশী অনেক দেশ শিক্ষায় ঈর্ষাণীয় উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। নেপাল, ভুটান এমনকি পাকিস্থানও শিক্ষায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে এগিয়ে। শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে প্রত্যাশিত মান অর্জনে এগিয়ে আছে এসব দেশ। মানসম্মত শিক্ষক সরবরাহ, শিক্ষকদের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদানে প্রতিবেশী সকল দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান তলানিতে। শিক্ষায় যথার্থ বিনিয়োগ বার্ষিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিউ এস যারা সারা বিশ্বের উচ্চশিক্ষার মান বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে যে বিশ্বের এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটা আমাদের জন্যে সত্যি লজ্জার। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। যেখানে আফগানিস্থান, পাকিস্থান নেপালের মত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকে সেখানে আমরা সবার পিছনে। কারণ, হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরিতে সরকারের অনীহা, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, সরকারের পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ইত্যাদি কারণে স্বাধীনাত্তোর বাংলাদেশে শিক্ষার মান কেবল পিছিয়েছে।

আর যদি সত্যিকার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে চাই দেশকে যথার্থভাবে উৎপাদন ও উন্নয়নের কাছাকাছি নিয়ে যেত চাই তাহলে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের এখনই সময়। দেশের প্রকৃত উন্নয়ন পেতে হলে পদ্মা সেতুর মত শিক্ষাখাতকেও গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় এনে শিক্ষকদের স্বার্থ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করাটা এখন বৈশ্বিক উন্নয়নের সহায়ক বলে মনে করেন দেশের আপামর জনগণ।

লেখক:গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক এ্যাসিসন্ট্যান্ট ম্যানেজার, সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ঝঊউচ) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলামোটর ঢাকা

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি