শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডিজিটাল কবিতার বারোয়ারি ও মুখোশধারী কবি

সোশ্যাল মিডিয়া, মানুষের যাপিত জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে বলা যায়। কারণে অকারণে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া চলার উপায় নেই। স্বাভাবিকভাবে এতে চারপাশের অনেক কিছুই বদলে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে শিল্প সাহিত্যের উপরও।

কবিতায় এখন ডিজিটাল যুগ শুরু হয়ে গেছে। এক সময় বলা হত, বিশ্ব জুড়ে কবিতার পাঠক কমে গেছে। কবিতার বই বিক্রিও কমে গেছে। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কবিতার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার কবিতা বা ডিজিটাল কবিতা প্রচলিত কবিতার চেয়ে কিছুটা আলাদা। আঙ্গিকে ছোট, সহজ বাক্যাবলী, কিন্তু গভীর ব্যঞ্জনাধর্মী। জাপানি হাইকু কবিতা ও লিমেরিকের সঙ্গে এর সাযুজ্য দেখা যায়। ডিজিটাল কবিরা ইনস্টাগ্রামে নিজের কবিতার স্নিপেটগুলোর ছবি, কখনো হাতের লেখা বা কালো-সাদা টাইপ করা কবিতা পোস্ট করে। আর সারা বিশ্বের ভক্তদের কাছ থেকে পায় হাজার হাজার লাইক।

আধুনিক, উত্তর আধুনিকতা পেরিয়ে ডিজিটাল যুগের কবিতা এখন পাশ্চাত্যে খুবই জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক, টাম্বলার, পিন্টারেস্ট, ইউটিউবে কবিতা লিখে বা পড়ে অনেকে রীতিমত সেলিব্রেটিতে পরিণত। বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের মত তাদের কেউ কেউ বিশ্ব ভ্রমণে বের হন। তাদের স্বকণ্ঠে কবিতা শুনতে টিকেট কেটে অডিটোরিয়ামে ভীড়ও করেন ভক্তরা। ইনস্টাপয়েট, টিকটকপয়েট নামে অভিহিত এসব কবি বয়সে তরুণ। আর তাদের ভক্তদের বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী।

এর কারণ তরুণরা এখন ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠছে। আর এর মাধ্যমে সহজে নানা কবির কবিতার রস আস্বাদন করতে পারছে ও সারা বিশ্বের কবিদের সঙ্গে গড়ে উঠছে সরাসরি যোগাযোগ।

কোভিডের আগে থেকেই গত পাঁচ বছরে বেগবান হয়েছে অনলাইন কবিতার জোয়ার। এই ধারার কোনো কোনো জনপ্রিয় কবির ডিজিটাল কবিতার মুদ্রিত বইয়ের বিক্রিও অবিশ্বাস্য! আমাজনসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রকাশনী তাদের কবিতার বই প্রকাশ করে। গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতনামা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়, তাদের অনেকের বই বেস্টসেলার। কারো কারো কবিতার দু’এক লাইন দিয়ে বিভিন্ন পণ্যও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আছে টি শার্ট, ক্যাপ, আংটি, লকেট, ব্রেসলেট, ওয়াইনসহ নানা কিছু।

কোনো কোনো ভক্ত পছন্দের কবিতার কোনো শব্দ বা বাক্য দিয়ে শরীরে আঁকে উল্কি বা ট্যাটু। ডিজিটাল কবিদের আয় উপার্জনও অনেক। অনেকে এ ধরনের কবিতা লেখা, পড়াকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। এদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় ইনস্টাপয়েট হচ্ছেন মুখোশধারী। তিনি তার চেহারা দেখান না, মাস্ক পড়ে থাকেন। জনপ্রিয়তার ঢেউ সত্বেও। কোনো কোনো সমালোচক এই ডিজিটাল কবিদের কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাদের মতে, তারা ক্লাসিক কবিদের মর্মার্থ ধার করে লেখে। তারা এ সবকে ফ্যাশনাবেল বলেও অভিহিত করেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে এই ধারাই একদিন কবিতার মূল ধারা হয়ে যাবে!

রূপি কৌর

ডিজিটাল কবিদের মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়, সুপারস্টার রূপি কৌর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপে ৩০ বছর বয়সী রূপি কৌরের ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। তিনি একাধারে কবি ও অঙ্কন শিল্পী। তার প্রতিটি কবিতার অলংকরণ করেন তিনি নিজেই। তিনি এমনভাবে কবিতা পড়েন, মনে হয় কবিতার অভিনয় করছেন। ইউটিউবে তার অসংখ্য ভিডিও আছে। এখন তিনি কবিতা নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে আছেন। তার কবিতা পাঠ দেখা ও শোনার জন্য ভক্তরা অগ্রিম টিকেট কেটে অপেক্ষা করেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালে ভারত সফরে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লী, জয়পুরে কবিতা পাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মার্কিন সাময়িকী, ‘দ্য নিউ রিপাবলিক’ ২০১৯ সালে তাকে ‘দশকের লেখক’ হিসেবে অভিহিত করে। তিনি অভিবাসীদের অভিজ্ঞতা, সম্পর্ক, নারীত্ব, যৌনতাসহ জীবনের নানা দিক নিয়ে লিখেন এবং পোস্ট করেন। রিপাবলিকের মতে, তিনি প্রযুক্তি ও কাব্যিক কৌশলের সাথে তার শ্লোক, অঙ্কন ও ফটোগ্রাফকে ভালোভাবে ব্যবহার করেন।

গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলিং লেখক রূপি কৌরের এ পর্যন্ত চারটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালে ২১ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতার বই ‘মিল্ক অ্যান্ড হানি’ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রকাশিত হয় ‘দ্য সান অ্যান্ড হার ফ্লাওয়ারস’ এবং ‘হোম বডি। চলতি বছরে সর্বশেষ ‘হিলিং থ্রু ওয়ার্ডস’ বইটি প্রকাশিত হয়। তার সব বই সারা বিশ্বে বেস্টসেলারের তালিকায়। তার কবিতার বই ১১ লক্ষেরও বেশি কপি বিক্রি ও ৪৩টির বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। হ্যারিপটার চলচ্চিত্রের বৃটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন রূপি কৌরের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেন। এতে উঠে এসেছে কবিতার প্রতি ভালোবাসার আখ্যান।

ল্যাং লিভ

কবি ও উপন্যাসিক ল্যাং লিভ। থাইল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরে তার জন্ম। কম্বোডিয়া বংশোদ্ভূত ল্যাং লিভ অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠেন, এখন থাকেন নিউজিল্যান্ডে। ইনস্টাপয়েট হিসেবে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও সেলিব্রেটি। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৮ লাখের বেশি। ২০১৩ সালে ল্যাং লিভ তার প্রথম কবিতার বই ‘লাভ অ্যান্ড মিস্যাডভেঞ্চার’ প্রকাশ করার পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এর দু’বছর পর ফিলিপাইনে তিনি যান কবিতা পাঠ ও ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে। সে সময় অত্যধিক ভীড়ের কারণে প্রতিটি সেশনে ভক্তদের অটোগ্রাফ দেওয়া ৫০০ জনে সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছিল। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করে। এমনকি কেউ কেউ রাতভরও। ভীড় সামলাতে আয়োজকদের সশস্ত্র রক্ষীদেরও সাহায্য নিতে হয়েছিল।

ল্যাং লিভের এ পর্যন্ত ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি কবিতার বই, ৪টি উপন্যাস। ‘লাভ অ্যান্ড মিস্যাডভেঞ্চার’ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতি মাসে ১০ হাজার কপি বিক্রি হয়। গত তিন বছরে তার বইগুলো ৩ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

‘লাভ অ্যান্ড মিস্যাডভেঞ্চার’ আমাজনে প্রেমের কবিতার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম যে আমি বই লিখে কিছু করব। তবে তিনটি বই আন্তর্জাতিক বেস্টসেলারে থাকাটা— আমার স্বপ্নের বাইরে চলে গেছে।’ তাকে নিয়ে সিএনএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ডকুমেন্টারি, ফিচার প্রচার করেছে।

অ্যাটিকাস

সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় ইনস্টাপয়েট ‘অ্যাটিকাস’। ছদ্মনামের কবি। তার জন্ম কানাডায়। এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার কবিতার বই ‘দ্য ডার্ক বিটুইন স্টারস’ এবং ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট ম্যাজিক’ নিইউয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার। একাকীত্ব, প্রেম, সম্পর্ক, রোমাঞ্চকর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কবিতা লিখে পোস্ট করেন। জনসমক্ষে সব সময় মুখে মাস্ক পরে থাকেন। তিনি তার আসল পরিচয় দিতে চান না। তিনি বলেন, তার কবিতাই তার আসল পরিচয়। অ্যাটিকাসের কবিতা খুব ছোট। প্রতিটি ৫০ শব্দের বেশি হয় না। অ্যাটিকাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় উল্কি বা ট্যাটু করার লাইনটি হলো, ‘Love her, but leave her wild.’

২০১৩ সাল থেকে অ্যাটিকাসের লেখালেখি শুরু। এ পর্যন্ত তার ৫টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। এমা রবার্টস, কার্লি ক্লস, অ্যালিসিয়া কিস, কোডি সিম্পসনসহ হলিউডের অনেক সেলিব্রেটিও তার ভক্ত। তবে অ্যাটিকাসের কবিতা নিয়ে আছে বিতর্কও। লেখক ও সমালোচক কলিন ইয়োস্ট তার ইনস্টাগ্রামে অ্যাটিকাসের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে প্রমাণও পোস্ট করেন। তার অভিযোগ, অ্যাটিকাসের বেশির ভাগ উদ্ধৃতিই টি ই লরেন্স ও অস্কার ওয়াইল্ডের মত। তারপরও অ্যাটিকাসের জনপ্রিয়তা কমেনি। আর তার ব্যবসা বুদ্ধিও প্রখর। অ্যাটিকাস নামে একটি সপ স্টোর অ্যাপ আছে। সেখান থেকে তার কবিতার শব্দ, লাইন বা অটোগ্রাফসহ বিভিন্ন পণ্য কেনা যায়।

এ ছাড়াও নিকিতা গিল, নারিয়াহ ওয়াহিদ, টাইলার নট গ্রেগসন, রবার্ট এম ড্রেক, অ্যালিসন মালি, ব্রায়ান বিলস্টনসহ আরও অনেকে ইনস্টাপয়েট হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। মূলধারার অনেক কবিও এখন এভাবে কবিতা ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা শুরু করেছেন। নতুন প্রজন্মের হাত ধরে এই ধারায় বাংলা কবিতাও আরও বিকশিত হবে—এমনটা আশা করাই যায়।

লেখক: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অপেক্ষা তারপর আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলাম। তবে সেই নিলামের আগেই বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তারা।এছাড়াও সন্দেহজনকের তালিকায় রাখা হয়েছে আরও তিনজন ক্রিকেটার।

নিষিদ্ধ হওয়া দুই ক্রিকেটার হলেন- মনীশ পান্ডে এবং সৃজিত কৃষ্ণ। দুজনই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং আইপিএলে পরিচিত মুখ। যদিও তারা ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন, তবু এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

এছাড়া সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন- দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।

আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে এমন বিষয়গুলো খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করা হলে তারা আবার ফিরে আসতে পারবেন। তবে দলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, এই নিষেধাজ্ঞা এবং সন্দেহ তাদের নিলামে প্রাধান্য হারানোর কারণ হতে পারে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। জানিয়ে দেয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। আসন্ন আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং ফাইনালের দিন জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২