শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মার্টেক: মানবতার জন্য প্রযুক্তি

এবারের (২০২২) পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীরা প্রোটনকে ভেঙ্গে নতুন এক ধরনের কোয়ান্টাম কম্পিউটারের পথ নির্দেশনা দিয়েছেন। যে গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে বর্তমান সুপার কম্পিউটারের দশ বছর সময় লাগবে তা এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার ১০ মিনিটেরও কম সময়ে করতে পারবে। অসম্ভব দ্রুত গতিতে প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তিকে মানুষের কাছে পৌঁছানোর বাহন মার্কেটিংকেও এর সাথে অভিযোজন করেই চলতে হচ্ছে। বাজারজাতকরণ প্রযুক্তি (Martech) বাজারজাতকরণের কৌশলগুলোকে উন্নততর করবে। কিন্তু মূল ভিত্তিকে বদলাতে পারবেনা। বাজারজাতকরণের মৌলিক কাজগুলো অপরিবর্তিতই থেকে যাবে। এগুলো হচ্ছে: চাহিদা ব্যবস্থাপনা, ভ্যালুর পৃথকীকরণ, এবং ক্রেতার সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার জন্য 'সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা'। কার্যকরী এবং টেকসই বাজারজাতকরণের এই মৌলিক উপাদানগুলো প্রযুক্তির কারণে বদলাবে না। যার কারণে মার্কেটিংয়ের কাজও কমবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, কাজ কিন্তু কমছে না।

(১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তখন শ্রমিকদের কোন নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ছিল না, মালিকের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা হতো। বহু শ্রমিকের আত্মদানের বিনিময়ে শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা কাজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্দিষ্ট শ্রমঘন্টা নির্ধারণ, মজুরির বৈষম্য দূরীকরণ এবং চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়গুলো শ্রমিকদের জোর দাবিতে পরিণত হয়। বর্তমানে মার্কেটিংয়ে এত প্রযুক্তি আসার পরেও মার্কেটিং এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের শ্রমঘন্টা কিন্তু এখনো ৮ ঘন্টার অনেক বেশি। ব্যাংকিং খাতে সবকিছু অনলাইন হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যাংকের কর্মীরা কিন্তু এখনো রাত অবধি অফিসেই থাকে।

কর্পোরেট জগতের মানুষগুলো যেন ১৯৩২ সালে প্রকাশিত অ্যালডাস হ্যাক্সলি রচিত উপন্যাস 'ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড' এর মানুষগুলোর মতো, ঝলমলে দুনিয়া তাদেরকে দাস বানালেও এক ধরনের কৃত্রিম সুখের প্রলোভন দেখায়, এখানটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এক সময় দাস ছিলেন এমন একজন, ফ্রেডরিক ডগলাস বলেছেন, "একজন দাস যদি দাসত্বের সুখ অনুভব করা শুরু করেন, তো বুঝতে হবে তিনি তাঁর মানবিক গুণাবলী হারাচ্ছেন। ...গৃহপালিত গরু তার পূর্বগরুর মধ্যে তুলনা করলে দেখা যাবে গরুর প্রচুর অবনতি হয়েছে।")

বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কাল চলছে। ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে প্রযুক্তির সংমিশ্রণে ভৌত বিজ্ঞান , সংখ্যা বিজ্ঞান, ও জীব বিজ্ঞানের পার্থক্য সৃষ্টিকারী রেখা ক্রমশ অস্পষ্ট হচ্ছে; আর এটা এক্সপোনেনশিয়াল, রৌখিক নয়। (প্রথম শিল্প বিপ্লব ছিল বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার ও যান্ত্রিকীকরণ। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব ছিল বিদ্যুতের ব্যবহার এবং বৃহৎ স্কেলে উৎপাদন। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ছিল আইসিটি ও অটোমেশনের যুগ।)

মার্কেটিং ৫.০ এর সংজ্ঞায় "মানব সাদৃশ্য- প্রযুক্তির (human-mimicking technology) মাধ্যমে ক্রেতার পুরো পথ পরিক্রমায় উন্নততর ভ্যালু তৈরি, যোগাযোগ এবং অর্পণ নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়া হয়েছে" ( Kotler and others, "Marketing 5.0: technology for humanity", 2021)। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে পরবর্তী প্রযুক্তির (next technology) কিছু বিষয় বাজারজাতকারীরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করবে, যা তাঁদের সামর্থকে বাড়িয়ে দেবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), NLP, সেন্সর, রোবটিক্স, আরোপিত বাস্তবতা (AR), ভার্চুয়াল বাস্তবতা (VR), ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT), ব্লক চেইন ইত্যাদি। এই প্রযুক্তিগুলো হচ্ছে মার্কেটিংয়ের বাহন।

বিগত কয়েক বছর থেকেই মানুষের জ্ঞানগত ক্ষমতার জায়গা দখল করার মত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) তৈরি করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে কাঠামোবিহীন ক্রেতা উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন অন্ত্যদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যাখ্যা বা উপসংহার পাওয়া যাচ্ছে যা বাজারজাতকরণকারীকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ক্রেতার জন্য সঠিক অর্পণ নির্বাচন করছে। বিগ ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রত্যেক ক্রেতার জন্য তাদের উপযোগী বারজাতকরণকৌশল নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটিকে প্রত্যেকের জন্য পৃথক (segments of one) বাজারজাতকরণ নামে অবহিত করা হয়।

সত্তর বছরের পরিক্রমায় শাস্ত্রীয় মার্কেটিং ১.০, ২.০, ৩.০, ৪.০ পথ অতিক্রম করে ৫.০ তে প্রবেশ করেছে। মার্কেটিংয়ের ছাত্র এবং শিক্ষক হিসেবে নিজে এই পরিক্রমায় প্রায় অর্ধ শতাব্দী জুড়ে সম্পৃক্ত থেকে অনেকের মত আমারও উপলব্ধি হচ্ছে মার্কেটিং ১.০ ছিল পণ্য-তাড়িত (product- driven), ২.০ ছিল ক্রেতা- মুখী (customer- oriented), আর ৩.০ ছিল মানব-কেন্দ্রিক (human-centric)। মার্কেটিং ৩.০ তে মানুষের ব্র্যান্ড পছন্দের ক্ষেত্রে কার্যকরী ও আবেগীয় সন্তুষ্টির বাইরেও আধ্যাত্মিক পূর্ণতার ( spiritual fulfillment) কথা বলা হয়েছে। যার কারণে কোম্পানিগুলো ভ্যালু ভিত্তিক পৃথকীকরণে মনোযোগী হয়েছে। পণ্য বিক্রয় বা কার্যক্রম থেকে কেবল লাভই আসবেনা, এ থেকে বিশ্বের চলমান কঠিনতর সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলোরও সমাধান আসবে।

দীর্ঘ পরিক্রমায় সনাতনী প্রথাগুলো অতিক্রম করে "STP + 4Ps" মডেল আধুনিক বাজারকারণের বৈশ্বিক রসদ হিসেবে স্থিতি লাভ করেছে। মার্কেটিং ৩.০ পর্যন্ত এখন সনাতন শ্রেণীভুক্ত করা হয়। মার্কেটিং ৪.০ তে এসে সনাতনী প্রথা ভেঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তি যুক্ত হয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলাতেই মার্কেটিং ৪.০ সংস্করণের কথা এসেছে। যদিও এর আগ থেকেই মার্কেটিং এ প্রযুক্তির ব্যবহার চলে আসছিল। মার্কেটিং ৪.০ তে একটি হাইব্রিড ফ্রেমওয়ার্ক এর মাধ্যমে ক্রেতার পথ চলায় (customer- journey) বস্তুগত ও ডিজিটাল 'টাচপয়েন্ট' যুক্ত করা হয়। এ পর্যায়ে এসে মার্কেটিং প্রযুক্তি (Martech) কেবলমাত্র সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিতি এবং বহুমাত্রিক পণ্য, সেবা ও তথ্য বন্টনে সীমাবদ্ধ থাকে না। নতুন প্রযুক্তিগুলো মার্কেটিংয়ের পুরো খেলার মাঠটাকেই বদলে দেয়।

কোভিড-১৯ মার্কেটিংয়ে ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করে। ঘরে আটকা পড়া মানুষ শারীরিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতা মানতে গিয়ে বাজার ও বাজারীর নতুন স্পর্শহীন ডিজিটাল বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়। এই পথ ধরে চলে এসেছে মার্কেটিং ৫.০ : মানবতা ও প্রযুক্তি । জাপানিরা স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই উন্নততর সমাজ বিনির্মাণের রোড ম্যাপ ধরে কাজ শুরু করেছে। তবে এক্ষেত্রে তাঁরা মার্কেটিং ৩.০ এবং মানব-কেন্দ্রীকতা ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মার্কেটিং ৪.০ কে বাদ দেয়নি, বরং অন্তর্ভুক্ত করেছে। জেনারেশন গ্যাপ, অগ্রগতির বা উন্নয়নের কেন্দ্রীভুবনের কারণে সৃষ্ট আয় ও সম্পদের বৈষম্য, ডিজিটাল বিভাজন সৃষ্ট সাইবার দরিদ্রতা গ্যাপ (cyber poverty gap) এর বিষয়টাকে কেন্দ্র করেই মার্কেটিং ৫.০ এর দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে।

মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম আমরা পাঁচটি প্রজন্ম একসাথে বসবাস করছি। বিপ্রতীপ মনোভাব, অগ্রাধিকার এবং আচরণ নিয়েই আমরা একসাথে আছি। আমাদের যাদের বয়স এখন ষাটোর্ধ্ব তাদের অনেকেরই বাবা-মা বেঁচে আছে। আমাদের সন্তান , নাতি এবং নাতির সন্তানরাও আমাদের সাথেই আছে। আমাদের মা-বাবা যাদের জন্ম হয়েছিল ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন আমলে তাঁদের অল্পসংখ্যকই বিদ্যুতের আলো দেখেছেন। আমরা যারা পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে জন্মেছি তারাও হারিকেনের আলোতেই পড়াশোনা করেছি। হারিকেনের আলোতে পড়াশোনা করা আমরাই আবার ডিজিটাল যুগেও সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্বের কসরত করছি। আমাদের ক্রয় ক্ষমতাও বেশি।

আমাদের সন্তানরা জন্মেছে মোবাইল ফোনের যুগে। নাতীরা জন্মের পরেই দেখেছে ইন্টারনেট সহ কম্পিউটার। তাঁদের সন্তানরা গাণিতিক সমস্যার সমাধান করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। বাসা থেকে বেরিয়ে আসার আগে বন্ধ না করা AC বন্ধ করছে অনেক দূরে অফিসে গিয়ে IoT এর মাধ্যমে। ফাইভ-জি মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি হবে বর্তমান মোবাইল এর চেয়ে ১০০ গুণ, তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষমতা হবে অন্তত দশ গুণ । আমাদের অন্তর্নিহিত আয় ও সম্পদের বৈষম্যের কারণে বাজার দুই সীমান্তের দিকে ধাবিত হচ্ছে। উচ্চ আয়ের কারণে একদিকে যেমন বিলাসী মার্কেট তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে আয় পিরামিডের ভিত্তি অনেক বড় হচ্ছে। এতে গণ মানুষের একটি নিম্ন ভ্যালুসম্পন্ন কম দামি পণ্যের বাজার তৈরি হচ্ছে। মধ্যম বাজারটি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বিলুপ্ত হচ্ছে। যার কারণে শিল্পের খেলোয়াড়দের উপরের দিকে যেতে হচ্ছে অথবা নিচের দিকে নামতে হচ্ছে।

বাজারজাতকরণকারীকেই cyber poverty gap এর বিষয়টিও সমাধান করতে হবে। যারা খুব দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসবেনা বা আসতে পারবেনা তাদের কথাও ভাবতে হবে। প্রযুক্তি যত দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে সমাজ ততো দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে না। ডিজিটাইজেশন এর কারণে কর্মচ্যুতি যেমন ঘটছে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বলতেও কিছু থাকছে না। যদিও প্রযুক্তিবিদরা এর মাধ্যমে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মানবিকতার প্রতীজ্ঞার কথা বলছেন। ব্যবসায়ীকে এই বিভক্তিকে অতিক্রম করে সকলের জন্য প্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে।

ব্যবসায় বাণিজ্যের সকল গবেষণা এবং প্রযুক্তি কোম্পানির স্বার্থকেন্দ্রিক। কীভাবে কোম্পানির ব্র্যান্ডের শ্রীবৃদ্ধি করে বাজারে প্রতিযোগিতায় আরো সুদৃঢ় অবস্থান নেয়া যায়, মুনাফা সর্বোচ্চকরন এবং কোম্পানির প্রবৃদ্ধিই গবেষণা এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের মূল বিষয়বস্তু। কোম্পানি বা অর্থনীতির সার্বিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কম এবং কোন কোন ক্ষেত্রে নেগেটিভ। সমাজে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে "cyber poverty gap"। অনেক বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আশঙ্কা হচ্ছে 'ওমিক্রন' এবং 'ইউক্রেনের' প্রভাবে বিশ্বে দারিদ্র বিমোচনের প্রক্রিয়া এক দশক পিছিয়ে যাবে। যেমনটি বলেছিলেন টমাস পিকেটি তাঁর 'Capital in the 21st Century' বইয়ে , "উন্নয়ন অর্জনে সফল হওয়ার পরেও আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমে না"।

মার্কেটিংয়ের বদৌলতে সফট ড্রিংস ও বোতলজাত পানির রমরমা ব্যবসা হলেও এখনো পৃথিবীর অনেক জায়গাতেই মানুষ সুপেয় পানি তো দূরের কথা, পানিই পাচ্ছে না। বিদ্যুৎ পৌঁছানো যায়নি এখনো সকলের কাছে। বিজ্ঞানের আবিষ্কার সমূহ প্রযুক্তি হয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লেও সকলের কাছে কয়টার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়েছে? একমাত্র মোবাইল ফোনই কিছুটা গণতান্ত্রিক প্রযুক্তি । এর বাইরে খুব কম প্রযুক্তির উদ্ভাবন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পেরেছে (Jagdish Sheth, 2018) । ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রযুক্তি যত সহজলভ্য হয়েছে, পাবলিক পণ্য ততটা বাড়েনি, বরং সীমিত হয়েছে । বড় ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো ধনীদের কাছে বিক্রির জন্য যত গবেষণা করেছে দরিদ্রদের নিকট তাদের পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য ততটা সচেষ্ট হয়নি । তাই প্রয়োজন সোশ্যাললি রেস্পন্সিবল মার্কেটিং।

বিগত ৬০ বছর যাবত ফিলিপ কটলার মানুষকে শিখিয়েছেন সমাজের ক্ষতি না করে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ মুনাফা করতে হবে। কটলার তাঁর ৯০ তম জন্মদিনে এসে এক বক্তৃতায় যে বিষয়টার উপর জোর দিয়েছেন সেটা হচ্ছে "better marketing for better world -BMBW "। এর দুটি কনসেপ্ট: প্রথমটি হচ্ছে "gross domestic happiness", যা তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ধার করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। অপরটি হচ্ছে "Gross domestic well-being"।

দরিদ্রতা, পরিবেশ দূষণ, পানি ও প্রাকৃতিক পণ্যের স্বল্পতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক অন্যায্যতা এবং সম্পদের কেন্দ্রীভূবনের মত অস্বস্তিকর বিষয়গুলো থেকে পরিত্রাণের চেষ্টাকে মার্কেটিং সিদ্ধান্তের আওতাভুক্ত করতে হবে। এর কারণ হচ্ছে মার্কেটিং আমাদের সমাজকে সামগ্রিকভাবে প্রভাবিত করে। প্রযুক্তি নির্ভর বাজজাতকরণের প্রভাব সমাজের উপর আরো বেশি। যেমন, পৃথিবীতে প্রায় আড়াইশো কোটি মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করে। তাঁদের রুচি, ন্যায়-অন্যায়, নান্দনিকতা, মানবিকতা, মানসিকতা, খাদ্যাভ্যাস, খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া (floodways), সামাজিকতা, জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ ইত্যাদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কয়েকশ নেট ইঞ্জিনিয়ার (ইউটিউব মার্কেটার) তাঁদের কেন্দ্রীয় অফিসকক্ষে বসে; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। অনেকটা সমাজবিজ্ঞানীদের বর্ণিত "hundredth monkey effect" এর মতো।

মার্কেটারদের কর্মকাণ্ডে ন্যায়-নীতি, পরিবেশ, আইনি ও সামাজিক প্রেক্ষিতকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। কোম্পানীগুলো তাদের প্রতিযোগীর তুলনায় ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি প্রদান করবে, কিন্তু একই সাথে ক্রেতার এবং সমাজের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণও নিশ্চিত করবে। পণ্য যখন দ্রব্যে (commoditized) পরিণত হচ্ছে, ক্রেতা সচেতনতা যখন বাড়ছে, তখন অনেক কোম্পানি সামাজিক দায়িত্বশীলতাকে তাদের পৃথকীকরণের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে এবং সফলতা পাচ্ছে।

লেখক: অধ্যাপক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অপেক্ষা তারপর আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলাম। তবে সেই নিলামের আগেই বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তারা।এছাড়াও সন্দেহজনকের তালিকায় রাখা হয়েছে আরও তিনজন ক্রিকেটার।

নিষিদ্ধ হওয়া দুই ক্রিকেটার হলেন- মনীশ পান্ডে এবং সৃজিত কৃষ্ণ। দুজনই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং আইপিএলে পরিচিত মুখ। যদিও তারা ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন, তবু এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

এছাড়া সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন- দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।

আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে এমন বিষয়গুলো খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করা হলে তারা আবার ফিরে আসতে পারবেন। তবে দলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, এই নিষেধাজ্ঞা এবং সন্দেহ তাদের নিলামে প্রাধান্য হারানোর কারণ হতে পারে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। জানিয়ে দেয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। আসন্ন আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং ফাইনালের দিন জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২