শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তিস্তা: দিল্লির কূটনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকাকে ফের বেইজিংমুখী করতে পারে

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি কৌশলী বার্তা পাঠিয়েছেন। বস্তুত বহু প্রতীক্ষিত জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের উপর নির্ভর না করে বেজিংয়ের সহায়তায় একটি বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বেছে নিতে তাকে উৎসাহিত করেছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রকাশক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনও। চীনা রাষ্ট্রদূত তার সফরের প্রথম দিনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখানে নদী ড্রেজিংয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এসেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা প্রকল্পের সময়সীমা নিশ্চিত করার জন্য পরিস্থিতি বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করছেন। আমরা নিশ্চিত যে, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা সম্মত হলে তিস্তা মেগা প্রকল্প খুব শিগগিরই চালু হতে পারে।‘

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই প্রকল্পের ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের (যারা প্রাথমিকভাবে মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল) জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। লি বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বাসিন্দাদের সঙ্গে ওই এলাকায় কয়েকটি বৈঠক করেছেন।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিনি তিস্তার জলবণ্টনের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। প্রতিশ্রুত ওই চুক্তিটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতার কারণে ২০১১ সাল থেকে আটকে আছে।

আন্তঃসীমান্ত নদীর জলবণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে মরিয়া ঢাকা। তিস্তা নদীর তীরে আনুমানিক ৯০,০০০ হেক্টর জমির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা গ্রীষ্মের সময় অব্যবহৃত থেকে যায়। কারণ সে সময় তিস্তায় ভয়ঙ্কর রকম জলের সঙ্কট দেখা যায়। উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্রের উপনদী তিস্তা হিমবাহে উৎপন্ন হয়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপরে তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার জনসমক্ষে বলেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত দ্রুততম সময়ে এই চুক্তিটি শেষ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। পাশাপাশি বাংলাদেশও তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জলের সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্পগুলি খোঁজ করছে।

বহুল আলোচিত বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপ প্রকল্পের মধ্যে থাকবে ডেজিং, জলাধার নির্মাণ, নদী তীরে একটি ব্যবস্থা স্থাপন এবং নদীর উভয় তীরে বাঁধ ও স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ। বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই এই অঞ্চলের কৃষকদের সেচ চাহিদার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে প্রকল্পটিকে উল্লেখ করে থাকে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে, ঢাকা চীনের অর্থ সাহায্যে ১ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাব করেছিল। কারণ ভারতের সঙ্গে চতুর্থ বৃহত্তম আন্তঃসীমান্ত তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি এক দশক দীর্ঘ অপেক্ষা করার পরেও কার্যকর করা যায়নি।

এত বড় প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ভারতকে যে উদ্বিগ্ন করবে তা বলাই বাহুল্য। এর পাশাপাশি চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে হাইড্রো-কূটনীতির ব্যর্থতারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেবে।

নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতের কৌশলগত উদ্বেগও রয়েছে। এই প্রকল্প ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে 'চিকেনস নেকে'র কাছে। উত্তরবঙ্গের খুব কাছে চীনের উপস্থিতি ঘটাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের এই অংশটি কার্যত উত্তর-পূর্বকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ঢাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, প্রকল্প চীনের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে দিলির আপত্তির পর হাসিনা সরকার পরিকল্পনাটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ রেখেছিল।

এই প্রেক্ষাপটে, গত মাসে শেখ হাসিনার সফরের সময় তিস্তার জলের বিষয়ে দিল্লির ব্যর্থতার পরে এই প্রকল্পে ঢাকার নতুন করে আগ্রহের প্রতিফলন হিসেবে চীনের রাষ্ট্রদূতের একটি প্রযুক্তিগত দলের ওই এলাকায় সফরকে দেখা যেতে পারে, ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই এলাকায় রাষ্ট্রদূতের পরিদর্শন, জল উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সরকারি অফিসারের উপস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে যে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে জলের ঘাটতির সমস্যা মোকাবিলায় চীনের সাহায্য নেওয়ার বিকল্পটি নিয়ে কাজ করতে করতে আগ্রহী ঢাকা। তিস্তা প্রকল্পের ফাইল ফের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চলে গেছে বলেও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

সূত্রের মতে, বাংলাদেশে জল যেহেতু একটি আবেগপ্রবণ ইস্যু তাই শেখ হাসিনা সরকার তিস্তা চুক্তির জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করার অবস্থায় নেই। বিশেষ করে যে সরকার আগামী বছর নির্বাচনের মুখোমুখি হবে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশের গবেষকরা তিস্তার শুকিয়ে যাওয়া, কৃষি অর্থনীতি এবং ওই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের ওপর তার প্রভাব নিয়ে সবিশেষ উদ্বিগ্ন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিষয়টির একটি দ্রুত সমাধান আবশ্যক।

বাংলাদেশের জলসম্পদ বিভাগের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চীনা রাষ্ট্রদূতের সফর এবং প্রকল্পটি চালু করার ব্যাপারে তার মতামত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং হাসিনা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার চীনের টোপ গেলা নিয়ে জল্পনা করার সময় আসেনি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো প্রস্তাবিত প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খানিকটা চাপের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই সময় এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশ বহন করতে পারে কিনা, সেটাও একটা বিরাট প্রশ্ন।

বাংলাদেশ তার অর্থনীতির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে আইএমএফ-এর সঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার ঋণের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ২ বিলিয়ন ডলারও চেয়েছে।

আরেকটি সরকারি সূত্র অবশ্য মনে করে, গুরুত্বের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকা তিস্তার জলচুক্তির বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা করতে তৎপর ঢাকা। সেক্ষেত্রে দিল্লির বার্থতার প্রসঙ্গ তুলে হাসিনা সরকারের কাছে বেজিংয়ের সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি তারা।

গত এক দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার এই চুক্তি সম্পাদনে বাধা দিয়েছেন আমেরিকার হিলারি ক্লিনটন ও ন্যান্সি পাওয়েলের নির্দেশে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ যদি চীনের এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে শুধু মমতাই নয়, নরেন্দ্র মোদির মুখের উপরেও যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

 

Header Ad
Header Ad

বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে ঢাকা বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কারের কারণ প্রকাশ করেছেন ক্লাবের বর্তমান প্রেসিডেন্ট নাসির মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ক্লাবের রিভারভিউ লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বেনজীর আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্লাব দখল করে রেখেছিলেন এবং আর্থিক অনিয়মে জড়িত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাসির মাহমুদ বলেন, “বেনজীর আহমেদ কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, জোর করে ক্লাবের সভাপতি পদে বসেছিলেন। সামাজিক সম্মান পেতেই তিনি এই পদে ছিলেন, তবে ক্লাবের নিয়ম-কানুন তিনি মানেননি। এমনকি আমি নিজে তিন বছর ক্লাবে আসার সাহস পাইনি, কারণ তিনি তাঁর প্রভাব খাটিয়ে আমাকে ক্লাবে প্রবেশ করতে দেননি।”

তিনি জানান, ক্লাবের প্রায় ৩২ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে পুনরায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম হুদাবাসিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

নাসির মাহমুদ অভিযোগ করেন, বেনজীরের ভয়ে তিনি ক্লাবে যাওয়া বন্ধ করে দেন, তবে আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। “তিনবার আমি তাঁকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। পরে তিনি বুঝতে পারেন আমি আইনগতভাবে সঠিক পথে আছি এবং তখনই আলোচনায় বসতে চান।”

তিনি আরও বলেন, “ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হয়ে বেনজীর কেউকেটা হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো নিয়ম মানেননি, কোনো রিপোর্ট সাবমিট করেননি। ক্লাবের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল।”

ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি লে. কমান্ডার (অব.) তাহসিন আমিনকেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বহিষ্কার কার্যকর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাও জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত পরীমনি ঘটনার প্রসঙ্গও আসে। এ নিয়ে নাসির মাহমুদ বলেন, “পরীমনি এই ক্লাবের সদস্য ছিলেন না, তিনি অতিথি হয়ে এসেছিলেন। অনুমতি ছাড়াই ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

নাসির মাহমুদ দাবি করেন, বেনজীরের প্রভাব ও চাপের কারণে তাঁরা একসময় প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে নির্বাচনের দাবিতে বারবার নোটিশ দেওয়ার পর ২০২৩ সালের ২৪ জুন নির্বাচনের তারিখ দিতে বাধ্য হন বেনজীর।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নকিব সরকার অপু, মো. জেসমুল হুদা মেহেদী অপু, আসমা আজিজ, এ কে এম আইয়াজ আলী (খোকন), আলীম আল কাজী (তুহিন), খালেদা আক্তার জাহান, মির্জা অনিক ইসলাম প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় ফের ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ১৮ নম্বর আসন এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি ঢাকার উত্তরা এলাকায় সংগঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান।

মিছিলে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এবং ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’—এই ধরনের স্লোগানে রাজপথ কাঁপান।

জানা গেছে, এই ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন।

আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্রনেতা নুর হোসেন তার ফেসবুকে মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, “আজ ১৮/০৪/২৫ ইং তারিখ সকালে উত্তরা ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

এর আগেও গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা প্রধান সড়কে আওয়ামী লীগ একটি হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা হঠাৎ বিক্ষোভ ও মিছিল করে বর্তমান সরকারবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে চলেছেন।

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড