শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উপসর্গহীন রোগী কোভিড ছড়াচ্ছেন

অনেকের করোনার কোনো রকম উপসর্গ ছিল না। ওরা হাসপাতালে এসেছিলেন অন্য নানা অসুখ নিয়ে। কিন্তু ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সব জেলা মিলিয়ে ২৮টি সরকারি হাসপাতালে ৪০০ জন করে আসা এমন মোট ১১ হাজার ২০০ জন তথাকথিত অ-করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের একটা বড় অংশেরই কোভিড হয়েছে।

এই ফলাফল পাওয়া গেছে পঞ্চম দফার সেন্টিনেল সার্ভেতে। বাংলার সব জেলায় ৬-৮ জুলাই হওয়া ওই সার্ভেতে দেখা যায়, গোটা রাজ্যে ছেয়ে রয়েছে এমন উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভে। এই সার্ভেতে দেখা গেছে, অন্তত নয়টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ৫-১০ শতাংশ এবং ১১টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ বা তার বেশি, যার মধ্যে দুটি জেলার পজিটিভিটি রেট আবার ২০ শতাংশ বা তার বেশি। অথচ এক পক্ষকাল আগেও, চতুর্থ সেন্টিনেল সার্ভেতে পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি পজিটিভিটি রেট ছিল না একটি জেলাতেও।

বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এর থেকে ভালো-মন্দ দু'টি বিষয়ই উঠে আসে। মন্দ দিকটা হল— সরকারিভাবে এখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা যা, তা আসল সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই কম। সারা বাংলায় অনেক বেশি মানুষ রয়েছেন, যারা কোভিড পজিটিভ হয়েও উপসর্গহীন। ভালো দিকটা হল— তেজ কমিয়ে আর পাঁচটা সংক্রমণের মতো করোনাও যে থেকে যাবে জনগোষ্ঠীতে এবং তাতে অসুস্থতা তেমন ভয়াবহ হবে না, এই সেন্টিনেল সার্ভের পরিসংখ্যান তারও ইঙ্গিতবাহী।

উপসর্গ নেই, এমন করোনা রোগী কেমন অনুপাতে লুকিয়ে রয়েছে জনগোষ্ঠীতে, তা জানতেই ১৫-২০ দিন অন্তর ২৩টি জেলা ও পাঁচটি স্বাস্থ্যজেলা মিলিয়ে জেলা সদর বা মেডিক্যাল কলেজ স্তরের মোট ২৮টি হাসপাতালে সেন্টিনেল সার্ভে করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই সব হাসপাতালে আসা এমন রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়, যাদের করোনার কোনো উপসর্গই নেই। অথচ পরীক্ষা করলে অনেকেরই ধরা পড়ছে করোনা।

চিকিৎসকরা বলছেন, এর দুটো দিকই সত্যি। একদিকে যেমন সংক্রমণটা উপসর্গ ছাড়াই বিপুলভাবে রয়ে যাচ্ছে জনগোষ্ঠীতে, তেমনই আবার সংক্রমিত হয়েও অনেকেই করোনার উপসর্গে কাবুও হয়ে পড়ছেন না। মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, ‘যাদের উপসর্গ থাকছে, তাদের সিংহভাগেরই অসুস্থতা এতটাই মৃদু যে অধিকাংশ মানুষ টেস্টই করাচ্ছেন না। ফলে সংক্রমিতের আসল সংখ্যাটা ধরা পড়ছে না কোভিড বুলেটিনে। আর যারা উপসর্গহীন, তারা শুধু শুধু টেস্ট করাবেনই বা কেন? এরা সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন বটে, তবে ঝাঁঝ বেশ কম।’ একমত ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ জোয়ারদার। তার কথায়, ‘সেন্টিনেল সার্ভে জানান দিচ্ছে, জনগোষ্ঠীতে ভাইরাসের উপস্থিতি যথেষ্ট বাড়লেও তা আমাদের বিপদের মধ্যে ফেলেনি। আক্রমণের ধার যে কমেছে, তা তো বলাই যায়।’ তার মতে, ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি মানুষের টিকা নিয়ে নেওয়া, বুস্টার ডোজ এবং গত আড়াই বছরে এক বা একাধিকবার কোভিডে আক্রান্ত হয়। সব মিলিয়ে জনগোষ্ঠীতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত টানা তিন দিন তিন হাজারের দোরগোড়ায় থাকার পর সোমবার দু'হাজারের নিচে নেমে এল। কিন্ত রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দেনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, একই ভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। তাই দৈনিক আক্রান্ত কমলে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, দীর্ঘ ছ'মাস পর দৈনিক সংক্রমণের হার আবার ২০ শতাংশের উপর উঠল। এটি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে কোভিডবিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা । গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের করা কোভিডের ‘সেন্টিনাল সার্ভে’ রিপোর্ট। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীদের পরীক্ষা করে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সংক্রমণ নিঃশব্দে বাড়ছে কি না, তা বুঝতেই এই সমীক্ষা। তাতে দেখা গেছে, রাজ্যের ১১টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের উপর। তার মধ্যে রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, নন্দীগ্রাম স্বাস্থভেলা, পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিং ও কলকাতা । সোমবার রাঙা দফতর প্রকাশিত কোভিউ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৮ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আত্রান্ত হয়েছেন ১৯১৫ জন। এখন পর্যন্ত কোভিড নেট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৬ জন। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী।। কলকাতায় আক্রান্ত ৪৯৮ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৬৮ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে গুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও।

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৪৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৮ হাজার ৯৯৬ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ২১.২৯ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে ২৪ হাজার ২০৯ জন। ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, গোটা ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে করোনা। গত প্রায় দু'মাস ধরেই করোনা গ্রাফ আবার উপরের দিকে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এপার বাংলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬২ জন। ছুঁয়ে না ফেললেও শুক্রবার ও শনিবারের পর রবিবারও তিন হাজারের দোরগোড়ায় কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্ত ।

চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা ছিল, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, একইভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। দৈনিক সংক্রমণের সাম্প্রতিক রেখাচিত্রও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পর দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছৃসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ দৈনিক সংক্রমণের হার আবার বেড়ে ১৭ শতাংশ ছাড়াল। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে বিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । গত ২৪ ঘণ্টায় চার জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬২ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৫১ হাজার ৭১১ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও। এপার বাংলায় এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৪৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৬১ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ১৭-৩৬ শতাংশ।

বুধবারই রা্জ্যে দৈনিক আক্রান্ত দু'হাজারের গণ্ডি টপকে গেছে। বৃহস্পতিবার তা আরও বেড়ে পৌঁছে গেল তিন হাজারের দোরগোড়ায়। কলকাতাতে দৈনিক আক্রান্ত আটশোর উপরেই থাকল। কিন্তু মহানগরীকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা । সাড়ে পাঁচশো থেকে দৈনিক আক্রান্ত সোজা সাড়ে আটশোর কাছে পৌঁছে গেল ওই জেলায়। চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা ছিল, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, এ্কইভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। গত বুধবার দৈনিক সংক্রমণের তিন হাজারের কাছে পৌঁছে যাওয়া সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপর দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ,দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখীই। বাড়তে বাড়তে তা ১৯ শতাংশের কাছে পৌঁছে গেছে। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে কোভিডবিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এরই পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় দু'জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৩১ জন| রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী। মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৯ জন আর উত্তর ২৪ পরগনার আক্রান্ত ৮৩৪ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওইতিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও। রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১৬ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ১৮.৭৪ শতাংশ । রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৫৪৬।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত