রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তিস্তা: দিল্লির কূটনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকাকে ফের বেইজিংমুখী করতে পারে

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি কৌশলী বার্তা পাঠিয়েছেন। বস্তুত বহু প্রতীক্ষিত জলবণ্টন চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের উপর নির্ভর না করে বেজিংয়ের সহায়তায় একটি বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বেছে নিতে তাকে উৎসাহিত করেছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করে। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রকাশক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনও। চীনা রাষ্ট্রদূত তার সফরের প্রথম দিনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখানে নদী ড্রেজিংয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এসেছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা প্রকল্পের সময়সীমা নিশ্চিত করার জন্য পরিস্থিতি বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করছেন। আমরা নিশ্চিত যে, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা সম্মত হলে তিস্তা মেগা প্রকল্প খুব শিগগিরই চালু হতে পারে।‘

তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই প্রকল্পের ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের (যারা প্রাথমিকভাবে মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল) জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। লি বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বাসিন্দাদের সঙ্গে ওই এলাকায় কয়েকটি বৈঠক করেছেন।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিনি তিস্তার জলবণ্টনের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। প্রতিশ্রুত ওই চুক্তিটি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতার কারণে ২০১১ সাল থেকে আটকে আছে।

আন্তঃসীমান্ত নদীর জলবণ্টন নিয়ে একটি চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে মরিয়া ঢাকা। তিস্তা নদীর তীরে আনুমানিক ৯০,০০০ হেক্টর জমির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা গ্রীষ্মের সময় অব্যবহৃত থেকে যায়। কারণ সে সময় তিস্তায় ভয়ঙ্কর রকম জলের সঙ্কট দেখা যায়। উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্রের উপনদী তিস্তা হিমবাহে উৎপন্ন হয়ে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপরে তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

শেখ হাসিনা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার জনসমক্ষে বলেছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত দ্রুততম সময়ে এই চুক্তিটি শেষ করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। পাশাপাশি বাংলাদেশও তার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জলের সঙ্কট মোকাবিলায় বিকল্পগুলি খোঁজ করছে।

বহুল আলোচিত বহুমুখী তিস্তা নদী ব্যবস্থাপ প্রকল্পের মধ্যে থাকবে ডেজিং, জলাধার নির্মাণ, নদী তীরে একটি ব্যবস্থা স্থাপন এবং নদীর উভয় তীরে বাঁধ ও স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ। বাংলাদেশ সরকার প্রায়ই এই অঞ্চলের কৃষকদের সেচ চাহিদার সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে প্রকল্পটিকে উল্লেখ করে থাকে।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে, ঢাকা চীনের অর্থ সাহায্যে ১ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপায়ণের প্রস্তাব করেছিল। কারণ ভারতের সঙ্গে চতুর্থ বৃহত্তম আন্তঃসীমান্ত তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি এক দশক দীর্ঘ অপেক্ষা করার পরেও কার্যকর করা যায়নি।

এত বড় প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ভারতকে যে উদ্বিগ্ন করবে তা বলাই বাহুল্য। এর পাশাপাশি চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রতিবেশীর সঙ্গে হাইড্রো-কূটনীতির ব্যর্থতারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেবে।

নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতের কৌশলগত উদ্বেগও রয়েছে। এই প্রকল্প ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে 'চিকেনস নেকে'র কাছে। উত্তরবঙ্গের খুব কাছে চীনের উপস্থিতি ঘটাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের এই অংশটি কার্যত উত্তর-পূর্বকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে। ঢাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে যে, প্রকল্প চীনের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে দিলির আপত্তির পর হাসিনা সরকার পরিকল্পনাটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ রেখেছিল।

এই প্রেক্ষাপটে, গত মাসে শেখ হাসিনার সফরের সময় তিস্তার জলের বিষয়ে দিল্লির ব্যর্থতার পরে এই প্রকল্পে ঢাকার নতুন করে আগ্রহের প্রতিফলন হিসেবে চীনের রাষ্ট্রদূতের একটি প্রযুক্তিগত দলের ওই এলাকায় সফরকে দেখা যেতে পারে, ঢাকার একটি সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই এলাকায় রাষ্ট্রদূতের পরিদর্শন, জল উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সরকারি অফিসারের উপস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে যে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে জলের ঘাটতির সমস্যা মোকাবিলায় চীনের সাহায্য নেওয়ার বিকল্পটি নিয়ে কাজ করতে করতে আগ্রহী ঢাকা। তিস্তা প্রকল্পের ফাইল ফের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চলে গেছে বলেও জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।

সূত্রের মতে, বাংলাদেশে জল যেহেতু একটি আবেগপ্রবণ ইস্যু তাই শেখ হাসিনা সরকার তিস্তা চুক্তির জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করার অবস্থায় নেই। বিশেষ করে যে সরকার আগামী বছর নির্বাচনের মুখোমুখি হবে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশের গবেষকরা তিস্তার শুকিয়ে যাওয়া, কৃষি অর্থনীতি এবং ওই অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানের ওপর তার প্রভাব নিয়ে সবিশেষ উদ্বিগ্ন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিষয়টির একটি দ্রুত সমাধান আবশ্যক।

বাংলাদেশের জলসম্পদ বিভাগের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম চীনা রাষ্ট্রদূতের সফর এবং প্রকল্পটি চালু করার ব্যাপারে তার মতামত সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং হাসিনা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকার চীনের টোপ গেলা নিয়ে জল্পনা করার সময় আসেনি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো প্রস্তাবিত প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খানিকটা চাপের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই সময় এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশ বহন করতে পারে কিনা, সেটাও একটা বিরাট প্রশ্ন।

বাংলাদেশ তার অর্থনীতির উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সামলাতে আইএমএফ-এর সঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার ঋণের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে ২ বিলিয়ন ডলারও চেয়েছে।

আরেকটি সরকারি সূত্র অবশ্য মনে করে, গুরুত্বের তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকা তিস্তার জলচুক্তির বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা করতে তৎপর ঢাকা। সেক্ষেত্রে দিল্লির বার্থতার প্রসঙ্গ তুলে হাসিনা সরকারের কাছে বেজিংয়ের সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি তারা।

গত এক দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার এই চুক্তি সম্পাদনে বাধা দিয়েছেন আমেরিকার হিলারি ক্লিনটন ও ন্যান্সি পাওয়েলের নির্দেশে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ যদি চীনের এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে শুধু মমতাই নয়, নরেন্দ্র মোদির মুখের উপরেও যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

 

Header Ad
Header Ad

ভাতা ও চিকিৎসার দাবিতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের রাস্তায় ব্যারিকেড

ভাতা ও চিকিৎসার দাবিতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের রাস্তায় ব্যারিকেড। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতরা রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেন। আহত বেশ কয়েকজন সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন।

সড়ক অবরোধের কারণে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের উভয় পাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অফিস শুরুর মুহূর্তে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষেরা।

রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সও পার হতে দিচ্ছেন না তাঁরা। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতেও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছিলেন আহতরা।

 পঙ্গু হাসপাতালের সামনের উভয় পাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

আহতরা জানান, গত তিন মাস আগেও জুলাই আন্দোলনে আহতরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন। তখন মধ্যরাতে হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা তাদের দাবি–দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সরে যায়। পরে তাঁদের সঙ্গে একটি বৈঠকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে আহতদের স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন, চাকরির ব্যবস্থা, চিকিৎসা ও ভাতা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এরপর এত দিন তাদের কোনো একটি দাবিও সরকার পূরণ করেনি বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন।

আহত আন্দোলনকারীদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের তিনটি দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা সড়কে থেকে সরবেন না। জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তাঁরা। এ ছাড়া প্রত্যেক আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান।

আহতরা বলেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর আন্দোলনে আহতরা টাকা-পয়সা কিছুই চাই না, শুধু সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন চাই। শেখ হাসিনার পতনের পর যে সরকার আমাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি তাদের কাছে আমাদের আর কোনো আস্থা নাই। উপদেষ্টাদের প্রতিও আমাদের কোনো আস্থা নাই। যে কারণে আজকে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

Header Ad
Header Ad

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে । রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১২ মিনিটে শুরু হয় এ মোনাজাত এবং শেষ হয় ৯টা ৩৫ মিনিটে।

মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি ও কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

মোনাজাতে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এ সময় আল্লাহর দরবারে রহমত, মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করেন তারা।

আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ছবি: সংগৃহীত

ইজতেমা ময়দানে আসা মুসল্লিরা চোখের জল ফেলে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তারা নিজেরা যেন সঠিক পথে চলতে পারেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য অটুট থাকে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এসব কামনা করেন।

এদিকে আখেরি মোনাজাত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। শনিবার রাত ১২টা থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল ৩০ জানুয়ারি বাদ মাগরিব। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্ব। ৩ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

Header Ad
Header Ad

লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি

লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ। ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগার পশ্চিমে আল-আকিলা এলাকা থেকে অন্তত ২০ জনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা।

গত বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে দেখা যায়, সাগরপাড়ো লাশ পড়ে আছে। কয়েকটি লাশ সৈকতে দাঁড়ানো একটি ট্রাকে তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থল লিবিয়ার বেনগাজির ব্রেগা (আল বুরিকা) শহরের পশ্চিমে সৈকত।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীর থেকে গত দুদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মৃতদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিমধ্যে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

অভিবাসী উদ্ধার তৎপরতা নজরদারি সংগঠন অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক মাইগ্র্যান্ট রেসকিউ ওয়াচের রব গোয়ানস ২৯ জানুয়ারি এক্স পোস্টে জানান, লিবিয়ার সিআইডি ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস মিলে আল-উকাইলা এলাকার সৈকতে ভেসে আসা আরও দুটি লাশ উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা ২০।

আগের দিন এক পোস্টে তিনি আরও ১১ লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়ে বলেন, নথি পর্যালোচনা করে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৭ জানুয়ারি প্রথম পোস্টে ৭ লাশ উদ্ধারের তথ্য দেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের পরিচালক এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘২০ মরদেহের সব কটি লিবিয়ার ব্রেগা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আজদাদিয়া নামক স্থানে প্রায় গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে কোনো ভ্রমণ দলিলও মেলেনি। ঠিক কবে ভুক্তভোগীরা নৌকাডুবির শিকার হয়েছেন, তা কোনো কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।

এদিকে গত ২৯ জানুয়ারি (বুধবার) লিবিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম আশ-শামস লিবিয়ার অনলাইন পোর্টালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেগার পশ্চিমে আল-আকিলা এলাকার সমুদ্রতীরে একটি নৌকা এবং বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে ৭টি এবং আজ আরও ১১টি মরদেহ পাওয়া গেছে। আরও মরদেহ মিলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভাতা ও চিকিৎসার দাবিতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের রাস্তায় ব্যারিকেড
আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি
সরকারে থেকে দল গঠন করলে জনগণ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের ‘দারিদ্র্য’ নিয়ে প্রতিবেদনে নিজ দেশেরই ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় গণমাধ্যম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‍্যালি’
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত
প্রতিটি ডলারের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী  
সেই ইমনের ব্যাটে চড়েই কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং
সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা দিলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির
নওগাঁয় বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
বই ছাপানোর আগে বাংলা একাডেমি পড়তে দেয়া হাস্যকর : ফারুকী    
ঈদ পর্যন্ত মাকে নিজের কাছে রাখতে চান তারেক রহমান  
মোটরসাইকেলে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল এক তরুনীর দুলাভাই হাসপাতালে  
বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই, জানালো বিসিবি  
ইজতেমায় গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, কুশল বিনিময় করলেন মামুনুল হকের সাথে  
ট্রাম্পের প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে যোগ দিতে কাল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ফখরুল-খসরু  
সাবিনা ইয়াসমীন আইসিইউতে    
ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণা স্তম্ভে’র ছবি, ময়লা ফেললেন প্রেসসচিব  
দেশের পুনর্গঠনে একমাত্র বিএনপি সক্ষম: তারেক রহমান