মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কবি ও কাক সমাচার

 

কাক। কালো কুচকুচে, কুৎচিত। পাখিদের মধ্যে বোধ হয় সবচেয়ে অজনপ্রিয়। কাকের কা কা কর্কশ শব্দ কারো পছন্দ নয়। কাককে দেখতে হয় না। কাকই সবসময় চোখের সামনে চলে আসে। শহরে ময়লা আবর্জনা সহজলভ্য হওয়ায় অলিতে গলিতে কাকের পোয়াবারো। তো, এই হেন কাকের সঙ্গে কবিদের তুলনা? বলা হয়, ‘বাংলাদেশে কাক ও কবির সংখ্যা সমান’। কবে, কখন, কে, কোন পরিস্থিতে এই কথাটি উচ্চারণ করেছিল, তা হন্যে হয়ে খুঁজেও জানা যায়নি। অনুমান করা যায়, কাকের বিরক্তিকর অধিক উপস্থিতির কারণে শ্লেষাত্মকভাবে কবিদের জুড়ে দেওয়া হয়েছে! এ প্রসঙ্গে একটি গল্প মনে পড়ল।

‘একদিন আকবর ও বীরবল বসে গল্প করছিলেন। হঠাৎ আকবর প্রশ্ন করলেন, ‘দিল্লি শহরে কত কাক আছে বলতে পার বীরবল?’ অদ্ভূত প্রশ্নটি শুনে বীরবল বললেন, ‘জাঁহাপনা, বর্তমান শহরে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯টি কাক আছে। আপনার যদি সন্দেহ হয় তাহলে নিজে অথবা অন্য লোক দিয়ে গুণে দেখতে পারেন। যদি দেখেন, এই সংখ্যা থেকে কিছু কম কাক আছে তাহলে বুঝবেন দিল্লির আশপাশে বন্ধুদের সঙ্গে তারা বেড়াতে গেছে। আবার যদি দেখেন ওই সংখ্যা থেকে বেশি কাক আছে, তাহলে বুঝবেন তাদের বন্ধুরা বা আত্মীয়রা অন্য এলাকা থেকে বেড়াতে এসেছে!’

ঢাকা বা বাংলাদেশে কাকের সংখ্যাইবা কতো—জানা থাকলে কবির জনসংখ্যা বোঝা যেত! তবে কবি তারাপদ রায় লিখেছেন,
‘ঢাকা খুব পুরোনো শহর।
সেখানে অনেক কবি, কবিতে কবিতে অন্ধকার ঢাকা।
ছোট কবি, বড় কবি, তত-বড়-নয় কবি
হলেও -বা-হতে পারতো কবি
আগে-পিছে, ডাইনে-বায়ে সেখানে কেবল
কবি আর কবি।
সেখানে কবি ছাড়া আরো যে দু’চারজন আছে
তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই কবির বন্ধু
কিংবা কবির শ্যালক।’

এই চিত্র শুধু ঢাকার নয়, সারা বাংলাদেশের। সব জায়গায় কবিদের নানা গোষ্ঠী, উপগোষ্ঠীও। কে বড় কবি, কে ছোট কবি, কে কবি নয় তা নিয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদও আছে। আচ্ছা, কেন কবি হওয়ার সাধ জাগে? কবিতা লেখা কি খুব সহজ? এলোমেলো কিছু লিখে দিলেই কি কবিতা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়? প্রকরণগত সুবিধার জন্যই কি কবিতার লেখক বেশি? যেখানে গল্প, উপন্যাস বা অন্য কিছু লিখতে যথেষ্ট ধৈর্য ও সময় লাগে।

আরও একটা কথা বলা হয়, বাঙালি হচ্ছে আবেগপ্রবণ জাতি। তাই প্রায় প্রতিটি বাঙালিই জীবনের কোনো এক সময় কবিতা লেখার চেষ্টা করে। আবার অনেকে বলেন, কবির সংখ্যা বেশি হলে বা সবাই কবিতা লিখলেই বা ক্ষতি কি? তারাতো আর দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি বা অস্থিরতা তৈরি করছে না। স্রেফ কবিতা লিখে নিজের আত্মসুখ বা প্রচারসুখ বা খ্যাতি অনুভব করার চেষ্টা করছে বা শখ পূরণ করছে।

সেজন্যই সারাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারিতে সবচে’ বেশি ছাপা হয় কবিতার বই। আর সবচে’ বেশি অবিক্রিত থাকে কবিতার বই-ই। বাংলা একাডেমির বই মেলায়ও অনেক কবিতার বই প্রকাশ পায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ কবিতার বই জন্ম নেয় স্বউদ্যোগে বা স্বখরচে। প্রবাসীদের অনেকেও এভাবে কবিতার বই প্রকাশ করে নামিদামি প্রকাশনী থেকে। আর মেলায় এইসব কবিরা প্রতিদিন উপস্থিত থেকে চেষ্টা করে পরিচিতজনদের গছিয়ে দিতে! সেজন্য অনেকে ভয়ে আর মেলামুখোও হন না।

এর বাইরে, কবিতা লিখে প্রাপ্তিযোগেরও সুযোগ আছে। রাষ্ট্রীয়সহ নানা পুরস্কার জুটাতে পারলে সমাজে মান সম্মানের উন্নতি হয়। তাইতো অনেকে এর অপব্যবহার করতেও পিছপা হন না। ২০২২ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য উপ সচিব মো. আছাদুজ্জামান তার বাবা আমির হামজাকে বিশিষ্ট ‘কবি’ হিসেবে অভিহিত করে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিলেন। তবে অখ্যাত এই ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়। এর আগে ২০২০ সালে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদকের জন্য জনৈক রইজ উদ্দিনকে মনোনীত করা হলেও পরে সমালোচনার মুখে প্রত্যাহার করা হয়।

সেনা শাসক এরশাদেরও কবি হওয়ার সাধ জেগেছিল। ক্ষমতায় থাকাকালে তল্পিবাহকদের নিয়ে কবিতাকে প্রায় কুক্ষিগত করে রাখে। সেনা কবির সঙ্গীসাথীদের রাজকীয় কবির অভিধাও জুটেছিল। সেজন্যই কিনা কবি মোহাম্মদ রফিক লিখেছেন,
‘সব শালা কবি হবে;
পিঁপড়ে গোঁ ধরেছে, উড়বেই;
বন থেকে দাঁতাল শুয়োর
রাজাসনে বসবেই;’
(খোলা কবিতা)

গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তার আর্দশ রাষ্ট্র বা কল্পিত রাষ্ট্রে কবি-কবিতাকে বাদ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা আছে। তবে এখন তা চিন্তাই করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকে ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী কবি আমান্ডা গোরম্যান ‘দ্য হিল উই ক্লাইম্ব’ কবিতা পড়ে শুনিয়েছেন। এতেই বুঝা যায় আধুনিক যুগে কবি ও কবিতার গুরুত্ব। আন্দোলন, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, প্রেম-ভালোবাসায় কবিতা হয়ে উঠে অন্যতম শক্তি ও প্রেরণার উৎস— এটি আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

এক্ষেত্রে কবি ও কাকের সমতুল্যের বিষয়টির কি হবে? তবে কাকের মধ্যে সৌন্দর্য ও ইতিবাচক দিকও আছে। ময়লা আবর্জনা সাবাড় করে কাক মানুষের উপকারই করে। কাকের স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আছে ১৯টির বেশি বাগধারা। কয়েকটি যেমন, কাকচক্ষ—পরিষ্কার স্বচ্ছ জল, তীর্থের কাক— কোনো কিছু প্রাপ্তির আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা, কাকের ভূষণ্ডি—দীর্ঘজীবী ব্যক্তি, কাকনিদ্রা— অগভীর নিদ্রা। আর কোনো পাখি নিয়ে এত বাগধারা আছে কিনা জানা নেই।

হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, ‘কাক বেশ চমৎকার পাখি এবং আমার বেশ পছন্দ। অন্য পাখির দিকে তাকালে মনে হয় ওরা নিজেদের ছাড়া আর কিছু বোঝে না, ওরা মনে করে পৃথিবীটা ওদের জন্যই বানানো হয়েছে। কিন্তু কাককে দেখলে তা মনে হয় না। কাকই একমাত্র পাখি যেটি মানুষের সঙ্গে সক্রিয় সম্পর্কে জড়িত। কাক জানে পৃথিবীটা মানুষের অধিকারে। আর কোনো পাখি এসে দরজায় দাঁড়ায়, মানুষের সঙ্গে একটু খাবার ভাগাভাগি করে নিতে চায়?’ জীবনানন্দ দাশ ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন,
‘সুন্দর করুন পাখা পড়ে আছে— দেখি আমি; চুপে থেমে থাকি
আকাশে কমলা রঙ উঠে সন্ধ্যায় কাকগুলো নীল মনে হয়’ (একদিন পৃথিবীর পথে)

প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘কাক ডাকে’ কবিতায় আছে কর্কশ স্বরের স্নিগ্ধ রূপ:

‘কোথায় কাদের ছাদে সমস্ত দুপুর
কাক ডাকে শুনি।
বোঝা আর বোঝাবার
প্রাণান্ত ক্লান্তির শেষে
অকস্মাৎ খুলে যায় আশ্চর্য কবাট।
কাক ডাকে, আর
সে শব্দের ধু ধু করা অপার বিস্তার
হৃদয়ে ছড়ায় সব শব্দের অতীত
ধ্যান-গাঢ় প্রশান্তির মত’

মনে হয় বাংলাদেশে কবি ও কাকের প্রসঙ্গটি কখনো মুছে যাবে না। মান সম্পন্ন কবিতার বই প্রকাশই এর একমাত্র সমাধান হতে পারে। এখন কবিরা নিজ খরচে যেভাবে কবিতার বই গণহারে প্রকাশ করে, তাতে শুধু প্রকাশকরাই লাভবান হয়। তবে এই অগণিত কবি কবিতার মধ্যে প্রকৃত কবি ও কবিতার বিষয়ে বহু আগেই জীবনান্দ দাশ রক্ষাকবচ দিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’। অর্থাৎ কবিতা লিখলেই কেউ কবি হয়ে যায় না!

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক

এসএন/আরএ/

 

Header Ad

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

৪০০ অভিযোগের মধ্যে ১৭২টি অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৩৭টি অভিযোগের সঙ্গে। ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৫৫টির সঙ্গে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৬টির সঙ্গে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৫টি অভিযোগের সঙ্গে।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে ফেলা হয়েছে বাকি অভিযোগ গুলো। যেগুলোর ক্ষেত্রে পরিচয় দেয়নি। শুধু বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি জানিয়েছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন৷ যারা আালমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, কতো নিষ্ঠুরভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, বোঝানো যাবে না।

কমিশন সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস বলেন, এখন পর্যন্ত গুমের চারটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক কারণে বিশাল সংখ্যক মানুষকে নেওয়া হয়েছে। প্রমাণিত না হলেও জঙ্গি সন্দেহে বড় একটা সংখ্যক নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক কারণেও গুম করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন।

গত ২৭ আগস্ট ওই গুম কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে।

Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আজ সকাল ১০ টার দিকে আমাকে দেশে ব্যবহৃত একটি বিদেশি নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের উদ্দেশ্যে গতকালের সিন্ডিকেটে কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণই এই হুমকির মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশের কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণের ভিতর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। দেশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা কাজ চলছে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে অনেকেরই সহজ রোজগারের পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, মাত্র দুইমাসে আমরা প্রায় দুই হাজারের অধিক কলেজে ‘পরিচালনা কমিটি’ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এ কমিটি করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খায় নাই এটি আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

হত্যার হুমকি দিলেও কোন লাভ নেই জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, অতএব এসব হত্যার হুমকি, পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কিচ্ছা কাহিনি লিখে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ লেখেন, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, হত্যার হুমকি নিয়ে জিডি করছি, সম্মানিত উপদেষ্টাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সচিবকেও বিষয়টা জানিয়েছি। এজেন্সিগুলোও জানে ব্যাপারটা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ৮০ শতাংশই হলো প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার। দেখি আমরা এর কোন একটা বিহিত করতে পারি কিনা। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন চাই।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে একটি বিশেষ অভিযানে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (JIM)। রবিবার পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেয় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার কর্মকর্তারা।

দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়, যিনি বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩০ বছর বয়সি এই ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় অবস্থানের জন্য কোনো বৈধ নথি বা পাসপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হন। অভিযানে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ছয় বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে, কেয়ারটেকার একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। অভিযানে অংশগ্রহণকারী দল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, এই মানবপাচার চক্র ভিকটিমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) গ্রহণ করে তাদের ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়। পরে, অতিরিক্ত ৫ হাজার রিঙ্গিত দাবি করে তাদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়।

এই অভিযান মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে অনেক বাংলাদেশি ফাঁদে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা