শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সবিনয় নিবেদন

এই উপমহাদেশে রেলগাড়ির চাকা প্রথম ঘুরেছিল ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে ভারতবর্ষের বোরি বন্দর থেকে, পরে নাম হয় ভিক্টোরিয়া টার্মিনালস। সবশেষে স্টেশনটির নাম হয় ‘ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনালস’। এখন এটি বিশ্ব ঐতিহ্যর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যাত্রা শুরুর সময় একুশ বার তোপধ্বনি করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ইঞ্জিনের নাম ফকল্যান্ড, বগি ১৪টি, আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ৪০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

পণ্য পরিবহনের সুবিধার্র্থে ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রেল কোম্পানি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে ছোট ছোট রেলপথ সেকশন চালু করতে থাকে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ সেকশন ও ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর রানাঘাট থেকে দর্শনা ও পোড়াদহ হয়ে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলপথ সেকশনটিকে চালু করে এবং প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়ার ‘জগতি রেলওয়ে স্টেশন’ যা পূর্ব বাংলার সর্বপ্রথম রেলওয়ে স্টেশন। নদীমাতৃক এই গড়াই সভ্যতায় যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌকা, গরুগাড়ি, ঘোড়াগাড়ি, মষেরগাড়ি, পালকি, ঘোড়া ইত্যাদি- ঠিক তখনই ফকির লালন শাহ্ স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হলো রেলগাড়ি। জগতি স্টেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নৌবন্দর, হাট-বাজার। এখান থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে পাট, আখের গুড়, আম, কাঁঠাল, সবজিসহ সরবরাহ হতে থাকে। গড়ে ওঠে নতুন এক রেলকেন্দ্রিক গড়াই সভ্যতা।

প্রমত্তা গড়াই নদীর উপর রেলসেতু ১৮৬৯ সালে তৈরি হবার পরে গোয়ালন্দ পর্যন্ত সেকশনটি চালু হয় ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ১৮৭৩ সালে ভাষাশিল্পী মীর মশাররফ হোসেন লিখেছিলেন ‘গৌরি সেতু/গড়াই ব্রিজ কবিতা’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই রেলপথ ধরেই ১৮৮৯ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম শিলাইদহে আসেন। ১৮৭৪ থেকে ১৮৭৯ সালে ইশ্বরদীর সাঁড়া থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেকশনটি নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে মিটারগেজে চালু হয়। ১৮৮৪ সালের ১ জুলাই ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলে আসে এবং ১ এপ্রিল ১৮৮৭ সালে তা নর্দান বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ের সাথে একীভূত হয়। পর্যায়ক্রমে ১৯০৯ সালে পোড়াদহ-ভেড়ামারা, ১৯১৫ সালের ১ জানুয়ারি হার্ডিঞ্জ ব্রিজসহ ভেড়ামারা সেকশন, ১৯১৫ সালেই ভেড়ামারা-ঈশ্বরদী এবং ১৯৩২ সালে ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর সেকশনগুলো চালু করে ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়।

ভারতবর্ষে ১৮৫৩ সালের প্রথম রেলগাড়ির স্টেশন ‘ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনালস’ বিশ্ব ঐতিহ্যর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ১৮৬২ সালের ‘পূর্ব বাংলায় প্রথম রেলওয়ে স্টেশন কুষ্টিয়ার জগতি’ আজ অযত্ন অবহেলায় ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে আছে। জগতি স্টেশনে জমির পরিমান আনুমানিক ৩৫০ একরের অধিক, দূরত্ব কুষ্টিয়া শহর থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে। প্রথম ও পুরাতন স্টেশন হিসেবে উন্নয়নের ছোঁয়া একদমই লাগেনি, অথচ স্টেশনটি ঐতিহাসিক! বর্তমানে স্টেশনটি যুগ যুগ ধরে বন্ধের পথে এবং সরকারি জায়গাগুলোও বেহাত হয়ে যাচ্ছে। স্টেশনের গা ঘেঁষে এখনো স্বদম্ভে দাঁড়িয়ে আছে বাষ্পচালিত রেলগাড়ির ব্যবহৃত পানির ট্যাঙ্ক। ইতিহাসের স্বাক্ষী ‘জগতি স্টেশন’কে সংস্কার করে অনায়াসে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভবÑ যা দেখে নতুন প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করবে এবং বাংলাদেশের পর্যটন হবে আরও সমৃদ্ধ।

কুষ্টিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে জানতে পাই-পূর্ব বাংলার প্রথম জগতি রেলওয়ে স্টেশনে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। মানুষের জানা ও দেখার আগ্রহ প্রচুর। আমাদের জোর দাবি কুষ্টিয়াতে ‘বাংলাদেশে প্রথম রেলওয়ে স্টেশন জগতি’ পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করার। নতুন প্রজন্ম জানবে, দেখবে, বুঝবে; আর গর্বে তাদের বুক ফুলে উঠবে।

‘আমাদের ঐতিহ্য আমরা বাঁচাতে চাই’। 

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক

 

 

Header Ad
Header Ad

সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার পশ্চিম সুন্দরবনের বাদুজুলি খালের একটি গাছের ডাল থেকে এক বৃদ্ধা নারীকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় কাঁকড়া শিকারী জেলেরা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের আলমগীর খাঁ ও রহমান গাজী নামের দুই জেলে সুন্দরবন থেকে ফেরার পথে ওই নারীকে দেখতে পান এবং উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধার বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। নিজের নাম শুকুরুন নেছা এবং স্বামীর নাম গফফার বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার একটি ছেলে রয়েছে, যার নাম রফিকুল। তবে তিনি ঠিকানা বা বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। এলাকাবাসীর ধারণা, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

উদ্ধারকারী জেলে আলমগীর ও রহমান জানান, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ফেরার সময় বাদুজুলি খালের পাশে একটি গাছের ডালে বৃদ্ধাকে শুয়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম মাছুদুল আলম জানান, উদ্ধার হওয়া নারী বর্তমানে অসুস্থ। স্থানীয়ভাবে তার দেখভালের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তার পরিবারের সন্ধান করার চেষ্টা চলছে।

বৃদ্ধা কীভাবে সুন্দরবনের গভীরে গেলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে এবং তার পরিবারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) 'বিপ্লবী ঐক্যজোট' এর উদ্যোগে মাগুরায় ধর্ষণের ঘটনায় নিহত শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শতাধিক ছাত্র-জনতা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং আছিয়ার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

ছাত্রদের দাবিতে উল্লেখ করা হয়, আছিয়া ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। এছাড়া, এ যাবৎ কালের সকল ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হান্নান রাহিম বলেন, “যারা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তারা এখনো মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ যারা মজলুম, তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড হিসেবে দ্রুত কার্যকর করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের প্রায় তেত্রিশ হাজার মামলা এখনো ঝুলে আছে। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই যেন কোনো ধরনের টালবাহানা না করে দ্রুত এসব মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।”

অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, “আছিয়ার এই বর্বরোচিত ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে আমরা স্তব্ধ! সারা বাংলাদেশের মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে। আমরা অভিশাপ দেই, যারা আছিয়ার পৃথিবীকে জাহান্নাম বানিয়েছে। তাদের দুনিয়া ও আখিরাত যেন জাহান্নামে পরিণত হয়।”

উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু আছিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (১৩ মার্চ) বেলা একটার দিকে ঢাকার সিএমএইচ-এ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

Header Ad
Header Ad

গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরো সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি (এএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব লাশ উদ্ধার করেন। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৫২৪ জনে।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

ফিলিস্তিনিদের এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ
৩ ম্যাচ পর মাঠে ফিরেই মেসির দুর্দান্ত গোল, কোয়ার্টারে ইন্টার মিয়ামি (ভিডিও)
মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না: তারেক রহমান
ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে সই করলেন প্রেসিডেন্ট
বিরামপুরে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, আজ পাওয়া যাচ্ছে ২৪ মার্চের টিকিট
ড. ইউনূস ও গুতেরেসের কক্সবাজার সফর আজ, ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে
ঢাকা বশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন
আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত