সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা রুখবে কে?

আমরা প্রায়শই দেখি ঈদ, পূজা, পার্বণ ও যেকোনো উৎসবকে সামনে রেখে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে জনগণের পকেট কাটেন। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ইতোমধ্যে কারসাজি করে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চাল, পেঁয়াজ, মসলাজাতীয় পণ্যসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ধর্মীয় কোনো উৎসব উপলক্ষে যেখানে পণ্যসামগ্রীর দাম কমানো হয়, আর আমাদের সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র পরিলক্ষিত হয়। এখানে বাড়তি মুনাফায় ভোক্তার পকেট কেটে পকেটস্থ করার দুরভিসন্ধিতে ভোক্তাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, যা ব্যবসায়িক নীতি নৈতিকতা পরিপন্থি ও অগ্রহণযোগ্য হলেও এটিই এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে।

আপনাদের সবার মনে থাকার কথা বিগত রমজানের ১৫ তারিখের পর কোনো কারণ ছাড়াই ভোজ্যতেল আমদানিকারক, মিল মালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ বন্ধ করে দেন। বাজারে ভোজ্যতেল নিয়ে চরম সংকট তৈরি হয়। ঈদের পরে যে দিন অফিস শুরু হলো সেদিনই ৩৮ টাকা প্রতি লিটারে দাম বাড়িয়ে নেন। আর নতুন দামে পুরানো মজুত তেল বিক্রিতে মরিয়া হন ব্যবসায়ীরা। পরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পানের দোকান, গ্যারেজ ও সুরঙ্গ থেকে সয়াবিন তেলের খনি আবিষ্কার করেছিলেন। আর এ সময়ে বাজারে সয়াবিন তেল উধাও। সয়াবিন তেল নিয়ে মানুষের অবর্ণনীয় কষ্টের বিচিত্র চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। আবার অনেকে তেল ছাড়া রান্নায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনার উদ্ভব হয়। যদিও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ওই সময়ে যে পরিমান সয়াবিন আমদানি হয়েছে তা দিয়ে পুরো বছরের তেলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তাহলে ভোজ্যতেল আমদানিকারক, মিলমালিক ও পাইকারি বিক্রেতাদের জনগণকে জিম্মি করে পকেট কাটার এই উৎসব বন্ধে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া ত্রাণকর্তা হিসেবে আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

ভোক্তা ও বাজার বিশ্লেষকদের মতে, করোনা অভিঘাত মোকাবিলা পরবর্তী সময়ে মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান রচিত হয়েছে। একারণে দৃশ্যত বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি, অভাব না থাকলেও মানুষ তা কিনতে পারছে না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বা সামর্থ্যের অভাবই এখানে প্রধান। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির দৈশিক ও বৈশ্বিক কারণ যাই হোক, তা এতোটা বাড়ার কথা নয়। যদিও ব্যবসায়ীদের সুরে সরকারের একশ্রেণির কর্তারা মূল্যবৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক নানা যুক্তি দাঁড় করান। কিন্তু আমাদের দেশীয় কৃষি উৎপাদনে উৎপাদিত বা অনেক আগে আমদানিকৃত পণ্যও হুহু করে দাম বাড়ানোর বিষয়টি কোনোভাবে তাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হচ্ছে না। তাই বলতে দ্বিধা নেই, নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ও বাড়ছে জনগণের পকেট কাটার উৎসবে মাতোয়ারা এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ও অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীর নীতিহীনতার কারণে। বলা বাহুল্য, নিত্যপণ্য মূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। তা এতটাই শোচনীয় যে, ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। সাধারণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও জীবন-জীবিকা নিয়ে দিশাহারা অবস্থায় পতিত হয়েছে। করোনার কারণে অধিকাংশ সাধারণ মানুষের অনেক আগে থেকেই নিত্যপণ্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। এর বাইরে সাম্প্রতিক সংগঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ মূল্য পরিস্থিতিকে রীতিমত ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ নিত্যপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া ত্রাণকর্তা হিসেবে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না।

অর্থনীতিবিদ, ভোক্তা ও বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে নিত্যপণ্য বাজারের উপরই সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ বরাবরই বলবৎ ছিল এবং আছে। চাল, ডাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপণ্য ও সেবা নেই, যার দাম সাধারণ মানুষের নাগালে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী রশি টেনে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। সয়াবিন তেলের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। ভোজ্যতেলের দাম আমদানিকারক, মিলমালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দফায় দফায় বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা তাদের ইচ্ছামতো করে বাজারে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সরকারের নির্দেশনা, কথা, হুমকি-ধমকি তারা কোনোভাবেই আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত সরকারই ভোজ্যতেলের আমদানি ভ্যাটমুক্ত করে দিয়েছে। বাজারে এরও প্রতিফলন দেখা যায়নি। অধিকিন্তু নতুন করে দাম আরও বেড়েছে। শুল্ক কমানোর পর তাদের বক্তব্য ছিল পরে ধাপে যখন আমদানি হবে তখন শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি কার্যকর হবে। অথচ আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশি ওই পণ্য আমদানি না হলেও দাম বাড়িয়ে দেন। আর আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমা বা শুল্ক হ্রাস করা হলে বলেন বেশি দামে কেনা। আবার অনেক সময় ব্যবসায়ীরা বড় গলায় বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সরকার। এর বাইরে আবার কিছু অর্থনীতিবিদও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকারের কিছু করণীয় নেই। সরকার কেন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে বাজারে হস্তক্ষেপ করবেন। তার অর্থ এটাই ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো দাম উঠানামা করাবেন, জনগণের পকেট কাটবেন, আর সরকারি লোকজন শুধুমাত্র দেখে থাকবেন। তাদের কথায় সায় দিতে গেলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিপুল অর্থ ব্যয়ে পোষার প্রয়োজন নেই। কারন গুটিকয়েক দুষ্ঠুলোক রাষ্ট্র ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি কাজ করবেন। এখানে সরকার কেন হস্তক্ষেপ করবেন? তার মতো হবে।

গণমাধ্যমের কল্যাণে সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৫০ টাকার নৌকার ভাড়া ৫০ হাজারে, ১০ টাকার মোমবাতি ১০০ টাকায়, ৫০ টাকার পাউরুটি ৫০০ টাকায় হাঁকার খবরে মানুষের বিবেক কোনোভাবেই নাড়া দেয়নি। ঠিক এভাবে দুর্গত মানুষকে চরম বিপদে রেখে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার ঘটনা পুরানো নয়। কোভিড-১৯ এর লকডাউন চলাকালেও কিছু মানুষের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকটের পাশাপাশি ক্লিনিক ও হাসপাতালে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের দৃষ্টান্তও কম নয়। আর এসমস্ত ব্যবসায়ী নামধারী মূল্য সন্ত্রাসী ও অমানবিক মানুষের সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে। তারা একটুখানি সুযোগ পেলেই এই সন্ত্রাসে নেমে পড়েন। তাদের এই অমানবিক আচরণকে ঘৃনা জানানো ছাড়া সাধারন মানুষের পক্ষে আর কিছুই করার থাকে না।

সহজ ও সোজা কথায় বলতে গেলে বাজারে আগুন লেগেছে ও অস্থিরতা চলমান। সেই আগুনে আমাদের বিবেক, মানবিকতা, আমাদের প্রশাসন এবং আমাদের রাজনীতি, সবকিছুই যেন জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের সীমাহীন লোভ লালসার শিকার সাধারণ মানুষ।

এ দেশের রাজনীতি বর্তমানে আর রাজনীতিবিদরা পরিচালনা করছেন না। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণ ঘটেছে। প্রমাণ হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা জাতীয় সংসদ সদস্যদের পেশার হিসাবনিকাশ দিয়েছেন। ১৯৭২ সালে যদি ২০ ভাগ ব্যবসায়ী সংসদ সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে তা এখন ৮০ ভাগে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় সংসদ যেহেতু দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকেন। সেখানে ব্যবসায়ী সংসদ সদস্যরা সরকারের নীতি প্রণয়নে তাদের প্রভাব অবশ্যই একটি বিবেচ্য বিষয়। সেবার পরিবর্তে জাতীয় সংসদ সদস্যরা তাদের লাভ-লোকসানের হিসাব কষবেন এটাই স্বাভাবিক। আসলে নিত্যপণ্যমূল্যের লাগামহীন ঘোড়া বেপরোয়াভাবে তছনছ করে দিচ্ছে জীবনযাত্রা। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে নিত্যপণ্যমূল্য বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক হচ্ছে ব্যবসায়ীদের অদম্য লোভ, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার সিন্ডিকেট। আর আইনপ্রয়োগে নিয়োজিত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন নিজেদের চাকরি বাঁচাতে এবং আখের গোছাতে জনগণের প্রয়োজনের সময়ে নিরবতা পালন ও নিষ্ঠুর নির্লিপ্ততা করে ব্যবসায়ী তোষণনীতি অবলম্বন করে যাচ্ছেন।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঈদ, পূজা, উৎসব-পার্বণ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয় নিত্যপণ্যে ও অন্যান্য সামগ্রীতে। দাম কমানো হয় পণ্যসামগ্রীর। সেখানে আমাদের দেশে তার বিপরীত চিত্র। উৎসব-পার্বণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। নানা অপকৌশলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভোক্তার পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করছে। ভোক্তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে নির্দ্বিধায়, ঠকানো হচ্ছে অনবরত। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীদের যে কারসাজি শুরু হয়েছে, তা নিতান্তই অন্যায়, অনৈতিক ও অযৌক্তিক হলে নীতি নির্ধারক মহল এই কঠিন সময়ে একে বারেই চুপ থাকবেন। তবে আমাদের প্রত্যাশা এই অপতৎপরতা অবশ্যই রুখে দিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দায়িত্বশীল মহল সোচ্চার হবেন। কারণ দেশের ১৮ কোটি মানুষের করের টাকায় সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মীর বেতন ভাতা ও যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। শুধুমাত্র গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের করের টাকায় না। আর ব্যবসায়ীরা যদি কর দিয়েও থাকেন সেই টাকা জনগন থেকে আহরণ করে দেওয়া। তাই আমরা বিশ্বাস করতে চাই যার নুন খাবেন, তারগুণ একটু করে হলেও গাইতে হবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ (যার মধ্যে ওই সরকারি কর্মকর্তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবও আছেন) ও অধিকার নিশ্চিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা নিষ্ঠা ও সততার বলিষ্ঠ মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে কাজ করবেন। তাহলে গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠিন পরিস্থিতি থেকে দেশের সাধারণ ভোক্তাদের সামলানো যাবে, যার দিকে তাকিয়ে আছেন ১৮ কোটি সাধারণ ভোক্তা।

লেখক: ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ই-মেইল:cabbd.nazer@gmail.com

আরএ/

Header Ad
Header Ad

৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের শীর্ষে থাকা দলটি আরও একবার প্রমাণ করল তাদের সামর্থ্য। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও শক্ত করেছে তারা।

প্রথমার্ধের দাপট:
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই ৮টি শট নেয় তারা। এর ফল আসে ২৩তম মিনিটে। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের দারুণ ক্রস থেকে ডাইভিং হেডে প্রথম গোলটি করেন লুইস দিয়াস।

৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাক আলিস্তের। অ্যান্ডি রবার্টসনের ক্রসে সোবোসলাই এবং টটেনহ্যামের এক খেলোয়াড়ের মধ্যে গোলমুখে বল আটকে গেলে সেটি জালে পাঠান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।

৪১তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করে টটেনহ্যাম। মাক আলিস্তেরের বল হারানোর সুযোগ নিয়ে দূরপাল্লার শটে ব্যবধান কমান স্বাগতিকদের এক মিডফিল্ডার।

তবে বিরতির আগেই ফের দুই গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সোবোসলাইয়ের সঙ্গে দারুণ সমন্বয়ে গোল করেন হাঙ্গেরির এই মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-১ গোলের ব্যবধানে।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও রোমাঞ্চ:
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও গোল উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। ৫৪তম মিনিটে টটেনহ্যামের ডিফেন্ডারদের ভুলে পাওয়া বল থেকে গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। এই গোলের মাধ্যমে চলতি লিগে ১৪ গোল নিয়ে তিনি শীর্ষে উঠে আসেন, পিছিয়ে পড়েন আর্লিং হলান্ড।

এরপর ৬১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সালাহ। সোবোসলাইয়ের দারুণ পাসে বক্সের ফাঁকা জায়গা থেকে অনায়াসে বল জালে পাঠান মিশরের এই তারকা।

টটেনহ্যামও চেষ্টা চালিয়ে যায়। ৭২তম মিনিটে দেইয়ান কুলুসেভস্কির ভলিতে ব্যবধান কিছুটা কমায় তারা। এরপর ৮৩তম মিনিটে ব্রেনান জনসনের পাস থেকে গোল করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড সোলাঙ্কি।

তবে লিভারপুলের জয়ের পথে বাঁধা হতে পারেনি স্বাগতিকদের এই দুই গোল। ৮৫তম মিনিটে লুইস দিয়াসের আরেকটি দারুণ গোল নিশ্চিত করে লিভারপুলের জয়।

পয়েন্ট তালিকার অবস্থা:
এই জয়ের ফলে লিভারপুল ১৬ ম্যাচে ১২ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। চেলসি ১৭ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, আর আর্সেনাল ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ১৭ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যাম রয়েছে ১১ নম্বরে।

Header Ad
Header Ad

লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ইজতেমার জুবায়েরপন্থীরা তাদের নানা দাবি নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে লাইভ সম্প্রচার চলাকালে ডিবিসি নিউজের টাঙ্গাইলের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল তালুকদার ‘জুবায়েরপন্থী’ শব্দ উচ্চারণ করায় তার উপর হামলা করেছে আন্দোলনরত জুবায়েরপন্থীর অনুসারীরা।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এতে ডিবিসি নিউজের সাংবাদিকসহ ৬ সাংবাদিক আহত হয়েছে।

আহত সাংবাদিকরা হচ্ছেন- ডিবিসি নিউজের টাঙ্গাইলের স্টাফ রিপোর্টার সোহেল তালুকদার, ভিডিও জার্নালিস্ট আশিকুর রহমান, চ্যানেল২৪ এর জেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা, চ্যানেল এস এর জেলা প্রতিনিধি অলক কুমার দাস, বিডি নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোল্লা তোফাজ্জল হোসেন, এখন নিউজের জেলা প্রতিনিধি কাওছার আহমেদ।

জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জুবায়ের পন্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত টাঙ্গাইলে সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন মসজিদে তাদের কার্যক্রম বন্ধসহ নানা দাবিতে রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান জুবায়ের পন্থীরা। এসময় ডিসি ও এসপির অসদাচরণের প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জুবায়েরপন্থীরা।

এ ঘটনার ডিবিসি নিউজে লাইভ চলাকালীন সময়ে টাঙ্গাইলের রিপোর্টার সোহেল তালুকদার ‘জুবায়েরপন্থী’ বাক্য উচ্চারণ করায় আন্দোলনকারীরা তার উপর হামলা চালায়। এসময় অন্য সাংবাদিকরা এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা করে জুবায়ের পন্থীরা।

আহত সাংবাদিকরা বলেন, এ ঘটনায় আমরা হতভম্ব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জুবায়ের পন্থীরা সন্ত্রাসীদের মত সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে, এমন ঘটনায় জুবায়েরপন্থীর নেতৃবৃন্দ সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে বসে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান এবং জাড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ জেলা কর্মরত সাংবাদিকরা। অতিদ্রুত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা না হলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তারা ।

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ১২ বছরের শিশু আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রোববার (২২ ‍ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, শহীদের মিছিল ভারী করে ২২ ডিসেম্বর রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে ১২ বছরের শিশু যোদ্ধা গুলিবিদ্ধ আরাফাত শাহাদাত বরণ করেছেন। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসারত অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে) হয়ে সে শাহাদাত বরণ করে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শাহাদাত বরণ যেভাবে আমাদের বেদনাতুর করে, সেভাবেই সাহস এবং উৎসাহ জোগায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে একবিন্দুও পিছপা হব না। শহীদ আরাফাতের মৃত্যুসহ জুলাই গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, তার সঙ্গী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সব সদস্যকে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও জানায়, একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ২৩ ডিসেম্বর দুপুর তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের জানাজা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে