শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অর্থনৈতিক কাঠামোর সাশ্রয় আগামীর ভাবনা

সরকারি প্রকল্পগুলোকে তিন ধাপে ভাগ করা হয়েছে। বেশি গুরুত্বপূর্ণ, মধ্যমমানের গুরুত্বপূর্ণ, কম গুরুত্বপূর্ণ তিন ধাপে বাস্তবায়ন করে প্রকল্পের অর্থায়নকে সীমিত করা জরুরি। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বৈদেশিক কারেন্সি ব্যবহার করে যেসমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেসব প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে গুণাগুণ বিচার করা কতটুকু যুক্তিসংগত অথবা কতটুকু প্রয়োজন রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করার, সেটিও সরকার এখন বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মুদ্রামান স্থিতিশীল রাখার অংশ হিসেবে এসময়ের ভেতরে প্রায় ছাব্বিশবারের মতো কারেন্সি ডিভ্যালু করা হয়েছে। টাকাকে বাজারের মানের সঙ্গে কিছুটা উঠানামার ভেতরে রাখার প্রচেষ্টা রয়েছে। যদিও সেটি পুরোপুরি এখনো করা যায়নি। বিদেশ থেকে ফরেন কারেন্সি আমদানিকে উৎসাহিত করার চেষ্টা রয়েছে।

এসমস্ত উদ্যোগগুলো স্বল্পমেয়াদে সুফল বয়ে আনবে এরকমই মনে করা হয়েছিল। এখন এসব উদ্যোগগুলো প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কার্যকরী হচ্ছে, সেটি নিয়ে কিন্তু সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। এমনকি অনেকগুলি উদ্যোগই হিতে বিপরীত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যা কিছু প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সেটি না হয়ে ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে কি না। যেমন ডিজেলে সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ হিসেবে বিদ্যুৎ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না। দেখা যাচ্ছে যে ডিজেলচালিত জেনারেটর অন্যান্য যে সমস্ত মোটর আছে সেগুলি ব্যবহার সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটিও এখানে একটি বিচার্য বিষয়।

মোট কথা হলো, এসব উদ্যোগগুলো সরকারের উচিত মূল্যায়ন করে দেখা। এই উদ্যোগগুলো কতটুকু কার্যকরী? এই উদ্যোগগুলো যদি কার্যকরী না হয় তাহলে বিকল্প কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে? মোট কথা একটি সাশ্রয়ী অর্থনীতির ব্যাপারটিকে সরকারের সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া দরকার। এখানে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত ব্যয় সংকোচনের দরকার হবে এবং এ মুহূর্তে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থেকে সরে এসে মধ্যমমানের একটি প্রবৃদ্ধি সেটিকে মাথায় রেখে ব্যয় সংকোচন করার চেষ্টা সেটিকে মাথায় রাখা দরকার হবে। পাশাপাশি মানুষের ভেতরে খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্যের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত। পাশাপাশি রিজার্ভ যেহেতু কমে আসছে ফলে সেই জায়গা থেকে বৈদেশিক মুদ্রার অংশ হিসেবে যে সমস্ত নেগোসিয়েশনগুলো চলছিল। বিশেষ করে আইএমএফের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ডলারের সংস্থান বৃদ্ধি করা দরকার। একইসঙ্গে বাজারে বিভিন্ন রকম অনিয়ম রয়েছে। এসময় ডলার কিনে জমিয়ে রাখছেন ফলে বাজারে ডলারের সংকট হচ্ছে। পাচারের সংখ্যা রয়েছে। যারা কিনা হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অথবা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান যারা রয়েছে তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো। এগুলি কিন্তু বর্তমান সময়ে দরকার রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি যেহেতু বড় প্রকোপ কাজেই মূল্যস্ফীতিকে সীমিত রাখার স্বার্থে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেওয়া দরকার। ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝাতে হলো, দেশের ভেতরে পণ্যসামগ্রী যথেষ্ট পরিমাণে রাখা। দরিদ্র মানুষ ও সীমিত আয়ের মানুষ যারা রয়েছে তাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে সরকার যে এক কোটি পরিবারকে সহায়তা দান করছে সেটির সম্প্রসারণ করা যায় কি না।

সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত যারা রয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে বাড়তি ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করা দরকার। সরকার তার নিজস্ব অর্থ থেকে তা বিবেচনা করতে পারেন একটি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য। বেসরকারি খাতকে অনুরোধ করতে পারেন, যেন নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কথা মাথায় রেখে যদি তারা ইনক্রিমেন্ট তারা দিতে পারেন। সে ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারেন চলমান মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ বাজারের ঊর্ধ্বমূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করতে। এর পাশাপাশি উচিত হবে রপ্তানি বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে। রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ এগুলো যাতে স্থিতিশীল থাকে। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

মোট কথা সরকারের উচিত হবে এই মুহূর্তে চারটি বিষয়কে মাথায় রাখা। সাশ্রয়ী অর্থনৈতিক কাঠামো আগামী দিনের জন্য মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে যুদ্ধের পরিস্থিতি যেহেতু জটিল হচ্ছে এবং যেহেতু এটি দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে এর প্রভাব সহসা কমে আসবে সেটিও মনে হচ্ছে না। দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের যে অভিঘাতগুলো সেটিকে মাথায় রেখে অর্থনীতিকে সাজানো উচিত।

সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য গ্যাস উৎপাদনে গুরুত্ব দেওয়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনায় যে সমস্ত ত্রুটি রয়েছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করা। ডলারের বাজারকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক উৎস থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করা। টাকার মুদ্রামানকে স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব বাজারভিত্তিক একচেঞ্জ রেটের কাঠামোর দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়ার দিকে সরকার তার নীতি কাঠামো বিবেচনা করতে পারে।

লেখক: গবেষণা পরিচালক, সিপিডি।

এসএন

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি