সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিস্তা: দিল্লির কূটনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকাকে ফের বেইজিংমুখী করতে পারে

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি কৌশলী বার্তা পাঠিয়েছেন। বস্তুত বহু প্রতীক্ষিত জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের উপর নির্ভর না করে বেজিংয়ের সহায়তায় একটি বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বেছে নিতে তাকে উৎসাহিত করেছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রকাশক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনও। চীনা রাষ্ট্রদূত তার সফরের প্রথম দিনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখানে নদী ড্রেজিংয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এসেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা প্রকল্পের সময়সীমা নিশ্চিত করার জন্য পরিস্থিতি বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করছেন। আমরা নিশ্চিত যে, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা সম্মত হলে তিস্তা মেগা প্রকল্প খুব শিগগিরই চালু হতে পারে।‘

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই প্রকল্পের ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের (যারা প্রাথমিকভাবে মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল) জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। লি বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বাসিন্দাদের সঙ্গে ওই এলাকায় কয়েকটি বৈঠক করেছেন।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিনি তিস্তার জলবণ্টনের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। প্রতিশ্রুত ওই চুক্তিটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতার কারণে ২০১১ সাল থেকে আটকে আছে।

আন্তঃসীমান্ত নদীর জলবণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে মরিয়া ঢাকা। তিস্তা নদীর তীরে আনুমানিক ৯০,০০০ হেক্টর জমির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা গ্রীষ্মের সময় অব্যবহৃত থেকে যায়। কারণ সে সময় তিস্তায় ভয়ঙ্কর রকম জলের সঙ্কট দেখা যায়। উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্রের উপনদী তিস্তা হিমবাহে উৎপন্ন হয়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপরে তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার জনসমক্ষে বলেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত দ্রুততম সময়ে এই চুক্তিটি শেষ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। পাশাপাশি বাংলাদেশও তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জলের সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্পগুলি খোঁজ করছে।

বহুল আলোচিত বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপ প্রকল্পের মধ্যে থাকবে ডেজিং, জলাধার নির্মাণ, নদী তীরে একটি ব্যবস্থা স্থাপন এবং নদীর উভয় তীরে বাঁধ ও স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ। বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই এই অঞ্চলের কৃষকদের সেচ চাহিদার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে প্রকল্পটিকে উল্লেখ করে থাকে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে, ঢাকা চীনের অর্থ সাহায্যে ১ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাব করেছিল। কারণ ভারতের সঙ্গে চতুর্থ বৃহত্তম আন্তঃসীমান্ত তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি এক দশক দীর্ঘ অপেক্ষা করার পরেও কার্যকর করা যায়নি।

এত বড় প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ভারতকে যে উদ্বিগ্ন করবে তা বলাই বাহুল্য। এর পাশাপাশি চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে হাইড্রো-কূটনীতির ব্যর্থতারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেবে।

নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতের কৌশলগত উদ্বেগও রয়েছে। এই প্রকল্প ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে 'চিকেনস নেকে'র কাছে। উত্তরবঙ্গের খুব কাছে চীনের উপস্থিতি ঘটাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের এই অংশটি কার্যত উত্তর-পূর্বকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ঢাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, প্রকল্প চীনের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে দিলির আপত্তির পর হাসিনা সরকার পরিকল্পনাটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ রেখেছিল।

এই প্রেক্ষাপটে, গত মাসে শেখ হাসিনার সফরের সময় তিস্তার জলের বিষয়ে দিল্লির ব্যর্থতার পরে এই প্রকল্পে ঢাকার নতুন করে আগ্রহের প্রতিফলন হিসেবে চীনের রাষ্ট্রদূতের একটি প্রযুক্তিগত দলের ওই এলাকায় সফরকে দেখা যেতে পারে, ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই এলাকায় রাষ্ট্রদূতের পরিদর্শন, জল উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সরকারি অফিসারের উপস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে যে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে জলের ঘাটতির সমস্যা মোকাবিলায় চীনের সাহায্য নেওয়ার বিকল্পটি নিয়ে কাজ করতে করতে আগ্রহী ঢাকা। তিস্তা প্রকল্পের ফাইল ফের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চলে গেছে বলেও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

সূত্রের মতে, বাংলাদেশে জল যেহেতু একটি আবেগপ্রবণ ইস্যু তাই শেখ হাসিনা সরকার তিস্তা চুক্তির জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করার অবস্থায় নেই। বিশেষ করে যে সরকার আগামী বছর নির্বাচনের মুখোমুখি হবে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশের গবেষকরা তিস্তার শুকিয়ে যাওয়া, কৃষি অর্থনীতি এবং ওই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের ওপর তার প্রভাব নিয়ে সবিশেষ উদ্বিগ্ন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিষয়টির একটি দ্রুত সমাধান আবশ্যক।

বাংলাদেশের জলসম্পদ বিভাগের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চীনা রাষ্ট্রদূতের সফর এবং প্রকল্পটি চালু করার ব্যাপারে তার মতামত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং হাসিনা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার চীনের টোপ গেলা নিয়ে জল্পনা করার সময় আসেনি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো প্রস্তাবিত প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খানিকটা চাপের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই সময় এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশ বহন করতে পারে কিনা, সেটাও একটা বিরাট প্রশ্ন।

বাংলাদেশ তার অর্থনীতির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে আইএমএফ-এর সঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার ঋণের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ২ বিলিয়ন ডলারও চেয়েছে।

আরেকটি সরকারি সূত্র অবশ্য মনে করে, গুরুত্বের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকা তিস্তার জলচুক্তির বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা করতে তৎপর ঢাকা। সেক্ষেত্রে দিল্লির বার্থতার প্রসঙ্গ তুলে হাসিনা সরকারের কাছে বেজিংয়ের সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি তারা।

গত এক দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার এই চুক্তি সম্পাদনে বাধা দিয়েছেন আমেরিকার হিলারি ক্লিনটন ও ন্যান্সি পাওয়েলের নির্দেশে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ যদি চীনের এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে শুধু মমতাই নয়, নরেন্দ্র মোদির মুখের উপরেও যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

 

Header Ad
Header Ad

আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি এবং সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচারে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্ত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া' ' জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো' 'ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু' 'ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও' 'আসিফ নজরুল তুই আইন দে, নয়তো গদি ছাইড়া দে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, 'যারা এখনো নারী হয়েই উঠে নাই, তাদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে। তার কারণ একটাই ধর্ষকদের শাস্তি হচ্ছে না। যদি একটা ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসি বা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো, তাহলে আর ছোট ছোট শিশুকে ধর্ষণের সাহস পাইত না। আমি সরকারের কাছে একটাই দাবি, ৯০ দিন নয় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী দোলনা বলেন, ‘ধর্ষকের শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন সময় লাগবে? উনি কি এই নব্বই দিনে আরও নব্বইটা ধর্ষণের সুযোগ করে দিতে চাচ্ছে? এটা আমাদের জানা দরকার এবং এটা উনার বলতে হবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকের ফাঁসি হোক। আজকে ৮ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কালকে আমি রাস্তায় বের হলে এটার শিকার হবো না তার কি নিশ্চয়তা আছে? একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে আমাদের কেনো এত অনিরাপদ হয়ে জীবনযাপন করতে হবে? আমরা চাই এপর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে একটা পুরুষ কোন নারীর দিকে কুনজরে তাকানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হয়।'

মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পাবেল রানা বলেন, 'আমার বোন, আমার মা আজ রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পারছে না। তারা বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এমনকি ছোট্ট শিশুও রেহাই পাচ্ছে না। সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন লাগবে। একটি শিশুকে ধর্ষণ করতে যদি ২০ মিনিট সময় নেয়, আমরা চাই ২০ মিনিটের আগেই ঐ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক'

গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, 'নোয়াখালীতে ফ্যামিলির সামনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এছাড়া প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও আগের মতো সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে পারে না। গত ছয় মাসে এই সরকার যা করেছে এর থেকে অনেক বেশি করার সুযোগ ছিল। আমরা কুবিয়ানরা বলে দিতে চাই ৯০ দিন না অতি দ্রুত ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।'

Header Ad
Header Ad

কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ঢাকায় নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কুয়েতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগ এবং আগামী ৭ থেকে ৯ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকায় নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।

সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে উভয় পক্ষ কূটনৈতিক, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "কুয়েত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু। এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে হালাল খাদ্য শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। বৈশ্বিক বাজারে হালাল খাদ্যের চাহিদা অনেক বেশি।"

রাষ্ট্রদূত হামাদাহ কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।

উভয় পক্ষ বাংলাদেশে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি বাড়ানো এবং একটি যৌথ উদ্যোগে তেল শোধনাগার স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, কুয়েতকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য আরও ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কুয়েতে বাংলাদেশি সামরিক সদস্যদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের অংশীদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ভারত। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত শর্মার দল। এই জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা জিতল ভারত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং ভালো সূচনা আনলেও ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে চাপে পড়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তবে ডেরিল মিচেলের ৬৩ ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।

জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতকে দারুণ সূচনা এনে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ৮৩ বলে ৭৬ রান করেন। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৮ ও শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৪৯ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ভারত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ
কাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইউরোপের নয়টি দেশের ভিসা প্রসেসিং
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাস শেষের আগেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন
টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগ
ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট ১৪ মার্চ থেকে, শতভাগ অনলাইনে
ছাত্রদলের কর্মসূচির প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
আমার কাছে শাকিবই শাহরুখ খান: অপু বিশ্বাস
মব জাস্টিস যেখানে, গ্রেপ্তার সেখানেই: তথ্য উপদেষ্টা
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি’র বাসা দখল করা ‘সমন্বয়ক’
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ প্রতিরোধে নারীদের কারাতে শেখার আহ্বান চিত্রনায়ক রুবেলের
সারা দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ
আদালতে তোলার সময় ‘ধর্ষক’কে গণধোলাই