মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কবি ও কাক সমাচার

 

কাক। কালো কুচকুচে, কুৎচিত। পাখিদের মধ্যে বোধ হয় সবচেয়ে অজনপ্রিয়। কাকের কা কা কর্কশ শব্দ কারো পছন্দ নয়। কাককে দেখতে হয় না। কাকই সবসময় চোখের সামনে চলে আসে। শহরে ময়লা আবর্জনা সহজলভ্য হওয়ায় অলিতে গলিতে কাকের পোয়াবারো। তো, এই হেন কাকের সঙ্গে কবিদের তুলনা? বলা হয়, ‘বাংলাদেশে কাক ও কবির সংখ্যা সমান’। কবে, কখন, কে, কোন পরিস্থিতে এই কথাটি উচ্চারণ করেছিল, তা হন্যে হয়ে খুঁজেও জানা যায়নি। অনুমান করা যায়, কাকের বিরক্তিকর অধিক উপস্থিতির কারণে শ্লেষাত্মকভাবে কবিদের জুড়ে দেওয়া হয়েছে! এ প্রসঙ্গে একটি গল্প মনে পড়ল।

‘একদিন আকবর ও বীরবল বসে গল্প করছিলেন। হঠাৎ আকবর প্রশ্ন করলেন, ‘দিল্লি শহরে কত কাক আছে বলতে পার বীরবল?’ অদ্ভূত প্রশ্নটি শুনে বীরবল বললেন, ‘জাঁহাপনা, বর্তমান শহরে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯টি কাক আছে। আপনার যদি সন্দেহ হয় তাহলে নিজে অথবা অন্য লোক দিয়ে গুণে দেখতে পারেন। যদি দেখেন, এই সংখ্যা থেকে কিছু কম কাক আছে তাহলে বুঝবেন দিল্লির আশপাশে বন্ধুদের সঙ্গে তারা বেড়াতে গেছে। আবার যদি দেখেন ওই সংখ্যা থেকে বেশি কাক আছে, তাহলে বুঝবেন তাদের বন্ধুরা বা আত্মীয়রা অন্য এলাকা থেকে বেড়াতে এসেছে!’

ঢাকা বা বাংলাদেশে কাকের সংখ্যাইবা কতো—জানা থাকলে কবির জনসংখ্যা বোঝা যেত! তবে কবি তারাপদ রায় লিখেছেন,
‘ঢাকা খুব পুরোনো শহর।
সেখানে অনেক কবি, কবিতে কবিতে অন্ধকার ঢাকা।
ছোট কবি, বড় কবি, তত-বড়-নয় কবি
হলেও -বা-হতে পারতো কবি
আগে-পিছে, ডাইনে-বায়ে সেখানে কেবল
কবি আর কবি।
সেখানে কবি ছাড়া আরো যে দু’চারজন আছে
তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই কবির বন্ধু
কিংবা কবির শ্যালক।’

এই চিত্র শুধু ঢাকার নয়, সারা বাংলাদেশের। সব জায়গায় কবিদের নানা গোষ্ঠী, উপগোষ্ঠীও। কে বড় কবি, কে ছোট কবি, কে কবি নয় তা নিয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদও আছে। আচ্ছা, কেন কবি হওয়ার সাধ জাগে? কবিতা লেখা কি খুব সহজ? এলোমেলো কিছু লিখে দিলেই কি কবিতা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়? প্রকরণগত সুবিধার জন্যই কি কবিতার লেখক বেশি? যেখানে গল্প, উপন্যাস বা অন্য কিছু লিখতে যথেষ্ট ধৈর্য ও সময় লাগে।

আরও একটা কথা বলা হয়, বাঙালি হচ্ছে আবেগপ্রবণ জাতি। তাই প্রায় প্রতিটি বাঙালিই জীবনের কোনো এক সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করে। আবার অনেকে বলেন, কবির সংখ্যা বেশি হলে বা সবাই কবিতা লিখলেই বা ক্ষতি কি? তারাতো আর দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি বা অস্থিরতা তৈরি করছে না। স্রেফ কবিতা লিখে নিজের আত্মসুখ বা প্রচারসুখ বা খ্যাতি অনুভব করার চেষ্টা করছে বা শখ পূরণ করছে।

সেজন্যই সারাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারিতে সবচে’ বেশি ছাপা হয় কবিতার বই। আর সবচে’ বেশি অবিক্রিত থাকে কবিতার বই-ই। বাংলা একাডেমির বই মেলায়ও অনেক কবিতার বই প্রকাশ পায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ কবিতার বই জন্ম নেয় স্বউদ্যোগে বা স্বখরচে। প্রবাসীদের অনেকেও এভাবে কবিতার বই প্রকাশ করে নামিদামি প্রকাশনী থেকে। আর মেলায় এইসব কবিরা প্রতিদিন উপস্থিত থেকে চেষ্টা করে পরিচিতজনদের গছিয়ে দিতে! সেজন্য অনেকে ভয়ে আর মেলামুখোও হন না।

এর বাইরে, কবিতা লিখে প্রাপ্তিযোগেরও সুযোগ আছে। রাষ্ট্রীয়সহ নানা পুরস্কার জুটাতে পারলে সমাজে মান সম্মানের উন্নতি হয়। তাইতো অনেকে এর অপব্যবহার করতেও পিছপা হন না। ২০২২ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য উপ সচিব মো. আছাদুজ্জামান তার বাবা আমির হামজাকে বিশিষ্ট ‘কবি’ হিসেবে অভিহিত করে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন। তবে অখ্যাত এই ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়। এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদকের জন্য জনৈক রইজ উদ্দিনকে মনোনীত করা হলেও পরে সমালোচনার মুখে প্রত্যাহার করা হয়।

সেনা শাসক এরশাদেরও কবি হওয়ার সাধ জেগেছিল। ক্ষমতায় থাকাকালে তল্পিবাহকদের নিয়ে কবিতাকে প্রায় কুক্ষিগত করে রাখে। সেনা কবির সঙ্গীসাথীদের রাজকীয় কবির অভিধাও জুটেছিল। সেজন্যই কিনা কবি মোহাম্মদ রফিক লিখেছেন,
‘সব শালা কবি হবে;
পিঁপড়ে গোঁ ধরেছে, উড়বেই;
বন থেকে দাঁতাল শুয়োর
রাজাসনে বসবেই;’
(খোলা কবিতা)

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার আর্দশ রাষ্ট্র বা কল্পিত রাষ্ট্রে কবি-কবিতাকে বাদ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা আছে। তবে এখন তা চিন্তাই করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকে ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী কবি আমান্ডা গোরম্যান ‘দ্য হিল উই ক্লাইম্ব’ কবিতা পড়ে শুনিয়েছেন। এতেই বুঝা যায় আধুনিক যুগে কবি ও কবিতার গুরুত্ব। আন্দোলন, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, প্রেম-ভালোবাসায় কবিতা হয়ে উঠে অন্যতম শক্তি ও প্রেরণার উৎস— এটি আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

এক্ষেত্রে কবি ও কাকের সমতুল্যের বিষয়টির কি হবে? তবে কাকের মধ্যে সৌন্দর্য ও ইতিবাচক দিকও আছে। ময়লা আবর্জনা সাবাড় করে কাক মানুষের উপকারই করে। কাকের স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আছে ১৯টির বেশি বাগধারা। কয়েকটি যেমন, কাকচক্ষ—পরিষ্কার স্বচ্ছ জল, তীর্থের কাক— কোনো কিছু প্রাপ্তির আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা, কাকের ভূষণ্ডি—দীর্ঘজীবী ব্যক্তি, কাকনিদ্রা— অগভীর নিদ্রা। আর কোনো পাখি নিয়ে এত বাগধারা আছে কিনা জানা নেই।

হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, ‘কাক বেশ চমৎকার পাখি এবং আমার বেশ পছন্দ। অন্য পাখির দিকে তাকালে মনে হয় ওরা নিজেদের ছাড়া আর কিছু বোঝে না, ওরা মনে করে পৃথিবীটা ওদের জন্যই বানানো হয়েছে। কিন্তু কাককে দেখলে তা মনে হয় না। কাকই একমাত্র পাখি যেটি মানুষের সঙ্গে সক্রিয় সম্পর্কে জড়িত। কাক জানে পৃথিবীটা মানুষের অধিকারে। আর কোনো পাখি এসে দরজায় দাঁড়ায়, মানুষের সঙ্গে একটু খাবার ভাগাভাগি করে নিতে চায়?’ জীবনানন্দ দাশ ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন,
‘সুন্দর করুন পাখা পড়ে আছে— দেখি আমি; চুপে থেমে থাকি
আকাশে কমলা রঙ উঠে সন্ধ্যায় কাকগুলো নীল মনে হয়’ (একদিন পৃথিবীর পথে)

প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘কাক ডাকে’ কবিতায় আছে কর্কশ স্বরের স্নিগ্ধ রূপ:

‘কোথায় কাদের ছাদে সমস্ত দুপুর
কাক ডাকে শুনি।
বোঝা আর বোঝাবার
প্রাণান্ত ক্লান্তির শেষে
অকস্মাৎ খুলে যায় আশ্চর্য কবাট।
কাক ডাকে, আর
সে শব্দের ধু ধু করা অপার বিস্তার
হৃদয়ে ছড়ায় সব শব্দের অতীত
ধ্যান-গাঢ় প্রশান্তির মত’

মনে হয় বাংলাদেশে কবি ও কাকের প্রসঙ্গটি কখনো মুছে যাবে না। মান সম্পন্ন কবিতার বই প্রকাশই এর একমাত্র সমাধান হতে পারে। এখন কবিরা নিজ খরচে যেভাবে কবিতার বই গণহারে প্রকাশ করে, তাতে শুধু প্রকাশকরাই লাভবান হয়। তবে এই অগণিত কবি কবিতার মধ্যে প্রকৃত কবি ও কবিতার বিষয়ে বহু আগেই জীবনান্দ দাশ রক্ষাকবচ দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’। অর্থাৎ কবিতা লিখলেই কেউ কবি হয়ে যায় না!

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক

এসএন/আরএ/

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ