মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

অর্থনৈতিক কাঠামোর সাশ্রয় আগামীর ভাবনা

সরকারি প্রকল্পগুলোকে তিন ধাপে ভাগ করা হয়েছে। বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মধ্যমমানের গুরুত্বপূর্ণ, কম গুরুত্বপূর্ণ তিন ধাপে বাস্তবায়ন করে প্রকল্পের অর্থায়নকে সীমিত করা জরুরি। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বৈদেশিক কারেন্সি ব্যবহার করে যেসমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেসব প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে গুণাগুণ বিচার করা কতটুকু যুক্তিসংগত অথবা কতটুকু প্রয়োজন রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করার, সেটিও সরকার এখন বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মুদ্রামান স্থিতিশীল রাখার অংশ হিসেবে এসময়ের ভেতরে প্রায় ছাব্বিশবারের মতো কারেন্সি ডিভ্যালু করা হয়েছে। টাকাকে বাজারের মানের সঙ্গে কিছুটা উঠানামার ভেতরে রাখার প্রচেষ্টা রয়েছে। যদিও সেটি পুরোপুরি এখনো করা যায়নি। বিদেশ থেকে ফরেন কারেন্সি আমদানিকে উৎসাহিত করার চেষ্টা রয়েছে।

এসমস্ত উদ্যোগগুলো স্বল্পমেয়াদে সুফল বয়ে আনবে এরকমই মনে করা হয়েছিল। এখন এসব উদ্যোগগুলো প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কার্যকরী হচ্ছে, সেটি নিয়ে কিন্তু সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এমনকি অনেকগুলি উদ্যোগই হিতে বিপরীত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যা কিছু প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি না হয়ে ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে কি না। যেমন ডিজেলে সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ হিসেবে বিদ্যুৎ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না। দেখা যাচ্ছে যে ডিজেলচালিত জেনারেটর অন্যান্য যে সমস্ত মোটর আছে সেগুলি ব্যবহার সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটিও এখানে একটি বিচার্য বিষয়।

মোট কথা হলো, এসব উদ্যোগগুলো সরকারের উচিত মূল্যায়ন করে দেখা। এই উদ্যোগগুলো কতটুকু কার্যকরী? এই উদ্যোগগুলো যদি কার্যকরী না হয় তাহলে বিকল্প কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে? মোট কথা একটি সাশ্রয়ী অর্থনীতির ব্যাপারটিকে সরকারের সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া দরকার। এখানে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত ব্যয় সংকোচনের দরকার হবে এবং এ মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থেকে সরে এসে মধ্যমমানের একটি প্রবৃদ্ধি সেটিকে মাথায় রেখে ব্যয় সংকোচন করার চেষ্টা সেটিকে মাথায় রাখা দরকার হবে। পাশাপাশি মানুষের ভেতরে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি রিজার্ভ যেহেতু কমে আসছে ফলে সেই জায়গা থেকে বৈদেশিক মুদ্রার অংশ হিসেবে যে সমস্ত নেগোসিয়েশনগুলো চলছিল। বিশেষ করে আইএমএফের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ডলারের সংস্থান বৃদ্ধি করা দরকার। একইসঙ্গে বাজারে বিভিন্ন রকম অনিয়ম রয়েছে। এসময় ডলার কিনে জমিয়ে রাখছেন ফলে বাজারে ডলারের সংকট হচ্ছে। পাচারের সংখ্যা রয়েছে। যারা কিনা হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অথবা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান যারা রয়েছে তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো। এগুলি কিন্তু বর্তমান সময়ে দরকার রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি যেহেতু বড় প্রকোপ কাজেই মূল্যস্ফীতিকে সীমিত রাখার স্বার্থে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেওয়া দরকার। ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝাতে হলো, দেশের ভেতরে পণ্যসামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে রাখা। দরিদ্র মানুষ ও সীমিত আয়ের মানুষ যারা রয়েছে তাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে সরকার যে এক কোটি পরিবারকে সহায়তা দান করছে সেটির সম্প্রসারণ করা যায় কি না।

সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত যারা রয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে বাড়তি ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করা দরকার। সরকার তার নিজস্ব অর্থ থেকে তা বিবেচনা করতে পারেন একটি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য। বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করতে পারেন, যেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কথা মাথায় রেখে যদি তারা ইনক্রিমেন্ট তারা দিতে পারেন। সে ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারেন চলমান মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ বাজারের ঊর্ধ্বমূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করতে। এর পাশাপাশি উচিত হবে রপ্তানি বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে। রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ এগুলো যাতে স্থিতিশীল থাকে। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

মোট কথা সরকারের উচিত হবে এই মুহূর্তে চারটি বিষয়কে মাথায় রাখা। সাশ্রয়ী অর্থনৈতিক কাঠামো আগামী দিনের জন্য মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে যুদ্ধের পরিস্থিতি যেহেতু জটিল হচ্ছে এবং যেহেতু এটি দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে এর প্রভাব সহসা কমে আসবে সেটিও মনে হচ্ছে না। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের যে অভিঘাতগুলো সেটিকে মাথায় রেখে অর্থনীতিকে সাজানো উচিত।

সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য গ্যাস উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনায় যে সমস্ত ত্রুটি রয়েছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা। ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক উৎস থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করা। টাকার মুদ্রামানকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব বাজারভিত্তিক একচেঞ্জ রেটের কাঠামোর দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার দিকে সরকার তার নীতি কাঠামো বিবেচনা করতে পারে।

লেখক: গবেষণা পরিচালক, সিপিডি।

এসএন

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল