বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তিস্তা: দিল্লির কূটনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকাকে ফের বেইজিংমুখী করতে পারে

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি কৌশলী বার্তা পাঠিয়েছেন। বস্তুত বহু প্রতীক্ষিত জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের উপর নির্ভর না করে বেজিংয়ের সহায়তায় একটি বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বেছে নিতে তাকে উৎসাহিত করেছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রকাশক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনও। চীনা রাষ্ট্রদূত তার সফরের প্রথম দিনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখানে নদী ড্রেজিংয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এসেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা প্রকল্পের সময়সীমা নিশ্চিত করার জন্য পরিস্থিতি বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করছেন। আমরা নিশ্চিত যে, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা সম্মত হলে তিস্তা মেগা প্রকল্প খুব শিগগিরই চালু হতে পারে।‘

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই প্রকল্পের ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের (যারা প্রাথমিকভাবে মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল) জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। লি বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বাসিন্দাদের সঙ্গে ওই এলাকায় কয়েকটি বৈঠক করেছেন।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিনি তিস্তার জলবণ্টনের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। প্রতিশ্রুত ওই চুক্তিটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতার কারণে ২০১১ সাল থেকে আটকে আছে।

আন্তঃসীমান্ত নদীর জলবণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে মরিয়া ঢাকা। তিস্তা নদীর তীরে আনুমানিক ৯০,০০০ হেক্টর জমির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা গ্রীষ্মের সময় অব্যবহৃত থেকে যায়। কারণ সে সময় তিস্তায় ভয়ঙ্কর রকম জলের সঙ্কট দেখা যায়। উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্রের উপনদী তিস্তা হিমবাহে উৎপন্ন হয়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপরে তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার জনসমক্ষে বলেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত দ্রুততম সময়ে এই চুক্তিটি শেষ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। পাশাপাশি বাংলাদেশও তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জলের সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্পগুলি খোঁজ করছে।

বহুল আলোচিত বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপ প্রকল্পের মধ্যে থাকবে ডেজিং, জলাধার নির্মাণ, নদী তীরে একটি ব্যবস্থা স্থাপন এবং নদীর উভয় তীরে বাঁধ ও স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ। বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই এই অঞ্চলের কৃষকদের সেচ চাহিদার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে প্রকল্পটিকে উল্লেখ করে থাকে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে, ঢাকা চীনের অর্থ সাহায্যে ১ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাব করেছিল। কারণ ভারতের সঙ্গে চতুর্থ বৃহত্তম আন্তঃসীমান্ত তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি এক দশক দীর্ঘ অপেক্ষা করার পরেও কার্যকর করা যায়নি।

এত বড় প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ভারতকে যে উদ্বিগ্ন করবে তা বলাই বাহুল্য। এর পাশাপাশি চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে হাইড্রো-কূটনীতির ব্যর্থতারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেবে।

নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতের কৌশলগত উদ্বেগও রয়েছে। এই প্রকল্প ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে 'চিকেনস নেকে'র কাছে। উত্তরবঙ্গের খুব কাছে চীনের উপস্থিতি ঘটাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের এই অংশটি কার্যত উত্তর-পূর্বকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ঢাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, প্রকল্প চীনের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে দিলির আপত্তির পর হাসিনা সরকার পরিকল্পনাটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ রেখেছিল।

এই প্রেক্ষাপটে, গত মাসে শেখ হাসিনার সফরের সময় তিস্তার জলের বিষয়ে দিল্লির ব্যর্থতার পরে এই প্রকল্পে ঢাকার নতুন করে আগ্রহের প্রতিফলন হিসেবে চীনের রাষ্ট্রদূতের একটি প্রযুক্তিগত দলের ওই এলাকায় সফরকে দেখা যেতে পারে, ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই এলাকায় রাষ্ট্রদূতের পরিদর্শন, জল উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সরকারি অফিসারের উপস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে যে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে জলের ঘাটতির সমস্যা মোকাবিলায় চীনের সাহায্য নেওয়ার বিকল্পটি নিয়ে কাজ করতে করতে আগ্রহী ঢাকা। তিস্তা প্রকল্পের ফাইল ফের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চলে গেছে বলেও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

সূত্রের মতে, বাংলাদেশে জল যেহেতু একটি আবেগপ্রবণ ইস্যু তাই শেখ হাসিনা সরকার তিস্তা চুক্তির জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করার অবস্থায় নেই। বিশেষ করে যে সরকার আগামী বছর নির্বাচনের মুখোমুখি হবে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশের গবেষকরা তিস্তার শুকিয়ে যাওয়া, কৃষি অর্থনীতি এবং ওই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের ওপর তার প্রভাব নিয়ে সবিশেষ উদ্বিগ্ন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিষয়টির একটি দ্রুত সমাধান আবশ্যক।

বাংলাদেশের জলসম্পদ বিভাগের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চীনা রাষ্ট্রদূতের সফর এবং প্রকল্পটি চালু করার ব্যাপারে তার মতামত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং হাসিনা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার চীনের টোপ গেলা নিয়ে জল্পনা করার সময় আসেনি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো প্রস্তাবিত প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খানিকটা চাপের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই সময় এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশ বহন করতে পারে কিনা, সেটাও একটা বিরাট প্রশ্ন।

বাংলাদেশ তার অর্থনীতির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে আইএমএফ-এর সঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার ঋণের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ২ বিলিয়ন ডলারও চেয়েছে।

আরেকটি সরকারি সূত্র অবশ্য মনে করে, গুরুত্বের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকা তিস্তার জলচুক্তির বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা করতে তৎপর ঢাকা। সেক্ষেত্রে দিল্লির বার্থতার প্রসঙ্গ তুলে হাসিনা সরকারের কাছে বেজিংয়ের সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি তারা।

গত এক দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার এই চুক্তি সম্পাদনে বাধা দিয়েছেন আমেরিকার হিলারি ক্লিনটন ও ন্যান্সি পাওয়েলের নির্দেশে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ যদি চীনের এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে শুধু মমতাই নয়, নরেন্দ্র মোদির মুখের উপরেও যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া