শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডিজিটাল কবিতার বারোয়ারি ও মুখোশধারী কবি

সোশ্যাল মিডিয়া, মানুষের যাপিত জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে বলা যায়। কারণে অকারণে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া চলার উপায় নেই। স্বাভাবিকভাবে এতে চারপাশের অনেক কিছুই বদলে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে শিল্প সাহিত্যের উপরও।

কবিতায় এখন ডিজিটাল যুগ শুরু হয়ে গেছে। এক সময় বলা হত, বিশ্ব জুড়ে কবিতার পাঠক কমে গেছে। কবিতার বই বিক্রিও কমে গেছে। এই অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কবিতার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার কবিতা বা ডিজিটাল কবিতা প্রচলিত কবিতার চেয়ে কিছুটা আলাদা। আঙ্গিকে ছোট, সহজ বাক্যাবলী, কিন্তু গভীর ব্যঞ্জনাধর্মী। জাপানি হাইকু কবিতা ও লিমেরিকের সঙ্গে এর সাযুজ্য দেখা যায়। ডিজিটাল কবিরা ইনস্টাগ্রামে নিজের কবিতার স্নিপেটগুলোর ছবি, কখনো হাতের লেখা বা কালো-সাদা টাইপ করা কবিতা পোস্ট করে। আর সারা বিশ্বের ভক্তদের কাছ থেকে পায় হাজার হাজার লাইক।

আধুনিক, উত্তর আধুনিকতা পেরিয়ে ডিজিটাল যুগের কবিতা এখন পাশ্চাত্যে খুবই জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক, টাম্বলার, পিন্টারেস্ট, ইউটিউবে কবিতা লিখে বা পড়ে অনেকে রীতিমত সেলিব্রেটিতে পরিণত। বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের মত তাদের কেউ কেউ বিশ্ব ভ্রমণে বের হন। তাদের স্বকণ্ঠে কবিতা শুনতে টিকেট কেটে অডিটোরিয়ামে ভীড়ও করেন ভক্তরা। ইনস্টাপয়েট, টিকটকপয়েট নামে অভিহিত এসব কবি বয়সে তরুণ। আর তাদের ভক্তদের বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী।

এর কারণ তরুণরা এখন ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে উঠছে। আর এর মাধ্যমে সহজে নানা কবির কবিতার রস আস্বাদন করতে পারছে ও সারা বিশ্বের কবিদের সঙ্গে গড়ে উঠছে সরাসরি যোগাযোগ।

কোভিডের আগে থেকেই গত পাঁচ বছরে বেগবান হয়েছে অনলাইন কবিতার জোয়ার। এই ধারার কোনো কোনো জনপ্রিয় কবির ডিজিটাল কবিতার মুদ্রিত বইয়ের বিক্রিও অবিশ্বাস্য! আমাজনসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রকাশনী তাদের কবিতার বই প্রকাশ করে। গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খ্যাতনামা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়, তাদের অনেকের বই বেস্টসেলার। কারো কারো কবিতার দু’এক লাইন দিয়ে বিভিন্ন পণ্যও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আছে টি শার্ট, ক্যাপ, আংটি, লকেট, ব্রেসলেট, ওয়াইনসহ নানা কিছু।

কোনো কোনো ভক্ত পছন্দের কবিতার কোনো শব্দ বা বাক্য দিয়ে শরীরে আঁকে উল্কি বা ট্যাটু। ডিজিটাল কবিদের আয় উপার্জনও অনেক। অনেকে এ ধরনের কবিতা লেখা, পড়াকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। এদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় ইনস্টাপয়েট হচ্ছেন মুখোশধারী। তিনি তার চেহারা দেখান না, মাস্ক পড়ে থাকেন। জনপ্রিয়তার ঢেউ সত্বেও। কোনো কোনো সমালোচক এই ডিজিটাল কবিদের কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাদের মতে, তারা ক্লাসিক কবিদের মর্মার্থ ধার করে লেখে। তারা এ সবকে ফ্যাশনাবেল বলেও অভিহিত করেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে এই ধারাই একদিন কবিতার মূল ধারা হয়ে যাবে!

রূপি কৌর

ডিজিটাল কবিদের মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়, সুপারস্টার রূপি কৌর। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপে ৩০ বছর বয়সী রূপি কৌরের ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। তিনি একাধারে কবি ও অঙ্কন শিল্পী। তার প্রতিটি কবিতার অলংকরণ করেন তিনি নিজেই। তিনি এমনভাবে কবিতা পড়েন, মনে হয় কবিতার অভিনয় করছেন। ইউটিউবে তার অসংখ্য ভিডিও আছে। এখন তিনি কবিতা নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে আছেন। তার কবিতা পাঠ দেখা ও শোনার জন্য ভক্তরা অগ্রিম টিকেট কেটে অপেক্ষা করেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালে ভারত সফরে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লী, জয়পুরে কবিতা পাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। মার্কিন সাময়িকী, ‘দ্য নিউ রিপাবলিক’ ২০১৯ সালে তাকে ‘দশকের লেখক’ হিসেবে অভিহিত করে। তিনি অভিবাসীদের অভিজ্ঞতা, সম্পর্ক, নারীত্ব, যৌনতাসহ জীবনের নানা দিক নিয়ে লিখেন এবং পোস্ট করেন। রিপাবলিকের মতে, তিনি প্রযুক্তি ও কাব্যিক কৌশলের সাথে তার শ্লোক, অঙ্কন ও ফটোগ্রাফকে ভালোভাবে ব্যবহার করেন।

গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলিং লেখক রূপি কৌরের এ পর্যন্ত চারটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৪ সালে ২১ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতার বই ‘মিল্ক অ্যান্ড হানি’ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রকাশিত হয় ‘দ্য সান অ্যান্ড হার ফ্লাওয়ারস’ এবং ‘হোম বডি। চলতি বছরে সর্বশেষ ‘হিলিং থ্রু ওয়ার্ডস’ বইটি প্রকাশিত হয়। তার সব বই সারা বিশ্বে বেস্টসেলারের তালিকায়। তার কবিতার বই ১১ লক্ষেরও বেশি কপি বিক্রি ও ৪৩টির বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। হ্যারিপটার চলচ্চিত্রের বৃটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন রূপি কৌরের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেন। এতে উঠে এসেছে কবিতার প্রতি ভালোবাসার আখ্যান।

ল্যাং লিভ

কবি ও উপন্যাসিক ল্যাং লিভ। থাইল্যান্ডের শরণার্থী শিবিরে তার জন্ম। কম্বোডিয়া বংশোদ্ভূত ল্যাং লিভ অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠেন, এখন থাকেন নিউজিল্যান্ডে। ইনস্টাপয়েট হিসেবে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও সেলিব্রেটি। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৮ লাখের বেশি। ২০১৩ সালে ল্যাং লিভ তার প্রথম কবিতার বই ‘লাভ অ্যান্ড মিস্যাডভেঞ্চার’ প্রকাশ করার পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এর দু’বছর পর ফিলিপাইনে তিনি যান কবিতা পাঠ ও ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে। সে সময় অত্যধিক ভীড়ের কারণে প্রতিটি সেশনে ভক্তদের অটোগ্রাফ দেওয়া ৫০০ জনে সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছিল। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করে। এমনকি কেউ কেউ রাতভরও। ভীড় সামলাতে আয়োজকদের সশস্ত্র রক্ষীদেরও সাহায্য নিতে হয়েছিল।

ল্যাং লিভের এ পর্যন্ত ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি কবিতার বই, ৪টি উপন্যাস। ‘লাভ অ্যান্ড মিস্যাডভেঞ্চার’ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতি মাসে ১০ হাজার কপি বিক্রি হয়। গত তিন বছরে তার বইগুলো ৩ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।

‘লাভ অ্যান্ড মিস্যাডভেঞ্চার’ আমাজনে প্রেমের কবিতার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম যে আমি বই লিখে কিছু করব। তবে তিনটি বই আন্তর্জাতিক বেস্টসেলারে থাকাটা— আমার স্বপ্নের বাইরে চলে গেছে।’ তাকে নিয়ে সিএনএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ডকুমেন্টারি, ফিচার প্রচার করেছে।

অ্যাটিকাস

সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় ইনস্টাপয়েট ‘অ্যাটিকাস’। ছদ্মনামের কবি। তার জন্ম কানাডায়। এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। তার কবিতার বই ‘দ্য ডার্ক বিটুইন স্টারস’ এবং ‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট ম্যাজিক’ নিইউয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার। একাকীত্ব, প্রেম, সম্পর্ক, রোমাঞ্চকর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কবিতা লিখে পোস্ট করেন। জনসমক্ষে সব সময় মুখে মাস্ক পরে থাকেন। তিনি তার আসল পরিচয় দিতে চান না। তিনি বলেন, তার কবিতাই তার আসল পরিচয়। অ্যাটিকাসের কবিতা খুব ছোট। প্রতিটি ৫০ শব্দের বেশি হয় না। অ্যাটিকাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় উল্কি বা ট্যাটু করার লাইনটি হলো, ‘Love her, but leave her wild.’

২০১৩ সাল থেকে অ্যাটিকাসের লেখালেখি শুরু। এ পর্যন্ত তার ৫টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন অ্যাপে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। এমা রবার্টস, কার্লি ক্লস, অ্যালিসিয়া কিস, কোডি সিম্পসনসহ হলিউডের অনেক সেলিব্রেটিও তার ভক্ত। তবে অ্যাটিকাসের কবিতা নিয়ে আছে বিতর্কও। লেখক ও সমালোচক কলিন ইয়োস্ট তার ইনস্টাগ্রামে অ্যাটিকাসের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে প্রমাণও পোস্ট করেন। তার অভিযোগ, অ্যাটিকাসের বেশির ভাগ উদ্ধৃতিই টি ই লরেন্স ও অস্কার ওয়াইল্ডের মত। তারপরও অ্যাটিকাসের জনপ্রিয়তা কমেনি। আর তার ব্যবসা বুদ্ধিও প্রখর। অ্যাটিকাস নামে একটি সপ স্টোর অ্যাপ আছে। সেখান থেকে তার কবিতার শব্দ, লাইন বা অটোগ্রাফসহ বিভিন্ন পণ্য কেনা যায়।

এ ছাড়াও নিকিতা গিল, নারিয়াহ ওয়াহিদ, টাইলার নট গ্রেগসন, রবার্ট এম ড্রেক, অ্যালিসন মালি, ব্রায়ান বিলস্টনসহ আরও অনেকে ইনস্টাপয়েট হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। মূলধারার অনেক কবিও এখন এভাবে কবিতা ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা শুরু করেছেন। নতুন প্রজন্মের হাত ধরে এই ধারায় বাংলা কবিতাও আরও বিকশিত হবে—এমনটা আশা করাই যায়।

লেখক: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর অপ্রয়োজনীয় ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে, সাবেক সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কমিশন বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান সংস্থার মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গার সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ-এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধেও মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক শুধাংশ শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া বিদেশে পালানোর আশঙ্কায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঋণের নামে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পাশাপাশি, সাংবাদিক মুন্নি সাহার বিরুদ্ধে ১৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!