শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ নিবন্ধ

ক্ষতিপূরণ আদায়ে টর্ট আইনের গুরুত্ব অপরিসীম

আমাদের দেশে টর্ট আইনের যথেষ্ট ব্যবহার ও প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই টর্ট এবং টর্ট আইনের সঙ্গে পরিচিত নন। অথচ আমাদের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে এমন গুরুত্বপূর্ণ আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম এবং তা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

লাতিন শব্দ Tortum থেকে Tort শব্দটি এসেছে–যার অর্থ বাঁকা বা সোজা পথে না চলে বাঁকা পথে চলা। যদিও বাংলা ভাষায় Tort-এর কোনো উপযুক্ত আইনি প্রতিশব্দ ব্যবহার হতে দেখা যায় না। সাধারণত টর্টকে দেওয়ানি ক্ষতি বা নিমচুক্তি কিংবা কখনো ব্যক্তিগত অপকার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। সাধারণ অর্থে টর্ট বলতে বোঝায়, কোনো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান। টর্টের কোনো বিধিবদ্ধ আইন নেই। তথাপি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে এ আইনের প্রয়োগ এবং বিস্তার অনেক বেশি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে টর্ট আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ আইনটির যথাযথ ও সুষ্ঠু প্রয়োগ ঘটালে একদিকে যেমন দেশ থেকে অনেক অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব, তেমনি অপরদিকে এই আইনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সত্যিকারের আইনি প্রতিকার দেওয়াও সম্ভব। তবে এই ক্ষতিপূরণের কোনো নির্দিষ্টতা নেই।

বাংলাদেশে অন্যান্য বিধিবদ্ধ আইনের মতো টর্ট আইন বিধিবদ্ধ নয়। এখানে প্রযোজ্য টর্ট আইন ইংল্যান্ডের সাধারণ আইন অনুসারে গঠিত। টর্টের মামলা বিচারের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও যুক্তিসঙ্গত কারণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। এ দেশে টর্টের যে দু-চারটি মামলা হয়ে থাকে, তা মূলত Defamation বা মানহানি কেন্দ্রিক। টর্টের অন্যান্য বিষয় যেমন-দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, উৎপাত, গণউৎপাত বা Public nuisance, অনধিকার প্রবেশ ইত্যাদি বিষয়ক মামলা আদালতে যেন অজ্ঞাত কারণে দায়ের হতে দেখা যায় না। ফলে আইনের এই গুরুত্বপূর্ণ শাখাটি আমাদের দেশের আইন অঙ্গনে উপেক্ষিত থাকায় এর প্রয়োগ ও প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। এ দেশের বেশির ভাগ জনগণই জানেন না যে, শারীরিক আঘাতের জন্য দোষী ব্যক্তি কারাবরণের পাশাপাশি বাদির (ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি) চিকিৎসার খরচসহ অন্যান্য ক্ষতির দায়স্বরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। দোষী ব্যক্তিকে জেল বা অর্থদন্ড দিয়ে থাকে আদালত তথা রাষ্ট্র। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাদী কোনো সুবিধা পান না। কিন্তু টর্ট আইনের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির কাজের জন্য বাদী ব্যক্তিগতভাবে যে ক্ষতির সম্মুখীন হন, তা পুষিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। এতে বাদী নিজের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে আইনি প্রতিকার পেয়ে থাকেন।

একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা যেতে পারে। মনে করা যাক, কোনো এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির হাত বা পা কেটে ফেললো বা ভেঙ্গে দিলো। এ ক্ষেত্রে যদি দোষী ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক অপরাধের ধরন ও প্রকৃতি অনুয়ায়ী আইন মোতাবেক নির্দিষ্ট মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাহলে এতে বাদীর বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির তেমন কিছু আসে-যায় না। তার চিকিৎসা খরচ ও হাত-পা কাটা বা ভেঙে ফেলার কারণে তিনি যে কতদিন কাজ করতে পারলেন না এবং তার আনুষঙ্গিক ক্ষতির জন্য কেবল টর্টে মামলা করার মাধ্যমেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব। টর্টে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকারের বিধান রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে আর্থিক জরিমানাই বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (Injunction) জারি বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। আধুনিক বিশ্বে টর্ট আইনের মাধ্যমে মানসিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও চালু আছে।

আমাদের দেশে টর্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা কেন? এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, এ দেশে প্রতিনিয়ত আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। যেমন–মানুষের জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ও খাদ্য-দ্রব্যে ভেজাল মেশানেো; হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হওয়া; ভুল চিকিৎসায় রোগীর জীবন কেড়ে নেওয়া বা জীবন বিপন্ন করে তোলা; বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মসূচির কারণে জনগণের ক্ষতি সাধিত হওয়া, বিশেষ করে রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করার ফলে জনগণের ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হওয়া; মক্কেলের সঙ্গে আইনজীবীর অসদাচারণ; অকারণে মানুষকে হেনস্তা বা হয়রানি করা, বিশেষ করে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক); বিনা বিচারে আটক রাখা; একই নামের ভুল ব্যক্তিকে আটক করা ও কারাগারে পাঠানো; অকারণে জেল খাটানো; ডাক বিভাগের পিয়ন কর্তৃক প্রাপকের ঠিকানায় চিঠিপত্র সময়মতো না পৌঁছানো; চালকের অসাবধানতার জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটা; মালিকের অবহেলাজনিত কারণে শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা, যেমন–সাভারের রানা প্লাজার ঘটনা; পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়া ইত্যাদির ন্যায় নানা অন্যায়-অপরাধ, ঘটনা-দুর্ঘটনাসমূহ আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে।

টর্ট আইনের ব্যাপক প্রয়োগ থাকলে উক্ত আইনের মাধ্যমে এসব ঘটনা-দুর্ঘটনা ও অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। যেমন–খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান টর্টের মাধ্যমে সফলতা আনা সম্ভব। খাদ্য মানুষের প্রথম ও প্রধান মৌলিক চাহিদা। তাই খাদ্যের ব্যাপারে মানুষ সর্বদাই সতর্ক ও সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে জনগণের তথা ক্রেতার বিশ্বাসকে ও অসহায়ত্বকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বা বিক্রেতা অধিক মুনাফার লোভে প্রতিনিয়ত খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। শুধু খাদ্যে ভেজাল নয়, প্রায় সময়ই আমরা পত্রিকায় চিকিৎসকের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী মারা যাওয়া বা রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার খবর পড়ে থাকি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষে কেউ পূর্ব থেকে চিকিৎসক বা হাসপাতালের সঙ্গে করে রাখা একটি চুক্তির জন্য কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন না। কিংবা নেওয়ার সাহস করেন কিংবা এ ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহ দেখান না। অথচ এ ক্ষেত্রে যদি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলার বিষয়টি প্রমাণ করা যায়, তাহলে সহজেই ভুক্তভোগী রোগী বা রোগীর পরিবার কিছুটা হলেও সহায়তা পেতে পারেন। আমাদের দেশের সড়ক মহাসড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা দুর্ঘটনা যেন ভাগ্যদেবীর আশীর্বাদ। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতিনিয়ত অসখ্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও প্রতিটি দুর্ঘটনার পর দোষী ব্যক্তিরা যেন ‘দাদা ভাই’ বা ‘গড ফাদার’-এর ন্যায় পর্দার অন্তরালেই থেকে যায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে যদি টর্ট আইনে মামলা (অসাবধানতার জন্য ক্ষতি হলে) হতো, তাহলে দোষী ব্যক্তিদের বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হতো। তাই জনগণের উচিৎ হবে, এ ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে আদালতে গিয়ে টর্ট আইনের অধীনে মামলা করা। আর এ জাতীয় মামলা সরকারের পক্ষ থেকে নয়; বরং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকেই করতে হবে। এসব ঘটনায় মামলা না হওয়ার কারণে দোষী ব্যক্তিরা বারবার রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে টর্টের মামলা করলে অসাধু ব্যবসায়ী বা দায়িত্বে অবহেলাকারী চিকিৎসক কিংবা অসতর্ক গাড়ি চালক কেউ তাদের দায় এড়াতে পারবে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আইনের উপযুক্ত ও যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিকার ও সুফল পেতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একবার কেউ ফৌজদারী অপরাধের জন্য জেল খাটলে, জরিমানা দিলে এবং এসবের পাশপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিলে সে আর দ্বিতীয়বার ওই ধরনের অন্যায়-অপরাধ করতে চাইবে না। আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাসমূহের বেলায় আদালত কর্তৃক দায়ী ব্যক্তির কৃত অপরাধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার রেওয়াজ প্রবল মাত্রায় বাড়ালে এবং অপরাধের সাথে জড়িত কাউকে কোনোভাবেই ছাড় না দিলে দেশ থেকে এ ধরনের অপরাধসমূহ সহজেই হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।

এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। আর তা হচ্ছে, অসাবধানতার জন্য ক্ষতি হলে অবৈধ মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হলো সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ উপার্জনের বর্তমান মূল্য বা ডিসকাউন্টেড ভ্যালু অব ফিউচার ফ্লো অব আর্নিংস পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনুসারে, মৃত ব্যক্তি বেঁচে থাকলে বাকি কর্মক্ষম জীবনে তিনি যে আয় করতে পারতেন, তার বর্তমান বাজার মূল্যই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ডিসকাউন্টিং পদ্ধতিতে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ মূলত: তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তা হচ্ছে; মৃত ব্যক্তির বয়স, তাঁর ভবিষ্যৎ উপার্জনের ক্ষমতা এবং সুদের হার বা ডিসকাউন্ট রেট। মৃত ব্যক্তির বয়স অল্প হলে তাঁদের বেশি দিন বেঁচে থাকার এবং উপার্জন করার সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর আয় ক্ষমতা নির্ভর করে। সুদের হার বেশি হলে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ আয়ের বর্তমান মূল্য কম হবে। সুদের হার কম হলে ভবিষ্যৎ আয়ের বর্তমান মূল্য বেশি হবে। সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে বা তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকান্ডেরে পর নিহত শ্রমিকদের জন্য ডিসকাউন্টিং পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ নিরূপণের হিসাব করলে তার সার্বিক যোগফল কত হবে তা কি সংশ্লিষ্ট গার্মেন্টস মালিকপক্ষ একবারও ভেবে দেখেছেন? এ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদেরই এ বিষয়ে মামলা করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এ সকল ক্ষেত্রে না ক্ষতিগ্রস্ত, না সরকার কোনো পক্ষকেই এই আইনের আশ্রয় নিতে দেখা যায়নি।

আমাদের মতো একটি দেশে যেখানে প্রতিনিয়ত-প্রতি মুহুর্তে-প্রতিদিন আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে নানাভাবে; যেখানে সাধারণ মানুষ নিত্য হেনস্তা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন; যেখানে প্রতারণা প্রবলমাত্রায় বিরাজমান, সেখানে টর্টের মতো কার্যকর একটি আইন কেন যে আজও উপেক্ষিত রয়েছে তা বোধগম্য নয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, টর্ট আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হলে তা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার ধরণ পাল্টে দিতে পারে। টর্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার। পাশাপাশি এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটলে সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যহারে কমে যাবে।

সর্বোপরি দেশের সব মানুষকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করতে টর্ট আইন এক অনন্য ভূমিকা পালন করতে পারে। সুতরাং টর্ট আইনের প্রয়োজনীয়তার দিকে লক্ষ্য রেখেই এই আইনটির ব্যাপক প্রচার দরকার। সেইসঙ্গে এর সুষ্ঠু প্রয়োগ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন গণমাধ্যম, সরকার, আইন সংশ্লিষ্টসহ সবাই একযোগে এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশে টর্ট আইনের গণ্ডি কেবল মানহানির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে তা মানুষের নানামুখী প্রয়োজনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে পারবে বলে আশা করা যায়।

লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
kekbabu@yahoo.com

এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

নিহত মুসল্লির নাম লোকমান হোসেন খান (৬০)। তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান।

এদিকে, আজ ফজরের নামাজের পর থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এবারের ইজতেমা ছয় দিনব্যাপী দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন, যা ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর ২৩ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ইজতেমার মূল আয়োজন শেষ হওয়ার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাওলানা সাদপন্থিদের তিন দিনের পৃথক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সাংবাদিক দেব চৌধুরী ইসলাম গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর রাজধানীর দারুসসালাম শাহী মসজিদে তিনি শাহাদাহ পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত তার জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

ইসলাম গ্রহণের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেব চৌধুরী বলেন, "আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় আজ ইসলাম গ্রহণ করছি। যদিও আমি এখনো আরবি পড়তে পারি না, তবে আমার ঘরে কোরআনের বাংলা অনূদিত তিনটি কপি রয়েছে।" তার এই মন্তব্যে নতুন ধর্মের প্রতি তার আন্তরিকতা ও বিনয় প্রকাশ পেয়েছে।

শাহাদাহ পাঠের পর মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। অনেকেই তাকে আলিঙ্গন করেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল ও পোশাক উপহার দেন। তার ইসলাম গ্রহণের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

দেব চৌধুরীর এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশি ক্রীড়াঙ্গন ও গণমাধ্যমের জন্য এক ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ইসলাম গ্রহণের পর তার নতুন নাম কী হবে এবং এই পরিবর্তন তার পেশাগত জীবনে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত

নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকার জন্য ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ব্রাঙ্কো গ্রিমস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইতিমধ্যেই নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে মাস্কের মনোনয়ন সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়া হয়েছে। মূলত, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের স্বপক্ষে তার অবস্থানের কারণেই তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে।

এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও ২০২৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। সে সময় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ও বাকস্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে তার নাম মনোনয়ন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

পরপর দুই বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় প্রযুক্তি বিশ্বে এটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এবার তিনি পুরস্কার জিততে পারেন কি না, তা নিয়েও চলছে জল্পনা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের
বিশ্ব ইজতেমায় ৭২ দেশের ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন
ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাই হাসপাতালে ভর্তি
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার
ছাত্রদল নেতার সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়নে অনিয়মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ছাত্রদের চাপে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের হাতে হাতকড়া, ডিম নিক্ষেপ
ওভাল ক্রিকেট টিমের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনল আম্বানি পরিবার