মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

উপসর্গহীন রোগী কোভিড ছড়াচ্ছেন

অনেকের করোনার কোনো রকম উপসর্গ ছিল না। ওরা হাসপাতালে এসেছিলেন অন্য নানা অসুখ নিয়ে। কিন্তু ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সব জেলা মিলিয়ে ২৮টি সরকারি হাসপাতালে ৪০০ জন করে আসা এমন মোট ১১ হাজার ২০০ জন তথাকথিত অ-করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের একটা বড় অংশেরই কোভিড হয়েছে।

এই ফলাফল পাওয়া গেছে পঞ্চম দফার সেন্টিনেল সার্ভেতে। বাংলার সব জেলায় ৬-৮ জুলাই হওয়া ওই সার্ভেতে দেখা যায়, গোটা রাজ্যে ছেয়ে রয়েছে এমন উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভে। এই সার্ভেতে দেখা গেছে, অন্তত নয়টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ৫-১০ শতাংশ এবং ১১টি জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ বা তার বেশি, যার মধ্যে দুটি জেলার পজিটিভিটি রেট আবার ২০ শতাংশ বা তার বেশি। অথচ এক পক্ষকাল আগেও, চতুর্থ সেন্টিনেল সার্ভেতে পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি পজিটিভিটি রেট ছিল না একটি জেলাতেও।

বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এর থেকে ভালো-মন্দ দু'টি বিষয়ই উঠে আসে। মন্দ দিকটা হল— সরকারিভাবে এখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা যা, তা আসল সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই কম। সারা বাংলায় অনেক বেশি মানুষ রয়েছেন, যারা কোভিড পজিটিভ হয়েও উপসর্গহীন। ভালো দিকটা হল— তেজ কমিয়ে আর পাঁচটা সংক্রমণের মতো করোনাও যে থেকে যাবে জনগোষ্ঠীতে এবং তাতে অসুস্থতা তেমন ভয়াবহ হবে না, এই সেন্টিনেল সার্ভের পরিসংখ্যান তারও ইঙ্গিতবাহী।

উপসর্গ নেই, এমন করোনা রোগী কেমন অনুপাতে লুকিয়ে রয়েছে জনগোষ্ঠীতে, তা জানতেই ১৫-২০ দিন অন্তর ২৩টি জেলা ও পাঁচটি স্বাস্থ্যজেলা মিলিয়ে জেলা সদর বা মেডিক্যাল কলেজ স্তরের মোট ২৮টি হাসপাতালে সেন্টিনেল সার্ভে করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই সব হাসপাতালে আসা এমন রোগীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়, যাদের করোনার কোনো উপসর্গই নেই। অথচ পরীক্ষা করলে অনেকেরই ধরা পড়ছে করোনা।

চিকিৎসকরা বলছেন, এর দুটো দিকই সত্যি। একদিকে যেমন সংক্রমণটা উপসর্গ ছাড়াই বিপুলভাবে রয়ে যাচ্ছে জনগোষ্ঠীতে, তেমনই আবার সংক্রমিত হয়েও অনেকেই করোনার উপসর্গে কাবুও হয়ে পড়ছেন না। মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, ‘যাদের উপসর্গ থাকছে, তাদের সিংহভাগেরই অসুস্থতা এতটাই মৃদু যে অধিকাংশ মানুষ টেস্টই করাচ্ছেন না। ফলে সংক্রমিতের আসল সংখ্যাটা ধরা পড়ছে না কোভিড বুলেটিনে। আর যারা উপসর্গহীন, তারা শুধু শুধু টেস্ট করাবেনই বা কেন? এরা সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন বটে, তবে ঝাঁঝ বেশ কম।’ একমত ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ জোয়ারদার। তার কথায়, ‘সেন্টিনেল সার্ভে জানান দিচ্ছে, জনগোষ্ঠীতে ভাইরাসের উপস্থিতি যথেষ্ট বাড়লেও তা আমাদের বিপদের মধ্যে ফেলেনি। আক্রমণের ধার যে কমেছে, তা তো বলাই যায়।’ তার মতে, ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি মানুষের টিকা নিয়ে নেওয়া, বুস্টার ডোজ এবং গত আড়াই বছরে এক বা একাধিকবার কোভিডে আক্রান্ত হয়। সব মিলিয়ে জনগোষ্ঠীতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত টানা তিন দিন তিন হাজারের দোরগোড়ায় থাকার পর সোমবার দু'হাজারের নিচে নেমে এল। কিন্ত রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দেনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, একই ভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। তাই দৈনিক আক্রান্ত কমলে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, দীর্ঘ ছ'মাস পর দৈনিক সংক্রমণের হার আবার ২০ শতাংশের উপর উঠল। এটি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে কোভিডবিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা । গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের করা কোভিডের ‘সেন্টিনাল সার্ভে’ রিপোর্ট। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীদের পরীক্ষা করে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সংক্রমণ নিঃশব্দে বাড়ছে কি না, তা বুঝতেই এই সমীক্ষা। তাতে দেখা গেছে, রাজ্যের ১১টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের উপর। তার মধ্যে রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা, নন্দীগ্রাম স্বাস্থভেলা, পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিং ও কলকাতা । সোমবার রাঙা দফতর প্রকাশিত কোভিউ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৮ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আত্রান্ত হয়েছেন ১৯১৫ জন। এখন পর্যন্ত কোভিড নেট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৬ জন। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী।। কলকাতায় আক্রান্ত ৪৯৮ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৬৮ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে গুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও।

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৪৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৮ হাজার ৯৯৬ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ২১.২৯ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে ২৪ হাজার ২০৯ জন। ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, গোটা ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে করোনা। গত প্রায় দু'মাস ধরেই করোনা গ্রাফ আবার উপরের দিকে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এপার বাংলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬২ জন। ছুঁয়ে না ফেললেও শুক্রবার ও শনিবারের পর রবিবারও তিন হাজারের দোরগোড়ায় কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্ত ।

চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা ছিল, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, একইভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। দৈনিক সংক্রমণের সাম্প্রতিক রেখাচিত্রও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পর দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছৃসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ দৈনিক সংক্রমণের হার আবার বেড়ে ১৭ শতাংশ ছাড়াল। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে বিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । গত ২৪ ঘণ্টায় চার জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৬২ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৫১ হাজার ৭১১ জন। রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই তিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও। এপার বাংলায় এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৪৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৬১ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ১৭-৩৬ শতাংশ।

বুধবারই রা্জ্যে দৈনিক আক্রান্ত দু'হাজারের গণ্ডি টপকে গেছে। বৃহস্পতিবার তা আরও বেড়ে পৌঁছে গেল তিন হাজারের দোরগোড়ায়। কলকাতাতে দৈনিক আক্রান্ত আটশোর উপরেই থাকল। কিন্তু মহানগরীকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা । সাড়ে পাঁচশো থেকে দৈনিক আক্রান্ত সোজা সাড়ে আটশোর কাছে পৌঁছে গেল ওই জেলায়। চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা ছিল, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছিল, এ্কইভাবে এ বারও ওঠা-নামার মধ্যে দিয়েই সংক্রমণ বাড়তে পারে রাজ্যে। গত বুধবার দৈনিক সংক্রমণের তিন হাজারের কাছে পৌঁছে যাওয়া সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপর দৈনিক আক্রান্ত কমলেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ,দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখীই। বাড়তে বাড়তে তা ১৯ শতাংশের কাছে পৌঁছে গেছে। সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে অক্ষরে অক্ষরে কোভিডবিধি পালনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এরই পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় দু'জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৩১ জন| রাজ্যে নতুন করে যত সংক্রমিত হয়েছেন, তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অধিবাসী। মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৯ জন আর উত্তর ২৪ পরগনার আক্রান্ত ৮৩৪ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওইতিন জেলার কোভিড পরিস্থিতিও প্রশাসনের নজরে রয়েছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও বীরভূমেও। রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১৬ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ১৮.৭৪ শতাংশ । রাজ্যে বর্তমানে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৫৪৬।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

আরএ/

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল