সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকার জলজট ও বায়ুদূষণ

রাজধানী ঢাকা শহর অনেক আগেই চারশ বছর অতিক্রম করেছে। অসংখ্য ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক এ নগরীকে ঘিরে রয়েছে চারটি বহমান নদী। নদীগুলো যথাক্রমে— বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদী। এই চারটি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার।

বিশ্বের খুব কম শহরই আছে এমন চারপাশ নদীবেষ্টিত। এ নদীগুলোর সঙ্গে ঢাকাবাসীর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। অনেকটা হরিহর আত্মার মতো। একসময় এই নদীগুলো জাগ্রত করে রেখেছিল বেশকিছু খাল-নালা। এ রকম প্রায় ৪৩টি ছোট-বড় খাল একসময় ঢাকা নগরীর বুক চিরে প্রবাহিত হতো। অতি বৃষ্টিতেও তখন শহরবাসীকে নাকাল হতে হয়নি। অনবরত ভারী বর্ষণ মহানগরীকে জলাবদ্ধতায় কাবু করতে পারেনি। খালগুলোর বদৌলতে পানি মুহূর্তেই গড়িয়ে পড়ছে।

সে সুসময় এখন আর নেই। যেমন নেই খালগুলো। নেই আধুনিক শহরের উপযোগী পরিকল্পিত সুয়ারেজ বা ড্রেনেজ ব্যবস্থাও। পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই জল নিষ্কাশন লাইন ও বক্স কালভার্ট। তাছাড়া বর্ষাকালে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়টি তো রয়েছেই। এতে করে ভারী বর্ষণ হলেই মহানগরীর পিচঢালা সড়কগুলো জলে টইটম্বুর হয়ে পড়ে। দু-চার প্রজাতির মাছ কিলবিল করতে দেখা যায় তখন। জলজটের কারণে এ সময় আর শহরবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকে না। রিকশা কিংবা যান্ত্রিক যানের গতি থামিয়ে দেয় অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা। কর্মব্যস্ত মানুষকে তখন পড়তে হয় চরম বিপাকে। গাড়ির ইঞ্জিন বিগড়ে যাওয়ার ফলে সর্বসাধারণকে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় রিকশা ভাড়াও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে গিয়ে কর্মজীবীদের বেকায়দায় পড়তে হয় তখন। এ ছাড়াও সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কর্তৃপক্ষের তপ্ত বাক্যবাণও হজম করতে হয়।

এটি শুধু সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণের চিত্র নয়, সবসময় এ ধরনের চিত্র পরিলক্ষিত হয়। রাজধানীতে অতিবৃষ্টি হলেই এ সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। অতি বর্ষণের ভোগান্তির চিত্রে আমরা প্রায় দেখি রিকশা উপুড় হয়ে পড়ে যাত্রীদের জলে গড়াগড়ি খেতে। নারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগের চিত্র বড়ই করুণভাবে ফুটে উঠে। সেই চিত্র আবার ফেসবুকে ভাইরাল হতেও দেখা যায়। এসব ভোগান্তির চিত্র দেখে আমাদের যেমন খারাপ লাগে, তেমনি বিশ্ববাসীর কাছে আমরা অনেকটাই হেয় প্রতিপন্ন হই। এভাবে বাইরের রাষ্ট্রের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া বা রাজধানীবাসীর ভোগান্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে দূরদর্শীতার অভাব অথবা পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে না উঠার কারণ। সত্যি কথা বলতে আমাদের রাজধানী শহর চারশ বছর অতিক্রম করলেও এখনো আদর্শ নগরী হয়ে উঠতে পারেনি ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে; আরও কিছু কারণও রয়েছে অবশ্য। সে কারণগুলো এই লেখার সঙ্গে যুক্তিযুক্ত নয় বিধায় আপাতত তা বিশ্লেষণ করা থেকে বিরত রইলাম আমরা। আমরা এখন ফিরে যাচ্ছি জলাবদ্ধতার বিষয়ে।

বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের রাজধানী শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থায় রয়েছে দূরদর্শীতার পরিকল্পনা। ফলে অতি বর্ষণে তাদের শহর জলাভূমিতে রূপান্তরিত হয় না, জল জমলেও দ্রুত তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আসলে দূরদর্শী পরিকল্পনার সুবাদেই তারা আধুনিক শহরের সুবিধা ভোগ করছে। অপরদিকে, মাস্টারপ্লান যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় আমরা সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

রাজধানীর আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বস্তি। যার কারণে পরিকল্পিত নগরী গড়তে বড় ধরনের বাধার সন্মুখীন হতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি দৃষ্টিকটু হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বছর খানেক আগে বলেছিলেন (৩ আগস্ট, ২০২১ সালের গণমাধ্যম মারফত জানা যায়), ‘বস্তি ছেড়ে গ্রামে ফিরলে জমি-ঘর-খাবার ইত্যাদির সুবিধা প্রদান করা হবে।’ আসলেই তিনি রাজধানীর উন্নয়নের লক্ষ্যেই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, মূলত একটি দেশের সংস্কৃতি এবং রাজধানীই সে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশেষ করে রাজধানীর পরিবেশ চাল-চিত্রই বহিবিশ্বে সবার আগে ফুটে উঠে। কারণ বিশ্ব গণমাধ্যম কিংবা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের আগমণ সবসময় রাজধানী কেন্দ্রিক হয়। সে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাথায় নিয়েই বস্তিবাসীকে গ্রামমুখী হতে আহ্বান করেছেন।

রাজধানীর উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের পাশাপাশি রাজধানী কর্তৃপক্ষ আরেকটু উদ্যোগী হলে নগরবাসীকে জলজট থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দিতে পারেন বলে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। প্রথমত, পয়োঃনিষ্কাশন বা ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে। দ্বিতীয়ত, রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোকে ভালো মতো খনন করে জলপ্রবাহের গতি বাড়িয়ে। তৃতীয়ত, বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ রেখে। এ তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি না দিলে নগরবাসীকে কোনোভাবেই জলজট থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না।

শুধু জলজটই নয়, আমাদের রাজধানীর আরও কিছু বদনাম রয়েছে। যেমন— জলজট, জনজট, যানজট, বায়ুদূষণ ও বস্তির নগরী হিসেবে পরিচিতি মিলছে ইদানীং। এ বদনাম থেকে সহজেই কেটে উঠার সম্ভাবনাও আমরা দেখছি না, বরং দিন দিন তা আরও বাড়ছে। প্রতিবছর রাজধানীতে ১০ শতাংশ হারে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে রাজপথ অচল করে দিচ্ছে। পাশাপাশি যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া নিঃসরণের ফলে কার্বনের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়াল বারবার ঢাকা শহরকে সতর্কবার্তাও পাঠিয়েছে। সে সতর্কবার্তা আমরা এখনো বিবেচনায় নিতে পারিনি। কিংবা বিবেচনায় নিলেও রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধের ব্যাপারে আমরা এখনো তৎপর হতে পারিনি। অথচ এটি হওয়ার কথা নয়, রাজধানীর পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সবার আগে নজর দেওয়া উচিৎ আমাদের। কারণ রাজধানী হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের মস্তকতুল্য। সেই মস্তকে পচন ধরলে দেহের অন্যান্য অঙ্গশোভা বৃথাই বলা যায়। সুতরাং রাজধানীর বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে বহিবিশ্বের কাছে আমরা আরও হেয় প্রতিপন্ন হয়ে পড়ব। আর রাজধানী শহরও কার্যত অচল হয়ে পড়বে। তাই সময় থাকতে এক্ষুনি নগর পরিকল্পনায় এগিয়ে আসতে হবে আমাদের, নচেৎ মহাদুর্যোগ নেমে আসবে রাজধানীতে, যা সামলানো তখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও জলবায়ু বিষয়ক কলামিস্ট

আরএ/

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক দেওয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।

এ সময় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে সই করেছেন।

তিনি বলেন, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসেনি। রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেবো না। যারা অসুস্থ, শুধু তারাই মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় পাচ্ছেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের যে কথা বলেছেন, সেটা স্লিপ অব টাং। দুই মাসে নয়, গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার প্রবেশ করেছে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিতাংশু কুমার (এসকে) সুর। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ র্অজন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করে সংস্থাটি। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর থাকাকালে এসকে সুরের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। এসকে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন। কয়েকজন আসামির জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এ তথ্য।

এর আগে গত বছরের আগস্টে এ পরিবারের সব ধরণের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক। আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই বছরের ২৯ মার্চে এস কে সুরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ লুটপাটের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছিল বলে জানা গেছে। এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আবদুল হাই কানু নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করেছেন স্থানীয় লোকজন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চৌদ্দগ্রামের নিজ এলাকা কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠছে।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুল হাই কানু। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্থানীয় এমপি মুজিবুল হকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে আগে একাধিক মামলা হয়েছিল। রোববার দুপুরে তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি হেনস্তা করে গলায় জুতার মালা দেয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জামায়াত সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে অহিদ, রাসেল, পলাশসহ ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা কানুর গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকা এমনকি কুমিল্লায় থাকতে পারবেন না বলে হুমকি দিচ্ছেন। এ সময় তিনি জুতার মালা সরিয়ে এলাকায় আর আসবেন না বলেও জানান। এ সময় তার ভিডিও ধারণ ও ছবি নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিরা বলতে থাকেন ‘এক গ্রাম লোকের সামনে মাফ চাইতে পারবেন কিনা? অন্যরা বলতে থাকেন তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট, ছেড়ে দাও।’

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ আমাকে একা পেয়ে জোর করে ওরা জুতার মালা গালায় দিয়ে ভিডিও করেন। বিচার কার কাছে চাইব? মামলা দিয়ে আর কী হবে? তারা সবাই জামায়াতের রাজনীতি করে। আমি আওয়ামী লীগ করলেও বিগত দিনে তাদের কোনও ক্ষতি করিনি। উল্টো আওয়ামী লীগের এমপির রোষানলে পড়ে ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর ওই মুক্তিযোদ্ধা মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করবেন না বলেও জানান। তবে রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার আবারও তাকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দেবেন কি না বিষয়টি এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে রোববার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনার সাথে স্থানীয় জামায়াতের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জড়িতরা আমাদের কেউ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ