শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রিজার্ভ সংকট নিরসন সরকারের পক্ষে কঠিন হবে

করোনা মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অর্থনীতির উপর অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণেই মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, ব্যাংক রিজার্ভ কমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটছে। করোনার সময়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অর্থাৎ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের একটি চ্যালেঞ্জ আমাদের ছিল এবং সেটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচকভাবেই প্রতিভাত মনে হচ্ছিল। যেহেতু বিশ্বব্যাপী সবাই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল এবং প্রবৃদ্ধির যে ফোকাস সেটিও উচ্চমাত্রায় ধরা হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষাপট সহজেই পরিবর্তিত হয়ে যায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে। শুরুতে যুদ্ধটিকে যতটা সাময়িক হিসেবেই মনে হয়, ক্রমান্বয়ে সেটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল হয়েছে এবং ধীরে ধীরে এর প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম উন্নত দেশগুলোকে প্রভাবিত করছে। সবচেয়ে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলো এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

বাংলাদেশ যেহেতু আমদানিনির্ভর দেশ, বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে ও খাদ্য শস্যের ক্ষেত্রেও আমরা আমদানি নির্ভর। দুটি ক্ষেত্রেই রাশিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে আমরা জানি। দেখা যাচ্ছে, সবকিছু মিলে এ যুদ্ধের ভুক্তভোগী হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশ— তার ভেতরে বাংলাদেশ অন্যতম। আমার মতে, সামষ্টিক অর্থনীতি কোভিডের পরে এত টানাপোড়েনের মধ্যেও মোটামুটি একটি স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছিল। কিন্তু কোভিড পরবর্তী যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সামষ্টিক অর্থনীতির বড় বড় সূচকগুলোতে বড় ধরনের টানাপোড়েন হচ্ছে।

বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং রিজার্ভ কমে আসা, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান অব্যাহতভাবে হারানো, একইসঙ্গে শিল্পখাতে সরবরাহ সংকট, জ্বালানি সরবরাহ সংকট, আবাসিক ক্ষেত্রে গ্যাসের ও বিদ্যুতের সরবরাহ সংকট বিশেষ করে উৎপাদন সংকট ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকের দিক থেকে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি এবং মানুষের প্রকৃত আয় সবগুলোর ক্ষেত্রে একধরনের অবদমনের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরকম প্রেক্ষাপট যে শুধুমাত্র বাংলাদেশকেন্দ্রিক তা কিন্তু নয়। এ ধরনের প্রেক্ষাপট অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও কম বেশি একই রকমের প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

যেহেতু আমরা উন্নয়নশীল দেশ, রিজার্ভের এ সংকট উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায় বড় আকারে আসছে। রিজার্ভের সংকট আমাদের মতো আরও অনেক দেশেই রয়েছে। একইসঙ্গে উন্নত প্রতিটি দেশের মুদ্রামান অতিমাত্রায় শক্তিশালী হয়ে যাওয়ার কারণে এক্ষেত্রেও দুর্বলতর হয়েছে। যেহেতু এই সংকটের বড় অংশই বহিঃস্থ উৎস থেকে উৎসারিত। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে এই সংকট নিরসন খুব সহজ নয় বরং সরকারের অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলোকে কাজে লাগিয়ে সংকট সীমিত রাখার চেষ্টা করা যেতে পারে। সেদিক থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকার নিয়েছে, এর ভেতরে জ্বালানি সংকটের বিপরীতে না গিয়ে জ্বালানির ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে, গ্যাসের সেশনগুলোর সময়কাল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ডলারের ক্ষেত্রেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ডলারের স্থিতিশীল পরিস্থিতি নেই বরং সংকট তৈরি হয়েছে। সেদিক থেকে সরকার ডলারের ব্যবহার কমানোর জন্য আমদানি করা প্রায় একশর উপরে বিলাসী পণ্যের উপরে বাড়তি রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছে। সেইসঙ্গে সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এর একটি নেতিবাচক প্রভাব আগামীতেও থাকবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করার প্রবণতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই সঙ্গে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদনমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তাটুকু খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক