মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফুটবল বিশ্বকাপ সমর্থনেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, ক্রিকেটে মনোকষ্ট

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাসীর দুঃখ কষ্টের শেষ নেই। এর মাঝে সবাই আগামী কিছুদিন খেলার আনন্দে মাতবে। অস্ট্রেলিয়ায় ইতোমধ্যে চলছে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপ। শেষ হচ্ছে ১৩ নভেম্বর। বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবলের উন্মাদনা বেশি। ফুটবল খেলে বিশ্বের সব দেশ। আর ক্রিকেট খেলে গুটিকয়েক দেশ। ফুটবলে না পারলেও ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে পারছে—এটাই ভালো লাগার বিষয়!

কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে ২০ নভেম্বর। শেষ হবে বা ফাইন্যাল হবে ১৮ ডিসেম্বর। ফুটবল বিশ্বকাপের উত্তাপের আঁচ লেগেছে আমাদের দেশেও। বিভিন্ন জায়গায় ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার ভক্তরা চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। দলবদ্ধ হয়ে বড় পর্দায় খেলা দেখা, উপাদেয় খানাপিনাসহ নানা আয়োজনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভবনে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকাও উড়ছে। প্রতিযোগিতা শুরু হলে অন্যদেশের সমর্থকরাও মাঠে নামবে। ভবনে ভবনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর পতাকায় সয়লাব হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যও বড় করে কেউ কেউ তাক লাগিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার জার্সি, স্টিকার বেচা কেনার ধুম পরে যাবে। আর ব্যবসায়ীরা এখন তা প্রস্তুত ও মজুত করতে শুরু করেছে।

তবে এতকিছুর মধ্যে শঙ্কা লোডশেডিং নিয়ে। বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রায় সব খেলা হবে রাত ৯টা, ১০টা ও ১টার দিকে। কিছু খেলা আছে বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায়। পিক আওয়ারেই খেলা বেশি হওয়ায় সবাই একযোগে খেলা দেখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। লোডশেডিং কখন কোন এলাকায় হয় তা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। অনেকে এজন্য জেনারেটারের ব্যবস্থাও করছে।

বিশ্বকাপ নিয়ে এদেশের লোকজনের আনন্দ উচ্ছ্বাসের তুলনা নেই! ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা বা জার্মানির সমর্থকদের আবেগেরও যেন শেষ নেই। ওই সব দেশের সমর্থকদের চেয়ে কম কিছু নয়, এদেশে থাকা তাদের সমর্থকদের। এখানকার কোনো কোনো ভবন ওই সব দেশের পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়ে থাকে। আমাদের ফুটবলাররা বিশ্বকাপে খেলতে না পারুক, মনে হয় এদেশের ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা বা জার্মানির সমর্থকরা সমর্থনের দিক দিয়ে সত্যিকারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!

কিন্তু আমাদের দেশের ফুটবলের অবস্থা কি? যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে! ক্লাব ফুটবলে আশির দশকে আবাহনী-মোহামেডানের খেলায় যেরকম উন্মাদনা থাকত— তা কি এখন আছে? বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে অঞ্চলভিত্তিক যে সব দেশের সঙ্গে খেলা হয়ে থাকে, সেসব খেলায় একই ফলাফল চলে আসছে। অর্থাৎ পরাজয়, পরাজয়। উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই! এখনও সাফ-এর গন্ডি পেরোতে পারেনি। সেখানেও সাফল্য মাত্র একবার। ১৩টি সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ২০০৩ সালে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছে! তারপর থেকে নিয়মিত অংশগ্রহণই মুখ্য ঘটনা।

অপরদিকে, মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতা হয় ৬টি। এর মধ্যে চলতি বছরের (২০২২) ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশ নেপালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে প্রথম শিরোপা অর্জন করে। বাংলাদেশ দলকে বিমানবন্দর থেকে খোলা গাড়িতে করে শহর ঘুরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

এবার ক্রিকেট প্রসঙ্গে। বাংলাদেশসহ গুটিকয়েক দেশের খেলা হলেও সম্প্রতি ক্রিকেটের পরিধি বাড়ছে। নতুন আরও অনেক দেশ যুক্ত হচ্ছে। ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। তবে ক্রিকেটের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্য নেই বললেই চলে। বিশ্বকাপ দূরে থাক, এখনো টি-টোয়েন্টি বা একদিনের এশিয়া কাপ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মোট তিনবার রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট আছে! তবে মেয়েরা ২০১৮ সালে একবার এশিয়া কাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছে।

এখন মাঠে, খালি জায়গায় বা গলি পথে ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট খেলাও চলে। সুযোগ-সুবিধা পেলে আমাদের তরুণরা একদিন বিশ্বজয় করবে—এমন আশা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই! আর এখানে বিশ্বকাপ ফুটবল ছাড়া সারা বছরই ক্রিকেটের উন্মাদনাই বেশি। একটু জয় পেলেই মাতোয়ারা হয়ে উঠে। ক্রিকেটে চার, ছক্কা ও উইকেট পরে গেলে মুহূর্তে মুহূর্তে হাততালিতো আছেই। তারকাখ্যাতি, আয় সব মিলিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া প্রায় সব ক্রিকেটারই সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়। এখানকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ফুটবলারের চেয়ে ক্রিকেটাররাই বেশি প্রভাব বিস্তারকারী বলা যায়।

ফুটবল-ক্রিকেট প্রসঙ্গে বিখ্যাত ক্রিকেট সাহিত্যিক শঙ্করীপ্রসাদ বসু ‘রমনীয় ক্রিকেট’ উপখ্যানে লিখেছেন,
‘… ফুটবল। ক্রিকেটের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। ফুটবল সারা পৃথিবীর। জনপ্রিয়তায় ক্রিকেটেরও অগ্রগণ্য। ফুটবল মাতোয়ারা করে তোলে। ফুটবল আগুন ছোটায়। খেলোয়াড়দের পায়ে আর গায়ে আগুন। সেই আগুন দর্শকদের বদনে ও বপুতে।
পাঠক! এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটায় যে খেলা তাকে খেলার রাজা বলবেন?
অন্যের নিন্দে থাক। বিপক্ষের বদগুণ অপেক্ষা স্বপক্ষের সদগুণের আলোচনায় বেশি ফললাভ। ক্রিকেট মহান খেলা কারণ ক্রিকেটের সাহিত্য আছে। সাহিত্যের মূলে থাকে জীবন। খেলার সাহিত্য যদি একমাত্র ক্রিকেটের থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ক্রিকেটই সবচেয়ে জীবনময় খেলা।
ফুটবলের চেয়েও? যে ফুটবল দমবন্ধ দৌড়ে প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করছে আমি বেঁচে আছি। হ্যঁ। জীবন বলতে গেলে উত্তেজনা বুঝায় না। জীবন অনেক ব্যাপক। উত্তেজনা, আবেগ ও শান্তির নানারূপী বিন্যাস সেখানে। জীবনের আছে সূচনা ও সমাপ্তি। উভয়ের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তনের তরঙ্গগতি। ক্রিকেট সেই খেলা। ক্রিকেট জীবনের ক্রীড়া-সংরক্ষণ’।

লেখক: লেখক ও সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

৪০০ অভিযোগের মধ্যে ১৭২টি অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৩৭টি অভিযোগের সঙ্গে। ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ৫৫টির সঙ্গে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদফতরের (ডিজিএফআই) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৬টির সঙ্গে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে ২৫টি অভিযোগের সঙ্গে।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে ফেলা হয়েছে বাকি অভিযোগ গুলো। যেগুলোর ক্ষেত্রে পরিচয় দেয়নি। শুধু বলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি জানিয়েছেন, গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্যকে ডাকা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন৷ যারা আালমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, কতো নিষ্ঠুরভাবে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, বোঝানো যাবে না।

কমিশন সদস্য ড. নাবিলা ইদ্রিস বলেন, এখন পর্যন্ত গুমের চারটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক কারণে বিশাল সংখ্যক মানুষকে নেওয়া হয়েছে। প্রমাণিত না হলেও জঙ্গি সন্দেহে বড় একটা সংখ্যক নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক কারণেও গুম করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন।

গত ২৭ আগস্ট ওই গুম কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে।

Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আজ সকাল ১০ টার দিকে আমাকে দেশে ব্যবহৃত একটি বিদেশি নাম্বার থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের উদ্দেশ্যে গতকালের সিন্ডিকেটে কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণই এই হুমকির মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশের কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণের ভিতর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। দেশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা কাজ চলছে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে অনেকেরই সহজ রোজগারের পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও লেখেন, মাত্র দুইমাসে আমরা প্রায় দুই হাজারের অধিক কলেজে ‘পরিচালনা কমিটি’ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এ কমিটি করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে এক কাপ চাও খায় নাই এটি আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে কোন প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

হত্যার হুমকি দিলেও কোন লাভ নেই জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, অতএব এসব হত্যার হুমকি, পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কিচ্ছা কাহিনি লিখে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ লেখেন, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, হত্যার হুমকি নিয়ে জিডি করছি, সম্মানিত উপদেষ্টাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সচিবকেও বিষয়টা জানিয়েছি। এজেন্সিগুলোও জানে ব্যাপারটা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ৮০ শতাংশই হলো প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার। দেখি আমরা এর কোন একটা বিহিত করতে পারি কিনা। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন চাই।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তায় এ নিন্দা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, উপাচার্য যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে একটি বিশেষ অভিযানে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (JIM)। রবিবার পরিচালিত এই অভিযানে অংশ নেয় গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়ার কর্মকর্তারা।

দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়, যিনি বন্দিশিবিরের কেয়ারটেকার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩০ বছর বয়সি এই ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় অবস্থানের জন্য কোনো বৈধ নথি বা পাসপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হন। অভিযানে ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী ছয় বাংলাদেশিকে বন্দিশিবির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে, কেয়ারটেকার একটি জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। অভিযানে অংশগ্রহণকারী দল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, এই মানবপাচার চক্র ভিকটিমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) গ্রহণ করে তাদের ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়। পরে, অতিরিক্ত ৫ হাজার রিঙ্গিত দাবি করে তাদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়।

এই অভিযান মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে অনেক বাংলাদেশি ফাঁদে পড়ে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা