সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বজ্রপাতের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, বন্যা, খরা, তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি, নদীভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও মরুকরণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশের নিত্যদিনের সঙ্গী। হালে যোগ হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত বজ্রপাত। যদিও বজ্রপাত দেশে সব সময়ই ঘটছে, তবে সম্প্রতি সেই সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। আগে আমরা বজ্রপাত ঘটতে দেখেছি মৌসুমভিত্তিক। বিশেষ করে বর্ষা ও কাল বৈশাখী মৌসুমে একটু বেশি লক্ষ করেছি। সম্প্রতি বজ্রপাতের হার সেই তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বছরের যেকোনো সময় সামান্য মেঘ জমলেই কিংবা ঝড়ের পূর্বাভাস দেখা দিলেই বজ্রপাত হচ্ছে। সে এক ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে ওই মুহূর্তে। এতে বিপুল প্রাণনাশের সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে।

গবেষণায় জানা গেছে, বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে তিন মাসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৫টি বজ্রপাত আঘাত হানে। মূলত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে বেশি বজ্রপাত ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তারা জানিয়েছেন, ভারতের খাসিয়া পাহাড় ও মেঘালয়ে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত মেঘ জমতে থাকে। জমা হওয়া মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে ওই এলাকায় অর্থাৎ সুনামগঞ্জে বজ্রপাত বেশি ঘটছে। তাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি সর্বসাধারণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আকাশে সামান্য মেঘ দেখলেই কৃষক অথবা খেটে খাওয়া মানুষ ঘরমুখী হতে চেষ্টা করেন। আর যারা দূর হাওর-বাওড়ে কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তারা তখন ভীষণ বিপাকে পড়ে যান। ফলে তারা যখন-তখন দুর্ঘটনার শিকার হন। তেমনি গত ১৮ জুন, ২০২২ সালে গণমাধ্যম মারফত জানা যায়, ১০ জেলায় (১৭ জুন, শুক্রবার) বজ্রপাতে ১৬ জনের মুত্যৃর সংবাদ।

এভাবে দেশে প্রায় প্রতিনিয়তই আমরা বজ্রপাতে মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারছি; যা সত্যিই দুঃখজনক। বিষয়টি মাথায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন অধ্যাপক জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে বজ্রপাতের মূল কারণ ভৌগলিক অবস্থান। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরের পরেই ভারত মহাসাগর। সেখান থেকে গরম আর্দ্র বাতাস বাংলাদেশের ওপরে ভেসে আসছে। অন্যদিকে উত্তর থেকে হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস ধেয়ে আসছে। এ দুই ধরনের বাতাসের সংমিশ্রণ বজ্রপাতের জন্য অনুকূল হওয়ায় বাংলাদেশে ব্যাপক বজ্রপাত ঘটছে।’

তবে যেভাবেই বজ্রপাত হোক না কেন, তাতে জানমালের প্রচুর ক্ষতি সাধিত হচ্ছে এটিই সত্যি কথা। বিশেষ করে বজ্রপাতে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। কারণ মাঠ-প্রান্তরে, জলাশয়ে, কিংবা রাস্তাঘাটে পুরুষের অবস্থান নারীদের তুলনায় বেশি হওয়ায় দুর্যোগের কবলে তারাই বেশি পড়ছেন। ফলে সংসারের উপার্জনক্ষম মানুষকে অকালে প্রাণ হারাতে হচ্ছে, তাতে পরিবারটিকে ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মোতাবেক জানা যায়, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এক দশকে মোট ২ হাজার ৭৮৫ জন বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর অঞ্চলে বেশি বজ্রপাত ঘটেছে। আবার কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে বেশি বজ্রপাত ঘটছে। ২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বজ্রপাতে একসঙ্গে ১৩ জনের মৃত্যুর খবরও আমরা জানতে পেরেছিলাম। সেই বজ্রপাতটি ঘটেছে তা-ও কিনা আগস্ট মাসে। তাতে প্রতিয়মান হয় বজ্রপাত এখন আর মৌসুম ভিত্তিতে হচ্ছে না। বছরের যেকোনো সময় আঘাত হেনে প্রাণহানি ঘটাচ্ছে।

অতিরিক্ত বজ্রপাত ঘটার জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকেও দায়ী করা হচ্ছে। যে হারে বৃক্ষনিধন ও কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বাড়ছে তাতে বায়ুমণ্ডলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ফলে পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া বজ্রপাতের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। এই বৈরি আবহাওয়াকে এখন বজ্রপাতের অনুকূলে নয়, মানুষের অনুকূলে আনতে হবে বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে। বড় বড় গাছ-গাছালি লাগিয়ে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে, তাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ বজ্রপাত ঘটার সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশেষ করে মাঠ-প্রান্তরসহ রাস্তার দুই ধারে তালগাছ লাগাতে হবে বেশি বেশি।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, তালগাছ হচ্ছে প্রকৃতির বজ্রনিরোধক। তাই কাজটি করতে হবে আমাদের এখনই। কারণ একটি তালের চারা রোপণের ১৪-১৫ বছর পর সেটি বজ্রনিরোধক হিসেবে কাজ করতে সক্ষম হয়। শুধু তালগাছ রোপণই নয়, পাশাপাশি বজ্রনিরোধক লাইটপোস্টে সিমেন্ট ব্যবহার করে টানিয়ে দিতে হবে। যেটি নেপালেও করা হয়েছে। আমাদের দেশেও বিজিবি ক্যাম্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলোকে বলা হয় ‘লাইট মিনার স্টার’। যা ব্যবহার করা যেতে পারে মাঠ-প্রান্তরেও। এটির ব্যবহার খুব সহজ, অর্থকড়িও তেমন খরচ হয় না।

আশার কথা হচ্ছে, হাওর এলাকায় কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকার। শেল্টারে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রও স্থাপন করা হবে। আবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষকদের সতর্ক বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হবে। নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ এটি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বৃটিশ শাসনামলে এক ধরনের চৌম্বকীয় পিলার পুঁতে রাখা হয়েছিল দেশের মাঠ-প্রান্তরে কিংবা রাস্তার পাশে। সেগুলোর গায়ে খোদাই করে লেখা ছিল ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বেশি পুঁতে রাখার কারণে অনেকের কাছে এগুলো ‘সীমান্ত পিলার’ নামে পরিচিত। বোতল আকৃতির ওজনদার সেই পিলার বজ্রনিরোধকের কাজে ব্যবহৃত হতো; কয়েক বর্গকিলোমিটার সুরক্ষাও দিত। পিলারের আশপাশে বজ্রপাত ঘটলেও মানুষের তেমন ক্ষতি হতো না। অথচ অসাধুরা লোভের বশবর্তী হয়ে সেই পিলারগুলো তুলে সীমান্তবর্তী দেশে পাচার করে দিচ্ছে।

শেষ কথা হচ্ছে, চৌম্বকীয় পিলার হারিয়ে আমাদের চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে সবাইকে সাহসের সঙ্গে, ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে। দেশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এর থেকে উত্তরণের জন্য। বিশেষ করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যুবসম্প্রদায় ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধ করতে। সোজা কথা, দেশের আনাচে-কানাচে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। একযোগে লাখ লাখ তালের চারা রোপণ করতে হবে দেশে। তবেই বজ্রপাত থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। অর্থাৎ বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে ছায়া শীতল রাখতে হবে দেশটাকে। আমাদের জানতে হবে এবং জানাতে হবে যে, গাছ শুধু জলবায়ু পরিবর্তন রোধেই ভূমিকা রাখে না, এটি বজ্র প্রতিরোধকও। সুতরাং গাছ লাগিয়ে দেশ বাঁচাই, নিজে বাঁচি অক্সিজেন ফ্যাক্টরি গড়ে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও জলবায়ু বিষয়ক কলামিস্ট

এসএন 

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২