শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ, কপ-২৬ পরবর্তী প্রসঙ্গে একটি মূল্যায়ন

গত বছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ বিশেষ কারণেই অন্য যেকোনো বারের কপ সম্মেলন থেকে আলাদা। জলবায়ু পরিবর্তনে এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মহল প্রতিশ্রুতির চেয়ে সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। তারা বুঝাতে চেয়েছেন তর্কবিতর্ক অথবা শুধুমাত্র ডায়লগ কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত না হলে এই সম্মেলন ব্যর্থতায় পরিণত হবে।

পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর প্রতিনিধিদের কাছ থেকেও আমরা শুনেছি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতোমধ্যেই কিভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং কিভাবে তাদের জীবন ও জীবিকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে যে প্রশ্নটি সর্ব মহলে উত্থাপিত হচ্ছে, বিস্ময়ের সঙ্গে যে প্রশ্নটি আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে তা হল, কপ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের প্রতিশ্রুতির পরিবর্তে সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করার ঐক্যমত, বিশ্বজুড়ে আলোচিত জলবায়ু পরিবর্তন ও দক্ষিণ মেরুর এমন পরিস্থিতি দেখেও ‘আমরা তাহলে কী করছি?’

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর আন্তঃসরকারি প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি এর সর্বশেষ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কপ-২৬ এ অভিযোজন এবং এর অর্থায়নের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সুনির্দিষ্ট একটি কমিটি প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়ে রিপোর্ট করবে এবং ২০২৪ সালে আবারও আলোচনা হবে।

কপ-২৬ জলবায়ুর দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতির সাক্ষী হয়ে থাকবে। যার পরিমাণ প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেইসঙ্গে আরও ২৩২ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতিও থাকছে। আর এই তহবিল গঠিত হবে সব উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের নিজস্ব অর্থায়নে।

বাংলাদেশের জন্য গত বছরের কপ-২৬ সম্মেলন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বলেছে যে, যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে সেসব রাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সেই সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমানোর পক্ষে বার্ষিক ১.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুত তহবিল গঠনের জন্য এবং এর অর্ধেক অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বরাদ্দ করার বিষয়ে উন্নত দেশগুলোকে আহ্বান জানায়। সিভিএফ এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রমাগত উন্নত দেশগুলোকে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি প্রদানের মাধ্যমে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করছে।

এ ছাড়াও ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব ভাগাভাগি করার বিষয়েও বাংলাদেশ গ্লোবাল ফোরামে গুরুতারোপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম সক্রিয় দেশ হয়ে উঠেছে।

বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ০.৩৫ শতাংশেরও কম অংশ বাংলাদেশের, তবুও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।

কপ-২৬ বাংলাদেশের এবং এখানকার শিশুদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার সেরা সুযোগ। হয়ত সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই চূড়ান্ত সুযোগ। যেহেতু পুরো পৃথিবী কোভিড-১৯ মহামারি থেকে ভালোভাবে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তাই এবার আমাদের সবাইকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার এই ঐতিহাসিক সুযোগটি কাজে লাগাতে হবে।

এই সমস্যা থেকে উত্তরণ করতে চাইলে বা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাইলে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। শুধুমাত্র ক্ষতি সাধন করে এমন বিষয় নয়, যা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করতে পারে তা নিয়েও ভাবতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ বা বিসিসিএসএপি এর উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু মোকাবিলার বিষয়টি জোরদার করেছে। সিসিএসএপি বিশেষভাবে ছয়টি কৌশলগত ক্ষেত্র নির্ধারণ করে কাজ করছে। সেগুলো হলো— খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাপক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, প্রশমন এবং কম কার্বন নিঃসরণ। এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ৪৪টি প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

বাংলাদেশ এমন একটি মধ্যপন্থী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে, যার মূল বিষয় হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। সে হিসেবে সবার বিশেষ করে জাতিসংঘে ব্যাপক নির্ভর করে। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিক ভাষার সর্বোত্তম ব্যবহার করে বাংলাদেশ লক্ষণীয় প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। বাংলাদেশের উচিত ‘সমান পরামর্শ, পারস্পরিক সুবিধা এবং অভিন্ন উন্নয়নের ভিত্তিতে এই বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করা। বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

২০১৮ এর ১৪ মে মন্ত্রিসভা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রালয়’ হিসেবে ঘোষণা করে। এটি ছিল লক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিক অধিভুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা লক্ষণীয়।

উন্নত দেশগুলোকে ওয়াদাকৃত এক বিলিয়ন ডলারের তহবিল স্থাপনে রাজি করার জন্য বাংলাদেশের উচিত অবিরামভাবে অ্যাডভোকেসি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সিভিএ এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশকে অতীতের মতো একই বার্তা উন্নত দেশগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে পরিচ্ছন্ন ও সবুজায়ন প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিতে হবে। সারা পৃথিবী জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের কল্যাণে বাংলাদেশকে অবশ্যই সমর্থন দিয়েই যেতে হবে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার, অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ

আরএ/

Header Ad
Header Ad

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই নারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব জুরাইনের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই ২ শিক্ষার্থী হলেন- ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা।

ডিবি জানায়, ওই দুই নারী শিক্ষার্থী জুরাইন আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের হোল্ডিং একটি ভবনের ২য় তলায় ২ দিন আগে বাসা ভাড়া নেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

এর আগে পারভেজ হত্যার ঘটনায় দুই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে পারভেজ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি মো. মাহাথির হাসান আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আলোচিত এই মামলায় মোট দুই আসামি জবানবন্দি দিল। এর আগে দায় স্বিকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন আরেক আসামি আল কামাল শেখ।

Header Ad
Header Ad

আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন রাজনৈতিক শক্তি মাঠে এলেও বিএনপির কোনো আপত্তি নেই উল্লেখ করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির 'রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি' বিষয়ক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুমিন বলেন, “আমরা যখন দেখি কেউ রাজনীতি করতে চায়, স্বচ্ছ পথে সামনে আসতে চায়, তখন তাদের স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে একসময় সব দল নিষিদ্ধ ছিল, কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারত না। সেই অন্ধকার থেকে দেশকে বের করে এনেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে যখন দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য আর লজ্জা নিবারণের জন্য নারীকে জাল পরতে হতো, তখন বাংলাদেশকে বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেখান থেকে রেমিট্যান্স, কৃষি ও গার্মেন্টসে বিপ্লব ঘটিয়েছেন জিয়া। আর সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।”

বর্তমান সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে রুমিন বলেন, “যে সরকার সুপ্রিম কোর্টের একটি অর্ডারে ‘দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নেওয়ার’ দায়িত্ব পেয়েছে, তারা কীভাবে রাষ্ট্রীয় সব সিদ্ধান্ত নেয়? এই সরকার অনির্বাচিত, জনভিত্তিহীন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জানে, তাদের স্থায়িত্ব নেই।”

তিনি বলেন, “যদি দলীয় সরকার হতো, তাহলে তার কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটা জবাবদিহিতা থাকত। এই সরকারের ক্ষেত্রে সেটা নেই বলেই পুলিশও নিরুৎসাহিত।”

নির্বাচনের সময় ও অবস্থান নিয়ে সরকারের টালবাহানার সমালোচনা করে বলেন, “ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি, জুন—কখন হবে নির্বাচন, কেউ জানে না। এটা প্রমাণ করে সরকার নিজের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত নয়।”

কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “আমাদের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবই। আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, সেটা যেকোনো মূল্যে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল। আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, অধ্যাপক মোরশেদ হাসান, ডা. মওদুদ হোসেন পাভেল, সাত্তার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট শারমিন ফারহানা পুতুল প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা

পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে চাপে পড়েছে সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর এক জওয়ান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৩ এপ্রিল), ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিএসএফ-এর ১৮২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পিকে সিং ভুলবশত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স।

জানা গেছে, সামরিক পোশাকে এবং রাইফেলসহ সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় তিনি স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করছিলেন। সে সময় অসাবধানতাবশত তিনি সীমান্তের ওপারে চলে যান।

তাকে ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। আলোচনার মাধ্যমে জওয়ানকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার জেরে ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে, পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আওতায় ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, ওয়াগাহ সীমান্তে চলাচল বন্ধ, দ্বিপাক্ষিক সব চুক্তি স্থগিত, এবং বিনা ভিসার সব সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো এক কড়া ভাষার বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত যদি সিন্ধু নদের পানির প্রবাহ ব্যাহত করে, তাহলে তা ‘যুদ্ধের উসকানি’ হিসেবে দেখা হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই দুই নারী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
আমাদের মধ্যে হিংসা নেই, আমরা আওয়ামী লীগ নই: রুমিন ফারহানা
পাকিস্তানে ঢুকে আটক বিএসএফ জওয়ান, দু’দেশের সীমান্তে ফের উত্তেজনা
টাঙ্গাইলে ফাঁকা গুলি ছু‌ড়ে ৭৮ লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার ২
পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত