মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রমত্তা পদ্মার বুকে দক্ষিণের দ্যুতি

স্বপ্নের দুয়ার অতিক্রম করে দক্ষিণে পৌঁছে গেছে আলোর দ্যুতি। এক সময় এই প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে কতো প্রাণের, কতো বুক ফাঁটা আর্তনাদ স্বচক্ষে স্বজনদের দেখতে হয়েছে। সেই নীল কষ্ট থেকে রেহাই পেল দক্ষিণাবাসী। কয়েকদিনে মানুষের উল্লাস দেখেছি, অতি উৎসাহী জনগণের ভ্রান্তি নিয়েও ট্রল কম হয়নি। পদ্মার মতো খরস্রোতা নদীর হিংস্রতা দমানোর জন্য নদী শাসন ও নদী ব্যবস্থাপনা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি সিগনেচার ব্রিজ।

বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘ সেতুর পুরো নাম পদ্মা সেতু। আমাজানের পর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মার উপর সেতুর স্থায়িত্ব ১০০ বছর। দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে ১০০ বছরের স্থায়িত্বের জন্য পদ্মা সেতুর ডিজাইন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু জাতীয় আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এ সেতুর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হাতছানি দিচ্ছে ইতিবাচকভাবে। দক্ষিণ –পশ্চিমের ২১ জেলায় অর্থনীতির গতিতে নতুন নতুন পালক যুক্ত হবে এটা নিশ্চিত। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গড়ে উঠবে শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ সমস্ত জেলায় সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের দুয়ার খুলে দিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বলতে পারি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের একটি জরুরি অবকাঠামো এটি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পালক মেলবে নতুন নতুন খাত। পদ্মা সেতুকে ঘিরে পদ্মার চরাঞ্চলে অলিম্পিক ভিলেজ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি, হাইটেক পার্কসহ নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু সংলগ্ন জাজিরার নাওডোবা এলাকায় শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার জীব বৈচিত্র্যের ইতিহাস ও নমুনা সংগ্রহের জন্য জাদুঘর প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ— পদ্মা সেতু প্রাণী জাদুঘরে এখন প্রাণী জগতের মিলনমেলা। দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এই প্রাণী জাদুঘর শুধু বিনোদনই নয় গবেষণায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আর্থ সামাজিক উন্নয়নের করিডরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লক্ষ কোটি বাঙালির আবেগ ভালোবাসা ও স্বপ্ন। স্বপ্নের সেতু দিয়ে স্বপ্ন যাবে বাড়ি। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জোয়ার বইবে পদ্মা সেতুকে ঘিরে। যমুনা ও পদ্মা দুটি নদী একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বহুদিন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। আজ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগের নতুন মাত্রা যুক্ত হলো রাজধানীর সঙ্গে। এ সেতু ঘিরে সাধিত হয়েছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। সংযোগ সড়কের পাশাপাশি সার্ভিস এলাকায় নির্মিত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো, সেতুতে রাখা হয়েছে গ্যাস সঞ্চালন লাইন, ফাইবার অপটিক্যাল ও টেলিফোন ডাক্ট। সেতুর ভাটিতে তৈরি হচ্ছে হাই ভোল্টেজ বিদ্যু লাইন। টোল প্লাজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে পদ্মা পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৬ মিনিট। এ সেতুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের একমাত্র এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু চালুর মধ্যে দিয়ে পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে নান্দনিক এই মহাসড়ক। নতুন দিগন্তে ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটনসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। পর্যটনে ঘটবে যুগান্তকারী বিপ্লব। মানুষের জীবনধারায় ব্যাপক পরিবর্তনও ঘটবে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত এলাকার নদী শাসনের ফলে অনেক কৃষি জমি নদী ভাঙন থেকে রেহাই পেয়েছে। কৃষি ও শিল্পের বিকাশের ফলে মানুষের কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু অবদান রাখবে। নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন— পদ্মা সেতু ঢাকা থেকে মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা-পায়রা-কুয়াকাটা-যশোর-খুলনা-মোংলা পর্যন্ত সুবিস্তৃত একটি ইকোনমিক করিডোর হিসেবে দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় সর্বোত্তম লাইফলাইনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ অঞ্চলকে দেখবো খুব শিগগিরই আশা করি। জাতীয় অর্থনীতির বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইকোনমিক জোন ও শিল্প পার্ক গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। দেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়বে এটা সহজেই অনুমেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী নেতা। প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণ ছিল তাঁর একটি লালিত স্বপ্ন। ইস্পাত সম্পর্ক জোড়া লাগিয়েছে দুই পাড়ের বহু হদয়কে। শেখ হাসিনার অদম্য সাহসিকতায় জোড়া লেগেছে দেশের মানুষের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রমত্তা পদ্মার বুকে শোভা বাড়িয়ে প্রকৌশল জগতের এক অভিনব বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে, ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক সোনার বাংলায় রুপান্তরিত হবে। দক্ষিণের জেলায় অর্থনৈতিক মুক্তির আলো উন্মোচিত হয়েছে ২৫ জুন। করোনার ধাক্কা ও ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে দেশ যখন সংকটে ঠিক তখনই পদ্মা সেতু উন্নয়নের এক শক্তি হিসেবে আর্বিভূত হলো। নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো। এদেশের নিজস্ব অর্থায়ন, সক্ষমতায় গড়া, আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, হার না মানা বিজয়ের গল্প থেকেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, অদম্য সাহসিকতা বাংলাদেশের সক্ষমতাকে সগৌরবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পদ্মা সেতু একটি ঐতিহাসিক অর্জন, বিশ্বকে দেখিয়েছে নতুন চমক, বাঙালি জাতিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী। আমরা বাংলাদেশিরা আজ আনন্দিত ও গর্বিত। উত্তাল পদ্মার বুকে নির্মিত সেতু ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং স্থাপনা হিসেবে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে সেটাই প্রত্যাশা।

লেখক: সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ; লেখক ও গবেষক

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি