মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্বল্প আয়ের মানুষ আগামীতে পণ্য ক্রয়ের ক্ষমতা হারাবে

খাদ্য উৎপাদনে এখন অব্দি আমরা পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। যদিও চাল, শাক-সবজি ইত্যাদি উৎপাদনে আমাদের অবস্থান ভালো। তবে কিছু কিছু খাদ্য যেমন তেল, চিনি, গম, পেঁয়াজ ইত্যাদির জন্য আমাদের আমদানি বাজারের উপর নির্ভর করতে হয়। মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে এবং আমদানিকৃত পণ্যের উপরও চাপ বাড়ছে। ফলে দেশের ভেতর উৎপাদিত পণ্যের সাহায্যে আমাদের আগামী বছরের চাহিদা মিটাতে পারব।

যে সমস্ত পণ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করতে হবে সেই জায়গাটিতে যেহেতু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসছে, প্রতি মাসেই গড়ে প্রায় ৮৩৩ মিলিয়ন ডলার কমছে, সেটি যদি অব্যাহত থাকে সেক্ষেত্রে আগামী বছরও আমদানি ক্ষেত্রে আমাদের চাপ বাড়বে। অবশ্য সরকার এক্ষেত্রে আমদানির ক্ষেত্রে সরকার খাদ্যপণ্যকে প্রাধিকারের কথা ঘোষণা করেছেন। আমদানিতে যেন বাধার সম্মুখীন হতে না হয় সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একইসঙ্গে অন্যান্য ধরনের আমাদানির সঙ্গে পর্যাপ্তভাবে বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা যাবে কি না তার একটি চ্যালেঞ্জ আমাদের রয়েছে। ফলে সেটি হলে যেটি হতে পারে, আমদানিতে আমাদের একটি চাপ পড়বে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, বিশেষ করে ধানের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেটি স্বাভাবিক মাত্রায় রাখাটিই একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে। প্রতিবছর যে কারণে ফসলহানি হচ্ছে। সেটিতেও উৎপাদন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা,অব্যবহৃত জমি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো সেটি একটি ইতিবাচক ঘোষণা।

বাংলাদেশে এমনকিছু অংশ রয়েছে যেখানে জমি পতিত থাকে। সিলেট অঞ্চলের জমি, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জমি ইত্যাদি জমিগুলো সারাবছর ব্যবহার করা যায় না। এখানে আবার অনুপস্থিত কৃষক অর্থাৎ অনুপস্থিত জমির মালিক রয়েছেন। যারা এ সমস্ত জমিগুরো ব্যবহার করেন না। বছরের খুবই অল্প সময় ব্যবহার করেন। ফলে এ ধরনের জমিগুলোকে চিহ্নিত করে যদি ব্যবহার করা যায়, ফলে উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আরও একটি বিষয় হলো উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে খাদ্যপণ্যেরও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ আয়ের এবং নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কারণে তাদের বাজার থেকে পণ্য আয়ের সক্ষমতা কমছে। ফলে বাজারে হয়তো আগামীতে পণ্য থাকতে পারে, কিন্তু পণ্য ক্রয়ের সক্ষমতা ভোক্তার থাকবে কি না এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি আগামী বছরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে সরকারের যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি চলছে, যে ১ কোটি পরিবারকে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তবে এক্ষেত্রে কার্ডের বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন আছে। যারা প্রকৃত ভোক্তা তারা নিয়মিত পাচ্ছেন কি না। যারা পাচ্ছেন তারা অনেকে যোগ্য কি না? অনেকক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে অনেকেই প্রভাব বিস্তার করে থাকেন, কার্ড বিলির ক্ষেত্রে আমাদের এসব বিষয়গুলো নজর রাখা দরকার। আমার কথা প্রকৃতরা যেন এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এখন যেটি দেওয়া হচ্ছে দরিদ্র শ্রেণির ক্ষেত্রে । কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে শুধুমাত্র দরিদ্র শ্রেণির চাহিদা তৈরি হচ্ছে না। আগামিতে নিম্ন আয়ের মানুষ অথবা দরিদ্র আয়ের মানুষ যারা দারিদ্র সীমার নিচে নয়, তাদেরও হয়তো এটির দরকার হবে। সেদিক থেকে সরকারের যে উন্মুক্ত বাজার, ট্রাকে করে বিক্রয় ইত্যাদি যেগুলি সারাদেশে চলছে, সেগুলির কলেবর বৃদ্ধি করা দরকার হবে।

সরকারকে বর্ধিত মাত্রায় টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য আমদানি করা এবং সেটির জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা এবং সেভাবে বিতরণের কাঠামো তৈরি করা বর্ধিত আকারে, সেটির প্রস্তুতি থাকা দরকার। এটা আগামী বছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে।

লেখক: গবেষণা পরিচালক, সিপিডি

Header Ad

এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুয়ার। খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটক ও পর্যটনব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটকরা পাহাড়ি এ জেলার সব পর্যটন স্থানের পাশাপাশি যেতে পারবেন সাজেকও। এতে করে দীর্ঘ একমাস পর এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ছাড়সহ নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় গাড়ি চালকরা জানান, এটাই তাদের জীবিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষকে পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো তাদের কাছে বিশাল আনন্দের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তারা বেশ আনন্দে আছেন।

হোটেল ও মোটেল মালিকরা বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় গত একমাসে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। তবে এবার তা কাটিয়ে উঠতে চান তারা।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানকার জীবন-জীবিকা গড়ে ওঠেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ এলাকা আবারও পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরব থাকবে।’

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনার কারণে গত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর ও সাজেকে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

Header Ad

মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী

মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

অপেক্ষার পালা শেষ করে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে শুরু ভোটগ্রহণ। চলমান এই নির্বাচনে আবারও লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ছয় প্রার্থী। আগে থেকেই যেসব নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন, স্টেটের বিভিন্ন আইন সভায় তারাই আবার দাঁড়িয়েছেন। এবার নতুন কোনো প্রার্থীর খবর পাওয়া যায়নি।

টানা চতুর্থ মেয়াদে সিনেটর হওয়ার দৌঁড়ে আছেন জর্জিয়ার ডিস্ট্রিক্ট-৫ থেকে কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ এম রহমান। একই স্টেটের ডিস্ট্রিক্ট-৭ থেকে পুনরায় লড়ছেন নোয়াখালীর সন্তান নাবিলা ইসলাম।

কানেক্টিকাট ডিস্ট্রিক্ট-৪ থেকে সিনেটর হওয়ার লড়াইয়ে আছেন চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান। ভার্জিনিয়ায় সিনেট ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে ভোটযুদ্ধে রয়েছেন নোয়াখালীর সন্তান সাদ্দাম সেলিম। তারা সবাই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ পদে রকিংহ্যাম ডিস্ট্রিক্ট-২০ থেকে ষষ্ঠ মেয়াদে লড়ছেন পিরোজপুরের সন্তান আবুল বি খান। তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী।

এর বাইরে পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, নিউ জার্সিসহ অন্যান্য স্টেটে কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান রয়েছেন কাউন্টি ও অন্যান্য পর্যায়ে। নিউ জার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান ড. নুরুন নবী টানা ১৪ বছর ধরে এই পদে রয়েছেন। এবারও জয়ের আশাবাদী এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

Header Ad

শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি

শাকিব খান ও পূজা চেরি। ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিজীবনে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। যদিও বিচ্ছেদের পর এখন আলাদা পথে হাঁটছেন তিনজনই। তবে এর বাইরে পূজা চেরির সঙ্গেও প্রেমের গুঞ্জন ওঠে শাকিবের।

মূলত একটি সিনেমায় একসঙ্গে তারা কাজ করার পরই প্রায় অর্ধবয়সী চিত্রনায়িকা পূজা চেরির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। এতদিন এ নিয়ে নানা চর্চা থাকলেও এবার বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বললেন পূজা চেরি। ‘দহন’ খ্যাত এ অভিনেত্রী জানান, তার অভিনীত সিনেমা নিয়ে যদি বলতে হয়, তাহলে সেসব নিয়ে নিখুঁতভাবে কথা বলতে পারবেন।

শাকিব খান ও পূজা চেরি। ছবি: সংগৃহীত

পূজা চেরি বলেন, গুঞ্জন সব সময়ই গুঞ্জনই। কিছুদিন পর আবার দেখা যায় সে সবই মিথ্যা। সত্যতা কখনও আসলে চাপিয়ে রাখা যায় না। যতই আমরা একটা সত্যকে মিথ্যা বলার চেষ্টা করি না কেন সত্য সব সময় সত্যই থেকেই যায়। এক সময় ঠিকই সত্যিটা বেরিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, গুঞ্জনটা যদি সত্যই হতো তাহলে এতদিনে সেটা বেরিয়ে আসতো। যেহেতু বের হচ্ছে না তাহলে বুঝতে হবে সেটা গুঞ্জনই ছিল। শোবিজে কাজ করতে গেলে এ রকম গুঞ্জন বা কন্ট্রোভার্সি থাকবেই। এটা খুবই স্বাভাবিক।

উল্লেখ্য, অনেকেরই ধারণা এ নায়কের সঙ্গে ‘গলুই’ সিনেমা করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক হয় পূজা চেরির। এমনটাও চর্চা ছিল, সেই সম্পর্কের কারণে নাকি শাকিব খানের দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলীর সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল পূজার। যদিও এসবের পক্ষে কখনো কোনো জোরালো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এদিকে নির্মাতা রায়হান রাফীর পরিচালনায় নতুন কাজে যুক্ত হচ্ছেন পূজা চেরি। এবার এ নির্মাতার ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী। হয়তো হঠাৎ শাকিব খানের সঙ্গে কাজের খবরও চলে আসবে বলে জানিয়েছেন পূজা চেরি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ
টাঙ্গাইলে ৩৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গণপিটুনিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে নিহত