শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকার জলজট ও বায়ুদূষণ

রাজধানী ঢাকা শহর অনেক আগেই চারশ বছর অতিক্রম করেছে। অসংখ্য ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক এ নগরীকে ঘিরে রয়েছে চারটি বহমান নদী। নদীগুলো যথাক্রমে— বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদী। এই চারটি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার।

বিশ্বের খুব কম শহরই আছে এমন চারপাশ নদীবেষ্টিত। এ নদীগুলোর সঙ্গে ঢাকাবাসীর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। অনেকটা হরিহর আত্মার মতো। একসময় এই নদীগুলো জাগ্রত করে রেখেছিল বেশকিছু খাল-নালা। এ রকম প্রায় ৪৩টি ছোট-বড় খাল একসময় ঢাকা নগরীর বুক চিরে প্রবাহিত হতো। অতি বৃষ্টিতেও তখন শহরবাসীকে নাকাল হতে হয়নি। অনবরত ভারী বর্ষণ মহানগরীকে জলাবদ্ধতায় কাবু করতে পারেনি। খালগুলোর বদৌলতে পানি মুহূর্তেই গড়িয়ে পড়ছে।

সে সুসময় এখন আর নেই। যেমন নেই খালগুলো। নেই আধুনিক শহরের উপযোগী পরিকল্পিত সুয়ারেজ বা ড্রেনেজ ব্যবস্থাও। পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই জল নিষ্কাশন লাইন ও বক্স কালভার্ট। তাছাড়া বর্ষাকালে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়টি তো রয়েছেই। এতে করে ভারী বর্ষণ হলেই মহানগরীর পিচঢালা সড়কগুলো জলে টইটম্বুর হয়ে পড়ে। দু-চার প্রজাতির মাছ কিলবিল করতে দেখা যায় তখন। জলজটের কারণে এ সময় আর শহরবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকে না। রিকশা কিংবা যান্ত্রিক যানের গতি থামিয়ে দেয় অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা। কর্মব্যস্ত মানুষকে তখন পড়তে হয় চরম বিপাকে। গাড়ির ইঞ্জিন বিগড়ে যাওয়ার ফলে সর্বসাধারণকে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় রিকশা ভাড়াও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে গিয়ে কর্মজীবীদের বেকায়দায় পড়তে হয় তখন। এ ছাড়াও সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কর্তৃপক্ষের তপ্ত বাক্যবাণও হজম করতে হয়।

এটি শুধু সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণের চিত্র নয়, সবসময় এ ধরনের চিত্র পরিলক্ষিত হয়। রাজধানীতে অতিবৃষ্টি হলেই এ সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। অতি বর্ষণের ভোগান্তির চিত্রে আমরা প্রায় দেখি রিকশা উপুড় হয়ে পড়ে যাত্রীদের জলে গড়াগড়ি খেতে। নারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগের চিত্র বড়ই করুণভাবে ফুটে উঠে। সেই চিত্র আবার ফেসবুকে ভাইরাল হতেও দেখা যায়। এসব ভোগান্তির চিত্র দেখে আমাদের যেমন খারাপ লাগে, তেমনি বিশ্ববাসীর কাছে আমরা অনেকটাই হেয় প্রতিপন্ন হই। এভাবে বাইরের রাষ্ট্রের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া বা রাজধানীবাসীর ভোগান্তির অন্যতম কারণ হচ্ছে দূরদর্শীতার অভাব অথবা পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে না উঠার কারণ। সত্যি কথা বলতে আমাদের রাজধানী শহর চারশ বছর অতিক্রম করলেও এখনো আদর্শ নগরী হয়ে উঠতে পারেনি ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে; আরও কিছু কারণও রয়েছে অবশ্য। সে কারণগুলো এই লেখার সঙ্গে যুক্তিযুক্ত নয় বিধায় আপাতত তা বিশ্লেষণ করা থেকে বিরত রইলাম আমরা। আমরা এখন ফিরে যাচ্ছি জলাবদ্ধতার বিষয়ে।

বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের রাজধানী শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থায় রয়েছে দূরদর্শীতার পরিকল্পনা। ফলে অতি বর্ষণে তাদের শহর জলাভূমিতে রূপান্তরিত হয় না, জল জমলেও দ্রুত তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। আসলে দূরদর্শী পরিকল্পনার সুবাদেই তারা আধুনিক শহরের সুবিধা ভোগ করছে। অপরদিকে, মাস্টারপ্লান যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় আমরা সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

রাজধানীর আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বস্তি। যার কারণে পরিকল্পিত নগরী গড়তে বড় ধরনের বাধার সন্মুখীন হতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি দৃষ্টিকটু হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বছর খানেক আগে বলেছিলেন (৩ আগস্ট, ২০২১ সালের গণমাধ্যম মারফত জানা যায়), ‘বস্তি ছেড়ে গ্রামে ফিরলে জমি-ঘর-খাবার ইত্যাদির সুবিধা প্রদান করা হবে।’ আসলেই তিনি রাজধানীর উন্নয়নের লক্ষ্যেই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, মূলত একটি দেশের সংস্কৃতি এবং রাজধানীই সে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশেষ করে রাজধানীর পরিবেশ চাল-চিত্রই বহিবিশ্বে সবার আগে ফুটে উঠে। কারণ বিশ্ব গণমাধ্যম কিংবা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের আগমণ সবসময় রাজধানী কেন্দ্রিক হয়। সে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাথায় নিয়েই বস্তিবাসীকে গ্রামমুখী হতে আহ্বান করেছেন।

রাজধানীর উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের পাশাপাশি রাজধানী কর্তৃপক্ষ আরেকটু উদ্যোগী হলে নগরবাসীকে জলজট থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দিতে পারেন বলে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। প্রথমত, পয়োঃনিষ্কাশন বা ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে। দ্বিতীয়ত, রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোকে ভালো মতো খনন করে জলপ্রবাহের গতি বাড়িয়ে। তৃতীয়ত, বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ রেখে। এ তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি না দিলে নগরবাসীকে কোনোভাবেই জলজট থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না।

শুধু জলজটই নয়, আমাদের রাজধানীর আরও কিছু বদনাম রয়েছে। যেমন— জলজট, জনজট, যানজট, বায়ুদূষণ ও বস্তির নগরী হিসেবে পরিচিতি মিলছে ইদানীং। এ বদনাম থেকে সহজেই কেটে উঠার সম্ভাবনাও আমরা দেখছি না, বরং দিন দিন তা আরও বাড়ছে। প্রতিবছর রাজধানীতে ১০ শতাংশ হারে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে রাজপথ অচল করে দিচ্ছে। পাশাপাশি যানবাহন থেকে কালো ধোঁয়া নিঃসরণের ফলে কার্বনের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়াল বারবার ঢাকা শহরকে সতর্কবার্তাও পাঠিয়েছে। সে সতর্কবার্তা আমরা এখনো বিবেচনায় নিতে পারিনি। কিংবা বিবেচনায় নিলেও রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধের ব্যাপারে আমরা এখনো তৎপর হতে পারিনি। অথচ এটি হওয়ার কথা নয়, রাজধানীর পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সবার আগে নজর দেওয়া উচিৎ আমাদের। কারণ রাজধানী হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের মস্তকতুল্য। সেই মস্তকে পচন ধরলে দেহের অন্যান্য অঙ্গশোভা বৃথাই বলা যায়। সুতরাং রাজধানীর বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতার বিষয়ে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে বহিবিশ্বের কাছে আমরা আরও হেয় প্রতিপন্ন হয়ে পড়ব। আর রাজধানী শহরও কার্যত অচল হয়ে পড়বে। তাই সময় থাকতে এক্ষুনি নগর পরিকল্পনায় এগিয়ে আসতে হবে আমাদের, নচেৎ মহাদুর্যোগ নেমে আসবে রাজধানীতে, যা সামলানো তখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও জলবায়ু বিষয়ক কলামিস্ট

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত