শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এটি কী করোনার লার্নিং লস নাকি মৌলিক জায়গাতেই সমস্যা?

জুন (২০২২) মাসের ২৭, ২৮ ও ২৯ তারিখ খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেছি, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে কথা বলেছি ও ক্লাস নিয়েছি তাদের অবস্থা বোঝার জন্য। একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখলাম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘Tag Question’ এর ওপর ক্লাস নিচ্ছেন এবং বোর্ডে শিক্ষার্থীদের এই বাক্যগুলো লিখে দিয়ে বলছেন যে, এগুলোর Tag Question তৈরি কর। (i) Everybody loves them----? (ii) the mother rose in her----(iii) He is a presenter----(iv) How nice the school is---- (v) There is little water in the field---?

দেখলাম কোনো শিক্ষার্থীই করতে পারছে না। কেউ কোনো কথাও বলছে না, শিক্ষককে কিছু জিজ্ঞাসাও করছে না। শিক্ষক শুধু বলছেন যে, এগুলো কর। বাক্যগুলো লেখার পর সেগুলো নিজের পড়তে হয়, শিক্ষার্থীদের দ্বারা পড়াতে হয়। তারপর একটি দুটি উদাহরণ দিয়ে একই ধরনের বাক্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের এক্সারসাইজ করানো উচিত। তা না হলে কেউ বুঝবে না। পরে আমি একই ধরনের বাক্য দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি Tag Question করানোর চেষ্টা করলাম। কয়েকজন শিক্ষার্থী পেরেছে, সবাই তখনও পারেনি। বুঝলাম এ ধরনের প্রাকটিস শ্রেণিকক্ষে করানো হয় না। করালে প্রায় সব শিক্ষার্থীই মোটামুটি বিষয়টি আয়ত্ত্ব করতে পারত।

অন্য একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে গেলাম। এ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোভিডের সময় অষ্টম শ্রেণিতে ছিল। তাদের জিজ্ঞেস করলাম অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি বইয়ে কি কি পড়েছ। কেউ বলতে পারল না। আমি যখন বললাম , নকশীকাঁথা পড়েছ কিনা। তখনই বলল যে পড়েছে। নকশীকাঁথা প্রবন্ধের অধিকাংশ বাক্যই Passive Voice-এ লেখা। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে শোনার জন্য বহু চেষ্টা করলাম, কেউ বলতে পারল না। অবশেষে আমি বলে দিলাম। তারপর এই বাক্যটি বোর্ডে লিখলাম ‘Nakshikantha is sold outside the country’ শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করলাম এটি Active form এ নাকি ‘Passiv form’এ আছে। ওরা বললো Active form এ আছে। বললাম তাহলে এটিকে passive কর। যেহেতু বিষয়টি চিনতেই পারেনি, কিভাবে করবে? একই ধরনের আর একটি বাক্য দিলাম Medicine is sold in this shop. বললাম এটি Active form এ নাকি ‘Passiv form’এ । একই ধরনের উত্তর দিল। পরে বললাম আমাদের ক্লাসে ৮৮ জন শিক্ষার্থী আছে- এই বাক্যটি ইংরেজিত বলতে। একজনমাত্র বললো class ten student 88. এই হচ্ছে শিক্ষার বাস্তব চিত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষায় যখন দেখি যে, ৮ শতাংশ কিংবা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয় বাকিরা অকৃতকার্য তখন, অনায়াসে বুঝতে পারি শিক্ষার প্রকৃত চিত্র এটিই।

একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে গেলাম। গিয়ে দেখলাম শিক্ষক ‘narration’ পড়াচ্ছেন। শিক্ষক মোটামুটি ইংরেজি বলছেন যেটি একটি ভাল দিক কিন্তু ‘narration’ পড়াচ্ছেন পুরো পুরানা স্টাইলে। ‘direct speech’ কাকে বলে, ‘indirect speech’, কাকে বলে, একটি থেকে আর একটিতে পরিবর্তনের প্রচুর নিয়মাবলী পড়াচ্ছিলেন, নিয়ম কানুন ব্যাখ্যা করছেন কিন্তু কোনো এক্সারসাইজ করতে দেননি। শিক্ষক যেভাবে তার ছাত্রজীবনে narration --- পড়েছেন তার শিক্ষকদের কাছে, এখন এসব পড়ানোতে অনেক পরিবর্তন এসেছে, নিয়ম মুখস্থ’ করানোর চেয়ে সরাসরি বাক্য ও পরিবর্তন করে দুটির মধ্যে তফাৎ দেখানো এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কি পরিবর্তন হয়েছে, কেন পরিবর্তন হলো ইত্যাদি বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই শুনতে হয়। এভাবে তাদের এনগেজ করতে হয় এবং তাদের চিন্তা করার সুযোগ দিতে হয়। বুঝা গেল এসব বিষয় শিক্ষকের অজানা এবং এ ধরনের পড়ানোর সঙ্গে তার পরিচিতি নেই। একই অবস্থা করোনার আগেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেছি। তাহলে এটিকে কি আমরা করোনার লানিং লস বলব, নাকি বেসিক জায়গাতেই সমস্যা বলব নাকি আধুনিক উপায়ে গ্রামার পড়ানো বা ল্যাংগুয়েজ পড়ানোর সমস্যা বলব? যাই বলিনা কেন, সমস্যা আছেই।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় ১৮ মাস সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান বন্ধ ছিল। তবে বন্ধের ওই সময়ে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে ক্লাস নেওয়াসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের শেখানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা ছিল। যদিও এসব কার্যক্রমে সব এলাকার সব শিক্ষার্থী সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কতটুকু শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা নিরূপনের উদ্যেগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য ’বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট’ বা বেডুর মাধ্যমে একটি গবেষণা করানো হয়। এটি একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে কী মাত্রায় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা উঠে এসেছে এই গবেষণায়। এসব শিক্ষার্থী এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে। তারা ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। দৈবচয়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ছয় হাজার শিক্ষকের ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ওই তিন বিষয়ে অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ ছাড়া এ তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি সম্পর্কে শ্রেণিশিক্ষকের মতামত নেওয়া হয়। মাত্রা বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতিকে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চ---এ তিন ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। এটিও একটি ভালো দিক। অনলাইন পরীক্ষায় যেসব প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি না পারাকে উচ্চ মাত্রার শিখন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ৫০ থেকে ৫৯ শতাংশ না পারাকে মধ্যম মাত্রার শিখন ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়েছে।

গবেষণার তথ্য বলছে বাংলায় ৩১শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যম মাত্রায় ও ২৪শতাংশের উচচমাত্রায় শিখণ ঘাটতি রয়েছে। বাংলায় স্বল্প মাত্রায় শিখন ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থী ২৫ শতাংশ। ইংরেজিতে মধ্যম মাত্রায় শিখন ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮শতাংশ, উচ্চমাত্রায় ১৮ শতাংশ এবং স্বল্প মাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে ২০ শতাংশের। গণিতে মধ্যম মাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর, উচ্চমাত্রার ক্ষেত্রে এই হার ৩৯ শতাংশ এবং স্বল্প মাত্রার ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ। সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে তিনটি বিষয়েই বেশি শিখন ঘাটতি দেখা গেছে। খুলনা ও রংপুর বিভাগের শিখন ঘাটতির মাত্রা সবচেয়ে কম। জেলা বিবেচনায় তিনটি বিষয়েই রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ মাাত্রায় শিখন ঘাটতি শিক্ষার্থী চিহ্নিত হয়েছে। ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে গ্রাম ও শহরভেদে শিখন ঘাটতির মাত্রায় বেশ ভিন্নতা রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে উচ্চমাত্রার শিখন ঘাটতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীর হার শহরে সর্বোচচ ৩৬ শতাংশ এবং গ্রামে সর্বোচচ ৪৩ শতাংশ। সমতলের চেয়ে পাহাড়, উপকুল, চর, হাওড় অঞ্চলে বেশি শিখন ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ ধারার শিক্ষার্থীদের চেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মধ্যম ও উচ্চ মাত্রার শিখন ঘাটতি পূরনে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার, অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে একটি বিষয় হচেছ, যখন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ছিল তখন এসব মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছিল যা প্রশংসার দাবি রাখে। তারপরেও নানা সীমাবদ্ধতা, অসংগতি ও অনভিজ্ঞতার কারণে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীই এর দ্বারা উপকৃত হয়েছিল। যদিও শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের জোড়ালো যুক্তিছাড়া বার বার বলা হতো যে, প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের আওতায় এসেছে। এটি নিয়ে কার্যকর একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত, যদি সরকার সেভাবে চাইত। সেটি কিন্তু হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু গবেষণা করেছেন বা সার্ভে হয়েছে— যার ফল খুব হতাশাজনক। সেই বাস্তবতায় টেলিভিশনের ক্লাস কতটা কাজ দেবে সেটি আবারও ভেবে দেখা প্রয়োজন। তবে, ইউটিউবে কিছু ভিডিও ছেড়ে দিলে যার যখন প্রয়োজন সেটি দেখে নিতে পারবে। এই যুক্তিটি খারাপ নয়। টেলিভিশনে চলতে পারে। তবে, সবচেয়ে জোর দিয়ে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে, নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষেই সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। যেসব বিষয় বেশি কঠিন ও শিক্ষার্থীরা সমস্যা বেশি ফেস করে সেসব বিষয়গুলোতে, বাকিগুলোতেও কমপক্ষে একদিন অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। সেজন্য শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের তরফ থেকে, অভিভাবকদের কাছ থেকে এবং সরকারি তরফে কিছু ফি প্রদান করতে হবে।

সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে ২০২৩ সালেও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের সামনে রেখে গবেষণাটি করা হয়, যাতে চিহ্নিত ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাই। করোনা মহামারির জেরে দেশের সব পর্যাযের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হয়েছে। মহামারিকালে অষ্টম শ্রেণির অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মধ্যম উচ্চমাত্রায় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বাকি বিষয়গুলোতেও কিন্তু তাদের অবস্থা ভালো নয়। সার্বিক ঘাটতি পূরনের নিমিত্তে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

লেখক: কান্ট্রি ডিরেক্টর-ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব) এবং প্রেসিডেন্ট- ইংলিশ টিচার্স এসোসিশেয়ন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)
সাবেক বিশেষজ্ঞ-ব্র্যাক শিক্ষা ও সাবেক শিক্ষক-ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবি।

ইমেইল: masumbillah65@gmail.com

আরএ

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত